শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কেলেঙ্কারি করলেই পদোন্নতি কূটনীতিকদের!

নারী কেলেঙ্কারি, যৌন হয়রানি, মাদক, মানব পাচার, প্রতারণাসহ নানান অভিযোগ বিদেশি মিশনে কর্মরত বাংলাদেশি কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে। কিছুদিন পর পর গুরুতর এসব অভিযোগ উঠলেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কোনো নজির নেই। বরং যারা বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে তাদের প্রায় প্রত্যেকেই দ্রুতগতিতে পদোন্নতি ও পদায়ন পেয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘটনার পর ঘটনা ঘটলেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিদেশি মিশনে কর্মরত কূটনীতিকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।

সর্বশেষ ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রদূত কাজী আনারকলির বিরুদ্ধে নিজের বাসায় মারিজুয়ানা রাখার অভিযোগে সেই দেশের সরকারের অনুরোধে তাকে প্রত্যাহার করে ঢাকায় ফেরত আনা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, কূটনীতিক হয়ে নাইজেরিয়ান নাগরিককে সঙ্গে নিয়ে একই বাসায় থাকতেন আনারকলি। মারিজুয়ানা পাওয়ার পর কূটনীতিক হিসেবে আনারকলি দায়মুক্তি পেলেও তার নাইজেরিয়ান বন্ধু ইন্দোনেশিয়ার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন।

জানা যায়, লস এঞ্জেলসে বাংলাদেশের ডেপুটি কনসাল জেনারেলের দায়িত্বে থাকাকালে ২০১৭ সালেও কাজী আনারকলির বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায় যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনার তদন্ত না করে এবং তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে লস এঞ্জেলস থেকে জাকার্তায় পোস্টিং দেয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তখন যদি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হতো তাহলে এবার এমন ঘটনা ঘটত না। ব্যবস্থা না নেওয়ায় তার কারণে দ্বিতীয়বার লজ্জায় পড়ল বাংলাদেশ।

২০১৩ সালে চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশ মিশনের কনসাল জেনারেল শাহনাজ গাজীর সঙ্গে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যক্তির ‘বিশেষ সম্পর্কে’র অভিযোগ উঠেছিল। ওই সময় এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হলে শাহনাজ গাজীকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়। বর্তমানে তিনি তুরষ্কের আঙ্কারার বাংলাদেশ মিশনের উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

শাহনাজ গাজী

ভারতের আসামে একজন ভারতীয় নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তদানীন্তন সহকারী হাইকমিশনার কাজী মুনতাসির মোর্শেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ২০১৮ সালের ওই ঘটনার পর মোর্শেদকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগের পরও তাকে পদোন্নতিও দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জানা যায়, ঘটনার শিকার তরুণী দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের তৎকালীন হাইকমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন মোর্শেদের বিরুদ্ধে। অভিযোগের একটি অনুলিপি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠান ওই তরুণী। অভিযোগের সঙ্গে তিনি চ্যাটিংয়ের স্ক্রিনশটও সংযুক্ত করে দেন।

আসামের গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওই তরুণী অভিযোগে বলেন, পরিচয়ের পর থেকে কথাবার্তা হতো। এক পর্যায়ে ২০ জানুয়ারি তাকে দূতবাসে ডেকে পাঠান মোর্শেদ এবং সেখানে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করেন এ কূটনীতিক।

আরেক কূটনীতিক মোহাম্মদ নুরে আলমের বিরুদ্ধেও নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ রয়েছে। ঘটনা ২০১৫ সালের। নুরে আলম তখন টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত। দূতাবাসের এক নারী কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হকের কাছে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু সেই সময় অভিযোগের তদন্ত তো দূরের কথা, উল্টো ওই নারী কর্মীর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এমনকি ওই নারী কর্মীকে পাগল বানানোর এবং তাকে চাকরিচ্যুত করার চেষ্টা করা হয়। তাতে ব্যর্থ হয়ে ওই নারী কর্মীকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়।

মোহাম্মদ নুরে আলম

ওই ঘটনার পর নুরে আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত ও শাস্তি তো হয়ইনি, বরং তাকে পদোন্নতি দিয়ে ২০১৯ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বানানো হয়। নুরে আলম বর্তমানে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

চলতি বছরে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসে প্রথম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সানিউল কাদেরের বিরুদ্ধেও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। তার সঙ্গে কলকাতার আলিশা মাহমুদ নামের এক নারীর ভিডিও চ্যাট ও হোয়াটসঅ্যাপ আলাপের স্ক্রিনশট ফাঁস হওয়ার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনে।

তবে সানিউল পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা না হওয়ায় তাকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তাকে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

যৌন কেলেঙ্কারি যেন পিছুই ছাড়ছে না বাংলাদেশি কূটনীতিকদের। ২০১১ সালের জুনে টোকিওতে নিযুক্ত বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত একেএম মুজিবুর রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর অভিযোগে। টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসে চাকরি করা একজন জাপানি নারীকে যৌন হয়রানির দায়ে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

কিয়াকো তাকাহাসি নামের ওই জাপানি নারী বাংলাদেশ দূতাবাসে সোশ্যাল সেক্রেটারি পদে চাকরি করতেন। অভিযোগপত্রে তাকাহাসি লিখেছেন, দূতাবাসের চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই রাষ্ট্রদূত তার সঙ্গে অযাচিত আচরণ করেন। এমনকি চাকরির ইন্টারভিউয়ের দিনও তাকে আপত্তিকর প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন।

তাকাহাসি অভিযোগ করেন, ইন্টারভিউতেই রাষ্ট্রদূত তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি তাকাহাসিকে চুমু খেতে পারবেন কি না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো অভিযোগপত্রে তাকাহাসি বলেন, দূতাবাসে প্রথম যোগ দেওয়ার দিন আমাকে রাষ্ট্রদূত নিজের কক্ষে ডেকে নেন এবং আমাকে জড়িয়ে ধরে আপত্তিকর অবস্থায় যেতে চান।

সানিউল কাদের

বিদেশি নারীর এমন অভিযোগের পরও মুজিবুর রহমানের শাস্তি হয়নি। বরং পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাকে ইরানের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু ইরান থেকেও তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ‘নৈতিক অবক্ষয় ও আর্থিক অনিয়মের’ অভিযোগে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা রিয়াদ হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছিলেন। ওই তরুণীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল ফেসবুকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক নিমচন্দ্র ভৌমিককে ২০০৯ সালে নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ দেয় সরকার। দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে ভারতের পতাকা নিয়ে গাড়িতে ভ্রমণ, নারী কেলেঙ্কারি, ভিসা দিতে হয়রানি, শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দিতে ঘুষ, এমনকি নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলানোর মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠে। এসব ঘটনা ২০১১ সালের।

অধ্যাপক নিমচন্দ্রের দুর্নীতি নিয়ে সেই সময় একটি প্রতিবেদন তৈরি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নিমচন্দ্র ভৌমিকের অসংখ্য নারী কেলেঙ্কারির মধ্যে বলিউড তারকা মনীষা কৈরালার সঙ্গে দেখা করতে অকূটনৈতিকসুলভ আচরণের কথাও প্রতিবেদনে স্থান পায়।

কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশি পাঁচ তরুণের একটি চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেছিলেন নেপালের প্রভাবশালী কৈরালা পরিবারের সদস্য মনীষা। অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর সন্ধ্যায় মনীষার দেখা পেতে তার বাড়িতেও ধরনা দিয়েছিলেন নিমচন্দ্র।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তদন্ত করে জানতে পারে, মনীষার বাড়িতে ঢুকতে আধা ঘণ্টা ধরে ফটকে দাঁড়িয়ে দেনদরবার চালিয়েছিলেন নিমচন্দ্র। তবে ফটক খোলা হয়নি।

এদিকে কাজী আনারকলির ঘটনার পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, এই ঘটনায় সরকার খুবই বিব্রত। আমরা নিশ্চিত করতে চাই এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে। দায়ী হলে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

ওএসডি হয়েছিলেন মাত্র ৩ জন

কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অসংখ্য অভিযোগের মধ্যে মাত্র তিনটি ঘটনায় সাদামাটা ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব ও দুইজন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার মহাপরিচালককে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।

ওএসডি হওয়ার আগে তিনজনই বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এক থেকে দেড় বছর আগে তাদের প্রত্যাহার করে ঢাকা আনা হয়। ওএসডি হওয়া কর্মকর্তারা হলেন-মারুফ জামান, হাসিব আজিজ ও আশরাফ উদ্দিন।

মারুফ জামান ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে আনার পর কয়েকদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপরই তাকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বদলি করা হয়।

আশরাফ উদ্দিনের নামেও স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ তিনি মিশরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হয়ে যান। তিন মাসের মধ্যেই তাকে দেশে নিয়ে আসা হয়। এরপর তিনি ন্যাশনাল ডিফেনস কলেজে এনডিসি কোর্সে ভর্তি হন।

ওএসডি হওয়া হাসিব আজিজের বিরুদ্ধেও স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করে তৃতীয় বিয়ে করার অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তার দ্বিতীয় স্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রীরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সর্বশেষ হাসিব আজিজ উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। অভিযোগের পর তাকে সেখান থেকে ঢাকায় এনে দপ্তরবিহীন অবস্থায় মহাপরিচালক করে রাখা হয়।

এরপর হাসিব আজিজের দ্বিতীয় স্ত্রী ফারিম হাসিব বেবী অভিযোগ করেন, তার বিনাঅনুমতিতেই হাসিব উজবেকিস্তানে আইগুল নামের এক নারীকে বিয়ে করেন।

কূটনীতিকদের এমন অকূটনীতিসুলভ আচরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে এসব নিয়ে প্রতিবেদন হয়। ফলে নির্দোষ কূটনীতিকদের দিকেও অনেকে সন্দেহের চোখে তাকান। তিনি বলেন, এসব বিষয়ে সরকারকে ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থানে থাকতে হবে।

এনএইচবি/এসএন

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত