শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশেষ প্রতিবেদন

বিদেশে সফল ঘরে অবহেলিত ওয়ানডে ক্রিকেট

টেস্ট ক্রিকেটের বনেধি পরিবারের সদস্য হতে হলে লঙ্গার ভার্সন ম্যাচকে অগ্রাধিকার দেয়  হয়। যদিও টেস্ট পরিবারের সদস্য হওয়ার আগে চার দিনের প্রথম শ্রেণির ম্যাচে শুরু করেছিল বিসিবি। কিন্তু সে সময় ঘরোয়া  ক্রিকেটের  মূল আকষর্ণই ছিল প্রিমিয়ার বিভাগ ক্রিকেট লিগ।  শুধু এই  আসরই নয়, প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের ক্লাবগুলোকে নিয়ে দামাল-সামার ক্রিকেট, শহীদ স্মৃতি  ক্রিকেট  আসরও বসতো। মৌসুম শুরু হতো দামাল-সামার স্মৃতি আসর দিয়ে। শেষ হতো শহীদ স্মৃতি আসর দিয়ে।  সবই এখন স্মৃতির পাতায় ঠাই নিয়েছে। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে পথ চলা শুরু করার পর সেই ওয়ানডে আসরগুলোই অপাংক্তেয় হয়ে গেছে! যে প্রাণের স্পন্দন ছিল প্রিমিয়ার বিভাগ  ক্রিকেট লিগ, তা  হারিয়েছে গুরুত্ব। শীতের ক্রিকেট গিয়ে জায়গা পেয়েছে ভরা বর্ষায়! বৃষ্টির কারণে অনেক  ম্যাচই ভেস্তে যায়। আবার লিগ শুরু হলেও জাতীয় দলের খেলা থাকলে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা থাকেন অনুপস্থিত । সব মিলিয়ে বলা যায় ঘরোয়া ক্রিকেটে ওয়ানডে  আসর যেন সৎসন্তান! যে সবেধন নিলমনি প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ তা  বিসিবি শুধু আয়োজনই  করে থাকে।  ক্লাবগুলো নিজেদের টাকা খরচ করে বিশাল বাজেটে এক একটি দল গঠন করে। বিসিবি থেকে তারা যে আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকে, তা এক এক মৌসুমের  মোট খরচের ১০ ওভাগের এক ভাগও হয় না ! অথচ  আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের তুলনায় বাংলাদেশের সাফল্য বেশি এই ওয়ানডে ক্রিকেটেই। আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে যাত্রাও শুরু সবার আগে সেই ১৯৮৬ সালে।

তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে  বিসিবি বেশ গুরুত্ব দিয়েই ঘরোয়া আসর আয়োজন করে থাকে বিপিএল । মৌসুমের সেরা সময়টা বেছে নেয়া হয় বিপিএলের জন্য। শীতের সময় কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে অত্যন্ত জাকজমকভাবেই  এই আসর আয়োজন করা  হয়ে থাকে।  এ সময় জাতীয় দলেরও কোন খেলা থাকে না। কিন্তু আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ এই ফরম্যাটেই সবচেয় বেশি ব্যর্থ। মাত্রই শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতার ক্ষত এখনও কোটি কোটি দেশবাসীর অন্তর পুড়ছে। ২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই আসরের  সব কটিতেই অংশ নিয়ে জয় পেয়েছে মাত্র একটিতে। তাও সেই শুরুর আসরে ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬ উইকেটে। দ্বি-পাক্ষিক সিরিজেও  নেই আশাব্যঞ্জক ফলাফল।  টুর্নামেন্ট ও দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ মিলিয়ে হারের তালিকায় নাম আছে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, এমনকি নেদারল্যান্ডস, হংকংয়ের মতো দলের কাছেও। এখন পর্যন্ত ১২৩টি ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ৪৩টি। যার সিংহভাগ জয় এসেছে অপেক্ষাকৃত দূর্বল নেপাল, কেনিয়া, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত,নেদারল্যান্ডস, পাপুয়া নিউগিনি, জিম্বাবুয়ে, কেনিয়া, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। টেস্ট পরিবারের নবীন সদস্য আফগানিস্তানের কাছেও বাংলাদেশের হারের পাল্লা বেশি। জয় পায়নি  ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এমনকি স্কটল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষেও। স্কটল্যান্ডে কাছে দুই ম্যাচ খেলে দুইটিতেই হার মেনেছে। অস্ট্রেলিয়ার আর  নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একাধিক জয় থাকলেও তা এসেছে  এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে  হোম কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে  স্লো উইকেট বানিয়ে!

টেস্ট ক্রিকেটের অবস্থা আরো নাজুক।  ১২৫ টেস্ট খেলে জয় আছে মাত্র ১৫টিতে। যার অর্ধেকেরও বেশি জয় আবার   খর্ব শক্তিতে পরিণত হওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮টি। ৪টি জয় আছে আরেক খর্ব শক্তি দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। বাকি তিন জয় এসেছে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-শ্রীল্কার বিপক্ষে। প্রথম দুই দেশের বিপক্ষে জয় এসেছিল ঘরের মাঠে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়টি  ছিল বেশ স্মরণীয়।শ্রীলঙ্কার মাটিতে বাংলাদেশের শততম টেস্টে। অথচ এই টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ যাতে ভালো করতে পারে  সে জন্য এনসিএলের পর বিসিএলও  শুরু করা হয়। কিন্তু এনসিএল পরিণত হয়েছে ‘পিকনিক’ আসরে। এখানে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের খেলতে দেখা যায় কালে-ভাদ্রে। জাতীয় দলের খেলা না থাকলেও তারা এই আসর  খেলতে অনীহা প্রকাশ  করে থাকেন। বিসিবির পক্ষ থেকেও সেভাবে কোন দৃঢ় পদক্ষেপ নেয় হয় না। বিসিএল  ফ্রাঞ্চাইজি আসর হওয়াতে  এখানে অবশ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে মোটামুটি।  কিন্ত ‍ চার দলের আসরে ম্যাচের সংখ্যা  থাকে খুবই  কম!

ওয়ানডে আসর  আয়োজনের ক্ষেত্রে বিসিবি  কম গুরুত্ব দিলেও তারপর  সেখানেই হয়ে থাকে জমজমাট লড়াই। একটা সময় আবাহনী-মোহামেডান-বিমানের লড়াই ছিল, এখন সেখানে আবাহনী- প্রাইম ব্যাংক-প্রাইম দোলেশ্বর-লিজেন্ডস অব  রূপগঞ্জ, গাজী ট্যাংক ক্রিকের্টাস,ওল্ড ডিওএইচএস, গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স শামিল হয় শিরোপার লড়াইয়ে। মাঠের লড়াইয়ে থাকে টানটান উত্তেজনা। উত্তেজনার পারদ ছড়িয়ে পড়ে ক্রিকেটারদের মাঝেও। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে সাকিব-তামিমের মতো ক্রিকেটারদের এক থেকে একাধিক ম্যাচ পর্যন্ত সাজাও পেতে হয়েছে।  তারপরও এই আসরের  প্রতি বিসিবি এতোই উদাসীন যে শীতের ক্রিকেট বর্ষায় নিয়ে যাওয়ার  পরও এবার সেই আসর হয়েছে ২০ ওভারে। যদিও  বিসিবির তরফ থেকে ব্যাখ্যা   দেয়া হয়েছে করোনার কারণে।

আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ওয়ান  ডে ম্যাচ খেলেছে  ৩৮৮টি।  ১৩৬ জয়ের মাঝে জয় আছে টেস্ট খেলুড়ে সবগুলো দেশের বিপক্ষে।  সবচেয়ে বেশি জয় আছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫০টি। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৮টি,  নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০টি। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ স্কটল্যান্ডে, হংকংয়ে   মতো দলের কাছে হারলেও ওয়ানডেতে  কখনোই হারেনি। টি-টোয়েন্টতে আফগানিস্তানের সাথে পেরে না উঠলেও ওয়ানেডেতে ঠিকই নাকানি-চুবানি খাইয়ে ছাড়ে।

আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের যতো মনমুগ্ধকর জয়, তা এই  ওয়ানডে ম্যাচকে ঘিরেই। ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলতে গিয়েই পাকিস্তানকে হারিয়ে চমক সৃষ্টি  করেছিল। ইংল্যান্ডের  নর্দাম্পটনে পাওয়া জয়ে রাতের আঁধারে দেশবাসী নেমে এসেছিলেন রাস্তায়।  তা ছিল এক অভূতপূর্ব  দৃশ্য। ২০০৫ সালে কার্ডিফেও অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর সৃষ্টি হয়েছিল  আনন্দঘন পরিবেশ। ঠিক সে রকম না হলেও ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে ভারত আর  সুপার সিক্সে দক্ষিণ আফ্রিকার  বিপক্ষে পাওয়া জয়েও  দেশবাসীকে আনন্দ করার উপলক্ষে এনে দিয়েছিল।  এমনি করে আরও অনেক উপলক্ষ আছে ওয়ানডে ক্রিকেটকে ঘিরেই। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ যে ছয়টি ফাইনাল আসর খেলেছে তার চারটিই ছিল একদিনের  আসরে। একমাত্র শিরোপাও এসেছে এই আসর  থেকে। আবার আইসিসিরি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ২০১৭ সালের আসরে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালও খেলেছিল। ২০১৫ সালের অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসরে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো খেলেছিল কোয়ার্টার ফাইনাল। তাই অনেকেরই অভিমত এখানে যদি বিসিবি আরও বেশি গুরুত্ব দিতো, তা’হলে আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের  এখানে সাফল্য আরও বেশি হতে পারতো।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো এখনো দূর্বল। ওয়ানডে ক্রিকেটও এর বাইরে নয়। প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ যে হচ্ছে, সেটাতো ক্লাবগুলোর অবদান। বিসিবি শুধু আয়োজন করে থাকে। তারপর সেখানে এক একবার এক এক নিয়ম করা  হয়। আগের মতো গুরুত্বও হারিয়েছে। টি-টোয়েন্টি ও টেস্টের তুলনায় ওয়ান ডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্য বেশি হলেও সেটাকে খুব বড় করে দেখার উপায় নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে  নজর দেয়া হলে ওয়ানডে ক্রিকেটও গুরুত্ব পাবে। তারপরও একমাত্র প্রিমিয়ার বিভাগ লিগ খেলে  আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ যতোটুকু সাফল্য পেয়েছে,সে কথা বিবেচনা করে বিসিবির উচিত হবে  ঘরোয়া ক্রিকেটে  এখানে আরও   বেশি নজর দেয়া।’

জাতীয়  দলের সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ ওমর বেলিম গুল্লু বলেন, ‘ওয়ানডে ক্রিকেটে যে সাফল্য তা কিন্তু মাশরাফি-সাকিব-মুশফিক-তামিম-মাহমুদউল্লাহসহ আরও কয়েকজন  ক্রিকেটারের কারণে।  এরা কিন্তু  ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেই উঠে এসেছেন। তাদের কনসেপটে কিংবা  শক্তি  তাই ওয়ানডে  ক্রিকেটেই বেশি। তাই এখানে অন্য দুই ফরম্যাটের তুলনায় বাংলাদেশের সাফল্য বেশি। শুধু ক্লাব ক্রিকেটেই নয়, জেলা পর্যায় থেকে যারা উঠে আসছেন তারাও কিন্তু ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেই। অন্য দুই ফরম্যাটের তুলনায় ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্য বিবেচনা করে বিসিবির ঘরোয়া  ক্রিকেটের ওয়ানডে টুর্নামেন্টের দিকে আরও বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত।  

 বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এটিকে বিসিবির মোটেই ‍ উদাসীনসা বলে মনে করেন না। মূলত জাতীয় দলের  ব্যস্ততার কারণেই আলাদা করে আর কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান। তিনি  বলেন,‘ টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার আগে আমাদের আর্ন্তজাতিক ম্যাচ খেলা হতো খুবই কম। যে কারণে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ ছাড়াও আরো একাধিক টুর্ণামেন্ট  হতো। এখন ইচ্ছে থাকলেও আয়োজন করা সম্ভব হয় না। এটা আমাদের উদাসীনতা নয়, বাস্তবতা। যেমন এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষ হওয়ার পরদিনই দল চলে যাবে নিউজিল্যান্ড। আগামী বছর থাকবে টানা খেলার মাঝে। ঢাকার বাইরে জেলা পর্যায়ে কিন্তু  ওয়ানডে  খেলাই হয়। সেখানে আমাদের নজরদারী থাকে।’

এমপি// জেডএকে

Header Ad
Header Ad

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধুর অপ্রয়োজনীয় ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণে সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে, সাবেক সরকারের কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে দুদকের কমিশন বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান সংস্থার মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গার সাবেক এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৩৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএফআইইউ-এর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের প্রায় দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে, যার ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধেও মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে, ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক শুধাংশ শেখর ভদ্রের বিরুদ্ধে ৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুদক। এছাড়া বিদেশে পালানোর আশঙ্কায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

ঋণের নামে ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। পাশাপাশি, সাংবাদিক মুন্নি সাহার বিরুদ্ধে ১৩৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭১ জন ফিলিস্তিনি। ইহুদিবাদী দেশটি এই সময়ে গাজায় ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে।

এখন পর্যন্ত এই সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ৬০০ জনে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় আহত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এই তথ্য জানিয়েছে।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে। গাজা উপত্যকাজুড়ে নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে গাজার মিডিয়া অফিস বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।

গাজার মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চিকিৎসা ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলকে নিহতদের লাশ সরিয়ে নেওয়ার জন্য হামলাস্থলে পৌঁছাতে বাধা দিয়েছে এবং বিশেষ করে গাজা এবং উত্তর গাজায় রাস্তায় লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।”

“নৃশংস এই অপরাধের” জন্য মিডিয়া অফিস ইসরায়েলকে দায়ী করেছে এবং গণহত্যা বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে তাদের আইনি ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত
বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!