শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শিক্ষার মান উন্নয়নে এমপি ওমর ফারুকের অর্জন ‘সন্তোষজনক’!

একটি বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে চড়থাপ্পড়, কিল–ঘুষি মেরেছেন বলে অভিযোগ ওঠে রাজশাহী-১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় অসেন্তাষ, উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনও হয়েছে।

রবিবার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকাপ্রাকশ-এর এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘যদি কোনো সংসদ সদস্য এ ধরনের কোনো কাজে যুক্ত থাকেন সেক্ষেত্রে সেই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আমরা মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না। যেটা আমরা করতে পারি সেটা হল, স্পিকারের শরণাপন্ন হতে পারি এবং তার কাছে অভিযোগ উত্থাপন করে আমরা এটির একটি সমাধান চাইতে পারি। তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনে সেই পথ অনুসরণ করব।’

এদিকে সংসদ সদস্য ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ উঠার পর তার বিরুদ্ধে নিজ সংসদীয় এলাকায় এবং সামাজিক মাধ্যমে সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আসছে নানা অভিযোগ-অসন্তোষ।

এ পরিস্থিতিতে ঢাকাপ্রকাশ চেষ্টা করেছে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর হলফনামা ঘেটে তার সম্পর্কে জানার।

হলফনামায় এই সংসদ সদস্য দাবি করেছেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে তার অর্জন ‘সন্তোষজনক’। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি নির্বাচন দপ্তরে জমা দেওয়া হলফনামায় এই দাবি করেন।

হলফনামায় ওমর ফারুক চৌধুরী উল্লেখ করেন, ‘আমি ইতিপূর্বে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইয়া ছিলাম। নির্বাচনের পূর্বে আমার দ্বারা ভোটারদেরকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি এবং উহার কী পরিমাণ অর্জন সম্ভব হইয়াছিল তাহার বিবরণ’ ভূমিকা লেখা কলামে ২ নম্বর ক্রমিকে ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শিক্ষার মান উন্নয়ন’-এ অর্জন বিষয়ে লেখা আছে ‘সন্তোষজনক’।

এ ছাড়া ‘রাস্তা, ব্রীজ কালভার্ট উন্নয়ন’, বেকার যুবক/যুবতীদের কর্মসংস্থান’ এবং ’স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন’ বিষয়ে অর্জনের ঘরগুলোতেও লেখা আছে ‘সন্তোষজনক’।

হলফনামায় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করা আছে ‘এলএলবি (সম্মান)’। হলফনামা দেওয়ার সময় তিনি কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন না বলেও উল্লেখ করা আছে। তবে বিশেষ ক্ষমতা আইন/১৯৭৪ এর ২৫(গ) এর ১(খ) ধারায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছিল। ওই মামলার অভিযোগ থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন হলফনামায়।

হলফনামায় তার পেশার বিবরণে লেখা আছে ‘রাজনীতি, সমাজ সেবা, ব্যবসা’। তার এবং তার উপর নির্ভরশীলদের বাৎসরিক আয়ের উৎস সম্পর্কে হলফনামায় লেখা হয়েছে, নিজের আয়’ কৃষি খাত (নীট আয়) তিন লাখ, ‘বাড়ি/এপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া’ ৪২ লাখ টাকা। ব্যবসা ‘২টি ট্রাকের অনুমিত আয় দেড় লাখ টাকা’। সংসদ সদস্য হিসেবে পারিতোষিক ছয় লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ভাতাদি ১৭ লাখ ১০ হাজার ৩১৭ টাকা।

আর সংসদ সদস্যের স্ত্রীর বাৎসরিক আয় উল্লেখ করা হয়েছে তিন লাখ ৪০ হাজার টাকা। এ ছাড়া হলফনামায় তিনি তার অস্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির বিষয়সহ আরও অনেক বিষয় উল্লেখ করেছেন।

কিন্তু তার এই হলফনামায় উল্লেখিত শিক্ষার মান উন্নয়নে তার অর্জন ‘সন্তোষজনক’ কথাটা নিয়েই নানা মহলে কৌতুহল। শিক্ষানুরাগীরা বলছেন, যদি তাই হবে তাহলে তো তিনি শিক্ষকের গায়ে হাত দিতে পারেন না।

সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ এবং হলফনামায় করা তার দাবি নজরে আনলে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (বাকবিশিস) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. গোলাম ফারুক চৌধুরী শুক্রবার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিষয়টি গভীরভাবে দেখতে হবে। তবে আপাতত মনে হচ্ছে এটা সাংঘর্ষিক। এমনটি হওয়া উচিৎনয়। হলফনামায় দেওয়া তথ্যের সঙ্গে ব্যক্তিজীবনের মিল থাকা উচিৎ।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আরও শিক্ষক নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে শিক্ষকনেতা আরও বলেন, এসব শেষ হওয়া উচিৎ। এসব ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। ব্যবস্থা আরও তড়িৎ নেওয়া দরকার। রাজশাহীর ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউই আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। সেখানেও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। এমনকি দায় ওই শিক্ষকের হলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।

কলেজ অধ্যক্ষকে সংসদ সদস্যের মারধর ও লাঞ্ছিত করার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ২৪ নাগরিক। এই নাগরিকদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। হলফনামায় সংসদ সদস্যের করা দাবির বিষয়টি নজরে আনলে তিনি বলেন, হলফনামার সঙ্গে ব্যক্তিজীবনে তার যে ভূমিকা, তাতে বৈপরীত্য রয়েছে। তার সংসদ সদস্য পদ থাকার কোনো কারণ নাই। অসদাচরণের অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে আমরা জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে আবেদন করতে পারি।

আর সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী কলেজ অধ্যক্ষকে মারধর করার অভিযোগে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সংবাদ সম্মেলন করে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে হাতজোর করে সাংবাদিকদের কাছে তার সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, গত ৭ জুলাই রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী তার থিম ওমর প্লাজার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আরও কয়েকজন অধ্যক্ষের সামনে অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বুধবার (১৩ জুলাই) গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো কোনো আরব নেতা সিরিয়া সফরে গেলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পৌঁছান। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার কোনো সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান দেশটি সফর করলেন। বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আহমেদ আল-শারা। সফরের সময় দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে কাতারের আমিরকে স্বাগত জানান তিনি।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, নতুন সিরীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাতার মাঠপর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে সিরিয়ার জনগণের জন্য চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা করা, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব প্রতিহত করা এবং সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

বিশ্লেষকদের মতে, কাতারের আমিরের এই সফর মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে এই প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত কর্মকর্তারা পুলিশের দায় এড়াতে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং ইয়ামিনকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

সমালোচকরা বলছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে পুলিশের নৈতিক অবক্ষয় এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে গণঅভ্যুত্থানের পরও তারা নিজেদের পরিবর্তন করতে পারেনি। বরং, কঠিন চাপে থেকেও পুলিশের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড মাঝে মাঝেই প্রকাশ পাচ্ছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের দাবি, ইয়ামিন এপিসি (সাঁজোয়া যান) কারে উঠলে বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে, যা তাকে আহত করে। এরপর এএসআই মোহাম্মদ আলী তাকে নামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তার হাতে ব্যথা থাকায় ফসকে পড়ে যান ইয়ামিন। পুলিশ আরও জানায়, জনগণের কাছে হস্তান্তরের জন্য তাকে রোড ডিভাইডারে রাখা হয়, যাতে কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে।

তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুলিশের সদস্যরা নীল রঙের এপিসি কারের ওপর ইয়ামিনকে ফেলে রেখে টহল চালায় এবং ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর এপিসি কারটি সাভারের রানা প্লাজা ও ভ্যাট অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় আসে। এরপর এপিসির ভেতর থেকে এক পুলিশ সদস্য দরজা খুলে দেয় এবং আরেকজন ইয়ামিনকে টেনে-হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ ইয়ামিন তখনও জীবিত ছিলেন। প্রচণ্ড কষ্টে নিশ্বাস নিতে দেখা যায় তাকে। তার পরনে ছিল নেভি ব্লু ট্রাউজার ও খয়েরি রঙের জামা। এপিসি থেকে ফেলে দেওয়ার পর তার দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে যায় এবং একটি পা এপিসির বাঁ দিকের চাকার সঙ্গে আটকে থাকে। মৃত ভেবে পুলিশের সদস্যরা তার পায়ে আর গুলি না করে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেয়। এরপর আরও দুই পুলিশ সদস্য নেমে এসে তাকে সার্ভিস লেনে ফেলে রেখে চলে যায়।

পুলিশের এই প্রতিবেদনকে ‘চরম পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তদন্ত কর্মকর্তারা শুধু পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য নিয়েছেন, অথচ কোনো প্রত্যক্ষদর্শী, সংবাদকর্মী বা সাধারণ মানুষের সাক্ষ্য নেননি। এ কারণে তদন্ত প্রক্রিয়াকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অবিশ্বাস্য বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এক প্রতিবেদনে পুলিশের আচরণকে ‘ভয়ংকর বর্বরতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির তিন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে চরম অবহেলা করেছেন এবং অপেশাদারসুলভ আচরণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখাকে সুপারিশ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ নীল এপিসি কার থেকে ইয়ামিনের গুলিবিদ্ধ দেহ রাস্তায় ফেলে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে সাভারের আশুলিয়া এলাকায়। কোনো ময়নাতদন্ত বা আনুষ্ঠানিক মৃত্যুসনদ না দিয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইয়ামিনের লাশ হস্তান্তর করে।

ঢাকা ও সাভার রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ইয়ামিনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না করার জন্য পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে, পরিবার তাকে সাভারের তালবাগে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বাধা দেন। শেষ পর্যন্ত ব্যাংক টাউন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দায় মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজের ভয়ংকর দৃশ্যগুলো ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তাহলে, শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে যদি সত্য প্রকাশ না পায়, তবে স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুনরায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি উঠেছে। নিহত ইয়ামিনের পরিবার এবং আন্দোলনকারীরা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও একাধিক হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলির এক বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আত্মগোপনে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দীর্ঘদিনের নজরদারির পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির
শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক
রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান
কোটা পদ্ধতি পুনরায় পর্যালোচনার নতুন ৩ সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের
আমরা কারও কাছে চাঁদা চাইনি, চাইবোও না: জামায়াত আমির
নওগাঁ বারের নির্বাচনে সব পদে বিএনপি প্যানেলের জয়
আরব আমিরাতে চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি
ডিপসিকের চেয়েও কার্যকর নতুন এআই আনার দাবি আলিবাবার
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গুণগত পরিবর্তনই আমাদের মূল লক্ষ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বাণিজ্য মেলায় সংঘর্ষ, আহত ১৬
শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আমরণ অনশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে নিজেই জানিয়ে দিবো: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সাত কলেজের জন্য হচ্ছে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিতে বলেছে ইইউ: ইসি সচিব
রংপুরের টানা চতুর্থ হার, প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইলো খুলনা
চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান, আটক ৫
প্রধান উপদেষ্টার উদ্বোধনে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা
সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানো সেই যুবককে গুলি করে হত্যা
বাংলাদেশ পুলিশে ১৬টি শূন্য পদে নিয়োগ, আবেদন শুরু ২ ফেব্রুয়ারি