শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ডেথ রেফারেন্স: আশা জাগছে কনডেম সেলে

দেশের কারাগারগুলোর কনডেম সেলে রয়েছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রায় ১ হাজার ৮০০ আসামি। হাইকোর্টে থাকা ৩৩৭টি ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তি হলেই তাদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। চলতি বছরে ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তির সংখ্যা বাড়ায় আশা জাগছে কনডেম সেলের আসামিদের মধ্যে।

ডেথ রেফারেন্স মামলার নিষ্পত্তির অপেক্ষায় এসব আসামির কারাগারের কনডেম সেলে বছরের পর বছর অপেক্ষায় থাকতে হয়। কারণ বছরে ডেথ রেফারেন্সের যত মামলা নিবন্ধিত হয় হাইকোর্টে, তার চেয়ে অনেক কম মামলাই নিষ্পত্তি হয়। ফলে ডেথ রেফারেন্স মামলার জট বাড়তেই থাকে।

সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হাইকোর্টে বর্তমানে ৩৩৭টি ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, চলতি ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে ডেথ রেফারেন্স মামলার নিষ্পত্তির হার প্রায় ৯৭ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান এবং ২০২১ সালের আগের ছয় বছরের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সর্বশেষ বছরে ডেথ রেফারেন্স মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে আশানুরূপভাবে, যা কনডেম সেলে থাকা আসামিদের আশার আলো দেখাচ্ছে।

ডেথ রেফারেন্স মামলার নিষ্পত্তির বিষয়ে হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখার সুপারিনটেনডেন্টের সই করা এ পরিসংখ্যান বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে পাওয়া যায়।

তাতে দেখা যায়, চলতি বছরে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স মামলার নিবন্ধন হয়েছে ৯১টি, আর নিষ্পত্তি হয়েছে ৮৮টি। শতাংশের হিসাবে যা ৯৭ ভাগ। গত বছর ২০২১ সালে মামলার নিবন্ধন হয়েছে ১৪৮টি, নিষ্পত্তি হয়েছে ৯০টি, শতাংশের হিসাবে যা ৬১ ভাগ। একইভাবে আগের বছর ২০২০ সালে ডেথ রেফারেন্স মামলা নিবন্ধিত হয়েছে ১২৩টি, নিষ্পত্তি হয়েছে ৮৫টি, নিষ্পত্তির হার ৬৯ ভাগ। ২০১৯ সালে মামলা নিবন্ধন হয় ১৬৪টি, নিষ্পত্তি হয় ১০০টি, নিষ্পত্তির হার ৬১ শতাংশ। ২০১৮ সালে নিবন্ধন হয় ১৫৪টি মামলা, নিষ্পত্তি হয় ৮৩টি, নিষ্পত্তির হার ৫৪ শতাংশ। ২০১৭ সালে মামলা নিবন্ধন হয় ১৭১টি, নিষ্পত্তি হয় ৬৬টি, নিষ্পত্তির হার ৩৯ শতাংশ। ২০১৬ সালে মামলা নিবন্ধন হয় ১৬১টি, নিষ্পত্তি হয় ৪৫টি, নিষ্পত্তির হার ২৮ শতাংশ। ২০১৫ সালে বিচারিক আদালত থেকে আসা ডেথ রেফারেন্সের মামলা নিবন্ধন হয় ১১৪টি, নিষ্পত্তি হয় ৫৮টি, আর নিষ্পত্তির হার ৫১ শতাংশ।

এ সময়ের মধ্যে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ মামলা নিষ্পত্তির বিষয় জানতে চাইলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল) আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন (এ এম আমিন উদ্দিন) ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পুরোনো মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির আন্তরিক উদ্যোগ আছে। তা ছাড়া করোনাকালে মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে কম। সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য ডেথ রেফারেন্স বেঞ্চের বিচারপতিরাও এখন বাড়তি পরিশ্রম করছেন। তাই ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির ইতিবাচক এ চিত্র।

জানতে চাইলে মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছেন। এটি তার ফল। উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশের সময়ও ডেথ রেফারেন্স মামলার শুনানির জন্য অবকাশকালীন বেঞ্চ রেখেছেন তিনি। বেঞ্চও মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বেশ আন্তরিক। তা ছাড়া ডেথ রেফারেন্স সংক্রান্ত শাখার কর্মপদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাই মামলা নিষ্পত্তির হার এই পর্যায়ে পৌঁছেছে।

গত কয়েক বছরের বিবেচনায় চলতি বছর ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির হার ভালো হলেও, নিকট অতীতে ১০ বছর আগে ২০১২ সালে ২৪২ শতাংশ মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার রেকর্ডও আছে।

বিষয়টি সামনে আনলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রধান বিচারপতি যে উদ্যোগ নিয়েছেন এবং সরকারও বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজ করার জন্য যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তাতে আশা করছি ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির হার সমান সমান থাকবে।

সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে ২০১৪ সালে ডেথ রেফারেন্স মামলা নিবন্ধিত হয়েছিল ৯২টি, আর নিষ্পত্তি হয়েছিল ১৩৫টি এবং নিষ্পত্তির হার ১৪৭ শতাংশ। ২০১২ সালে মামলা নিবন্ধিত হয়েছিল ৬০টি, তবে নিষ্পত্তি হয়েছিল ১৪৫টি। নিষ্পত্তির হার গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪২ শতাংশ।

উল্লেখ্য নিম্ন আদালত কোনো আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দিলে তা কার্যকর করার জন্য উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে নিয়ম অনুযায়ী হাইকোর্টের অনুমোদনের জন্য এসব মামলার নথি বিচারিক আদালত থেকে উচ্চ আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হাইকোর্টে আসা এ মামলাগুলোকে বলা হয় ডেথ রেফারেন্স।

বিচারিক আদালতে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে কারা কর্তৃপক্ষ ওই আসামিকে কনডেম সেলে রাখে। পরবর্তীতে হাইকোর্টে এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত এই আসামিকে কনডেম সেলেই থাকতে হয়।

হাইকোর্টে কোনো কোনো আসামি খালাস পান, আবার কারও কারও দণ্ড কমে যায়। ফলে জীবনের দীর্ঘ একটা সময় কনডেম সেলে থেকে ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তির অপেক্ষায় বছরের পর বছর কেটে যায় তাদের। তবে ডেথ রেফারেন্স মামলার নিবন্ধন ও নিষ্পত্তির হার প্রায় সমান হয়ে আসাতে কনডেম সেলে আশার আলো পড়ছে বলে মনে করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা।

তারা মনে করছেন আশার এই আলো শুধু কনডেম সেলেই পড়ছে তা নয়, আশা জাগছে বিচারপ্রার্থীর মনেও। কারণ ডেথ রেফারেন্স মামলার নিষ্পত্তির অপেক্ষা করতে করতে অনেক বিচার প্রার্থীও আয়ুষ্কাল হারিয়ে পরপারে পাড়ি জমান। আসামির চূড়ান্ত পরিণতি দেখা হয় না আর তাদের।

এনএইচবি/এসএন

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত