সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সাক্ষাৎকার

পদ্মা সেতু অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে

মানুষের দাঁড়ানোর যেমন মেরুদণ্ড দরকার, পদ্মা সেতু তেমন। সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক প্রকাশ হচ্ছে ‘পদ্মা সেতু’। এটি বাংলাদেশের মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতে করবে। মেরুদণ্ড আগেই ছিল জননেত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক ভিত যেটা সেটাই দেশের মেরুদণ্ড, সেই মেরুদণ্ডকে আরও বহুলাংশে শক্তিশালী করেছে পদ্মা সেতু।

স্বপ্নের এই সেতু নিয়ে ঠিক এভাবেই নিজের মনের কথাগুলো অবলীলায় বলেছেন পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু কীভাবে পুরো দেশের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং জীবনযাত্রার মান বদলে দেবে। সেতু চালু হলে জাতীয় অর্থনীতিকে কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। পণ্য পরিবহন খরচ কমবে কমপক্ষে চারগুণ। বরাবর অবহেলিত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন কীভাবে ঘটবে তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ১৮ জুন এসএম শাহজাদা ঢাকাপ্রকাশ-এর স্টুডিওতে এসে ঢাকাপ্রকাশের বিশেষ আয়োজন ‘পদ্মা সেতুর সম্ভবনা নিয়ে জননেতার মুখে জনতার কথা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন সিনিয়র রিপোর্টার শাহজাহান মোল্লা’র সঙ্গে। নিচে তার কথাগুলো তুলে ধরা হলো।

এই আইন প্রণেতা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে আমাদের অঞ্চলে উৎপাদিত পণ্য সহজেই ঢাকায় ঢুকবে। কমবে পণ্য পরিবহন খরচ। পুরো অর্থনৈতিক অবস্থার আমুল পরিবর্তন ঘটবে।

ঢাকাপ্রকাশ: পদ্মা সেতু নিয়ে যদি কিছু বলেন…

এসএম শাহজাদা: পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক স্মৃতি আছে। বলে শেষ করা যাবে না। পদ্মার বুকে সেতু হবে, মুহূর্তেই ঢাকা থেকে পটুয়াখালী আবার দেশের অন্য কোথাও ছুটে যাওয়া যাবে সেতুর উপর দিয়ে। এমন স্বপ্ন সব সময় দেখতাম। এই সেতু শুধু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের না, সারা বাংলাদেশ এটার সুবিধাভোগী। আমাদের প্রতিবেশি দেশও এটা থেকে অনেক সুবিধা পাবে। বিশেষ করে যারা পোর্টভিত্তিক ব্যবসা করেন। আমরা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ নৌপথে লঞ্চে ঢাকায় আসতাম। সেজন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। অনেক তাজাপ্রাণ ঝড়ে গেছে নদী পথের দীর্ঘ বিড়ম্বনার কারণে। এসব দুর্ভোগ, বিড়ম্বনা সবকিছুর অবসান হতে চলছে। ২৫ জুনেই নতুন উচ্চতায় যাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। যখন তখন ঢাকা থেকে যেতে এবং বাড়ি থেকে ঢাকায় আসতে পারব।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি কি কখনো নদী পথে আসতে কোনো বিপদ বা সংকটে পড়েছেন?

এসএম শাহজাদা: প্রচুর, প্রচুর। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের প্রত্যেকটা মানুষ যারা রাজধানীতে বা অন্যান্য জায়গায় আছে তাদের সবারই এই অভিজ্ঞতা আছে। সেই অভিজ্ঞতা অনেক সময় অনেক মর্মান্তিক। আমাদের ওখানে একটা ঘটনা ঘটেছিল ফেরি ছাড়তে বিলম্ব করায় ফেরির ভেতরে একটা ছেলে মারা গেছেন। এ রকম একটা ঘটনার নিউজ কাভারেজ হয়েছে। কিন্তু সব ঘটনা তো নিউজে আসে না। এই সেতু চালু হলে সেই বিড়ম্বনা দূর হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: সেতু চালু হলে আপনার সংসদীয় এলাকা থেকে কোন কোন ফসল বা পণ্য সরাসরি ঢাকায় ঢুকবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন?

এসএম শাহজাদা: আমাদের এলাকা থেকে ঢাকায় আসার মতো রয়েছে মাছ, চাল, এবং মৌসুমী ফল। বিশেষ করে তরমুজ। আমাদের এলাকার তরমুজ সারা দেশের মানুষের চাহিদার সিংহভাগ মিটিয়ে থাকে। সেতু চালু হওয়ার আগে কৃষক তরমুজ তার খেত থেকে তুলে প্রথমে একটা ট্রলারে করে ডাঙ্গায় আনত। এরপর ট্রাক ভর্তি করে সেই পণ্যে ঢাকায় পৌছাতে সড়ক পথে দুই থেকে তিন দিন লাগতো। এখন দিনে দিনে ঢাকায় চলে আসবে। আগে প্রতিটি তরমুজ ঢাকায় পৌঁছাতে পরিবহণ খরচ হতো ২০ টাকা, এখন খরচ ৪ থেকে ৫ টাকা। পাশাপাশি দ্রুত সরবরাহ করতে পারলে কৃষকও ভালো দাম পাবে। আমি মনে করি, আগামী বছর ঢাকার মানুষ কম দামে তরমুজ খেতে পারবে। শুধু ঢাকায় পণ্য আসবে তা না, ঢাকার মানুষ আমাদের এলাকায়ও যাবে।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি কি মনে করছেন দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের দীর্ঘ দিনের অবহেলার অবসান ঘটতে যাচ্ছে?

এসএম শাহজাদা: অবশ্যই অবহেলার অবসান ঘটতে যাচ্ছে পদ্মাকে ঘিরে। যখন কুয়াকাটা পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা হয়ে যাবে সেতুর পাশাপাশি ট্রেন চালু হবে তখন ফেরির জন্য নির্দিষ্ট সময় ধরে বসে থাকতে হবে না। যখন তখন রওয়ানা দিতে পারবে মানুষ।

ঢাকাপ্রকাশ: এই সেতুকে ঘিরে আপনার এলাকার মানুষের উচ্ছ্বাস কেমন?

এসএম শাহজাদা: আমি নির্বাচিত হওয়ার পর আমার এলাকার জনগণকে ভালো সেবা দেওয়ার জন্য বিআরটিসির এসি বাস দিয়েছিলাম আমার দুই উপজেলায়। এটা তিন মাসের মধ্যে লোকসান দিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু যখন উদ্বোধন করেছিলাম শত শত মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে তারা ঢাকায় আসবে। কিন্তু ফেরিঘাটে এসে যখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকতে হয় তখন তারা অস্থির অবস্থায় পড়ে যায়। বাস পরিচালনাকারী সংস্থা লোকসান গুণতে শুরু করে। পরে সেটা বন্ধ হয়ে যায়। সেতু চালু হওয়ার পর আবারও বাসে বিলাসবহুল ভ্রমণটা হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: পদ্মা সেতু চালু হলে আপনাদের অঞ্চলে কোন কোন ব্যবসার নতুন দ্বার খুলবে?

এসএম শাহজাদা: সেতু চালু হলে অনেক কিছুর জন্যই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে ঢাকায় আসতে হবে না বরং ঢাকা থেকে সেবাটা ওখানে পৌঁছে যাবে। উদাহরণ দিয়ে বলি, ঢাকায় নামী দামি ব্রান্ডের খাবারগুলো শুধুমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে আমাদের অঞ্চলে কোন ব্রাঞ্চ খোলে না। আমার সঙ্গে অনেক প্রতিষ্ঠানের কথা হয়েছে। তারা ২৫ জুন সেতু উদ্বোধনের পর ২৬ জুন থেকেই বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের ব্রাঞ্চ খুলতে চায়। কুয়াকাটার পর্যটন কেন্দ্রের অপার সম্ভাবনা। আমি জানি প্রাইভেট সেক্টরের অনেকে জমি কিনে রেখেছেন, যারা সেতু চালু হলেই সেখানে ব্যবসা চালু করবেন। ঢাকা থেকে লোকজন যাবে।এর মাধ্যমে আমার এলাকার লোকজনের কর্মসংস্থান হবে। জাতীয় অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে আমাদের এলাকা।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার এলাকায় এমন কিছু কি আছে যেটা এখনই করতে পারলে জাতীয় অর্থনীতিতে বেশি অবদান রাখতে পারবে?

এসএম শাহজাদা: মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র করা যেতে পারে। মৎস্য এক্সপোর্ট করার জন্য এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন করার ব্যবস্থা করতে পারলে বৈদেশিক মুদ্রা আসবে। অটো রাইস মিল হবে। গবাদি পশুর খামার করলে বিরাট সম্ভবনা দেখা দেবে। এক কথায় যোগাযোগ ব্যবস্থা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো অর্থনীতিতে ক্লিক করবে।

ঢাকাপ্রকাশ: পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের উৎসবটা কি দলমত নির্বিশেষে হওয়া উচিত বলে মনে করেন?

এসএম শাহজাদা: আমাদের টার্গেট আছে প্রতি উপজেলা থেকে টার্গেট পিপুলকে লঞ্চে করে সভাস্থলে নিয়ে আসব। স্মরণকালের সর্বোচ্চ জনসমাবেশ হবে। ১৫ থেকে ২০ লাখও হয়ে যেতে পারে। তবে এই উদ্বোধন নিয়ে নিন্দুক যারা আছেন তাদের উদ্দেশে একটা গল্প বলি, ‘চামচিকা দিনের আলোতে বের হয় না, যে কারণে সূর্যের আলো সে দেখতে পায় না। তাতে সূর্যের আফসোসও নাই এবং সূর্য ক্ষতিগ্রস্তও হয় না। চামচিকা সূর্য অস্ত যাওয়ার পর বের হয়। এই ধরনের চামচিকা শ্রেণির যারা আছেন তারাও উৎসব করবেন। কিন্তু তারা হয়তো সন্ধ্যার পর করবেন, আমরা দিনে করব। যারা নেত্রীকে ভালোবাসি, দেশকে ভালোবাসী যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক আমরা উৎসব দিনে করব ওরা হয়তো রাতে করবে।


এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad

ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশি নারীদের দিয়ে যৌন ব্যবসা চালানো একটি চক্রের সন্ধান মিলেছে ভারতে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এক কিশোরীসহ অন্তত ২৩ তরুণী বাধ্য হয়ে সেখানে এসব কাজ করছেন। ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। রাজ্যটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওড়িশাটিভি রোববার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তরুণীরা বৃহৎ মানবপাচারের শিকার হয়েছেন। তাদের দৈনিক ২ হাজার রুপি বেতনের কাজের লোভ দেখিয়ে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা শোষণ ও অন্যায়ের শিকার হয়েছেন।

এই যৌনব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকা দালালরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে খদ্দেরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যখন কোনো খদ্দের আগ্রহ প্রকাশ করেন তখন তাদের বাংলাদেশি তরুণীদের ছবি পাঠানো হয়। সেখান থেকে যে কোনো একজনকে বেঁছে নেয় তারা। এরপর আগেই অর্থ পরিশোধ করতে হয়। সবশেষে ওই খদ্দেরকে হোটেলের ঠিকানা দেওয়া হয় যেখানে নির্দিষ্ট তরুণী অপেক্ষা করেন।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কোটাক থেকে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীকে উদ্ধারের পর পুরো বিষয়টি সামনে আসে। ওই কিশোরীকে লিংক রোডের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তদন্ত শুরু হয় কীভাবে বাংলাদেশি তরুণীদের ওড়িশায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া এক যৌনকর্মী জানান, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তিনি এই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি এখানে আটকা পড়ে গেছেন। উদ্ধারকৃত ওই যৌনকর্মী জানান, পুরো বিষয়টি পরিচালনা করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রতারণার শিকার এই তরুণীদের কয়েক বছর ধরে আটকে রেখেছে চক্রটি। যারা এরসঙ্গে জড়িত তাদের ধরে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা চলছে।

স্থানীয় যেসব দালাল এই ব্যবসা চালানোয় ভূমিকা রেখেছে তাদের শনাক্ত করতে সক্রিয় অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

ভুবনেশ্বরের ডিসিপি পিনাক মিশ্রা ওড়িশাটিভিকে বলেছেন, “আমরা টুইন সিটিতে এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের ওপর দৃষ্টি রাখছে। আমাদের কাছে এসব বিষয়ে পর্যাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য আছে। যারা এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমে জড়িত আছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Header Ad

ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা

ছবি: সংগৃহীত

কনমেবল সাব-২০ ফুটসাল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। পেরুর লিমার ভিলা এল সালভাদর স্পোর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই দল।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরু থেকেই আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে চাপে রেখে ম্যাচটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।

পেরুর লিমাতে বসেছে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ১০ দলের ফুটসাল টুর্নামেন্ট। যদিও ব্রাজিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল। বিপরীতে আর্জেন্টিনা রার্নাসআপ হয়ে। গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের চারটিতেই জিতেছিল ব্রাজিল। কিন্তু আর্জেন্টিনা জয় পায় দুইটিতে। তবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ঠিকই জয় তুলে নেয় আলবিসেলেস্তেরা।

আগামীকাল সোমবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। কলম্বিয়াও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন প্যারাগুয়েকে একই ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে।

Header Ad

আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন

নায়েব আলী জোয়ারদার এবং তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ারদার ২টি মামলায় ৭ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। অন্যদিকে ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি ৩টি মামলায় ২০ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. এমরান হোসেন চেীধুরী আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ জামিন আদেশ দেন।

জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান।

জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য নায়ের আলী জোয়ারদারকে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের বাড়ি ও জেলা বিএনপির অফিসে হামলা অগ্নিসংযোগের অভিযোগের মামলায় গত ১২ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার দিন রাতে ঝিনাইদহ শহরের আরপপুরের জামতলা এলাকার বাড়ি থেকে র‍্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে। তারপর থেকেই তিনি জেলে ছিলেন। ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল হাই মৃত্যুবরণ করলে বিনাভোটে নায়েব আলী জোয়ারদার এমপি নির্বাচিত হন।

এ দিকে ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে গত ৬ অক্টোবর সাভারের নবীনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ২০১৩ সালে জামায়াত নেতা আব্দুস সালাম হত্যা মামলা, জেলা বিএনপি সভাপতি এম এ মজিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও জেলা বিএনপি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা রয়েছে।

এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান বলেন, মেডিকেল গ্রাউন্ডে আদালত আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্যকে জামিন দিয়েছেন। দীর্ঘদিন তারা শারীরিকভাবে অসুস্থ বলে আসামির আইনজীবী আদালতকে জানান। তারপরও তাদেরকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে জামিন মঞ্জুর করেছেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ