শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিদায়ী অর্থবছরে রেকর্ড ঋণ ও অনুদান পেয়েছে বাংলাদেশ

বিদায়ী অর্থবছরে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগিদের কাছ থেকে আগের বছরের চেয়ে ২০৫ কোটি ডলারেরও বেশি ঋণ নিয়েছে। করোনার ধকল সামলাতে ও উন্নয়ন ব্যয় মেটাতে বাজেট সাপোর্টের জন্য সরকার এই ঋণ নিয়েছিল। যা এক বছরের ব্যবধানে ২৫ শতাংশের বেশি। একই সঙ্গে সরকার ঋণ পরিশোধও করেছে সাত শতাংশের বেশি। আর উন্নয়ন সহযোগিদের প্রতিশ্রুতির পরিমান কমেছে ১৫ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা মোকাবেলা করতে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে বিভিন্ন দেশ ও উন্নয়ন সংস্থা অল্প সময়ে বেশি ঋণ দিয়েছে। কিন্তু চলতি অর্থবছরে তেমনটা হবে না। অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইআরডির প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, বিদায়ী অর্থবছরে (২০২১-২২) বিভিন্ন বিদেশি উন্নয়ন সহযোগিরা বাংলাদেশকে ঋণ ও অনুদান দিয়েছে এক হাজার কোটি ডলারের বেশি। এরমধ্যে অনুদান (যা পরিশোধ করতে হবে না) ১৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার এবং ঋণ হচ্ছে ৯৮১ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরে তারা ঋণ ও অনুদান দিয়েছিলো ৭৯৫ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। এরমধ্যে অনুদান ৫০ কোটি ৮৮ লাখ ডলার ও ঋণ ৭৪৪ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ ঋণ বেশি পেয়েছে ২০৫ কোটি ডলারের বেশি বা ২৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

বিদায়ী অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছে এডিবি ২৬৫ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। এরপর জাইকা ২২০ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিশ্বব্যাংকের আওতায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা(আইডিএ) ১৬৬ কোটি ৭৫ লাখ। এরপর এআইআইবি দিয়েছে ২৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। এছাড়া রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থাও বাংলাদেশকে ঋণ দিয়েছে। বিদায়ী অর্থবছরে ভারত ও রাশিয়া কোনো ধরণের প্রতিশ্রুতি না দিলেও দেশ দুটি বাংলাদেশকে ৩২ কোটি ৪১ লাখ ও ১২২ কোটি ৪৫ লাখ ডলার ঋণ দিয়েছে। আর এআইআইবি নতুন হলেও বাজেট সাপোর্ট, কোভিট সাপোর্টসহ অন্যান্য ১৬টি প্রকল্প বাস্তবায়নে ঋণ দিয়েছে ২৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।

স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে জাপান (জাইকা), চীন, বিশ্বব্যাংক, রাশিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এ পর্যন্ত ঋণ ও অনুদান দিয়েছে ১১ হাজার ১৩৭ কোটি ডলার।

প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, বিদায়ী অর্থবছরে (২০২১-২২) ঋণ পরিশোধ করেছে ২০১ কোটি ৪১ লাখ ডলার। এরমধ্যে আসল ১৫২ কোটি ৪৯ লাখ ডলার ও সুদ ৪৮ কোটি ৯২ লাখ ডলার। যা আগের বছরে পরিশোধ করা হয়েছিলো ১৯১ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। এরমধ্যে আসল ১৪১ কোটি ৮৬ লাখ ডলার ও সুদ ৪৯ কোটি ৬১ লাখ ডলার।

এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ ১১৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বা সাত শতাংশের বেশি ঋণ পরিশোধ করেছে।

ইআরডি আরও জানায়, বিদায়ী অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগিরা বাংলাদেশকে ৮২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এরমধ্যে অনুদান ৩৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার ও ঋণ ৭৮২ কোটি ৭১ লাখ ডলার। তারা আগের অর্থবছরে ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো ৯৪৪ কোটি ২৩ লাখ ডলার। এরমধ্যে অনুদান ৭০ কোটি ও ঋণ ৮৭৪ কোটি ১৭ লাখ ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগিরা ঋণ ও অনুদানের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার চেয়ে ১২৩ কোটি ৭৩ লাখ ডলার বা ১৫ শতাংশ কম দিয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৯৪৪ কোটি ৩৮ লাখ ডলার সহযোগিতা ও ঋণ দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগিরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদায়ী অর্থবছর করোনাকালিন হওয়ায় অনেকে দ্রুত ঋণের ব্যবস্থা করেছে। কেউ বা অনুদানও দিয়েছে দ্রুত। সুনাম ধরে রাখতে তাই বাংলাদেশও তাদের ঋণ পরিশোধ ভালোভাবে করেছে। এটা ভালো দিক। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে সামনে বাংলাদেশকেও কঠির অবস্থা মোকাবেলা করতে হতে পারে। তাই সামনের দিনগুলোতে বড় বড় ঋণের দায় বেশি করে পরিশোধ করতে হবে। তখন হয়ত একটু সমস্যা হবে।

বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধ পরিস্থিতির ব্যাপারে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন,‘ কোভিডের কারণেই বিদায়ী অর্থবছরে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনের জন্য বেশি করে দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা ঋণ দিয়েছে। কেউ বা অনুদানও দিয়েছে। এ জন্য ঋণ বিতরণ (ডিসবার্সমেন্ট) বেড়েছে। তবে সম্প্রতি সময়ে কোভিডের তেমন প্রভাব নেই। তাই চলতি অর্থবছরে ঋণ কমবে। তবে প্রকল্পের বাস্তবায়ন বেশি হলে তা বাড়তে পারে।

তিনি আরও বলেন,‘ বাংলাদেশ ঋণ বেশি করে পরিশোধ করেছে। এটা ভালো দিক। কিন্তু বিশ্বমন্দা যেভাবে চলছে তার ধাক্কা বাংলাদেশেও লাগতে পারে। অপরদিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট লাইন-১, ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট লাইন-৫, লাইন-৬, মাতাবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ প্রজেক্ট, পদ্মা ব্রিজ রেল সংযোগ, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, যমুনা নদীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে ব্রিজ প্রকল্প, কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। আবার ঋণ যেহেতু বাড়ছে তা পরিশোধের পরিমানও বাড়াতে হবে।’

নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সিপিডি’র সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের ২০টি মেগা প্রকল্পের বৈদেশিক অর্থায়ন সাশ্রয়ীভাবে হয়েছে, এটা বড় সন্তোষের জায়গা। তবে এসব মেগা প্রকল্পের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসবে ২০২৪ ও ২০২৬ সালে। এসব প্রকল্পে ৪৫টি ঋণ প্যাকেজের মধ্যে ৫টি অনুদান, ৩৩টি সাশ্রয়ী ঋণ প্যাকেজ, আধা-সাশ্রয়ী ২টি ও বাণিজ্যিকভাবে নিতে হয়েছে ৫টি ঋণ প্যাকেজ। যা চীন থেকে এসেছে। বৈদেশিক এই দায়-দেনা ১৭ শতাংশের নিচে রয়েছে।

এনএইচবি/এএস

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত