সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কিডনি ও লিভার কেনাবেচার বড় হাট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

প্রতীকী ছবি

‘এ প্লাস লিভার ডোনার লাগবে, আর্জেন্ট কাজ হবে।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘কিডনি নেটওয়ার্ক’ নামে একটি পেজ থেকে এরকম একটি পোস্ট দেওয়া হয় গত শুক্রবার (২৯ জুলাই)।

‘এ পজেটিভ লিভার ডোনার দরকার আর্জেন্ট পাসপোর্ট থাকতে হবে। ওজন ৭০ কেজি হতে হবে। ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।’ এই পোস্টটিও শুক্রবার ফেসবুক পেজে দিয়েছে ‘উত্তরবঙ্গ কিডনী রোগী হেল্প সেন্টার’।

‘কিডনি ডোনার ও ট্রান্সপ্লান্ট পেসেন্ট’ নামে আরেকটি ফেসবুক পেজ থেকে শুক্রবার দেওয়া পোস্টে উল্লেখ করা হয় লিভার ডোনেট করতে চাই। ব্লাড গ্রুপ- ও পজিটিভ।

এভাবেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পরে ইনবক্সে ও মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে কিডনি ও লিভার দাতাদের আকৃষ্ট করে কাছে টানা হয়। তারপর দর কষাকষির মাধ্যমে কিডনি ও লিভার ক্রয় বিক্রয় হয়। এতে অভাবের তাড়নায় যিনি কিডনি বা লিভার দিলেন তিনি আর্থিকভাবে খুব একটা উপকৃত না হলেও দাতাকে বিক্রি করে চক্রের সদস্যরা গ্রহীতার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপরের তিনটি পেজ থেকেই কিডনি, লিভার কেনাবেচা হয়। এরকম অন্তত শতাধিক পেজ রয়েছে যেগুলোতে কিডনি কেনাবেচা হয়। আগে কিডনি ও লিভার কেনাবেচার জন্য একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র দেশের উত্তরাঞ্চলের জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন জেলার দরিদ্রপীড়িত এলাকার মানুষকে টার্গেট করে মাঠে কাজ করত। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। মাঠে গিয়ে কিডনি ও লিভার কেনাবেচার তৎপরতা না চালিয়ে সংঘবদ্ধ চক্র কৌশলে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করছে।

এর প্রমাণও পাওয়া যায় সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায়। সম্প্রতি পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সক্রিয় কিডনি ও লিভার বিক্রি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তাদের গ্রেপ্তারের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কিডনি ও লিভার কেনার নিরাপদ হাট হিসেবে ব্যবহার করছে বেশ কয়েকটি চক্র। কিডনি ক্রেতা ও বিক্রেতারা এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে দামাদামিও করছে।

অন্যদিকে প্রলোভনে পড়ে অতীতে যারা কিডনি বিক্রি করেছিলেন, তাদের অনেকেই এখন কিডনি বিক্রির দালালে পরিণত হয়েছেন। তারা নিজেদের কিডনি বিক্রি করে টাকার জন্য অন্যদেরও বিক্রি করতে উৎসাহিত করছে। নিজেরাই প্রতারকদের দালাল হিসেবে কাজ করছে।

গোয়েন্দা কর্তকর্তারা বলছেন, বর্তমান অনলাইনে কিডনি কেনাকাটার বাজার সক্রিয়। এ চক্রের সদস্যরা ধরা পড়লেও জামিনে বের হয়ে আবারও নতুন করে বড় পরিসরে একই অপরাধে যুক্ত হয়। অনেকে কাজ না পেয়ে কিডনি কেনাবেচায় বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিডনি কেনাবেচার সংঘবদ্ধ চক্রের ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

তাদের গ্রেপ্তারের পর র‍্যাব বলছে, দালালচক্র দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনলাইনে কিডনি কেনাকাটা করছে। যাদের কিডনির দরকার তারা বিক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং নিম্ন আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি এর শিকার হচ্ছে। যাদের টাকার দরকার তারা ফোন নম্বর নিয়ে যোগাযোগ করে টাকার বিনিময়ে কিডনি বিক্রি করে দিচ্ছেন। তবে বিক্রেতারাও অনলাইনে কিডনি বিক্রি করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছে।

র‍্যাব জানায়, যারা অনলাইনে কিডনি কেনাবেচা করছে তারা নিম্ন আয়ের মানুষকে একটা কিডনি বিক্রির জন্য ৪-৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে সেই টাকা দেয় না। একটি কিডনির জন্য প্রথমে ২ লাখ টাকা দিয়ে বাকি টাকা পরে দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু পরবর্তীতে বাকি টাকা চাইলে কিডনি বিক্রেতাদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায় প্রতারক চক্রের সদস্যরা।

গোয়েন্দারা বলছে, অনলাইনে কিডনি কেনাবেচার প্রায় শতাধিক প্ল্যাটফর্মকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সামাাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা কিডনি কেনাবেচার বেশ কিছু পেজ দেশের বাইরে থেকে তদারকি করে প্রতারকরা। দেশে যেসব প্ল্যাটফর্ম আছে বা যা চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমিন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কিডনি কেনাবেচা বন্ধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় কিডনির ব্যবসা বড় পরিসরে চলছে।

তিনি বলেন, দেশের নিম্ন আয়ের মানুষ অনেকে টাকার অভাবে কিডনি বিক্রি করছে। প্রতারকরা এদের কিডনি নিয়ে বিভিন্ন ভাবে প্রতারণা করছে। এসব প্রতারকরা ভারতের যেকোনো হাসপাতালের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখে দীর্ঘদিন ধরে এসব অপরাধ করে আসছে। এ চক্রটি একটি কিডনির জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে ২০-২৫ লাখ টাকা নিয়ে থাকেন।

র‍্যাব সূত্র জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবৈধভাবে কিডনি কেনাবেচার সংঘবদ্ধ বড় একটি চক্রের প্রধান মো. শহিদুল ইসলাম মিঠুকে সম্প্রতি গ্রেপ্তারের পর প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তিনি এর আগেও গ্রেপ্তার হন। সিআইডি তাকে গ্রেপ্তার করে। কারাগার থেকে বের হয়ে আবারও বড় পরিসরে তিনি একই কাজ করে যাচ্ছেন। এ কাজে একটু ঝুঁকি থাকলেও অতিরিক্ত টাকা রয়েছে। শহিদুল মিঠুর এ চক্রটি অনেক দিন ধরে ফেসবুকে অবৈধভাবে কিডনি কেনাবেচা করত। তারা প্রায় শতাধিক কিডনি বেচাকেনা করেছে। এ চক্রটি একটি কিডনি বিক্রির জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নিত। কিন্তু তারা কিডনি দাতাকে দিত মাত্র ২ লাখ টাকা। গরিব ও অসহায় মানুষ চিহ্নিত করে একটি টার্গেট নিয়ে এ অপরাধ করত তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব মানুষকে চিহ্নিত করে তাদের অর্থের বিনিময়ে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশনের জন্য ডোনার হতে প্রলুব্ধ করা হয়। এরপর ডোনারকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাঠিয়ে মূলত সেখানেই কিডনি নিয়ে থাকে চক্রটি।

তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি সারা দেশে বেশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে কিডনি কেনাবেচা করা হচ্ছে। এসব অপরাধ দমনে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করেছি।

খন্দকার মঈন আরও বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কিছু চক্রের সদস্যদের আমরা আইনের আওতায় এনেছি, বাকিদের ধরতে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।

কিডনি বিক্রির এমন চক্রের খপ্পরে পড়ে প্রতারণার শিকার জয়পুরহাটের আব্দুল মান্নান বলেন, আমি অভাবের তাড়নায় একটি কিডনি বিক্রি করি। একটি কিডনির বিক্রির জন্য আমাকে ৪ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ চক্রের সদস্যরা প্রথমে আমাকে ২ লাখ টাকা দেয়। এরপর আমি বাকি টাকা চাইলে বলে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিবে।

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কুড়িগ্রাম এলাকার একজনের (প্রতিনিধি) সঙ্গে যোগাযোগ করে কিডনি বিক্রি করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন মো. তাজুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রতিটা কিডনি বাবদ তারা আমাদের ৪-৫ লাখ টাকা দিতে চেয়েছে। আমি অভাবের তাড়নায় নিজেও একটি কিডনি বিক্রি করে দিয়েছি। পরে আরও ৪টা কিডনির ডোনারের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কিন্তু সঠিক মতো কোনো কিডনি বিক্রির টাকা পাইনি বরং প্রতারিত হয়েছি। এর পরে আমি এ বিষয়টি র‍্যাবকে জানায়।

একাধিক গোয়েন্দা সূত্র জানায়, অনলাইনে কিডনি ক্রয়-বিক্রয় করতে গিয়ে পাশের দেশ ভারতে প্রায় ৫০ জনের বেশি বাংলাদেশি আটক রয়েছে এবং আমাদের দেশেও এ চক্রের অন্যতম প্রধান আসামিসহ প্রায় ৩০-৪০ জন সদস্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে ধরা পড়ে। অনেকে কারাগারে, আবার অনেকে জামিনে রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার (সিআইডি) পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বেশ কিছু কিডনি বেচাকেনা চক্রের সদস্য ধরা পড়েছে। বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে সিআইডি কাজ করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, মানুষ এখন চাইলেই সবকিছু অনলাইনে পেয়ে যাচ্ছে। এ জন্য কেউ কেউ অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কোনটা অপরাধ আর কোনটা বৈধ ব্যবসা অনেকেই সেটা ভাবছেন না। তারা ভাবছেন কীভাবে মোটা অংকের টাকা রোজগার করা যায়। সেটা বৈধ হোক বা অবৈধ।

তিনি আরও বলেন, অনলাইনে কিডনি কেনাবেচা বা এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে এসব অপরাধ দমনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একটু সজাগ থাকতে হবে। তাহলেই এসব অপরাধ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

এনএচইবি/এসজি/

Header Ad
Header Ad

কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে দেশে কিছু লোডশেডিং চালু রাখার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, কিছু লোডশেডিং না দিলে ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে যাবে। তবে লোডশেডিং যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সে চেষ্টা করা হবে। তিনি জানান, শহর ও গ্রামে সমানভাবে লোডশেডিং কার্যকর করা হবে।

সচিবালয়ে গ্রিড বিপর্যয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে দেশে সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গরমের কারণে আগামী দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তখন চাহিদা মেটাতে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে। তিনি আরও বলেন, যে হারে এসি স্থাপন করা হচ্ছে, সে হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়নি। অনেকে অকারণে লাইট, ফ্যান ও এসি চালু রাখায় বিদ্যুৎচাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল ও খুলনায় ২৬ এপ্রিল যে গ্রিড বিপর্যয় ঘটে, তার তদন্তে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে বুয়েটের উপ-উপাচার্য আবদুল হাসিব চৌধুরীকে। কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ, দায়ী ব্যক্তিদের ভূমিকা ও ভবিষ্যতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সুপারিশ করবে।

মেট্রোরেল এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকার কারণও তদন্তে নেওয়া হয়েছে। বুয়েটের অধ্যাপক শামসুল হককে প্রধান করে একটি আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেল বন্ধ থাকার মূল কারণ ছিল বিদ্যুৎ সংকট।

এ সময় মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, দেশে গ্যাসের উৎপাদন কমে যাচ্ছে এবং এলএনজি আমদানির আর্থিক সামর্থ্যও কমে গেছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

পিজিসিবি ও পিডিবি জানায়, আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ সার্কিট লাইনের ৪০০ কিলোভোল্টের দুটি তার কাছাকাছি আসায় শর্ট সার্কিট হয় এবং সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর ফলে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৫টি জেলা—খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী—প্রায় ১৫ মিনিট থেকে ৯৬ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। তবে সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে এবং রাত সাড়ে আটটার পর পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।

Header Ad
Header Ad

গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের পূবাইলের হায়দরাবাদ এলাকায় একাধিক শিশু-কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মসজিদের ইমাম গণপিটুনির শিকার হয়ে পরে কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত ইমামের নাম রহিজ উদ্দিন (৩৫), তিনি চাঁদপুর জেলার মতলব থানার বাদশা মিয়ার ছেলে এবং হায়দরাবাদ আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় এক কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগ ওঠে রহিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এতে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে, এমনকি তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং নির্যাতিত এক কিশোরের বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।

পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। একই রাতের (২৭ এপ্রিল) দিবাগত ৩টার দিকে রহিজ উদ্দিন কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা কারাগারের জেল সুপার রফিকুল কাদের জানান, মৃত ইমামের শরীরে গণপিটুনির চিহ্ন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হওয়ার ফলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মৃত্যুবরণ করেন।

পূবাইল থানার ওসি এসএম আমিরুল ইসলাম বলেন, রহিজ উদ্দিন স্থানীয় স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেদের নিজের থাকার কক্ষে এনে কম্পিউটার গেমস ও মোবাইল গেম খেলার সুযোগ দিতেন এবং কোমল পানীয় খাওয়াতেন। ওই পানীয় সেবনের পর অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাদের বলৎকার করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক কলেজছাত্রের কাছ থেকে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে তাকে গণধোলাই দেয়।

Header Ad
Header Ad

ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ও গেজেট প্রকাশের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ঢাকার দুই বাসিন্দা এই নোটিশ পাঠান, যাতে ইশরাকের নামে গেজেট প্রকাশ ও শপথ অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানানো হয়েছে।

নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই দুই বাসিন্দার পক্ষে আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান। তিনি জানান, গত ২৭ এপ্রিল (রোববার) এ নোটিশ পাঠানো হয়। তবে একই রাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে সংশোধিত গেজেট প্রকাশ করে। ফলে এখন পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ কী হবে, তা নোটিশদাতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে, গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে তৎকালীন বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করেন। ওই নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল।

নোটিশের পক্ষের দাবি:

- ট্রাইব্যুনাল যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া না মেনে দ্রুত রায় দিয়েছে।

- নির্বাচন কমিশন এ রায় চ্যালেঞ্জ করেনি, বরং গেজেট প্রকাশ করেছে।

- আইন উপদেষ্টার মতামতের জন্য অপেক্ষা না করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের আদেশে কার্যকারিতা নেই, কারণ মেয়রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং পদটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে ইতোমধ্যে শূন্য ঘোষণা করা হয়েছিল।

এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এবং ইশরাক হোসেন বরাবর।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন