বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সোনাহাট সেতুর কাজ শেষ হবে কবে?

ছবি: অনিল চন্দ্র রায়, প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম

মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও কাজ শেষ হয়নি কুড়িগ্রামের দুধকুমার নদীর উপর সোনাহাট সেতু নির্মাণের কাজ। এ কারণে দুই দফা সংশোধন করে কাজের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। টাকাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। তারপরও কাজ শেষ হয়নি। এ কারণে এলাকাবাসীর ভোগান্তি কমেনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নদী পারাপার হতে হয় মানুষকে।

প্রকল্প সুত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। এই অবস্থায় বাকি কাজ শেষ করতে আরও এক বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর প্রস্তাব সড়ক বিভাগ থেকে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, কাজ তদারকি করতে নিয়ম অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ে পিইসি ও পিআইসি মিটিং হওয়ার কথা থাকলেও সেটা হয়নি। ফলে কাজের গাফিলতি ছিল।

জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী–সোনাহাট স্থলবন্দর-ভিতরবন্দ-নাগেস্বরী মহাসড়কের দুধকুমার নদীর উপর সোনাহাট সেতু নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালে কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।

সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে ও মানুষের ভোগান্তি কমাতে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সরকার ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর প্রকল্পটি অনুমোদনও দেয়।

প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী-ভুরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থলবন্দর জাতীয় মহাসড়কে দুধকুমর নদীর উপর ৬৪৫ মিটার পিসি গার্ডার সেতুসহ ২ দশমিক ৩২ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক ও ১টি এক্সেললোড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মাণ করার কথা।

প্রায় ২৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুনে বাস্তবায়ন করার কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গেলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। এ জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে সংশোধন করে এক বছর সময় বৃদ্ধি করে ২০২২ সালের ৩০ জুন ধরা হয়। তাতে ব্যয় বৃদ্ধি পায় প্রায় তিন কোটি টাকা। অর্থাৎ ২৩৬ কোটি টাকা। তাতেও কাজের অগ্রগতি হয়নি।

গত মে পর্যন্ত এই প্রকল্পে কাজের আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ২৯ শতাংশ ও বাস্তব অগ্রগতি মাত্র ৩০ শতাংশ।

এই পরিস্থিতিতে আরেক দফা সময় বাড়ানোর জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে আইএমইডি সরেজমিন প্রকল্প পরিদর্শন করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, কাজ তদারকি ও সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়ন করতে তিন মাস পর মন্ত্রণালয়ে পিইসি ও পিআইসি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু এই প্রকল্পে তা হয়নি। সোনাহাটের মানুষের জন্য এ সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও দীর্ঘ সময়ে প্রকল্পের মাত্র ২টি পিএসসি ও একটি পিআইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা মোটেই কাম্য নয়। সভাগুলো নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রকল্পের ব্যাপারে সমস্যায় পড়ে।

আইএমইডির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণ ও হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে হবে। পর্যাপ্ত মালামাল ও জনবল সরবরাহ করে প্রকল্পের সব কাজ ২০২৩ সালের জুনে সমাপ্ত করার বিয়ষটি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে প্রকল্পের সমাপ্তি মূল্যায়ন প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ের (তিন মাস) মধ্যে আইএমইডিতে প্রেরণ করতে হবে।

কুড়িগ্রাম সড়ক বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, এই প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের জুন মাসে। কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পটি আবারও সংশোধন করে এক বছর সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।

কিন্তু তারপরও এ বর্ধিত সময়েও এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে না বলে কর্তৃপক্ষের অভিমত। জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ও কুড়িগ্রাম সড়ক বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণই প্রধান সমস্যা। রেলওয়ের ভূমি সহজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) পরিকল্পনা কমিশনে এ ব্যাপারে পর্যালোচনা সভা হয়েছে। অক্টোবর পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৩০ শতাংশ ও বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৪০ শতাংশ। তাই বাকি কাজ আগামী অর্থবছরের মধ্যে (জুনে) হবে না। দেড় থেকে দুই বছর লেগে যাবে। এটার সিদ্ধান্ত নিতে পরিকল্পনা কমিশনে আবার সভা হবে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখেন, আমি মাত্র চার মাস থেকে এর দায়িত্ব নিয়েছি। দেরি তো যা হবার আগে হয়েছে। আমি তৎপর। তাই বিভিন্নভাবে দৌড়ঝাঁপ করছি। আশা করি রেলওয়ে জমি দিলে তাড়াতাড়ি কাজ হয়ে যাবে।’

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক