বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

সরকারি নিয়মনীতি পাত্তা দেন না ডা. মুজিবুর!

রূপা আক্তার নামে এক মহিলা নিজের নবজাতক শিশুকে নিয়ে মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে যান ডা. মুজিবুর রহমাানের কাছে। কিন্তু গেটে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মী মো. সাঈদ তাকে বলেন, ‘মুজিবুর রহমান স্যার তো হসপিটাল থেকে বের হয়ে গেছেন। আগামীকাল সকাল দশটার পর আসেন, তাহলে স্যারকে পাবেন। (এই ঘটনাটি গত সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুর ১টা ১০মিনিটের)।

এ কথা শুনে রূপা যখন চলে যাচ্ছিলেন সাঈদ তখন রূপার স্বামী রহিম মিয়াকে কানে কানে বলেন, জরুরিভাবে দেখাতে চান তাহলে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও চলে যান, সেখানে স্যার আছেন। মুজিবুর রহমানের মোবাইল নাম্বার রহিমকে দিয়ে সাঈদ বলেন, সেখানে গিয়ে আমার কথা বলবেন। স্যার ভালোভাবে আপনার শিশুকে দেখে দিবেন।

তাসলিমা বেগম নামের আরেক মহিলা তার শিশু কন্যাকে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ মুজিবুর রহমান সাহেবকে দেখাতে এসেছি। দুদিন ধরে আসছি, কিন্তু তাকে পাইনি। তিনি সময় মতো হাসপাতালে থাকছেন না। অনেকে বলছেন, তার সঙ্গে দেখা করতে হলে নারায়ণগঞ্জ অথবা যাত্রাবাড়ীতে যেতে হবে।’

রূপা বা তাছলিমার মতো আরও অনেকে তাদের শিশু সন্তানদের নিয়ে মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে আসলেও ডা. মুজিবুর রহমানের দেখা পান না।

বরং মুজিবুর রহমান যেসব হাসপাতালে বসেন সেখানে রোগীদের পাঠিয়ে দেন তার লোকজন। বিনিময়ে তারা কমিশন পান।

মূলত এই হাসপাতালের গার্ডসহ আরও অনেকেই হলেন-ডা. মুজিবুর রহমানের কমিশন দালাল। এই দালালেরা ডা. মুজিবুর রহমানকে বিভিন্ন রোগী ধরে দেন এবং তা থেকে নিয়মিত কমিশন নেন।

ডা. মো. মুজিবুর রহমান মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং নবজাতক (এনআইসিইউ) বিভাগের প্রধান। কিন্তু তিনি সরকারি নিয়মনীতির পাত্তাই দেন না।

কিন্তু শিশু বিভাগের মতো জরুরি একটি বিভাগের প্রধান হলেও তাকে কখনই হাসপাতালে পাওয়া যায় না। বলা যায়, তিনি হাসপাতালে থাকেন না। সকালে এসে হাজিরা দিয়েই তিনি বের হয়ে যান তার নিজের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। সেগুলোতে বসেই তিনি রোগী দেখেন। আর মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট থেকে তার নিজস্ব লোকজন রোগীদের বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেন মুজিবুর রহমানের নিজের প্রতিষ্ঠানে।

তার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করেন ওই হাসপাতালের ড্রাইভার নজরুল ইসলামের ছেলে মো. ইমরান। ডাক্তার মুজিবুর রহমানের কাছে বিষয়ে ইমরানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

তবে সম্প্রতি ডা. মজিবুর রহমানের যাত্রাবাড়ী ডেল্টা হেলথ কেয়ার, মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতাল ও যাত্রাবাড়ী ডায়গনস্টিক সেন্টার হাসপাতাল লিমিটেডে খোঁজ খবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে উঠা বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

কে এই ডা. মুজিবুর রহমান

ডা. মো. মুজিবুর রহমান মাতুয়াইলে শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি শিশু, কিশোর ও নবজাতক বিশেষজ্ঞ হিসেবে সেই ইউনিটের ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করছেন। মুজিবুর রহমান সরকারি একজন কর্মকর্তা। কিন্তু সরকারি চাকরি করেও তিনি নিজেই গড়ে তুলেছেন একাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক।

সরজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডা. মুজিবুর যাত্রাবাড়ীর ডেল্টা হেলথ কেয়ার হাসপাতালের একজন প্রভাবশালী পরিচালক। সেখানে প্রতিদিন নিয়মিত রোগী দেখেন। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়ায় সোনারগাঁ কমপ্লেক্সের ইশা খাঁ হসপিটালেও নিয়মিত রোগী দেখেন।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইনবোর্ড এলাকায় নিজের স্ত্রী মাহবুবা সুলতানা আসমাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক করে বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন মুজিবুর রহমান। সেই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান তিনি নিজে।

এ ছাড়া, ধোলাইপাড় গীত সংগীত সিনেমা হলের উল্টো দিকে নিউ ডেল্টা কেয়ার নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানেও নিয়মিত বসেন ডা. মুজিবুর রহমান।

জানা গেছে, নিজের সরকারি প্রতিষ্ঠানে রোগী দেখা এবং অন্যান্য কাজ ফেলে মুজিবুর রহমান নিয়মিত তার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানগুলোতে সময় দেন। যার ফলে তিনি কখনই মাতুয়াইল শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে রোগীদের সময় দেন না। সেখানে তিনি হাজিরা দিয়ে কখনো সঙ্গে সঙ্গে বের হয়ে যান। আবার কখনো থেকে দুই ঘণ্টা থেকে চলে যানে নিজের প্রতিষ্ঠানে।

অভিযোগ উঠেছে, মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে রোগী দেখে আর্থিকভাবে খুব একটা লাভবান হওয়া যায় না। এই কারণে তিনি সেখানে খুব একটা রোগী দেখেন না। বরং এখানে যেসব রোগী তারি কাছে চিকিৎসা নিতে আসেন তাদেরকে নিজের প্রতিষ্ঠানে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন দালালদের মাধ্যমে।

মো. আবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, সরকারি ডাক্তার হয়ে তিনি বেশিরভাগ সময় প্রাইভেট ক্লিনিক এ সময় দেন। তাহলে এসব ডাক্তারদের সরকারি চাকরি নেওয়ার দরকার কী?

নজরুল ইসলাম, নিলুফা বেগম, জয়নাল মিয়া, ও আব্দুস সাত্তারসহ আরও অনেকের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয় মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে। তাদের প্রায় প্রত্যেকেরই অভিযোগ, সময়মত হসপিটালে না পেয়ে অনেক মানুষ ডা. মুজিবুর রহমানের পার্সোনাল মেডিকেলে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমাদের পার্সোনাল চিকিৎসা নেওয়ার মতো টাকা পয়সা নাই, এজন্য আমরা সরকারি হাসপাতালে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছি।

মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিউটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক বলেন, একজন চিকিৎসক কীভাবে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকতে পারেন তা কোনোভাবেই মিলাতে পারি না।

তিনি বলেন, ডা. মজিবুর রহমান আমার সিনিয়র, তার বিষয়ে আসলে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে, এটা অবশ্যই রহস্যজনক, একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও তিনি কীভাবে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের মালিক!

ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, ডা. মুজিবুর রহমান মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে তেমন একটা সময় দেন না। সকাল দশটার সময় এসে কিছুক্ষণ পরই বের হয়ে পড়েন। যেখানে থাকার কথা বিকাল ৫টা পর্যন্ত। তিনি নিজের হাসপাতালেই বেশি সময় দেন। অনেক সময় দেখা গেছে, তিনি সরকারি হাসপাতাল থাকলেও তার লোকজন রোগীদের পাঠিয়ে দেন তার হাসপাতালের চেম্বারে। শুধু তাই নয়, তাদের কাছ থেকে তিনি অতিরিক্ত টাকাও নিচ্ছেন।

যা বললেন ডা. মুজিবুর

শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হাসপাতালে সময় না দিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালে রোগী দেখছেন, চিকিৎসার নামে বেশি টাকা নিচ্ছেন-এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, আমি হাসপাতালে যথেষ্ট সময় দিয়ে থাকি। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু দিয়ে আমার অন্যান্য জায়গায় সময় দিতে হয়। কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দেয় তাহলে সেটা ভিত্তিহীন।

নিজের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি একজন চিকিৎসক মানুষকে সেবা দিয়ে থাকি। সরকারি হাসপাতালে রোগীদেরও পর্যাপ্ত সময় দিয়ে থাকি। আমার বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ নেই। তবে আমি কারো মাথায় বাড়ি দিয়ে টাকা পয়সা রোজগার করছি না।

নিজের এবং অন্যান্যদের সহযোগিতায় ডায়নাগোস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গড়েছি এসব একদিনে হয়নি। এসবে অনিয়মের কিছু দেখছি না। এর সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত রয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে এই চিকিৎসক বলেন, আমারটা অনিয়মের মধ্যে পড়ে। যারা কোটি কোটি টাকা চুরি করে সেটা অনিয়মের মধ্যে পড়ে না? অন্য মানুষ যখন বাসার মধ্যে হাজার হাজার কোটি টাকা রেখে দেয় তখন তো কেউ অনিয়ম বলে না ? ব্যাংক থেকে অনেকে ঋণ নিয়ে কয়েক কোটি টাকা মেরে দেয় সেটাকে অনিয়ম বলে না? আমি সামান্য কাজ করছি মানুষকে চিকিৎসা দিচ্ছি এখানেই অনিয়মটা মানুষের চোখে পড়ল।’

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ