শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সরকারি নিয়মনীতি পাত্তা দেন না ডা. মুজিবুর!

রূপা আক্তার নামে এক মহিলা নিজের নবজাতক শিশুকে নিয়ে মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে যান ডা. মুজিবুর রহমাানের কাছে। কিন্তু গেটে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মী মো. সাঈদ তাকে বলেন, ‘মুজিবুর রহমান স্যার তো হসপিটাল থেকে বের হয়ে গেছেন। আগামীকাল সকাল দশটার পর আসেন, তাহলে স্যারকে পাবেন। (এই ঘটনাটি গত সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুর ১টা ১০মিনিটের)।

এ কথা শুনে রূপা যখন চলে যাচ্ছিলেন সাঈদ তখন রূপার স্বামী রহিম মিয়াকে কানে কানে বলেন, জরুরিভাবে দেখাতে চান তাহলে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও চলে যান, সেখানে স্যার আছেন। মুজিবুর রহমানের মোবাইল নাম্বার রহিমকে দিয়ে সাঈদ বলেন, সেখানে গিয়ে আমার কথা বলবেন। স্যার ভালোভাবে আপনার শিশুকে দেখে দিবেন।

তাসলিমা বেগম নামের আরেক মহিলা তার শিশু কন্যাকে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ মুজিবুর রহমান সাহেবকে দেখাতে এসেছি। দুদিন ধরে আসছি, কিন্তু তাকে পাইনি। তিনি সময় মতো হাসপাতালে থাকছেন না। অনেকে বলছেন, তার সঙ্গে দেখা করতে হলে নারায়ণগঞ্জ অথবা যাত্রাবাড়ীতে যেতে হবে।’

রূপা বা তাছলিমার মতো আরও অনেকে তাদের শিশু সন্তানদের নিয়ে মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে আসলেও ডা. মুজিবুর রহমানের দেখা পান না।

বরং মুজিবুর রহমান যেসব হাসপাতালে বসেন সেখানে রোগীদের পাঠিয়ে দেন তার লোকজন। বিনিময়ে তারা কমিশন পান।

মূলত এই হাসপাতালের গার্ডসহ আরও অনেকেই হলেন-ডা. মুজিবুর রহমানের কমিশন দালাল। এই দালালেরা ডা. মুজিবুর রহমানকে বিভিন্ন রোগী ধরে দেন এবং তা থেকে নিয়মিত কমিশন নেন।

ডা. মো. মুজিবুর রহমান মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং নবজাতক (এনআইসিইউ) বিভাগের প্রধান। কিন্তু তিনি সরকারি নিয়মনীতির পাত্তাই দেন না।

কিন্তু শিশু বিভাগের মতো জরুরি একটি বিভাগের প্রধান হলেও তাকে কখনই হাসপাতালে পাওয়া যায় না। বলা যায়, তিনি হাসপাতালে থাকেন না। সকালে এসে হাজিরা দিয়েই তিনি বের হয়ে যান তার নিজের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। সেগুলোতে বসেই তিনি রোগী দেখেন। আর মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট থেকে তার নিজস্ব লোকজন রোগীদের বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেন মুজিবুর রহমানের নিজের প্রতিষ্ঠানে।

তার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করেন ওই হাসপাতালের ড্রাইভার নজরুল ইসলামের ছেলে মো. ইমরান। ডাক্তার মুজিবুর রহমানের কাছে বিষয়ে ইমরানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

তবে সম্প্রতি ডা. মজিবুর রহমানের যাত্রাবাড়ী ডেল্টা হেলথ কেয়ার, মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতাল ও যাত্রাবাড়ী ডায়গনস্টিক সেন্টার হাসপাতাল লিমিটেডে খোঁজ খবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে উঠা বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

কে এই ডা. মুজিবুর রহমান

ডা. মো. মুজিবুর রহমান মাতুয়াইলে শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি শিশু, কিশোর ও নবজাতক বিশেষজ্ঞ হিসেবে সেই ইউনিটের ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করছেন। মুজিবুর রহমান সরকারি একজন কর্মকর্তা। কিন্তু সরকারি চাকরি করেও তিনি নিজেই গড়ে তুলেছেন একাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক।

সরজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডা. মুজিবুর যাত্রাবাড়ীর ডেল্টা হেলথ কেয়ার হাসপাতালের একজন প্রভাবশালী পরিচালক। সেখানে প্রতিদিন নিয়মিত রোগী দেখেন। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়ায় সোনারগাঁ কমপ্লেক্সের ইশা খাঁ হসপিটালেও নিয়মিত রোগী দেখেন।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইনবোর্ড এলাকায় নিজের স্ত্রী মাহবুবা সুলতানা আসমাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক করে বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন মুজিবুর রহমান। সেই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান তিনি নিজে।

এ ছাড়া, ধোলাইপাড় গীত সংগীত সিনেমা হলের উল্টো দিকে নিউ ডেল্টা কেয়ার নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানেও নিয়মিত বসেন ডা. মুজিবুর রহমান।

জানা গেছে, নিজের সরকারি প্রতিষ্ঠানে রোগী দেখা এবং অন্যান্য কাজ ফেলে মুজিবুর রহমান নিয়মিত তার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানগুলোতে সময় দেন। যার ফলে তিনি কখনই মাতুয়াইল শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে রোগীদের সময় দেন না। সেখানে তিনি হাজিরা দিয়ে কখনো সঙ্গে সঙ্গে বের হয়ে যান। আবার কখনো থেকে দুই ঘণ্টা থেকে চলে যানে নিজের প্রতিষ্ঠানে।

অভিযোগ উঠেছে, মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে রোগী দেখে আর্থিকভাবে খুব একটা লাভবান হওয়া যায় না। এই কারণে তিনি সেখানে খুব একটা রোগী দেখেন না। বরং এখানে যেসব রোগী তারি কাছে চিকিৎসা নিতে আসেন তাদেরকে নিজের প্রতিষ্ঠানে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন দালালদের মাধ্যমে।

মো. আবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, সরকারি ডাক্তার হয়ে তিনি বেশিরভাগ সময় প্রাইভেট ক্লিনিক এ সময় দেন। তাহলে এসব ডাক্তারদের সরকারি চাকরি নেওয়ার দরকার কী?

নজরুল ইসলাম, নিলুফা বেগম, জয়নাল মিয়া, ও আব্দুস সাত্তারসহ আরও অনেকের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয় মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে। তাদের প্রায় প্রত্যেকেরই অভিযোগ, সময়মত হসপিটালে না পেয়ে অনেক মানুষ ডা. মুজিবুর রহমানের পার্সোনাল মেডিকেলে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমাদের পার্সোনাল চিকিৎসা নেওয়ার মতো টাকা পয়সা নাই, এজন্য আমরা সরকারি হাসপাতালে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছি।

মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিউটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক বলেন, একজন চিকিৎসক কীভাবে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকতে পারেন তা কোনোভাবেই মিলাতে পারি না।

তিনি বলেন, ডা. মজিবুর রহমান আমার সিনিয়র, তার বিষয়ে আসলে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে, এটা অবশ্যই রহস্যজনক, একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও তিনি কীভাবে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের মালিক!

ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, ডা. মুজিবুর রহমান মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে তেমন একটা সময় দেন না। সকাল দশটার সময় এসে কিছুক্ষণ পরই বের হয়ে পড়েন। যেখানে থাকার কথা বিকাল ৫টা পর্যন্ত। তিনি নিজের হাসপাতালেই বেশি সময় দেন। অনেক সময় দেখা গেছে, তিনি সরকারি হাসপাতাল থাকলেও তার লোকজন রোগীদের পাঠিয়ে দেন তার হাসপাতালের চেম্বারে। শুধু তাই নয়, তাদের কাছ থেকে তিনি অতিরিক্ত টাকাও নিচ্ছেন।

যা বললেন ডা. মুজিবুর

শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হাসপাতালে সময় না দিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালে রোগী দেখছেন, চিকিৎসার নামে বেশি টাকা নিচ্ছেন-এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, আমি হাসপাতালে যথেষ্ট সময় দিয়ে থাকি। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু দিয়ে আমার অন্যান্য জায়গায় সময় দিতে হয়। কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দেয় তাহলে সেটা ভিত্তিহীন।

নিজের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি একজন চিকিৎসক মানুষকে সেবা দিয়ে থাকি। সরকারি হাসপাতালে রোগীদেরও পর্যাপ্ত সময় দিয়ে থাকি। আমার বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ নেই। তবে আমি কারো মাথায় বাড়ি দিয়ে টাকা পয়সা রোজগার করছি না।

নিজের এবং অন্যান্যদের সহযোগিতায় ডায়নাগোস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গড়েছি এসব একদিনে হয়নি। এসবে অনিয়মের কিছু দেখছি না। এর সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত রয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে এই চিকিৎসক বলেন, আমারটা অনিয়মের মধ্যে পড়ে। যারা কোটি কোটি টাকা চুরি করে সেটা অনিয়মের মধ্যে পড়ে না? অন্য মানুষ যখন বাসার মধ্যে হাজার হাজার কোটি টাকা রেখে দেয় তখন তো কেউ অনিয়ম বলে না ? ব্যাংক থেকে অনেকে ঋণ নিয়ে কয়েক কোটি টাকা মেরে দেয় সেটাকে অনিয়ম বলে না? আমি সামান্য কাজ করছি মানুষকে চিকিৎসা দিচ্ছি এখানেই অনিয়মটা মানুষের চোখে পড়ল।’

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত