সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিহারি ক্যাম্পের বিদ্যুৎ বিল দেয় সরকার

মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও সৈয়দপুরসহ দেশের বিভিন্ন বিহারি ক্যাম্পে বসবাসরত আটকেপড়া বিহারিদের ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছে সরকার। এ খাতে সরকারকে কোটি কোটি টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে। সরকারের পক্ষে এই বিল পরিশোধ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। বছরের পর বছর এই বিল পরিশোধ করে আসলেও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় বলছে, এখন আর তারা এই বিল পরিশোধ করবে না। এতদিন মানবিক কারণে বিদ্যুৎ বিল দিয়ে আসলেও এই ঘানি আর টানতে চায় না মন্ত্রণালয়।

তবে সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ বিল পরিশোধের জন্য চিঠি দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে। বিষয়টির সুরাহা করতে আগামী মাসে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেই সমাধান হবে বিদ্যুৎ বিল অবলোপন হবে নাকি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় পরিশোধ করবে।

কিন্তু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর বলছে, যে শর্তে বিহারি ক্যাম্পের বিদ্যুৎ বিল এতদিন পরিশোধ করা হয়েছে সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যেহেতু তারা বাংলাদেশের ভোটার তাই তাদের নিজেদের বিদ্যুৎ বিল নিজেদেরকেই দিতে হবে। মন্ত্রণালয় আর দেবে না।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেনে এ বি তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিহারিরা যদি বিনা অনুমতিতে ইন্ডাস্ট্রি চালায় সেক্ষেত্রে তাদেরকে পেনাল্টি করা উচিত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতিকুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এতদিন যে শর্তে দেওয়া হতো সেই বাস্তবতা আর নেই। তবুও বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বিল দিতে বলা হয়েছে। যেহেতু বিষয়টি আলোচনা পর্যায়ে রয়েছে তাই সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা দিতে পারি না।

তিনি আরও জানান, প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বিহারি ক্যাম্পের বিদ্যুৎ বিল মন্ত্রণালয় পরিশোধ করছে না।

একই বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক (ত্রাণ) মো. নূরুল হক চৌধুরী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দুর্যোগ মন্ত্রণালয় বহু বছর এই বিল দিয়েছে। এখন তারা ভোটার, এই দেশের নাগরিক। তাই তাদের বিল তাদেরকেই দিতে হবে। এ বিষয়ে কোর্টের রায় রয়েছে। এখন শুধু প্রয়োজনীয় না, তারা লেদ মেশিনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক কাজে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। তাই এত টাকা তো আর মন্ত্রণালয় বহন করতে পারে না। তবুও বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বিল দিতে চিঠি দিয়েছে। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে মিটিং হবে। সেখানেই চূড়ান্ত হবে কারা বিল পরিশোধ করবে।

এদিকে, বুধবার (৩ আগস্ট) বিষয়টি নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় দীর্ঘ বৈঠক করেছে। সেই বৈঠকে সংসদীয় কমিটির সভাপতি স্পষ্ট বলেছেন, বিহারিদের পেনাল্টি করা উচিত।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘মোহাম্মদপুরের বিহারি কলোনির মালিকানা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হলে সেখানে বিদ্যুৎ বিল ও খাজনা প্রদান বিষয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে ব্যাখ্যা চান। জবাবে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান এনডিসি বলেন, এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, বিরোধ নিষ্পত্তি বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের যে কমিটি রয়েছে সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে আর বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হবে না। এটা নিয়ে কোর্টেও মামলা আছে বলে জানান তিনি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম সচিবের কাছে জানতে চান পূর্বে কেন বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হতো? জবাবে সচিব বলেন, তখন দুর্যোগ মন্ত্রণালয় রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল, বিধায় আইনগতভাবে নির্দেশিত হয়ে বিদ্যুৎ বিল দিয়ে আসছে।

তিনি বলেন, মিরপুর ও মোহাম্মদপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যে জমি রয়েছে সেগুলোর নাম জারি ও খাজনাপত্র ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বিহারিরা যেহেতু নাগরিকত্ব পেয়েছে, এ জমির উপর কমার্শিয়াল এন্টারপ্রাইজ করে উপার্জন করছে তাই তাদেরকে আর শরণার্থী বিবেচনা করা হচ্ছে না। এসব বিবেচনায় আর বিদ্যুৎ বিল না দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ চাচ্ছে আমরা বিদ্যুৎ বিল দিয়ে দেই। এই বিষয়টি কেবিনেটের আন্তঃমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কমিটিতে নেওয়া হয়েছে। আগামী মাসে মিটিং হবে এবং সে মিটিং-এ সিদ্ধান্ত হবে যে বিদ্যুৎ বিল অবলোপন হবে নাকি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দিবে।

সংসদীয় কমিটির সভাপতি বলেন, রিফিউজি হিসেবে যখন তাদেরকে থাকতে দেওয়া হয়েছিল সেখানে এমন কোনো শর্ত ছিল কি না যে জীবিকার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহার করে লেদ মেশিনসহ অন্য কোন ইন্ডাস্ট্রি তারা করতে পারবে? যদি তারা বিনা অনুমতিতে এসব ইন্ডাস্ট্রি চালায় সেক্ষেত্রে তাদেরকে পেনাল্টি করা উচিত বলে মত দেন তিনি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ৮১টি ক্যাম্প আছে । এর মধ্যে ছিল ঢাকার মিরপুর (২৫টি) ও মোহাম্মদপুর (৬টি)। মোহাম্মদপুরের ৬টি ক্যাম্প হলো জেনেভা ক্যাম্প, টাউন হল ক্যাম্প, সিআরও ক্যাম্প, মার্কেট ক্যাম্প, কমিউনিটি সেন্টার ক্যাম্প এবং স্টাফ কোয়ার্টার ক্যাম্প। এ ছাড়া সৈয়দপুরে বিহারিদের সবচেয়ে বেশি বসবাস। ২০০৩ সালের জরিপ অনুযায়ী প্রায় ২ লক্ষ ৭৫ হাজার উর্দুভাষী বাংলাদেশের ৮১টি ক্যাম্পে বসবাস করছে।

এসএম/এমএমএ

Header Ad
Header Ad

কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে দেশে কিছু লোডশেডিং চালু রাখার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, কিছু লোডশেডিং না দিলে ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে যাবে। তবে লোডশেডিং যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সে চেষ্টা করা হবে। তিনি জানান, শহর ও গ্রামে সমানভাবে লোডশেডিং কার্যকর করা হবে।

সচিবালয়ে গ্রিড বিপর্যয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে দেশে সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গরমের কারণে আগামী দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তখন চাহিদা মেটাতে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে। তিনি আরও বলেন, যে হারে এসি স্থাপন করা হচ্ছে, সে হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়নি। অনেকে অকারণে লাইট, ফ্যান ও এসি চালু রাখায় বিদ্যুৎচাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল ও খুলনায় ২৬ এপ্রিল যে গ্রিড বিপর্যয় ঘটে, তার তদন্তে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে বুয়েটের উপ-উপাচার্য আবদুল হাসিব চৌধুরীকে। কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ, দায়ী ব্যক্তিদের ভূমিকা ও ভবিষ্যতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সুপারিশ করবে।

মেট্রোরেল এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকার কারণও তদন্তে নেওয়া হয়েছে। বুয়েটের অধ্যাপক শামসুল হককে প্রধান করে একটি আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেল বন্ধ থাকার মূল কারণ ছিল বিদ্যুৎ সংকট।

এ সময় মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, দেশে গ্যাসের উৎপাদন কমে যাচ্ছে এবং এলএনজি আমদানির আর্থিক সামর্থ্যও কমে গেছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

পিজিসিবি ও পিডিবি জানায়, আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ সার্কিট লাইনের ৪০০ কিলোভোল্টের দুটি তার কাছাকাছি আসায় শর্ট সার্কিট হয় এবং সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর ফলে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৫টি জেলা—খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী—প্রায় ১৫ মিনিট থেকে ৯৬ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। তবে সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে এবং রাত সাড়ে আটটার পর পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।

Header Ad
Header Ad

গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের পূবাইলের হায়দরাবাদ এলাকায় একাধিক শিশু-কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মসজিদের ইমাম গণপিটুনির শিকার হয়ে পরে কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত ইমামের নাম রহিজ উদ্দিন (৩৫), তিনি চাঁদপুর জেলার মতলব থানার বাদশা মিয়ার ছেলে এবং হায়দরাবাদ আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় এক কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগ ওঠে রহিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এতে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে, এমনকি তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং নির্যাতিত এক কিশোরের বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।

পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। একই রাতের (২৭ এপ্রিল) দিবাগত ৩টার দিকে রহিজ উদ্দিন কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা কারাগারের জেল সুপার রফিকুল কাদের জানান, মৃত ইমামের শরীরে গণপিটুনির চিহ্ন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হওয়ার ফলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মৃত্যুবরণ করেন।

পূবাইল থানার ওসি এসএম আমিরুল ইসলাম বলেন, রহিজ উদ্দিন স্থানীয় স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেদের নিজের থাকার কক্ষে এনে কম্পিউটার গেমস ও মোবাইল গেম খেলার সুযোগ দিতেন এবং কোমল পানীয় খাওয়াতেন। ওই পানীয় সেবনের পর অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাদের বলৎকার করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক কলেজছাত্রের কাছ থেকে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে তাকে গণধোলাই দেয়।

Header Ad
Header Ad

ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ও গেজেট প্রকাশের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ঢাকার দুই বাসিন্দা এই নোটিশ পাঠান, যাতে ইশরাকের নামে গেজেট প্রকাশ ও শপথ অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানানো হয়েছে।

নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই দুই বাসিন্দার পক্ষে আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান। তিনি জানান, গত ২৭ এপ্রিল (রোববার) এ নোটিশ পাঠানো হয়। তবে একই রাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে সংশোধিত গেজেট প্রকাশ করে। ফলে এখন পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ কী হবে, তা নোটিশদাতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে, গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে তৎকালীন বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করেন। ওই নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল।

নোটিশের পক্ষের দাবি:

- ট্রাইব্যুনাল যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া না মেনে দ্রুত রায় দিয়েছে।

- নির্বাচন কমিশন এ রায় চ্যালেঞ্জ করেনি, বরং গেজেট প্রকাশ করেছে।

- আইন উপদেষ্টার মতামতের জন্য অপেক্ষা না করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের আদেশে কার্যকারিতা নেই, কারণ মেয়রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং পদটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে ইতোমধ্যে শূন্য ঘোষণা করা হয়েছিল।

এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এবং ইশরাক হোসেন বরাবর।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন