শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

১০ ডিসেম্বর ঢাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় বিএনপি

আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় বিএনপি। সে লক্ষ্যে দেশজুড়ে চলছে বিএনপির প্রস্তুতি। তবে এই সমাবেশ বিএনপি একা করছে না। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীসহ সব দলের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি।

বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে বিএনপি আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সবগুলো বিভাগীয় শহরে সমাবেশ শেষ করবে। ইতোমধ্যে ৪টি বিভাগীয় শহরে সমাবেশ শেষ করেছে দলটি। শনিবার (৫ নভেম্বর) বরিশাল বিভাগীয় শহরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই সবগুলো সমাবেশেই বিএনপি ও এর অঙ্গসংঠনের নেতা-কর্মী ছাড়াও ২০ দলীয় জোটের শরিক দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অংশ নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

বিএনপির নেতারা বলছেন, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে সামনে রেখে সারা দেশে বিভাগীয় শহর ও বড় শহরগুলোতে সমাবেশ করে বিএনপি ঢাকার মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমরা ঢাকায় একটি সফল সমাবেশ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো আগামী ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশকে সফল করতে মতবিনিময় শুরু করেছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এই দুটি বিষয়কে মহাসমাবেশে প্রাধান্য দেওয়া হবে। আমরা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনে আছি। তবে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী যেভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির সংস্কৃতি তৈরি করেছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে দেশ, জাতি, মানুষ ও রাজনীতির মঙ্গল হবে না। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ভার তাদেরকেই নিতে হবে।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশকে সফল করতে নানামুখী প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষ থেকে নানান প্রতিবন্ধকতা আসবে ধরে নিয়েই সময় সুযোগ বিবেচনায় সারা দেশ থেকে নেতা-কর্মীদের ঢাকায় যথাসময়ে জড়ো হওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হচ্ছে। সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোর উপর বিশেষ জোর দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

এদিকে একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় মহাসমাবেশ মূলত বিএনপির পক্ষ থেকে ডাকা হলেও সেই মহাসমাবেশে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ও সরকারবিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মী, সমর্থকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
সূত্র জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু কৌশলগত কারণে সেটি প্রকাশ করা হচ্ছে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের তিনটি সমাবেশ হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে ১০ ডিসেম্বর ঢাকার মহাসমাবেশে আমরা কয়েক লাখ মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করব। এই মহাসমাবেশ থেকে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে কর্মসূচি ঘোষণা করব।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ হবে। বিভাগীয় সমাবেশে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে সরকার। তাই কিছুটা ভিন্ন কৌশলে অগ্রসর হতে হচ্ছে বলে সবকিছু আগে থেকে বলে দেওয়া ঠিক হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর জনগণ কার পক্ষে সেটা দেখার অপেক্ষায় দেশবাসী। তবে এই মহাসমাবেশে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিরোধ করা হবে।’

বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, ধীরে ধীরে নেতা-কর্মীদের ভয় কেটে যাচ্ছে। গ্রেপ্তার করেও দমন করা যাবে না। তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জেগে উঠেছে। আঁধার কাটতে সম্ভবত খুব বেশি দেরি নাই। মানুষ এখন অধিকার আদায়ে বিদ্রোহ করতে চায়। তারা আমাদের বলে, এতদিন ধরে সরকার আছে আপনারা (বিএনপি) কী করছেন? সেজন্য বিএনপিও আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশে বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে সরকারকে চাপে রাখতে নিয়মতান্ত্রিক কিছু কর্মসূচিও হাতে নিবে। যাতে দাবি আদায়ে একটি ক্ষেত্র প্রস্তুত করা যায়। তবে কর্মসূচি যাই ঘোষণা হোক, ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে নিজ থেকে কোনো সংঘাতে জড়াবে না বিএনপি। কিন্তু বড় ধরনের কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকার মহাসমাবেশ সফল করতে ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোতে সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমরা এখন বিভাগীয় গণসমাবেশ নিয়ে ব্যস্ত। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের সার্বিক বিষয়ে বিভাগীয় গণসমাবেশ শেষে দলীয় নীতিনির্ধারণী ফোরাম বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

এনএইচবি/এসজি

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ