শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

সাক্ষাৎকার

পদ্মা সেতু অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে

মানুষের দাঁড়ানোর যেমন মেরুদণ্ড দরকার, পদ্মা সেতু তেমন। সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক প্রকাশ হচ্ছে ‘পদ্মা সেতু’। এটি বাংলাদেশের মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতে করবে। মেরুদণ্ড আগেই ছিল জননেত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক ভিত যেটা সেটাই দেশের মেরুদণ্ড, সেই মেরুদণ্ডকে আরও বহুলাংশে শক্তিশালী করেছে পদ্মা সেতু।

স্বপ্নের এই সেতু নিয়ে ঠিক এভাবেই নিজের মনের কথাগুলো অবলীলায় বলেছেন পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু কীভাবে পুরো দেশের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং জীবনযাত্রার মান বদলে দেবে। সেতু চালু হলে জাতীয় অর্থনীতিকে কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। পণ্য পরিবহন খরচ কমবে কমপক্ষে চারগুণ। বরাবর অবহেলিত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন কীভাবে ঘটবে তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ১৮ জুন এসএম শাহজাদা ঢাকাপ্রকাশ-এর স্টুডিওতে এসে ঢাকাপ্রকাশের বিশেষ আয়োজন ‘পদ্মা সেতুর সম্ভবনা নিয়ে জননেতার মুখে জনতার কথা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন সিনিয়র রিপোর্টার শাহজাহান মোল্লা’র সঙ্গে। নিচে তার কথাগুলো তুলে ধরা হলো।

এই আইন প্রণেতা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে আমাদের অঞ্চলে উৎপাদিত পণ্য সহজেই ঢাকায় ঢুকবে। কমবে পণ্য পরিবহন খরচ। পুরো অর্থনৈতিক অবস্থার আমুল পরিবর্তন ঘটবে।

ঢাকাপ্রকাশ: পদ্মা সেতু নিয়ে যদি কিছু বলেন…

এসএম শাহজাদা: পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক স্মৃতি আছে। বলে শেষ করা যাবে না। পদ্মার বুকে সেতু হবে, মুহূর্তেই ঢাকা থেকে পটুয়াখালী আবার দেশের অন্য কোথাও ছুটে যাওয়া যাবে সেতুর উপর দিয়ে। এমন স্বপ্ন সব সময় দেখতাম। এই সেতু শুধু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের না, সারা বাংলাদেশ এটার সুবিধাভোগী। আমাদের প্রতিবেশি দেশও এটা থেকে অনেক সুবিধা পাবে। বিশেষ করে যারা পোর্টভিত্তিক ব্যবসা করেন। আমরা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ নৌপথে লঞ্চে ঢাকায় আসতাম। সেজন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। অনেক তাজাপ্রাণ ঝড়ে গেছে নদী পথের দীর্ঘ বিড়ম্বনার কারণে। এসব দুর্ভোগ, বিড়ম্বনা সবকিছুর অবসান হতে চলছে। ২৫ জুনেই নতুন উচ্চতায় যাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। যখন তখন ঢাকা থেকে যেতে এবং বাড়ি থেকে ঢাকায় আসতে পারব।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি কি কখনো নদী পথে আসতে কোনো বিপদ বা সংকটে পড়েছেন?

এসএম শাহজাদা: প্রচুর, প্রচুর। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের প্রত্যেকটা মানুষ যারা রাজধানীতে বা অন্যান্য জায়গায় আছে তাদের সবারই এই অভিজ্ঞতা আছে। সেই অভিজ্ঞতা অনেক সময় অনেক মর্মান্তিক। আমাদের ওখানে একটা ঘটনা ঘটেছিল ফেরি ছাড়তে বিলম্ব করায় ফেরির ভেতরে একটা ছেলে মারা গেছেন। এ রকম একটা ঘটনার নিউজ কাভারেজ হয়েছে। কিন্তু সব ঘটনা তো নিউজে আসে না। এই সেতু চালু হলে সেই বিড়ম্বনা দূর হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: সেতু চালু হলে আপনার সংসদীয় এলাকা থেকে কোন কোন ফসল বা পণ্য সরাসরি ঢাকায় ঢুকবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন?

এসএম শাহজাদা: আমাদের এলাকা থেকে ঢাকায় আসার মতো রয়েছে মাছ, চাল, এবং মৌসুমী ফল। বিশেষ করে তরমুজ। আমাদের এলাকার তরমুজ সারা দেশের মানুষের চাহিদার সিংহভাগ মিটিয়ে থাকে। সেতু চালু হওয়ার আগে কৃষক তরমুজ তার খেত থেকে তুলে প্রথমে একটা ট্রলারে করে ডাঙ্গায় আনত। এরপর ট্রাক ভর্তি করে সেই পণ্যে ঢাকায় পৌছাতে সড়ক পথে দুই থেকে তিন দিন লাগতো। এখন দিনে দিনে ঢাকায় চলে আসবে। আগে প্রতিটি তরমুজ ঢাকায় পৌঁছাতে পরিবহণ খরচ হতো ২০ টাকা, এখন খরচ ৪ থেকে ৫ টাকা। পাশাপাশি দ্রুত সরবরাহ করতে পারলে কৃষকও ভালো দাম পাবে। আমি মনে করি, আগামী বছর ঢাকার মানুষ কম দামে তরমুজ খেতে পারবে। শুধু ঢাকায় পণ্য আসবে তা না, ঢাকার মানুষ আমাদের এলাকায়ও যাবে।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি কি মনে করছেন দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের দীর্ঘ দিনের অবহেলার অবসান ঘটতে যাচ্ছে?

এসএম শাহজাদা: অবশ্যই অবহেলার অবসান ঘটতে যাচ্ছে পদ্মাকে ঘিরে। যখন কুয়াকাটা পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা হয়ে যাবে সেতুর পাশাপাশি ট্রেন চালু হবে তখন ফেরির জন্য নির্দিষ্ট সময় ধরে বসে থাকতে হবে না। যখন তখন রওয়ানা দিতে পারবে মানুষ।

ঢাকাপ্রকাশ: এই সেতুকে ঘিরে আপনার এলাকার মানুষের উচ্ছ্বাস কেমন?

এসএম শাহজাদা: আমি নির্বাচিত হওয়ার পর আমার এলাকার জনগণকে ভালো সেবা দেওয়ার জন্য বিআরটিসির এসি বাস দিয়েছিলাম আমার দুই উপজেলায়। এটা তিন মাসের মধ্যে লোকসান দিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু যখন উদ্বোধন করেছিলাম শত শত মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে তারা ঢাকায় আসবে। কিন্তু ফেরিঘাটে এসে যখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকতে হয় তখন তারা অস্থির অবস্থায় পড়ে যায়। বাস পরিচালনাকারী সংস্থা লোকসান গুণতে শুরু করে। পরে সেটা বন্ধ হয়ে যায়। সেতু চালু হওয়ার পর আবারও বাসে বিলাসবহুল ভ্রমণটা হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: পদ্মা সেতু চালু হলে আপনাদের অঞ্চলে কোন কোন ব্যবসার নতুন দ্বার খুলবে?

এসএম শাহজাদা: সেতু চালু হলে অনেক কিছুর জন্যই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে ঢাকায় আসতে হবে না বরং ঢাকা থেকে সেবাটা ওখানে পৌঁছে যাবে। উদাহরণ দিয়ে বলি, ঢাকায় নামী দামি ব্রান্ডের খাবারগুলো শুধুমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে আমাদের অঞ্চলে কোন ব্রাঞ্চ খোলে না। আমার সঙ্গে অনেক প্রতিষ্ঠানের কথা হয়েছে। তারা ২৫ জুন সেতু উদ্বোধনের পর ২৬ জুন থেকেই বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের ব্রাঞ্চ খুলতে চায়। কুয়াকাটার পর্যটন কেন্দ্রের অপার সম্ভাবনা। আমি জানি প্রাইভেট সেক্টরের অনেকে জমি কিনে রেখেছেন, যারা সেতু চালু হলেই সেখানে ব্যবসা চালু করবেন। ঢাকা থেকে লোকজন যাবে।এর মাধ্যমে আমার এলাকার লোকজনের কর্মসংস্থান হবে। জাতীয় অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে আমাদের এলাকা।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার এলাকায় এমন কিছু কি আছে যেটা এখনই করতে পারলে জাতীয় অর্থনীতিতে বেশি অবদান রাখতে পারবে?

এসএম শাহজাদা: মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র করা যেতে পারে। মৎস্য এক্সপোর্ট করার জন্য এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন করার ব্যবস্থা করতে পারলে বৈদেশিক মুদ্রা আসবে। অটো রাইস মিল হবে। গবাদি পশুর খামার করলে বিরাট সম্ভবনা দেখা দেবে। এক কথায় যোগাযোগ ব্যবস্থা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো অর্থনীতিতে ক্লিক করবে।

ঢাকাপ্রকাশ: পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের উৎসবটা কি দলমত নির্বিশেষে হওয়া উচিত বলে মনে করেন?

এসএম শাহজাদা: আমাদের টার্গেট আছে প্রতি উপজেলা থেকে টার্গেট পিপুলকে লঞ্চে করে সভাস্থলে নিয়ে আসব। স্মরণকালের সর্বোচ্চ জনসমাবেশ হবে। ১৫ থেকে ২০ লাখও হয়ে যেতে পারে। তবে এই উদ্বোধন নিয়ে নিন্দুক যারা আছেন তাদের উদ্দেশে একটা গল্প বলি, ‘চামচিকা দিনের আলোতে বের হয় না, যে কারণে সূর্যের আলো সে দেখতে পায় না। তাতে সূর্যের আফসোসও নাই এবং সূর্য ক্ষতিগ্রস্তও হয় না। চামচিকা সূর্য অস্ত যাওয়ার পর বের হয়। এই ধরনের চামচিকা শ্রেণির যারা আছেন তারাও উৎসব করবেন। কিন্তু তারা হয়তো সন্ধ্যার পর করবেন, আমরা দিনে করব। যারা নেত্রীকে ভালোবাসি, দেশকে ভালোবাসী যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক আমরা উৎসব দিনে করব ওরা হয়তো রাতে করবে।


এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ