বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ছাত্রলীগের জয়-লেখক কতটা সফল?

বহু প্রত্যাশা নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদে জয়-লেখককে দায়িত্ব দেওয়া হলেও খুব একটা সুফল পায়নি সংগঠনটি। নেতা-কর্মীরা বলছেন, শুরুতে তাদের নিয়ে ভাল প্রত্যাশা থাকলেও পরবর্তী সময়ে তাদের কর্মকাণ্ডে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অনেক নেতাই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

দায়িত্ব পাওয়ার পর জয়-লেখক তাদের কর্মকাণ্ডে কতটুকু জয়ী হয়েছেন তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন! শেষ সময়ে এসেও বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা জয় ও লেখকের। নেতা-কর্মীরা বলছেন, ভালো কাজের পাশাপাশি প্রেস রিলিজ নির্ভর কমিটি দিয়ে তারা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে আর্থিক লেনদেনেরও।

আগামী ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন। এর মধ্যে সম্মেলনকে ঘিরে পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। এ দৌড়-ঝাঁপের সময়েও শেষ মুহূর্তে এসে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে কমিটি দিয়েই চলছেন তারা। ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ঢাকাপ্রকাশ জানার চেষ্টা করেছে জয়-লেখক কতটা সফলতা অর্জন করেছেন কিংবা ব্যর্থতাই বা কতটুকু।

জানা যায়, ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সর্বশেষ ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ পদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পান শোভন-রাব্বানী। এর দুই মাস পর ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ গঠিত হয়েছিল। দুই বছর মেয়াদী ওই কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের মেয়াদ শেষ হবার কথা ছিল ২০২১ সালের ৩১ জুলাই। এক বছরের মাথায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সংগঠনের শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং বিতর্কমুক্ত করতে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, এক নম্বর সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে সভাপতি ও এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে দুই শীর্ষ নেতাকে ‘ভারমুক্ত’ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, ঠিক তখন থেকেই নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন জয়-লেখক। এই অভিযোগ খোদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় অনেক নেতার।

ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের দ্বিতীয় ভাগের ১৫ ধারার (ঙ)-তে বলা আছে, প্রতি দুই মাসে অন্তত একবার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা বসবে। অন্য সব নিম্নতম শাখায় নির্বাহী সংসদের সভা বসবে প্রতি মাসে অন্তত একবার। এ হিসেবে জয়-লেখক কমিটির তিন বছরে দুই মাস পরপর ১৮টি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা হওয়ার কথা, সেখানে হয়েছে মাত্র একটি।

গঠনতন্ত্রের দ্বিতীয় ভাগের ১১ ধারার (খ)-তে বলা আছে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কার্যকাল দুই বছর। এ সময়ের মধ্যে সম্মেলনের আয়োজন করতে হবে। অন্যথায় নির্বাহী সংসদের কার্যকারিতা লোপ পাবে। এটিও পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন জয়-লেখক। এ নিয়ে নানান সময়ে কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন তারা।

ব্যর্থতা নিয়েই সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে জয়-লেখক অধ্যায়ের!

সম্মেলনের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন, শেষ সময়ে এসেও কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়া ঘোষণা করা হচ্ছে বিভিন্ন শাখা কমিটি। তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ থেকে নিষেধ করা হয়েছে সম্মেলনের আগে ছাত্রলীগের কোনো শাখা কমিটি না দেওয়ার জন্য। এমনটাই জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। সেই নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে নতুন নতুন কমিটি দিয়েই চলছেন এ শীর্ষ দুই নেতা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এসব সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন জেলায় চলছে বিক্ষোভ ও অগ্নিসংযোগ।

নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশা আগামী ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসবে। যাদের হাত ধরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের চিরচেনা ঐতিহ্য ফিরে আসবে। প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যাবেন নতুন নেতৃত্ব।

সম্মেলন ছাড়াই কমিটি

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগের জেলা ইউনিট ১১১টি। যদিও তাদের সময়ের মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বাড়লে ১১৯টি ইউনিট কমিটি গঠন করা হয়। এর মধ্যে মাত্র ৩৮টি কমিটি দিতে পেরেছেন তারা। বাকি রয়েছে ৮১টি কমিটি। গঠনতন্ত্রে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি ঘোষণার কথা থাকলেও হাতে গোনা কয়েকটি ছাড়া প্রত্যেকটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে। এর মধ্যেও রয়েছে বিতর্ক। নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, কারও সঙ্গে কোনো পরামর্শ ছাড়া তার নিজ খুশি মতো কমিটি ঘোষণা করেন।

এদিকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ ২৫১টি। তবে ২৮তম কাউন্সিলে সোহাগ-জাকির কমিটির সময় থেকে সেটি বাড়িয়ে করা হয় ৩০১টি। শোভন-রাব্বানীর সময়ে হওয়া কমিটির এসব পদের প্রায় শতাধিক নেতা চাকরি, ব্যবসা কিংবা বিয়ে করায় সেই পদগুলো খালি হয়। সেটি পূরণ হয় গত আগস্টে। তবে বিতর্কিত ও ঘনিষ্ঠজনদের পদায়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে জয়-লেখকের বিরুদ্ধে।

আর্থিক লেন-দেনের অভিযোগ

বিভিন্ন কমিটি দেওয়ার সময় আর্থিক লেন-দেনের অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। অনেক সময় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতাসহ স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন যে ‘টাকার বিনিময়ে পদ’ দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযোগ নিয়ে য়ে গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হয়।

সফলতা না ব্যর্থতা, কোনটার পরিমাণ বেশি

মানবিক কার্যক্রম জোরদার করে অক্সিজেন সেবা, অসহায়দের জন্য খাদ্য সহায়তা, করোনায় মৃতদেহ দাফন, কৃষকের ধান কেটে দেওয়াসহ মানবিক কাজে এগিয়ে থাকলেও সাংগঠনিক কাজে গতি ফেরাতে পারেননি জয়-লেখক। প্রেস রিলিজের মাধ্যমে কমিটি দিয়ে বিতর্কের জন্ম দেন তারা।

এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সোহান খান বলেন, আমাদের যে গঠনতান্ত্রিক কাঠামো, দুই বছর পার হলেও সারা বাংলাদেশে প্রেস কমিটিটে সয়লাব। যা আমাদের ব্যথিত করেছে।

তিনি আরও বলেন, জয়-লেখক নিয়ে নেত্রীর প্রত্যাশা থাকলেও, তাদের ব্যক্তিগত স্বেচ্ছাচারিতার কারণে সেই প্রত্যাশা পূরণে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মিটিং, দায়িত্ব বণ্টনেও বিভিন্ন অজুহাতে বিলম্ব হয়েছে।

আসন্ন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের বিষয়ে জয়-লেখকের ভূমিকা কতটুক জানতে চাইলে সোহান খান বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের মে মাসে ছাত্রলীগের সম্মেলনের কথা বললেও তারা (জয়-লেখক) কর্ণপাত করেননি। তখন তাদের কথা ছিল, নেত্রী যেদিন বলবেন সেইদিন ছাত্রলীগের সম্মেলন হবে। আসলে ছাত্রলীগের সম্মেলন কখনো নেত্রী ঘোষণা করেন না। এটা সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। তবে সম্মেলন হওয়া নিয়ে নিষ্ক্রিয়তা ছিল তাদের।’

এদিকে, শেষ সময়ে এসে প্রেস-রিলিজ কমিটি নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন বলে, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সম্মেলনের দিন পর্যন্ত তারা জেলা-উপজেলা কমিটি দেওয়ার এখতিয়ার রাখে। তবে অতি সাম্প্রতি তারা যেভাবে কমিটি দিয়েছেন তা গঠনতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এভাবে তাদের কমিটি গঠন করা উচিত হয়নি।

জয়-লেখকের এ কমিটির মূল্যানের বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনি বলেন, ‘আপনি কি আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বিষয়ে মূল্যায়ন করতে পারেন; না, পারেন না?.. ‘করোনা মহামারিকালীন সারা বাংলাদেশের ছাত্রলীগ যেভাবে কাজ করেছে তা অসাধারণ। তবে সামনে যারা নেতৃত্ব আসবে তাদের সঙ্গে তুলনা করলে বোঝা যাবে তারা কেমন ছিলেন, তা সময়ই বলে দেবে। তবে আমাদের আরেকটু ভালো করার সুযোগ ছিল। জীবনে তো আর সবসময় শতভাগ আউটপুট নেওয়া যায় না, তবে যথেষ্ট ভালো করছেন তারা। আরেকটু সমন্বয় করতে পারলে ভালো হতো। এ ছাড়া, দুয়েকজন যারা বিদ্রোহী বা বিরোধিতা করছে তাদেরকে এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখা যেত, তাহলে বিষয়টি ভালো হতো।’

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আরেক সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ বলেন, বিগত ৫ বছর যদি মূল্যায়ন করা হয়, সে বিবেচনায় আনলে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক গতি অনেকটাই মন্থর হয়ে গিয়েছিল। সেভাবে বিগত পাঁচ বছর ছাত্রলীগকে গতিশীল করা হয়নি। ১১৯টি ইউনিটের মধ্যে কদাচিৎ ৪/৫ টি জেলায় সম্মেলনের মাধ্যমে তারা (জয়-লেখক) কমিটি দিলেও বাকিগুলোতে সম্মেলন না করেই তারা প্রেস রিলিজের মাধ্যমে কমিটি দিয়েছেন। এ ছাড়া, স্বেচ্ছাচারীতা, সংগঠনে একনায়কতন্ত্র বজায় রাখা এগুলো নিয়ে সব সময়ই কথা উঠেছে।

‘তাহলে কি জয়-লেখকের সফলতার চেয়ে ব্যর্থতার পরিমাণে বেশিই’ বলে মনে হয় কি না জানতে চাইলে ইয়াজ আল রিয়াদ বলেন, ‘সেটি তো কিছুটা বোঝা যাচ্ছে। সাংগঠনিক কার্যক্রমে তাদের ব্যর্থতা সেটি মুখ্য বিষয়। সেই জায়গাতে ব্যর্থতার পরিমাণই বেশি।’

এদিকে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি। তবে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টিও জয়-লেখকের নতুন না!

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক