মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শিক্ষার মান উন্নয়নে এমপি ওমর ফারুকের অর্জন ‘সন্তোষজনক’!

একটি বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে চড়থাপ্পড়, কিল–ঘুষি মেরেছেন বলে অভিযোগ ওঠে রাজশাহী-১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় অসেন্তাষ, উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনও হয়েছে।

রবিবার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকাপ্রাকশ-এর এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘যদি কোনো সংসদ সদস্য এ ধরনের কোনো কাজে যুক্ত থাকেন সেক্ষেত্রে সেই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আমরা মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না। যেটা আমরা করতে পারি সেটা হল, স্পিকারের শরণাপন্ন হতে পারি এবং তার কাছে অভিযোগ উত্থাপন করে আমরা এটির একটি সমাধান চাইতে পারি। তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনে সেই পথ অনুসরণ করব।’

এদিকে সংসদ সদস্য ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ উঠার পর তার বিরুদ্ধে নিজ সংসদীয় এলাকায় এবং সামাজিক মাধ্যমে সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আসছে নানা অভিযোগ-অসন্তোষ।

এ পরিস্থিতিতে ঢাকাপ্রকাশ চেষ্টা করেছে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর হলফনামা ঘেটে তার সম্পর্কে জানার।

হলফনামায় এই সংসদ সদস্য দাবি করেছেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে তার অর্জন ‘সন্তোষজনক’। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি নির্বাচন দপ্তরে জমা দেওয়া হলফনামায় এই দাবি করেন।

হলফনামায় ওমর ফারুক চৌধুরী উল্লেখ করেন, ‘আমি ইতিপূর্বে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইয়া ছিলাম। নির্বাচনের পূর্বে আমার দ্বারা ভোটারদেরকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি এবং উহার কী পরিমাণ অর্জন সম্ভব হইয়াছিল তাহার বিবরণ’ ভূমিকা লেখা কলামে ২ নম্বর ক্রমিকে ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শিক্ষার মান উন্নয়ন’-এ অর্জন বিষয়ে লেখা আছে ‘সন্তোষজনক’।

এ ছাড়া ‘রাস্তা, ব্রীজ কালভার্ট উন্নয়ন’, বেকার যুবক/যুবতীদের কর্মসংস্থান’ এবং ’স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন’ বিষয়ে অর্জনের ঘরগুলোতেও লেখা আছে ‘সন্তোষজনক’।

হলফনামায় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করা আছে ‘এলএলবি (সম্মান)’। হলফনামা দেওয়ার সময় তিনি কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন না বলেও উল্লেখ করা আছে। তবে বিশেষ ক্ষমতা আইন/১৯৭৪ এর ২৫(গ) এর ১(খ) ধারায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছিল। ওই মামলার অভিযোগ থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন হলফনামায়।

হলফনামায় তার পেশার বিবরণে লেখা আছে ‘রাজনীতি, সমাজ সেবা, ব্যবসা’। তার এবং তার উপর নির্ভরশীলদের বাৎসরিক আয়ের উৎস সম্পর্কে হলফনামায় লেখা হয়েছে, নিজের আয়’ কৃষি খাত (নীট আয়) তিন লাখ, ‘বাড়ি/এপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া’ ৪২ লাখ টাকা। ব্যবসা ‘২টি ট্রাকের অনুমিত আয় দেড় লাখ টাকা’। সংসদ সদস্য হিসেবে পারিতোষিক ছয় লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ভাতাদি ১৭ লাখ ১০ হাজার ৩১৭ টাকা।

আর সংসদ সদস্যের স্ত্রীর বাৎসরিক আয় উল্লেখ করা হয়েছে তিন লাখ ৪০ হাজার টাকা। এ ছাড়া হলফনামায় তিনি তার অস্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির বিষয়সহ আরও অনেক বিষয় উল্লেখ করেছেন।

কিন্তু তার এই হলফনামায় উল্লেখিত শিক্ষার মান উন্নয়নে তার অর্জন ‘সন্তোষজনক’ কথাটা নিয়েই নানা মহলে কৌতুহল। শিক্ষানুরাগীরা বলছেন, যদি তাই হবে তাহলে তো তিনি শিক্ষকের গায়ে হাত দিতে পারেন না।

সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ এবং হলফনামায় করা তার দাবি নজরে আনলে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (বাকবিশিস) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. গোলাম ফারুক চৌধুরী শুক্রবার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিষয়টি গভীরভাবে দেখতে হবে। তবে আপাতত মনে হচ্ছে এটা সাংঘর্ষিক। এমনটি হওয়া উচিৎনয়। হলফনামায় দেওয়া তথ্যের সঙ্গে ব্যক্তিজীবনের মিল থাকা উচিৎ।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আরও শিক্ষক নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে শিক্ষকনেতা আরও বলেন, এসব শেষ হওয়া উচিৎ। এসব ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। ব্যবস্থা আরও তড়িৎ নেওয়া দরকার। রাজশাহীর ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউই আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। সেখানেও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। এমনকি দায় ওই শিক্ষকের হলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।

কলেজ অধ্যক্ষকে সংসদ সদস্যের মারধর ও লাঞ্ছিত করার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ২৪ নাগরিক। এই নাগরিকদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। হলফনামায় সংসদ সদস্যের করা দাবির বিষয়টি নজরে আনলে তিনি বলেন, হলফনামার সঙ্গে ব্যক্তিজীবনে তার যে ভূমিকা, তাতে বৈপরীত্য রয়েছে। তার সংসদ সদস্য পদ থাকার কোনো কারণ নাই। অসদাচরণের অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে আমরা জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে আবেদন করতে পারি।

আর সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী কলেজ অধ্যক্ষকে মারধর করার অভিযোগে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সংবাদ সম্মেলন করে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে হাতজোর করে সাংবাদিকদের কাছে তার সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, গত ৭ জুলাই রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী তার থিম ওমর প্লাজার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আরও কয়েকজন অধ্যক্ষের সামনে অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বুধবার (১৩ জুলাই) গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা। ছবি: সংগৃহীত

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হাতে ধরা পড়েছেন আবুল হাসনাত আদনান নামে এক ছাত্রলীগ নেতা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের ওয়াটারফল রেস্টুরেন্ট থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হন তিনি।

আটক আবুল হাসনাত আদনান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনান।

জানা যায়, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এই নেতা রেস্টুরেন্টে বিয়ে খেতে এসেছে এমন খবর পেয়ে সেখান থেকেই তাকে ধরেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা। খবর পেয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, সে জুলাই হামলায় জড়িত ছিল এবং আন্দোলনের সময় হামলার বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ তার মোবাইলে পাওয়া যায়৷ আন্দোলনের সময় গুলি করেছে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। তার মোবাইলে শিক্ষার্থী হত্যার আলামত পাওয়া গেছে এবং বর্তমানে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর আলামত পাওয়া যায় বলেও জানান তারা।

Header Ad
Header Ad

মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় জামায়াতের ২ সমর্থক বহিষ্কার

বাংলাদেশ জামাত-ই ইসলাম তাদের ফেইজবুক পেইজে এক বিবৃতিতে এসব জানায়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের বহিষ্কার করেছে জামায়াতে ইসলামী। এ ঘটনায় নিন্দাও জানিয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি করা হয় দলটির পক্ষ থেকে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আমির অ্যাডভোকেট মু. শাহজাহান, জেলা সেক্রেটারি ড. সরওয়ার উদ্দিন ছিদ্দিকী, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমির মু. মাহফুজুর রহমান ও উপজেলা সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন যৌথভাবে বলেন, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও দেশের সাধারণ কোনো নাগরিককে হেনস্তা করা সমর্থন করে না। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।

নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারা জামায়াতে ইসলামীর কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী নয়। জামায়াতের কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বিষয়টি সমর্থন করে না। স্থানীয়ভাবে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, আবদুল হাই কানু তার এলাকায় হত্যা মামলাসহ ৯টি মামলার আসামি। আমরা মনে করি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

তারা আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ঢাকায় থাকা আবুল হাশেম এবং দুবাই ফেরত অহিদুর রহমানের শাস্তি দাবি করছি। পাশাপাশি আমরা সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি, আইন নিজের হাতে নেওয়ার কোনো অধিকার কারো নেই। আমরা আবুল হাশেম, অহিদুর রহমানসহ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের শাস্তি দাবি করছি এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও তাদের জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার ঘোষণা করছি।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করেন স্থানীয় কয়েকজন। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার জামায়াতের সমর্থক প্রবাসী আবুল হাসেমের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটান। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু লুদিয়ারা এলাকার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের রোষানলে পড়ে দীর্ঘ ৮ বছর এলাকা ছাড়া ছিলেন তিনি। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বেশ কয়েকবার তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়।

Header Ad
Header Ad

নকল সিগারেট ব্র্যান্ডের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ছবি: সংগৃহীত

বিদেশী ব্র্যান্ডের নকল সিগারেট এবং নকল ব্র্যান্ড রোল লাগিয়ে বিক্রির ব্যবসায় জড়িত সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)’র সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বরাবর জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এনবিআরের প্রতিবেদন বলছে, নকল সিগারেট তৈরি এবং ব্যান্ডরোল তৈরির সঙ্গে জড়িত ২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো অন্যতম বৃহৎ।

এ দুই প্রতিষ্ঠান মিথ্যা ঘোষণায় কাঁচামাল আমদানি করে এবং কিশোরগঞ্জ ও চট্টগ্রামের চকোরিয়ার কারখানায় নকল সিগারেট তৈরি করে। পরে নকল সিগারেট দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটনের তামাক ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের। এ ব্যবসার আয়ের একটি অংশ প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসেবে জমা দেয়া হতো। নওফেল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেদন এনবিআর এ জমা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ এনবিআর’ই গ্রহণ করবে।’

একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটনের মালিকানাধীন দুই প্রতিষ্ঠান বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো নকল সিগারেট তৈরি এবং নকল ‘ব্যান্ড রোল’ লাগিয়ে বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট তৈরির হোতা।

জানা গেছে, বিজয় ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির ৪০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের। বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো প্রতিষ্ঠার পর থেকে কমপক্ষে ১০ হাজার টন সিগারেট তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করেছে সিগারেটের কাঁচামাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে। যা দিয়ে ৫ কোটি সিগারেটের শলাকা তৈরি সম্ভব। এখানে সরকার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ও অন্যান্য খাত বাবদ রাজস্ব হারিয়েছে কমপক্ষে পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

গত ৮ অক্টোবর এই বিষয়ে একটি গণমাধ্যম ‘৫ হাজার কোটি লোপাটে এক জুটি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা
মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় জামায়াতের ২ সমর্থক বহিষ্কার
নকল সিগারেট ব্র্যান্ডের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী
২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে গুচ্ছ পদ্ধতি রাখতে জরুরি নির্দেশনা  
শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার দেওয়া চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি
‘মুজিব’ সিনেমার পরিচালক শ্যাম বেনেগাল মারা গেছেন
হেনরী ও তার স্বামীর ৪৯ ব্যাংক হিসাবে লেনদেন পৌনে ৪ হাজার কোটি
স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমলো
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিল
ভোটাধিকার আদায়ে ৫ আগস্টের মতো রাস্তায় নামতে হবে: মির্জা ফখরুল
শিল্পকলার সাবেক ডিজি লাকীসহ ২৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মিউজিক ফেস্ট মঞ্চে বিপিএল উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা  
দর্শনা সীমান্তে ভারতে পাচারকালে দুই নারী উদ্ধার; পাচারকারী আটক
১৫ বছরে বিএনপি আন্দোলনে ছিল বলেই শেখ হাসিনা পালিয়েছে: ফখরুল
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল
শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতিতে লেখা জয় বাংলা মুছে দিলো ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল
বাংলাদেশের কাছে ত্রিপুরা ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী
হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল ফাঁসিতে ঝোলার জন্য: নাহিদ
চাঁদপুরে জাহাজ থেকে ৫ মরদেহ উদ্ধার: চিকিৎসাধীন আরও ২ জনের মৃত্যু  
সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি এস আলমের