মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ডেথ রেফারেন্স: আশা জাগছে কনডেম সেলে

দেশের কারাগারগুলোর কনডেম সেলে রয়েছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রায় ১ হাজার ৮০০ আসামি। হাইকোর্টে থাকা ৩৩৭টি ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তি হলেই তাদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। চলতি বছরে ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তির সংখ্যা বাড়ায় আশা জাগছে কনডেম সেলের আসামিদের মধ্যে।

ডেথ রেফারেন্স মামলার নিষ্পত্তির অপেক্ষায় এসব আসামির কারাগারের কনডেম সেলে বছরের পর বছর অপেক্ষায় থাকতে হয়। কারণ বছরে ডেথ রেফারেন্সের যত মামলা নিবন্ধিত হয় হাইকোর্টে, তার চেয়ে অনেক কম মামলাই নিষ্পত্তি হয়। ফলে ডেথ রেফারেন্স মামলার জট বাড়তেই থাকে।

সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হাইকোর্টে বর্তমানে ৩৩৭টি ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, চলতি ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে ডেথ রেফারেন্স মামলার নিষ্পত্তির হার প্রায় ৯৭ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান এবং ২০২১ সালের আগের ছয় বছরের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সর্বশেষ বছরে ডেথ রেফারেন্স মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে আশানুরূপভাবে, যা কনডেম সেলে থাকা আসামিদের আশার আলো দেখাচ্ছে।

ডেথ রেফারেন্স মামলার নিষ্পত্তির বিষয়ে হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখার সুপারিনটেনডেন্টের সই করা এ পরিসংখ্যান বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে পাওয়া যায়।

তাতে দেখা যায়, চলতি বছরে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স মামলার নিবন্ধন হয়েছে ৯১টি, আর নিষ্পত্তি হয়েছে ৮৮টি। শতাংশের হিসাবে যা ৯৭ ভাগ। গত বছর ২০২১ সালে মামলার নিবন্ধন হয়েছে ১৪৮টি, নিষ্পত্তি হয়েছে ৯০টি, শতাংশের হিসাবে যা ৬১ ভাগ। একইভাবে আগের বছর ২০২০ সালে ডেথ রেফারেন্স মামলা নিবন্ধিত হয়েছে ১২৩টি, নিষ্পত্তি হয়েছে ৮৫টি, নিষ্পত্তির হার ৬৯ ভাগ। ২০১৯ সালে মামলা নিবন্ধন হয় ১৬৪টি, নিষ্পত্তি হয় ১০০টি, নিষ্পত্তির হার ৬১ শতাংশ। ২০১৮ সালে নিবন্ধন হয় ১৫৪টি মামলা, নিষ্পত্তি হয় ৮৩টি, নিষ্পত্তির হার ৫৪ শতাংশ। ২০১৭ সালে মামলা নিবন্ধন হয় ১৭১টি, নিষ্পত্তি হয় ৬৬টি, নিষ্পত্তির হার ৩৯ শতাংশ। ২০১৬ সালে মামলা নিবন্ধন হয় ১৬১টি, নিষ্পত্তি হয় ৪৫টি, নিষ্পত্তির হার ২৮ শতাংশ। ২০১৫ সালে বিচারিক আদালত থেকে আসা ডেথ রেফারেন্সের মামলা নিবন্ধন হয় ১১৪টি, নিষ্পত্তি হয় ৫৮টি, আর নিষ্পত্তির হার ৫১ শতাংশ।

এ সময়ের মধ্যে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ মামলা নিষ্পত্তির বিষয় জানতে চাইলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল) আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন (এ এম আমিন উদ্দিন) ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পুরোনো মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির আন্তরিক উদ্যোগ আছে। তা ছাড়া করোনাকালে মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে কম। সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য ডেথ রেফারেন্স বেঞ্চের বিচারপতিরাও এখন বাড়তি পরিশ্রম করছেন। তাই ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির ইতিবাচক এ চিত্র।

জানতে চাইলে মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছেন। এটি তার ফল। উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশের সময়ও ডেথ রেফারেন্স মামলার শুনানির জন্য অবকাশকালীন বেঞ্চ রেখেছেন তিনি। বেঞ্চও মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বেশ আন্তরিক। তা ছাড়া ডেথ রেফারেন্স সংক্রান্ত শাখার কর্মপদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাই মামলা নিষ্পত্তির হার এই পর্যায়ে পৌঁছেছে।

গত কয়েক বছরের বিবেচনায় চলতি বছর ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির হার ভালো হলেও, নিকট অতীতে ১০ বছর আগে ২০১২ সালে ২৪২ শতাংশ মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার রেকর্ডও আছে।

বিষয়টি সামনে আনলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রধান বিচারপতি যে উদ্যোগ নিয়েছেন এবং সরকারও বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজ করার জন্য যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তাতে আশা করছি ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির হার সমান সমান থাকবে।

সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে ২০১৪ সালে ডেথ রেফারেন্স মামলা নিবন্ধিত হয়েছিল ৯২টি, আর নিষ্পত্তি হয়েছিল ১৩৫টি এবং নিষ্পত্তির হার ১৪৭ শতাংশ। ২০১২ সালে মামলা নিবন্ধিত হয়েছিল ৬০টি, তবে নিষ্পত্তি হয়েছিল ১৪৫টি। নিষ্পত্তির হার গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪২ শতাংশ।

উল্লেখ্য নিম্ন আদালত কোনো আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দিলে তা কার্যকর করার জন্য উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে নিয়ম অনুযায়ী হাইকোর্টের অনুমোদনের জন্য এসব মামলার নথি বিচারিক আদালত থেকে উচ্চ আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হাইকোর্টে আসা এ মামলাগুলোকে বলা হয় ডেথ রেফারেন্স।

বিচারিক আদালতে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে কারা কর্তৃপক্ষ ওই আসামিকে কনডেম সেলে রাখে। পরবর্তীতে হাইকোর্টে এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত এই আসামিকে কনডেম সেলেই থাকতে হয়।

হাইকোর্টে কোনো কোনো আসামি খালাস পান, আবার কারও কারও দণ্ড কমে যায়। ফলে জীবনের দীর্ঘ একটা সময় কনডেম সেলে থেকে ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তির অপেক্ষায় বছরের পর বছর কেটে যায় তাদের। তবে ডেথ রেফারেন্স মামলার নিবন্ধন ও নিষ্পত্তির হার প্রায় সমান হয়ে আসাতে কনডেম সেলে আশার আলো পড়ছে বলে মনে করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা।

তারা মনে করছেন আশার এই আলো শুধু কনডেম সেলেই পড়ছে তা নয়, আশা জাগছে বিচারপ্রার্থীর মনেও। কারণ ডেথ রেফারেন্স মামলার নিষ্পত্তির অপেক্ষা করতে করতে অনেক বিচার প্রার্থীও আয়ুষ্কাল হারিয়ে পরপারে পাড়ি জমান। আসামির চূড়ান্ত পরিণতি দেখা হয় না আর তাদের।

এনএইচবি/এসএন

Header Ad
Header Ad

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা। ছবি: সংগৃহীত

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হাতে ধরা পড়েছেন আবুল হাসনাত আদনান নামে এক ছাত্রলীগ নেতা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের ওয়াটারফল রেস্টুরেন্ট থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হন তিনি।

আটক আবুল হাসনাত আদনান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনান।

জানা যায়, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এই নেতা রেস্টুরেন্টে বিয়ে খেতে এসেছে এমন খবর পেয়ে সেখান থেকেই তাকে ধরেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা। খবর পেয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, সে জুলাই হামলায় জড়িত ছিল এবং আন্দোলনের সময় হামলার বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ তার মোবাইলে পাওয়া যায়৷ আন্দোলনের সময় গুলি করেছে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। তার মোবাইলে শিক্ষার্থী হত্যার আলামত পাওয়া গেছে এবং বর্তমানে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর আলামত পাওয়া যায় বলেও জানান তারা।

Header Ad
Header Ad

মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় জামায়াতের ২ সমর্থক বহিষ্কার

বাংলাদেশ জামাত-ই ইসলাম তাদের ফেইজবুক পেইজে এক বিবৃতিতে এসব জানায়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের বহিষ্কার করেছে জামায়াতে ইসলামী। এ ঘটনায় নিন্দাও জানিয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি করা হয় দলটির পক্ষ থেকে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আমির অ্যাডভোকেট মু. শাহজাহান, জেলা সেক্রেটারি ড. সরওয়ার উদ্দিন ছিদ্দিকী, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমির মু. মাহফুজুর রহমান ও উপজেলা সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন যৌথভাবে বলেন, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও দেশের সাধারণ কোনো নাগরিককে হেনস্তা করা সমর্থন করে না। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।

নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারা জামায়াতে ইসলামীর কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী নয়। জামায়াতের কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বিষয়টি সমর্থন করে না। স্থানীয়ভাবে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, আবদুল হাই কানু তার এলাকায় হত্যা মামলাসহ ৯টি মামলার আসামি। আমরা মনে করি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

তারা আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ঢাকায় থাকা আবুল হাশেম এবং দুবাই ফেরত অহিদুর রহমানের শাস্তি দাবি করছি। পাশাপাশি আমরা সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি, আইন নিজের হাতে নেওয়ার কোনো অধিকার কারো নেই। আমরা আবুল হাশেম, অহিদুর রহমানসহ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের শাস্তি দাবি করছি এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও তাদের জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার ঘোষণা করছি।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করেন স্থানীয় কয়েকজন। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার জামায়াতের সমর্থক প্রবাসী আবুল হাসেমের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটান। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু লুদিয়ারা এলাকার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের রোষানলে পড়ে দীর্ঘ ৮ বছর এলাকা ছাড়া ছিলেন তিনি। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বেশ কয়েকবার তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়।

Header Ad
Header Ad

নকল সিগারেট ব্র্যান্ডের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ছবি: সংগৃহীত

বিদেশী ব্র্যান্ডের নকল সিগারেট এবং নকল ব্র্যান্ড রোল লাগিয়ে বিক্রির ব্যবসায় জড়িত সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)’র সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বরাবর জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এনবিআরের প্রতিবেদন বলছে, নকল সিগারেট তৈরি এবং ব্যান্ডরোল তৈরির সঙ্গে জড়িত ২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো অন্যতম বৃহৎ।

এ দুই প্রতিষ্ঠান মিথ্যা ঘোষণায় কাঁচামাল আমদানি করে এবং কিশোরগঞ্জ ও চট্টগ্রামের চকোরিয়ার কারখানায় নকল সিগারেট তৈরি করে। পরে নকল সিগারেট দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটনের তামাক ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের। এ ব্যবসার আয়ের একটি অংশ প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসেবে জমা দেয়া হতো। নওফেল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেদন এনবিআর এ জমা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ এনবিআর’ই গ্রহণ করবে।’

একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটনের মালিকানাধীন দুই প্রতিষ্ঠান বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো নকল সিগারেট তৈরি এবং নকল ‘ব্যান্ড রোল’ লাগিয়ে বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট তৈরির হোতা।

জানা গেছে, বিজয় ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির ৪০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের। বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো প্রতিষ্ঠার পর থেকে কমপক্ষে ১০ হাজার টন সিগারেট তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করেছে সিগারেটের কাঁচামাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে। যা দিয়ে ৫ কোটি সিগারেটের শলাকা তৈরি সম্ভব। এখানে সরকার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ও অন্যান্য খাত বাবদ রাজস্ব হারিয়েছে কমপক্ষে পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

গত ৮ অক্টোবর এই বিষয়ে একটি গণমাধ্যম ‘৫ হাজার কোটি লোপাটে এক জুটি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা
মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় জামায়াতের ২ সমর্থক বহিষ্কার
নকল সিগারেট ব্র্যান্ডের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী
২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে গুচ্ছ পদ্ধতি রাখতে জরুরি নির্দেশনা  
শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার দেওয়া চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি
‘মুজিব’ সিনেমার পরিচালক শ্যাম বেনেগাল মারা গেছেন
হেনরী ও তার স্বামীর ৪৯ ব্যাংক হিসাবে লেনদেন পৌনে ৪ হাজার কোটি
স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমলো
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিল
ভোটাধিকার আদায়ে ৫ আগস্টের মতো রাস্তায় নামতে হবে: মির্জা ফখরুল
শিল্পকলার সাবেক ডিজি লাকীসহ ২৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মিউজিক ফেস্ট মঞ্চে বিপিএল উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা  
দর্শনা সীমান্তে ভারতে পাচারকালে দুই নারী উদ্ধার; পাচারকারী আটক
১৫ বছরে বিএনপি আন্দোলনে ছিল বলেই শেখ হাসিনা পালিয়েছে: ফখরুল
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল
শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতিতে লেখা জয় বাংলা মুছে দিলো ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল
বাংলাদেশের কাছে ত্রিপুরা ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী
হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল ফাঁসিতে ঝোলার জন্য: নাহিদ
চাঁদপুরে জাহাজ থেকে ৫ মরদেহ উদ্ধার: চিকিৎসাধীন আরও ২ জনের মৃত্যু  
সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি এস আলমের