শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

উন্নয়ন প্রকল্পে গলদ-১

১০ মিটারের স্থলে ৪ মিটার বাঁধ দিয়ে টাকা লোপাট

বন্যার পানি থেকে ধানসহ ফসল রক্ষা করার জন্য বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু বাঁধের উচ্চতা কচি ধানগাছের উচ্চতা থেকেও কম করা হয়েছে। উচ্চতা ৬-১০ মিটার করার কথা থাকলেও বাস্তবে হয়েছে ২-৪ মিটার! চার বছরের কাজ শেষ করতে লেগেছে আট বছর। এই সময়ের মধ্যে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে ১৩ জন দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু তারপরও সুচারুরূপে কাজ সম্পন্ন হয়নি। অসংখ্য গলদ ধরা পড়ছে। ‘হাওর এলাকায় আগাম বন্যা প্রতিরোধ ও নিষ্কাশন উন্নয়ন’ প্রকল্পে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে।

অভিযোগ উঠেছে, যথাযথ যাচাই-বাছাই না করেই এ প্রকল্পের বিভিন্ন কাজ বা অঙ্গগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে প্রয়োজনীয় স্থানে দরকারি অঙ্গটি নির্মিত হয়নি। প্রকল্পটি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সময় টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে কোনো এক্সিট প্লান করা হয়নি। তাইতো প্রকল্পটি তিন বার সংশোধন করেও ৪০ শতাংশ বিভিন্ন অঙ্গের কাজ উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুযায়ী হয়নি। অর্থাৎ যেসব স্থানে হওয়ায় কথা ছিল ২০টির মধ্যে আটটিতে তা বাস্তবায়িত হয়নি। যেমন, সিলেটের কোম্পানিগঞ্জে একটি রেগুলেটর নির্মাণের কথা থাকলেও তা চাতল হাওরে হয়েছে। এ কাজে অনেক বছর লাগায় বাঁধগুলোর অধিকাংশ নষ্ট ও বিলিন হয়ে গেছে। একইভাবে সিলেটে নির্ধারিত ১৪টি ড্রেনেজ আউটলেটের মধ্যে ১২টি-ই হয়নি। ২২টি ইরিগেশন ইনলেটের মধ্যে সাতটির কাজ হয়নি।

এটি হচ্ছে হাওরের মানুষকে রক্ষা করার তথা জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পটির বাস্তব চিত্র। এটি উঠে এসেছে প্রভাব মূল্যায়ন খসড়া প্রতিবেদনে। সাধারণত কোনো প্রকল্প শেষ হলে তা কতোটুকু কার্যকর হয়েছে তা জানতেই সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলো নিয়ে ‘পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ’ (আইএমইডি) এই প্রতিবেদন করে থাকে।

‘হাওর এলাকায় আগাম বন্যা প্রতিরোধ ও নিষ্কাশন উন্নয়ন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সার্বিক ব্যাপারে জানতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদের সঙ্গে সোমবার ও মঙ্গলবার একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন না ধরায় তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

তবে প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. জিয়া উদ্দিন বেগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, ‘আমি এ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত না। কিছু জানতে হলে পিডির সঙ্গে কথা বলতে হবে। তারা বলতে পারবে। কিন্তু এ প্রকল্পের পিডি তো ১৩ জন ছিলেন। কার সঙ্গে কথা বলব? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি। যাকে দরকার মনে করেন তার সঙ্গে কথা বলেন।’

আইএমইডির প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, চার বছরের জায়গায় প্রকল্পটি আট বছরে শেষ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম ছয় বছরে মাত্র ২৫ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। আর শেষ দুই বছরে অগ্রগতি হয়েছে ৬৭ শতাংশ। এ কাজ করতে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে যে ১৩ জন দায়িত্ব পালন করেছেন তার মধ্যে কেউ পূর্ণকালীন ছিলেন না। অতিরিক্ত দায়িত্বপালন করেছেন। ফলে ঠিকমতো তদারকি হয়নি বাঁধের কাজ। এর মধ্যে মাত্র ১৪ দিন দায়িত্ব পালন করেছেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসমাইল হোসেন। সর্বশেষে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নিজামুল হক ভূইয়া প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আট মাস।

প্রকল্পের প্রধান প্রধান কাজ ছিল এক হাজার ৬৭৪ কিলোমিটার ডুবন্ত বাঁধ আগের অবস্থায় আনা, ২৭ কিলোমিটার কম্পার্টমেন্টাল ডাইক নির্মাণ, ১১টি পানি নিষ্কাশন অবকাঠামো (রেগুলেটর) নির্মাণ, ১৪টি ড্রেনেজ আউটলেট নির্মাণ, ১৩টি কজওয়ে, ২২টি ইরিগেশন ইনলেট ও ১১১টি পুরাতন রেগুলেটর পুনর্বাসন। এ ছাড়া ১৪৬ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ খাল পুন:খনন, ১১৬ কিলোমিটার সুরমা বৌলাই রিভার সিস্টেম ড্রেজিং ও ৪৮ হেক্টর (৩৬০ বিঘা) জমি অধিগ্রহণ।

এ সব কাজের জন্য পেট্রোল ও লুব্রিকেন্ট বাবদ ৬৭ লাখ টাকা। ভ্রমণভাতা হিসেবে প্রকল্প পরিচালকরা নিয়েছেন ৬৭ লাখ টাকা। ১৫টি হাওড়ের এসআইএ স্টাডিতে ৬৯ লাখ, বাঁধ জরিপে ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা, রিভার ড্রেজিংয়ের জরিপে এক কোটি টাকার বেশি ব্যয় করা হয়েছে।

বাঁধের উচ্চতা ৬-১০ মিটার করার কথা থাকলেও বাস্তবে হয়েছে ২-৪ মিটার। অর্থাৎ বাঁধের উচ্চতা তুলনামূলকভাবে অনেক কম হয়েছে। কোথাও বাঁধ এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যা ঘাসের আবরণে ঢেকে যায়। বাজিতপুরের একটি ডুবন্ত বাঁধের উচ্চতা কচি ধানগাছের উচ্চতা থেকেও কম করা হয়েছে। যা ছোট-খাট বন্যায় সহজেই ডুবে যায়। অষ্টগ্রামে রেগুলেটর জ্যাম হয়ে গেছে। এর ফলে দুটি রেগুলেটরের সঙ্গে বাঁধের সংযোগের উচ্চতার চেয়ে প্রায় ৩-৪ ফুট কমে গেছে। অর্থাৎ বাঁধের সঙ্গে যথাযথ সংযোগ নেই।

শুধু তাই নয়, ড্রেনেজ আউটলেট থেকে প্রবাহিত হওয়া পানি পরিবহনের জন্য স্থানও নেই। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় খালের গভীরতা কমে বর্তমানে ড্রেনের মতো হয়ে গেছে। এ খালের মধ্যে ধান চাষ করা হচ্ছে। অর্থাৎ খালের পাশের বাঁধগুলোর উচ্চতা পাশের ফসলি জমির সমান হয়ে গেছে।

এ ভাবে বিভিন্ন কাজে ৪৮১ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এসব অর্থ ব্যয় করা হয়েছে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত। যা ২০১৫ সালে বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। সংশোধন করে সময় বাড়ানো হয়েছে চার বছর। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তিনবার সংশোধন করে ব্যয় কমিয়ে ৫৮৭ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। তাতে বাস্তবে ব্যয় হয়েছে ৪৮১ কোটি টাকা। আর বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৯২ শতাংশ। ফলে কাগজে-কলমে প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেও প্রকৃত সুফল মিলছে না।

সুনামগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান বলেছেন, কোনো রকম দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ছাড়াই হাওড়ে প্রতিবছর অসংখ্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যা বছর ঘুরে না আসতেই নিঃশেষ হয়ে যায়। এতে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে, সঙ্গে রয়েছে সীমাহীন দুর্নীতি। এসব কারণে কোনো টেকসই ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল—আগাম বন্যার কবল থেকে হাওড় এলাকার বোরো ফসলকে রক্ষা করা, হাওড় এলাকার মূল নদীগুলোর পরিবহন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, অভ্যন্তরীণ খালগুলোর পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের নাব্যতা উন্নত করা।

প্রকল্পটির ইতিবাচক দিক হলো—কিশোগঞ্জের ২৮টি হাওড়ে ১৩ কোটি টাকা ব্যয় করে ৯৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করায় আগাম বন্যার কবল থেকে প্রকল্প এলাকার ৮০ শতাংশ বোরো ফসল রক্ষা পেয়েছে। ওই বছরে এক হাজার কোটি টাকার ধান পাওয়া গেছে।

সিলেট জেলার ছয়টি উপজেলা, সুনামগঞ্জের ১১টি, মৌলভীবাজারের দুটি, হবিগঞ্জের তিনটি, কিশোরগঞ্জের দুটি ও নেত্রকোনার পাঁচটি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

প্রকল্পটিতে বিভিন্ন দ্রুতি-বিচ্যুতি ধরা পড়ায় আইএমইডি দীর্ঘমেয়াদী সুপারিশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে হাওড় এলকা ভিন্নধর্মী ভৌগোলিক এলাকা। প্রতি বছরই আগাম বন্যা ঠেকাতে এখানে প্রকল্পের পর প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। কিন্তু কোনো টেকসই বা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে না।

জেডএ/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত