সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বাড়ছে সাইবার অপরাধ: শিকার হচ্ছে নারী-পুরুষ ও শিশু

প্রযুক্তির অপব্যবহার করে দেশে সাইবার অপরাধ ক্রমেই বাড়ছে। এসব অপরাধের সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছেন মধ্যবয়সী নারী, পুরুষ এবং শিশুরা। শুধু ব্যক্তি নয়, রাষ্ট্রও এর শিকার হচ্ছে।

পুলিশের তথ্য বলছে, ২০২১ সালে দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ২০ হাজারেরও বেশি নারী হয়রানির শিকার হয়েছেন। আর চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত হয়রানির শিকার হয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার মানুষ। ২০২১ সালে পুলিশ সদরদপ্তরের সাইবার সাপোর্ট ফর ওমেন (পিসিএসডব্লিউ) উইংয়ে ১২ হাজারের ও বেশি অভিযোগ এসেছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। তারা বলছেন, অনেকেই প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কে ভালো জানেন না। আবার অনেকে জেনে বুঝে সাইবার অপরাধে জড়াচ্ছেন। এই কারণে অনেকে এই অপরাধের শিকার হচ্ছেন। প্রযুক্তি ব্যবহারে সবাইকে সতর্ক না হলে অপরাধ প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তারা।

পুলিশ সূত্র বলছে, দেশের সব থানায় সাইবার সংক্রান্ত অপরাধের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আসছে এবং এসব বিষয় নিয়ে মামলাও হচ্ছে। এসব মামলার দ্রুত তদন্ত করতে প্রতিটি থানায় পর্যায়ক্রমে সাইবার বিভাগ চালু করা হলেও যথাযথ সেবা পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। এজন্য নতুন করে সারা দেশে সাইবার নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে পুলিশের বিশেষ শাখা।

সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করেন এমন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইবার অপরাধ নিয়ে গভীরভাবে ভাবার সময় এসেছে। সাইবার অপরাধ সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। অপরাধ মোকাবিলার সঙ্গে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে প্রয়োজন সাধারণ মানুষকে সচেতন করা। সাইবার অপরাধের প্রাথমিক বিষয় নিয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতামূলক কাউন্সেলিং করতে পারলে এসব অপরাধ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যৌন হয়রানির হার ছিল ৭ দশমিক ৬৯ ভাগ, আপত্তিকর ছবি ৫ দশমিক ৮৫ ভাগ, সাইবার বুলিং ৫০ দশমিক ১৬ ভাগ এবং ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যৌন হয়রানির হার হচ্ছে ৯ দশমিক ৩৪ ভাগ, আপত্তিকর মেসেজ ৬ দশমিক ৯০ ভাগ এবং সাইবার বুলিংয়ের হার ৫০ দশমিক ২৭ ভাগ।

২০২১ সালে ওয়েবসাইট/ডোমেইন থেকে লিংক অপসারণের অনুরোধ করা হয়েছে ১ হাজার ২৩৫টি। এর মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৩৫টি, অপসারণের হার ১০০ ভাগ। ২০২২ সালে ওয়েবসাইট/ডোমেইন থেকে লিংক অপসারণের অনুরোধ করা হয়েছে ৬৪৫টি। এর মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে ৬৪৫টি, অপসারণের হার ১০০ ভাগ।

এদিকে বিটিআরসি বলছে, ২০২১ সালে ফেসবুক থেকে ৮ হাজার ৯১৬টি এবং ২০২২ সালে ৮ হাজার ২২৮টি লিংক অপসারিত হয়েছে। ২০২১ সালে ইউটিউব থেকে ১ হাজার ১৩টি এবং ২০২২ সালে অপসারিত হয়েছে ২২২টি লিংক। ২০২২ সালে টিকটক থেকে অপসারিত হয়েছে ১ হাজার ১৫৯টি লিংক, ২০২২ সালে বিগো, লাইকি ও ইমো থেকে অপসারিত হয়েছে ৬৭টি এবং টুইটার থেকে অপসারিত হয়েছে ২৯টি লিংক।

এসব বিষয় নিয়ে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামীতে সক্ষম ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিজস্ব প্রযুক্তি ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত গবেষণা ও উন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে।

দেশে সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করছেন এমন কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে সাইবার অপরাধ বাড়ছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছর ২০২২ সালের এ পর্যন্ত নারীদের তুলনায় পুরুষেরা সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন বেশি। তবে বছর শেষ না হওয়ায় এর সংখ্যা নির্দিষ্ট করে জানায়নি সংশ্লিষ্ট সংস্থা।

সাইবার অপরাধ বিভাগ বলছে, সবাই সচেতন না হলে সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে মানুষ নিরাপত্তা ও আর্থিক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। হ্যাকিং, কপিরাইট লঙ্ঘন, শিশু পর্নোগ্রাফির মতো অপরাধগুলো বর্তমানে উচ্চমাত্রায় বেড়ে চলেছে বলে মনে করছেন সাইবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা।

সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রনের সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, কোনো কারণে যদি কেউ সাইবার অপরাধের শিকার হন, তাহলে বিষয়টি নজরে আসা মাত্রই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করতে হবে। প্রয়োজনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। অথবা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনেও (বিটিআরসি) লিখিতভাবে জানিয়ে রাখতে হবে। এতে করে কেউ মিথ্যাভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করলে অনেকটা সুরক্ষা পওয়া যাবে।

অবশ্য অপরাধ বিশ্লেষকেরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়ের পর খুব কম সময়েই অনেকের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে। এর সূত্র ধরেই সামান্য ভুলের কারণে বিভিন্ন জটিলতায় পড়তে হচ্ছে নেটিজেনদেরকে।

ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় যেভাবে

পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগের একটি মামলার বিবরণ তুলে ধরে মামলার তদন্তকারী এক কর্মকর্তা বলেন, এক নারী (অপরাধী) প্রায়ই ভিকটিমের সঙ্গে একে অপরের নিজেদের বেশ কিছু ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও শেয়ার করতেন। এক পর্যায়ে তারা দুই জন প্রাইভেট ভিডিও চ্যাটে যুক্ত হন। পরে ওই নারী ওই পুরুষের কাছে বেশ মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। ওই পুরুষ বেশ কিছু টাকা দিয়েও দেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, এখানেই শেষ নয় এক পর্যায়ে কৌশলে ওই নারী ওই পুরুষের পরিবার ও ব্যক্তিগত কয়েকজনের মোবাইল নম্বর নেন। ২-৩ মাস পরে আবারও ওই নারী তাকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করেন এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। এরপর সেই পুরুষ পুলিশের সাইবার ইউনিটে এসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং সেই অনুযায়ী সাইবার ইউনিট এ ঘটনার তদন্ত করে ওই নারীকে আটক করে।

সাইবার ইউনিটের বেশ কয়েকটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নারী ও পুরুষ উভয়েই সাইবার অপরাধের শিকার হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর শিকার পুরুষরা। এদের বেশির ভাগই মোটামুটি ধনী, বিবাহিত এবং মধ্য বয়সী।

কর্মকর্তারা বলছেন, যে সব মেয়েরা সাইবার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তারা অধিকাংশ স্বামী-সংসার বিহীন এবং তাদের চলাফেরা এলোমেলো। অনেকে আবার ইয়াবা, আইস বা অন্যান্য মাদকের সঙ্গেও যুক্ত।

পুলিশ ও আইনজীবীরা যা বলছেন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কামিশনার (এডিসি) নাজমুল বলেন, কেউ সাইবার অপরাধের শিকার হলে পুলিশের সাহায্য নিতে পারেন। তাতে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

পুলিশ বলছে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ব্ল্যাকমেইলিং, চাঁদাবাজি, অর্থ আত্মসাৎ, প্রশ্নফাঁস থেকে শুরু করে যৌন হয়রানির মত ঘটনা ঘটছে। ২০২১ সালের মে থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টিকটক ব্যবহার করে সংঘটিত অপরাধের জন্য প্রায় ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাইবার অপরাধ বাড়ছে জানিয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার এসপি মুক্তা ধর বলেন, এসব অপরাধের বেশিরভাগই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ই-কমার্স ও এফ-কমার্সের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তবে উন্নত প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে অপরাধগুলো এখন আরও বড় আকারে সংঘটিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এদের নজরে না রাখলে এসব অপরাধ দিনদিন বেড়েই চলবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, নারী, পুরুষ উভয়ই এসব অপরাধের শিকার হচ্ছেন। অনেকে আবার অনলাইনের মাধ্যেমে প্রতারিত হচ্ছেন। ফেসবুকে বা কোনো গণমাধ্যমে কাউকে নিয়ে মানহানিকর বা কারও বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক ছবি বা ভিডিও পোস্ট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতিরিক্ত লোভ এবং অপরিচিত কারেও সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি বা ভিডিও আদান প্রদান থেকে বিরত থাকলে এসব অপরাধ অনেকটা কমে আসবে। তবে এসব বিষয়ে কিছু না বুঝলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে বা একজন আইনজীবীকে বিষয়টি অবগত করে রাখলে ভালো পরামর্শ পাওয়া যাবে।

এনএইচবি/এএস

Header Ad
Header Ad

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

কাতার সফর এবং পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ শেষে ঢাকায় ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ সময় রোববার দুপুর দেড়টায় তিনি ইতালির রাজধানী রোম ত্যাগ করেন। এরপর সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৩টায় তাকে বহনকারী ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করে।

গত শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে ড. ইউনূসও ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এর আগে তিনি শুক্রবার কাতারের দোহা থেকে রোমে পৌঁছান।

পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর শনিবার ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ক্যাথলিক চার্চের দুই শীর্ষ নেতা-কার্ডিনাল সিলভানো মারিয়া তোমাসি ও কার্ডিনাল জ্যাকব কুভাকাড।

তারা পোপ ফ্রান্সিসের দারিদ্র্য বিমোচন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্বের স্বপ্নের স্মৃতিচারণ করেন। পাশাপাশি, ড. ইউনূসের কাজের জন্য তাকে কৃতজ্ঞতা জানান এবং তাকে পোপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে দারিদ্র্যবিরোধী আন্দোলনে তার অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করে বলেন, পোপ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে আপন করে নিতে পারতেন। তিনি ছিলেন একজন অসাধারণ মানবিক নেতা।


এছাড়া শনিবার ভ্যাটিকানে জাতিসংঘ অফিসের সাবেক স্থায়ী পর্যবেক্ষক কার্ডিনাল তোমাসিও ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফর শেষে কার্ডিনাল তোমাসি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।

Header Ad
Header Ad

টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল

ছবি: সংগৃহীত

অ্যানফিল্ডে শিরোপা উৎসব করার সব প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন লিভারপুলের ফুটবলার ও সমর্থকরা। কিন্তু শুরুতেই গোল হজম করে নিস্তব্ধতা নেমে আসে গ্যালারিতে।

এক গোল খেয়ে গর্জে উঠতে সময় লাগেনি অলরেডদের। একের পর এক গোলে গ্যালারির লাল সমুদ্রে যেন উত্তাল ঢেউ উঠেছিল, ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতে তা সুনামিতে রূপ নেয়। ২০২৪-২৫ চ্যাম্পিয়ন্স লেখা জার্সি পরে উল্লাসে ফেটে পড়েন সমর্থকরা। বিশেষ জার্সি পরে উচ্ছ্বাসে ভাসতে দেখা যায় মোহাম্মদ সালাহ-ভার্জিল ফন ডাইকদের। রেকর্ড ছোঁয়া ২০তম প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতে রঙিন উৎসবে মেতে ওঠে লিভারপুল। সবচেয়ে বেশি ট্রফি জয়ী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ছুঁয়েছে তারা।

রবিবার লিভারপুলের দরকার ছিল কেবল এক পয়েন্ট। অ্যানফিল্ডে টটেনহাম হটস্পারকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে তিন পয়েন্ট আদায় করলো তারা। জিতেই চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করলো অলরেডরা। ৩৪ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট তাদের। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের ৬৭ পয়েন্ট। আর কোনোভাবেই লিভারপুলকে পেছনে ফেলা সম্ভব নয়। তাতে চার ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলে লিভারপুল।

টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। ছবি: সংগৃহীত

১২ মিনিটে ডমিনিক সোলাঙ্কের হেডে টটেনহাম এগিয়ে গিয়েছিল। লিভারপুল পিছিয়ে পড়লেও গর্জে ওঠে। গোল খাওয়ার চার মিনিট পর লুইস দিয়াজ সমতা ফেরান। ২৪তম মিনিটে অ্যালেক্স ম্যাক অ্যালিস্টার লিভারপুল এগিয়ে দেন। বিরতির আগে ৩৪তম মিনিটে তৃতীয় গোল করেন কডি গাকপো।

৬৩ মিনিটে সোবোসলাইয়ের পাস ধরে ডানপ্রান্ত দিয়ে জাল কাঁপান মোহাম্মদ সালাহ। চলতি প্রিমিয়ার লিগে ২৮তম গোল করে শীর্ষ গোলদাতার আসন আরও সুসংহত করলেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড। ১৮৫তম গোলে প্রিমিয়ার লিগের সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় সার্জিও আগুয়েরোকে পেছনে ফেলে পঞ্চম স্থানে উঠে গেলেন সালাহ।

ছয় মিনিট পর আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের ক্রস সালাহর কাছে পৌঁছানোর আগেই বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান টটেনহাম ডিফেন্ডার উডোগি।

ছবি: সংগৃহীত

লিভারপুলের আর্নে স্লট পঞ্চম কোচ হিসেবে প্রথম মৌসুমেই প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি জিতলেন। হোসে মরিনহো, কার্লো আনচেলত্তি, ম্যানুয়েল পেল্লেগ্রিনি ও আন্তোনিও কোন্তে এর আগে এই কীর্তি গড়েন।

ফেনুর্দকে শিরোপা জিতিয়ে ইংল্যান্ডে পা রেখে সফল হলেন স্লট। উচ্ছ্বসিত হয়ে তিনি বললেন, ‘কিছু জেতা সবসময় বিশেষ। আর সেটা আরও বিশেষ হয়ে ওঠে, যদি আপনি প্রথম হন। আরও বিশেষ হওয়ার কারণ এমন একটি ক্লাবে এই সাফল্য পাওয়া, যাদের প্রত্যেক বছর লিগ জেতা হয়ে ওঠে না।’

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে অবস্থান করে নানা ধরনের ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্য দিচ্ছেন।

সম্প্রতি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তবে মোদি জানিয়েছেন, তিনি শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না। কারণ দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উন্মুক্ত, এটা ব্যবহার করে কেউ বক্তব্য দিলে তিনি তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (২৭ এপ্রিল) আলজাজিরায় প্রধান উপদেষ্টার এই ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে।

‘টক টু আল-জাজিরা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক ছিলেন আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, আওয়ামী লীগ সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ আসে।

আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার বলেন, শেখ হাসিনা দাবি করেন তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারত থেকে এসব বিবৃতি দিচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে তার অবস্থানকে কীভাবে দেখে?

এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন হয়েছিল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিমসটেকভুক্ত দেশের সব সরকারপ্রধান এসেছিলেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয় এবং আমি তাকে স্পষ্ট করি, ঠিক আছে, যদি শেখ হাসিনাকে আপনি রাখতে চান। তাহলে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমি কিছু করতে পারব না। কিন্তু অবশ্যই তিনি যখন সেখানে থাকবেন, তার কথা বলা উচিত হবে না। কারণ তার বক্তব্য আমাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। তিনি বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে উত্তেজিত করেন। আর এজন্য আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।’

এ সময় আল-জাজিরার সাংবাদিক জানতে চান, তখন মোদি কী বলেছিলেন। জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন, ভারত হলো এমন দেশ যেখানে সামাজিক মাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত। আমি এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।’

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কি না। তারা এখনো কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ অন্যান্য বিষয় রয়েছে।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সেটা নয়। অন্যান্য দল আছে যারা বলতে পারে যে, এই আইনের অধীনে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

আল-জাজিরার উপস্থাপক এক পর্যায়ে প্রশ্ন করেন- এটা কি বলা ঠিক যে শেখ হাসিনার পতনের পরের মধুচন্দ্রিমা এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অন্যরা রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে। যেমন লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। এর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারে?

জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুটি বিষয়, একটি জনগণের অধৈর্য নিয়ে, তা মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক। বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে এখনো মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা বলছে না, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যেতে দাও। আজ আমাদের নির্বাচন। কেউ তা বলেনি। এই দিকেই আমরা যাচ্ছি। আমরা এমন কোনো সমস্যার মুখোমুখি হইনি যেখানে লোকেরা বলছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের হস্তান্তর করো।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা, জাতিসংঘের সাথে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি এবং এই লোকেরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্যও কাজ করছি। আমাদের চিন্তা হলো, কীভাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া তৈরি করা যায়, যাতে রোহিঙ্গারা তাদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে এবং নিরাপদ পুনর্বাসন করতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা