শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নির্বাচনের প্রস্তুতি আছে, আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি: রিজভী

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে তিনি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে মনোনীত হন। এ ছাড়াও তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে (চলতি দায়িত্ব) দায়িত্ব পালন করছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল ও ইতিহাস এ দুই বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন রিজভী। বামপন্হী ছাত্রসংগঠন ‘বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন’র মাধ্যমে ছাত্র রাজীতিতে প্রবেশ করেন। ছিলেন সংগঠনটির রাজশাহী সরকারি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক।পরবর্তীতে তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগদান করেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পান ও পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করা রিজভী ১৯৮৯ সালের সর্বশেষ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন। বর্তমানে রাজনীতির মাঠে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে তিনি নতুন নতুন শব্দমালার কারিগর।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকার দেন বিএনপির এ প্রভাবশালী নেতা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ-এর স্টাফ রিপোর্টার মোক্তাদির হোসেন প্রান্তিক।

ঢাকাপ্রকাশ: দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

রুহুল কবির রিজভী: ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমার মূল্যায়ন হচ্ছে, এখন চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি, আর্থিক খাত ধসে গেছে, আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে- যেখানে মায়ের পেট ফেটে বাচ্চা বের হয়, মায়ের কোলে শিশুর মাথা পুলিশের গুলিতে ছিন্ন ভিন্ন হয়।

এসব ঘটনায় বোঝা যায় দেশের পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে? আর্থিক খাতের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি গোটা জাতিকে ভয়াবহভাবে ঋণগ্রস্ত করেছে। এ ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ সব চলে যাবে। প্রতিটি শিশুকে ঋণী করেছে এ সরকার। অন্যান্য খাত যেমন শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য খাত- এগুলো তো আগেই ধসে গেছে। সুতরাং আমি মনে করি সার্বিকভাবে দেশের পরিস্থিতি নৈরাজ্যকর ও অন্ধকারময়।’

ঢাকাপ্রকাশ: দল পুনর্গঠন কোন পর্যায়ে? পরবর্তী কাউন্সিল হচ্ছে না কেন?

রুহুল কবির রিজভী: ‘দলের পুনর্গঠন বেশ জোরেসোরেই চলছে। সাংগঠনিক কার্যক্রম বছরব্যাপী চলে। যেখানে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে সেখানে নতুন করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হচ্ছে। গঠিত আহ্বায়ক কমিটিগুলো আবার নতুন করে উপজেলা কমিটি দিচ্ছে, ওয়ার্ড পর্যায়েও কাউন্সিল হচ্ছে। কাউন্সিলের মাধ্যমে থানা থেকে জেলা পর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যেসব কমিটির মেয়াদ দুই বছর-তিন বছর অতিবাহিত হয়নি সেই কমিটি আছে। আর যেখানে সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে সেখানে কমিটি পুনর্গঠন করা হচ্ছে। তবে জাতীয় কাউন্সিল করার বিষয়ে দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’

ঢাকাপ্রকাশ: নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির সুনির্দিষ্ট দাবিগুলো কী?

রুহুল কবির রিজভী: ‘নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির দাবি একটাই শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। সংবিধানে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা আবার সন্নিহিত করতে হবে। সেই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসবে তারা সরকার গঠন করবে, দেশ পরিচালনা করবে।

কিন্তু শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হবে না- সেটার প্রমাণ তিনি নিজেই দিয়েছেন। উনার দুই নির্বাচন সম্পর্কে একটাকে বলা হয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচন আরেকটা হচ্ছে নিশিরাতের নির্বাচন। যার মাধ্যমে তিনি দেশে-বিদেশে এ খ্যাতি পেয়েছেন। তাই তার অধীনে নির্বাচনের কোনো যৌক্তিকতা নেই বরং সেই নির্বাচন হবে জনগণকে প্রতারণা করার আরেকটা ধাপ্পাবাজির নির্বাচন।

ঢাকাপ্রকাশ: ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের পক্ষ থেকে আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিএনপির অবস্থান কোন পথে?


রুহুল কবির রিজভী: আমরা নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচনে যাব না। এ ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান সুস্পষ্ট।

ঢাকাপ্রকাশ: যদি নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয় সেক্ষেত্রে বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি কেমন হবে? যদি জনগণের ভোটে জয়লাভ করে ক্ষমতায় যায় তাহলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন?


রুহুল কবির রিজভী: আমাদের যেকোনো মুহূর্তেই নির্বাচনের প্রস্তুতি আছে। আন্দোলনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে আমাদের একটাই প্রস্তুতি নিতে হবে সেটা হচ্ছে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা। সেই প্রস্তুতিই নিতে শুরু করেছি। আর প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সিরিয়াল আছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হবেন, তারপর তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন।

ঢাকাপ্রকাশ: অতীতে একাধিকবার আন্দোলন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। এবার আন্দোলন সফল করতে বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন কী?

রুহুল কবির রিজভী: আমরা প্রতিনিয়ত আন্দোলনে আছি, আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। জনদাবির উপর ভিত্তি করে কর্মসূচি দিচ্ছি এবং এটাই এক সময় সর্বোচ্চ চূড়ায় অবস্থান নেবে।

ঢাকাপ্রকাশ: দলীয় কর্মসূচির বাইরে বিএনপি জনসম্পৃক্ত ইস্যুতে মাঠে সক্রিয় থাকে না বলে রাজনীতিতে অভিযোগ রয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে জনগণ কী আপনাদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে আসবে বলে আপনি মনে করছেন?

রুহুল কবির রিজভী: কথার কথা অভিযোগ কেউ করেন, এগুলো অবান্তর কথা। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। যদি তাই হয় তাহলে লোডশেডিংয়ের উপর তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি কেন নেওয়া হলো? এটা তো জনদাবির উপর ভিত্তি করে কর্মসূচি। বিএনপি গণভিত্তিক রাজনৈতিক দল, বিপুল জনসমর্থন। আর এ কারণেই আজ সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দেয় না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় যে নির্বাচনে কোনো সরকারের হস্তক্ষেপ থাকবে না তা দিতে ভয় পায় কেন? ভয় পায় এজন্য যে, শেখ হাসিনা জানে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে জনগণের যে ঢেউ হবে...জানে বলেই দিতে চাচ্ছেন না।

ঢাকাপ্রকাশ: রাজনীতির মাঠে আলোচনায় প্রায়ই উঠে আসে বিএনপিতে নেতৃত্ব সংকট, আসলেই কি বিএনপিতে নেতৃত্বের সংকট আছে বলে মনে করছেন?

রুহুল কবির রিজভী: বিএনপির নেতৃত্বে কোনো সংকট নেই। যৌথ নেতৃত্বে বিএনপি চলছে। বিএনপির নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার নেতৃত্বে ও নির্দেশে দল পরিচালিত হচ্ছে।

ঢাকাপ্রকাশ: বেশকয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে আসা বিএনপি ঢাকায় আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে, এ অবস্থা থেকে উত্তোরণে বিএনপির হাইকমান্ডের মনোভাব কী?

রুহুল কবির রিজভী: আন্দোলন গড়ে তুলতে যা করার তাই করবে বিএনপি। তবে বিএনপির তো র‌্যাব পুলিশ নেই, আওয়ামী লীগের র‌্যাব পুলিশ আছে। সরকারের সশস্ত্রবাহিনীর সঙ্গে তো খালি হাতে লড়াই করা যায় না। এখানে সংগ্রাম হয়েছে, তা না হলে আন্দোলন শুরু হলে দলের মহাসচিব, স্থায়ী কমিটি থেকে শুরু করে সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়? রিমান্ডের পর রিমান্ডে রাখে। এসব অবস্থা দেখে সরকারের আন্দোলনকে দমন করার মাত্রাটা বুঝা যায়। তাই দমনের মাত্রা নিয়েই কথা বলতে হবে। বিএনপি পারে কি পারে না সেটা পরের ব্যাপার। পারে বলেই তো সরকারের দমনের মাত্রা বিবেচ্য।

ঢাকাপ্রকাশ: ঢাকাপ্রকাশ-কে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

রুহুল কবির রিজভী: ঢাকাপ্রকাশ পরিবার ও আপনাকে ধন্যবাদ।

এনএইচবি/এসএন 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত