বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফরিদপুরের পর্দা কেলেঙ্কারির নায়ক এবার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে!

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অনিয়ম-দুর্নীতি রীতিমত জেঁকে বসেছে। এবার একটি মেশিন নিয়ে চলছে নানা তেলেসমাতি। হাসপাতালের আগের পরিচালক জার্মানির তৈরি মেশিন নিয়েছিলেন। আর বর্তমান পরিচালক সেটিকে বিদায় দিয়ে নিজের পছন্দের কাউকে রি-এজেন্ট করতে চায়নিজ মেশিন ঢুকিয়েছেন হাসপাতালে। সেই মেশিন আবার সরবরাহ করেছেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পর্দা কেলেঙ্কারির হোতা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন। আর এই মেশিন কেলেঙ্কারিতে ত্রাহি অবস্থা সেবা নিতে আসা রোগীদের।

জানা গেছে, বিশেষ স্বার্থ হাসিলের জন্য ডাইমেনশন আরএক্স মেশিন যেটি বর্তমানে সচল রয়েছে, সেটি বাইরে ফেলে রেখে চীনের তৈরি একই মেশিন হাসপাতালে ঢুকিয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ উঠেছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিতর্কিত এক ঠিকাদারের মাধ্যমে চীনা এই মেশিনটি আনিয়েছে। অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সিন্ডিকেট ভাঙতেই এটা করা হয়েছে।

কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে নতুন এই মেশিন বসানোর পর অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় ভুল রিপোর্ট আসছে।

জানা গেছে, জার্মানির তৈরি মেশিন দেশের অন্যান্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে নির্ভুলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করেই সচল মেশিনটি বারান্দায় ফেলে রেখে নতুন মেশিন বসিয়েছে। এ নিয়ে খোদ হাসপাতালের ভেতরেই বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কানাঘুষা চলছে। অভিযোগ উঠেছে, একটি বিশেষ মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই চীনের মেশিন হাসপাতালে ঢুকিয়েছে।

জার্মানির তৈরি ডাইমেনশন আরএক্স মেশিনটি সচল থাকা সত্ত্বেও বারান্দায় ফেলে রেখে নতুন যে চাইনিজ মেশিনটি বসানো হয়েছে তাতে টিএসএইচ এবং এফটি-৪ রিপোর্টে ভুল এসেছে। এ ছাড়া ক্রিটিনিন পরীক্ষাতেও ভুল রিপোর্ট এসেছে। যা রোগীর জন্য মারত্নক ক্ষতি হতে পারত। এনিয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কয়েক দফা মিটিংও করেছে।

গত ২৮ জুলাই শারমিন নামের এক রোগীর টিএসএইচ পরীক্ষা করা হয় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে। সেখানে টিএসএইচ ০.২৪ এবং এফটি-৪ ফলাফল দেখানো হয়েছে ১৭.০। ডাক্তার সেই রিপোর্টকে ভুল বলায় নতুন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা করানো হয়। সেখানে এফটি-৪ ফলাফল আসে ১৩.৭৮ এবং টিএসএইচ রিপোর্টে ফলাফল আসে ৩ দশমিক ৯৬। এটা ওই রোগীর জন্য মারাত্নক ক্ষতি হতে পারত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জার্মান মেশিনটি গিফটের। এই মেশিন গিফট দেওয়ার পেছনে বড় কারণ রি এজেন্ট ব্যবসা। অর্থাৎ যতদিন এই মেশিন এখানে থাকবে ততদিন ওই প্রতিষ্ঠান এখানে রি-এজেন্ট দিতে পারবে। এতে করে প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যেও সফল হবে।

অন্যদিকে যে প্রতিষ্ঠান এখন রি-এজেন্ট ব্যবসা করছে তাদেরকে তাড়িয়ে নতুন ঠিকাদার সোহরাওয়ার্দী হাসাপাতালে মেশিনারিজ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। সে জন্য তারা চায়নিজ একটি মেশিন সরবরাহ করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পর্দা কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত জাতীয় বক্ষব্যাধী হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন ডাইমেনশন আরএক্স মেশিন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সরবরাহ করতে চান। তিনি চাকরির পাশাপাশি হাসপাতালের যন্ত্রপাতি সরবরাহের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।

জার্মান মেশিনের বদলে চায়নিজ যে যন্ত্রটি উঠানো হয়েছে তার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সাহিদা এন্টারপ্রাইজ ও এসএল ট্রেডার্স নামে দুটি প্রতিষ্ঠান এই যন্ত্র সরবরাহ করেছে। এই দুটি প্রতিষ্ঠানই মুন্সি সাজ্জাদ হোসেনের পরিবারের সদস্যদের। তাদের কাছে চাহিদা ছিল জার্মানির মেশিনের। কিন্তু তারা সেটি না দিয়ে চায়নিজ মেশিন সরবরাহ করেছে।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বাৎসরিক চাহিদাপত্র থেকে জানা গেছে, পরীক্ষা নিরীক্ষার এই যন্ত্রটির জন্য যে টেন্ডার করা হয়েছিল তার গ্রুপ নং-৪ কেমিক্যাল রি-এজেন্ট। (সূত্র স.ম.ক.হ: এমএসআর ও বিবিধ/২০২১/২০২২/২৫৬১। তারিখ ২১.০৯.২০২১।) দরপত্র দাখিলের তারিখ ২৫.১০.২০২১। বাজেট ২০২১-২০২২ অর্থবছর।

দেশের ৮০ ভাগ হাসপাতালে জার্মানির এই মেশিন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মো. মইনউদ্দিন রুবেল। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমার মেশিন সচল, তারা সেটা বাইরে ফেলে রেখেছে। কিন্তু কি কারণে মেশিন বাইরে ফেলে রাখা হয়েছে তা তিনি জানেন না।

তবে এই অভিযোগ মানতে নারাজ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙতেই এটা করা হয়েছে। দুইটা মেশিনের একটা মেশিন অচল আর একটা চালু আছে। জার্মানি মেশিনের কথা বলে সিন্ডেকেট করে সরকারের যে টাকা অপচয় করেছে তারা সিঙ্গেল অথরাইজেশন এনে সেটা ভাঙতেই এটা করা হয়েছে। জার্মানির যে রি-এজেন্টের দাম ১০ টাকা, সেটা তারা ১০০ টাকা করেছে, বাধ্য হয়ে তাদের কাছে যেতে হতো। এতো উচ্চমূল্যে আমরা কিনতে পারি না। বাধ্য হয়ে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন তারা পায়নি বলে একটু রিউমার তো দেবেই। আমরা তো জনগণের স্বার্থে কাজ করেছি।

নতুন মেশিনে যে ভুল রিপোর্ট এসেছে, এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে আমতা আমতা করে এই পরিচালক বলেন, ‘ভুল কোনো ই না, যে কোন ভুল অ্যা… অ্যা…। এখন আগের চেয়ে পরীক্ষার হার কত বেড়েছে, ২০ গুণ পরীক্ষা বেড়েছে। আগের পরিচালক হাই দামে কিনে জার্মানি ঢুকিয়েছেন।’

অনেক পরীক্ষা হয় না এ বিষয়ে তিনি বলেন, রি-এজেন্ট শেষ হলে টেন্ডার ছাড়া তো আনতে পারি না।

সরকারি ক্রয় বিধিমালা না মেনে এটি করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালায় (পিপিআর) ২০০৮- এ বলা আছে, টেন্ডারে কোম্পানির নাম উল্লেখ করতে পারবেন না। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ‘হিউম্যান’ উল্লেখ করে দিয়েছে। এটা ওই কোম্পানির ব্রান্ডের নাম। সাধারণত টেন্ডারে দেশের নাম উল্লেখ করে দেওয়া হয়। এখানে সেই বিধিমালা লঙ্ঘন করা হয়েছে।

এই পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী জড়িত রয়েছে। এদের মধ্যে স্টোর কিপার দেলোয়ার হোসেন, জাকির এবং ফার্মাসিস্ট আমিনুলও যুক্ত আছেন।

অভিযোগের বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘মেশিন ঢুকছে কথা সত্য। চায়না মেশিনও ঢুকছে, জার্মানিরটাও ঢুকছে। হিউম্যানের যে চায়না মেশিন ঢুকছে সেটা সত্য। তবে আমার জড়িত থাকার যে অভিযোগ সেটা একদমই সত্য না‘।

জানতে চাইলে মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন সাহিদা এন্টারপ্রাইজ ও এসএল ট্রেডার্স দুটিই তার প্রতিষ্ঠানই স্বীকার করে বলেন, ‘আমি মেশিন সরবরাহ করিনি। আমি এমএসআর প্রোডাক্ট সরবরাহ করেছি। এখানে মেশিন সরবরাহ করেছে আলম নামে একজন।’

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত