শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ডেথ রেফারেন্স: আশা জাগছে কনডেম সেলে

দেশের কারাগারগুলোর কনডেম সেলে রয়েছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রায় ১ হাজার ৮০০ আসামি। হাইকোর্টে থাকা ৩৩৭টি ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তি হলেই তাদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। চলতি বছরে ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তির সংখ্যা বাড়ায় আশা জাগছে কনডেম সেলের আসামিদের মধ্যে।

ডেথ রেফারেন্স মামলার নিষ্পত্তির অপেক্ষায় এসব আসামির কারাগারের কনডেম সেলে বছরের পর বছর অপেক্ষায় থাকতে হয়। কারণ বছরে ডেথ রেফারেন্সের যত মামলা নিবন্ধিত হয় হাইকোর্টে, তার চেয়ে অনেক কম মামলাই নিষ্পত্তি হয়। ফলে ডেথ রেফারেন্স মামলার জট বাড়তেই থাকে।

সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হাইকোর্টে বর্তমানে ৩৩৭টি ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, চলতি ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে ডেথ রেফারেন্স মামলার নিষ্পত্তির হার প্রায় ৯৭ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান এবং ২০২১ সালের আগের ছয় বছরের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সর্বশেষ বছরে ডেথ রেফারেন্স মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে আশানুরূপভাবে, যা কনডেম সেলে থাকা আসামিদের আশার আলো দেখাচ্ছে।

ডেথ রেফারেন্স মামলার নিষ্পত্তির বিষয়ে হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখার সুপারিনটেনডেন্টের সই করা এ পরিসংখ্যান বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে পাওয়া যায়।

তাতে দেখা যায়, চলতি বছরে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স মামলার নিবন্ধন হয়েছে ৯১টি, আর নিষ্পত্তি হয়েছে ৮৮টি। শতাংশের হিসাবে যা ৯৭ ভাগ। গত বছর ২০২১ সালে মামলার নিবন্ধন হয়েছে ১৪৮টি, নিষ্পত্তি হয়েছে ৯০টি, শতাংশের হিসাবে যা ৬১ ভাগ। একইভাবে আগের বছর ২০২০ সালে ডেথ রেফারেন্স মামলা নিবন্ধিত হয়েছে ১২৩টি, নিষ্পত্তি হয়েছে ৮৫টি, নিষ্পত্তির হার ৬৯ ভাগ। ২০১৯ সালে মামলা নিবন্ধন হয় ১৬৪টি, নিষ্পত্তি হয় ১০০টি, নিষ্পত্তির হার ৬১ শতাংশ। ২০১৮ সালে নিবন্ধন হয় ১৫৪টি মামলা, নিষ্পত্তি হয় ৮৩টি, নিষ্পত্তির হার ৫৪ শতাংশ। ২০১৭ সালে মামলা নিবন্ধন হয় ১৭১টি, নিষ্পত্তি হয় ৬৬টি, নিষ্পত্তির হার ৩৯ শতাংশ। ২০১৬ সালে মামলা নিবন্ধন হয় ১৬১টি, নিষ্পত্তি হয় ৪৫টি, নিষ্পত্তির হার ২৮ শতাংশ। ২০১৫ সালে বিচারিক আদালত থেকে আসা ডেথ রেফারেন্সের মামলা নিবন্ধন হয় ১১৪টি, নিষ্পত্তি হয় ৫৮টি, আর নিষ্পত্তির হার ৫১ শতাংশ।

এ সময়ের মধ্যে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ মামলা নিষ্পত্তির বিষয় জানতে চাইলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল) আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন (এ এম আমিন উদ্দিন) ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পুরোনো মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির আন্তরিক উদ্যোগ আছে। তা ছাড়া করোনাকালে মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে কম। সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য ডেথ রেফারেন্স বেঞ্চের বিচারপতিরাও এখন বাড়তি পরিশ্রম করছেন। তাই ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির ইতিবাচক এ চিত্র।

জানতে চাইলে মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছেন। এটি তার ফল। উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশের সময়ও ডেথ রেফারেন্স মামলার শুনানির জন্য অবকাশকালীন বেঞ্চ রেখেছেন তিনি। বেঞ্চও মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বেশ আন্তরিক। তা ছাড়া ডেথ রেফারেন্স সংক্রান্ত শাখার কর্মপদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাই মামলা নিষ্পত্তির হার এই পর্যায়ে পৌঁছেছে।

গত কয়েক বছরের বিবেচনায় চলতি বছর ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির হার ভালো হলেও, নিকট অতীতে ১০ বছর আগে ২০১২ সালে ২৪২ শতাংশ মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার রেকর্ডও আছে।

বিষয়টি সামনে আনলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রধান বিচারপতি যে উদ্যোগ নিয়েছেন এবং সরকারও বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজ করার জন্য যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তাতে আশা করছি ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির হার সমান সমান থাকবে।

সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে ২০১৪ সালে ডেথ রেফারেন্স মামলা নিবন্ধিত হয়েছিল ৯২টি, আর নিষ্পত্তি হয়েছিল ১৩৫টি এবং নিষ্পত্তির হার ১৪৭ শতাংশ। ২০১২ সালে মামলা নিবন্ধিত হয়েছিল ৬০টি, তবে নিষ্পত্তি হয়েছিল ১৪৫টি। নিষ্পত্তির হার গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪২ শতাংশ।

উল্লেখ্য নিম্ন আদালত কোনো আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দিলে তা কার্যকর করার জন্য উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে নিয়ম অনুযায়ী হাইকোর্টের অনুমোদনের জন্য এসব মামলার নথি বিচারিক আদালত থেকে উচ্চ আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হাইকোর্টে আসা এ মামলাগুলোকে বলা হয় ডেথ রেফারেন্স।

বিচারিক আদালতে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে কারা কর্তৃপক্ষ ওই আসামিকে কনডেম সেলে রাখে। পরবর্তীতে হাইকোর্টে এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত এই আসামিকে কনডেম সেলেই থাকতে হয়।

হাইকোর্টে কোনো কোনো আসামি খালাস পান, আবার কারও কারও দণ্ড কমে যায়। ফলে জীবনের দীর্ঘ একটা সময় কনডেম সেলে থেকে ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তির অপেক্ষায় বছরের পর বছর কেটে যায় তাদের। তবে ডেথ রেফারেন্স মামলার নিবন্ধন ও নিষ্পত্তির হার প্রায় সমান হয়ে আসাতে কনডেম সেলে আশার আলো পড়ছে বলে মনে করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা।

তারা মনে করছেন আশার এই আলো শুধু কনডেম সেলেই পড়ছে তা নয়, আশা জাগছে বিচারপ্রার্থীর মনেও। কারণ ডেথ রেফারেন্স মামলার নিষ্পত্তির অপেক্ষা করতে করতে অনেক বিচার প্রার্থীও আয়ুষ্কাল হারিয়ে পরপারে পাড়ি জমান। আসামির চূড়ান্ত পরিণতি দেখা হয় না আর তাদের।

এনএইচবি/এসএন

Header Ad
Header Ad

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো কোনো আরব নেতা সিরিয়া সফরে গেলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পৌঁছান। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার কোনো সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান দেশটি সফর করলেন। বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আহমেদ আল-শারা। সফরের সময় দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে কাতারের আমিরকে স্বাগত জানান তিনি।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, নতুন সিরীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাতার মাঠপর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে সিরিয়ার জনগণের জন্য চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা করা, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব প্রতিহত করা এবং সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

বিশ্লেষকদের মতে, কাতারের আমিরের এই সফর মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে এই প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত কর্মকর্তারা পুলিশের দায় এড়াতে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং ইয়ামিনকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

সমালোচকরা বলছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে পুলিশের নৈতিক অবক্ষয় এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে গণঅভ্যুত্থানের পরও তারা নিজেদের পরিবর্তন করতে পারেনি। বরং, কঠিন চাপে থেকেও পুলিশের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড মাঝে মাঝেই প্রকাশ পাচ্ছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের দাবি, ইয়ামিন এপিসি (সাঁজোয়া যান) কারে উঠলে বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে, যা তাকে আহত করে। এরপর এএসআই মোহাম্মদ আলী তাকে নামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তার হাতে ব্যথা থাকায় ফসকে পড়ে যান ইয়ামিন। পুলিশ আরও জানায়, জনগণের কাছে হস্তান্তরের জন্য তাকে রোড ডিভাইডারে রাখা হয়, যাতে কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে।

তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুলিশের সদস্যরা নীল রঙের এপিসি কারের ওপর ইয়ামিনকে ফেলে রেখে টহল চালায় এবং ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর এপিসি কারটি সাভারের রানা প্লাজা ও ভ্যাট অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় আসে। এরপর এপিসির ভেতর থেকে এক পুলিশ সদস্য দরজা খুলে দেয় এবং আরেকজন ইয়ামিনকে টেনে-হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ ইয়ামিন তখনও জীবিত ছিলেন। প্রচণ্ড কষ্টে নিশ্বাস নিতে দেখা যায় তাকে। তার পরনে ছিল নেভি ব্লু ট্রাউজার ও খয়েরি রঙের জামা। এপিসি থেকে ফেলে দেওয়ার পর তার দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে যায় এবং একটি পা এপিসির বাঁ দিকের চাকার সঙ্গে আটকে থাকে। মৃত ভেবে পুলিশের সদস্যরা তার পায়ে আর গুলি না করে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেয়। এরপর আরও দুই পুলিশ সদস্য নেমে এসে তাকে সার্ভিস লেনে ফেলে রেখে চলে যায়।

পুলিশের এই প্রতিবেদনকে ‘চরম পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তদন্ত কর্মকর্তারা শুধু পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য নিয়েছেন, অথচ কোনো প্রত্যক্ষদর্শী, সংবাদকর্মী বা সাধারণ মানুষের সাক্ষ্য নেননি। এ কারণে তদন্ত প্রক্রিয়াকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অবিশ্বাস্য বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এক প্রতিবেদনে পুলিশের আচরণকে ‘ভয়ংকর বর্বরতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির তিন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে চরম অবহেলা করেছেন এবং অপেশাদারসুলভ আচরণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখাকে সুপারিশ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ নীল এপিসি কার থেকে ইয়ামিনের গুলিবিদ্ধ দেহ রাস্তায় ফেলে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে সাভারের আশুলিয়া এলাকায়। কোনো ময়নাতদন্ত বা আনুষ্ঠানিক মৃত্যুসনদ না দিয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইয়ামিনের লাশ হস্তান্তর করে।

ঢাকা ও সাভার রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ইয়ামিনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না করার জন্য পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে, পরিবার তাকে সাভারের তালবাগে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বাধা দেন। শেষ পর্যন্ত ব্যাংক টাউন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দায় মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজের ভয়ংকর দৃশ্যগুলো ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তাহলে, শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে যদি সত্য প্রকাশ না পায়, তবে স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুনরায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি উঠেছে। নিহত ইয়ামিনের পরিবার এবং আন্দোলনকারীরা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও একাধিক হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলির এক বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আত্মগোপনে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দীর্ঘদিনের নজরদারির পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির
শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক
রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান
কোটা পদ্ধতি পুনরায় পর্যালোচনার নতুন ৩ সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের
আমরা কারও কাছে চাঁদা চাইনি, চাইবোও না: জামায়াত আমির
নওগাঁ বারের নির্বাচনে সব পদে বিএনপি প্যানেলের জয়
আরব আমিরাতে চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি
ডিপসিকের চেয়েও কার্যকর নতুন এআই আনার দাবি আলিবাবার
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গুণগত পরিবর্তনই আমাদের মূল লক্ষ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বাণিজ্য মেলায় সংঘর্ষ, আহত ১৬
শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আমরণ অনশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে নিজেই জানিয়ে দিবো: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সাত কলেজের জন্য হচ্ছে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিতে বলেছে ইইউ: ইসি সচিব
রংপুরের টানা চতুর্থ হার, প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইলো খুলনা
চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান, আটক ৫
প্রধান উপদেষ্টার উদ্বোধনে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা
সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানো সেই যুবককে গুলি করে হত্যা
বাংলাদেশ পুলিশে ১৬টি শূন্য পদে নিয়োগ, আবেদন শুরু ২ ফেব্রুয়ারি