সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

টাকা না দিলে ফিটরাও আনফিট

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবার আতাউর রহমানের ছেলে ফরহাদ হোসেন ফাহিম। সৌদি আরবের ভিসা পেয়ে যান মেডিকেল পরীক্ষা করার জন্য নির্ধারিত এলাইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। মেডিকেল পরীক্ষার পর তাকে সেখান থেকে দেওয়া হয় এইচআইভি পজিটিভ রেজাল্ট। এই রেজাল্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সৌদি দূতাবাসে। বাতিল হয়ে যায় ফাহিমের ভিসা। রেজাল্ট দেখে বিস্মিত হয়ে যান ফাহিম। লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে পারেন না। এলাকায় সামাজিক ভাবেও নিগৃহীত হতে থাকেন। এরপর তার মাকে নিয়ে আবারও আসেন ঢাকায়। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকল বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইসিডিডিআরবিতে আবারও পরীক্ষা করেন। সেখানে পরীক্ষায় এইচআইভি নেগেটিভ দেখানো হয়। এই রিপোর্ট নিয়ে পরবর্তীতে এলাইডে গেলে শুরু হয় নানা ধরনের টালবাহনা। এক পর্যায়ে টাকা দাবি করে বসে তারা।

শুধু ফাহিম নয়, এ রকম ভাবে বিদেশগামীদের কাছ থেকে মেডিকেল টেস্টের নামে বাণিজ্য করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। যারা টাকা দিতে পারেননা তাদের আনফিট দেখানো হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিটেন্সে দেশের অর্থনীতির চাকা অনেকটা সচল থাকলেও, পদে পদে হয়রানি, প্রতারণা, দালালদের দৌরাত্মে নানা ভোগান্তির শিকার হন বিদেশগামীরা।

শ্রমিকদের বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে মেডিক্যাল চেক-আপ বাধ্যতামূলক। দেশে সরকারি-বেসরকারি, নামী-দামী বা বিশ্বমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা বিভিন্ন মেডিকেল সেন্টার থাকলেও, হাতে গোনা কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করানো হয় বিদেশ গমনেচ্ছুদের মেডিকেল টেস্ট। এসব মেডিকেল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার একটি সিন্ডিকেটের হাতে থাকায় ভোগান্তির অন্ত নেই সেবা প্রার্থীদের। গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল অ্যাপ্রুভড মেডিকেল সেন্টার অ্যাসোসিয়েশন-গামকা ও অন্যান্য মেডিকেল সেন্টরাগুলোতে দুর্দশা এবং শ্রমিক ভোগান্তির কোনো শেষ নেই।

নিয়মানুসারে মেডিকেল টেস্টে এইচআইভি (এইডস), খুব বেশি চর্মরোগ, জন্ডিস, হার্টের সমস্যা এবং শ্বাসকষ্ট এসব রোগের লক্ষণ থাকলে বিদেশ গমনেচ্ছুদের আনফিট দেখানো হয়। কিন্তু ভুক্তভোগীদের অভিযোগ শরীরে এসব রোগ না থাকলেও ইচ্ছা করে ভুল রিপোর্ট দিয়ে সেবা প্রত্যাশীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে মেডিকেল সেন্টার গুলো।

সূত্র মতে, মধ্যপ্রাচ্যে গমনেচ্ছুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারগুলোর সমন্বয়কারি সংস্থা হল গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল অ্যাপ্রুভড মেডিকেল সেন্টার অ্যাসোসিয়েশন-গামকা। তবে প্রবাসীরা এর নাম দিয়েছেন গরীব মারার কারখানা। গামকা সিন্ডিকেট ও দালালদের দৌরাত্ম নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও, অবস্থার উন্নতি হয়নি।

দরিদ্র গ্রামীণ সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে গামকা। গামকার ভেতরে বাইরে রয়েছে শত শত দালাল। ছবি তোলার নামে ইচ্ছামত টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ডাক্তার, নার্স বা টেকনিশিয়ান ছাড়াই বিদেশ গমনেচ্ছুদের মেডিকেল টেস্টের নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মেডিকেল সেন্টার নামধারী একশ্রেণির প্রতিষ্ঠান।

মেডিকেল ফিটনেস কার্ড সংগ্রহের প্রতিটি ধাপে ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হতে হয় বিদেশগামীদের। সাধারণ মেডিকেল পরীক্ষায় এক হাজার টাকা খরচ হলেও গামকায় নেওয়া হয় প্রায় ছয় হাজার টাকা।

দেশে মানসম্মত সরকারি- বেসরকারি অনেক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থাকলেও বিদেশ গমনেচ্ছুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বাছাই করা হয়েছে মাত্র ৪৬টিকে। প্রতিজনের কাছ থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে আদায় করা হয় ৫ হাজার ৮৫০ টাকা করে।

রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, এক্স-রে সহ কয়েকটি পরীক্ষার জন্য এই টাকা আদায় করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরীক্ষাগুলো বাইরের কোন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে করালে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা লাগার কথা। টাকা না দিলে অনফিট করে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ি প্রতিটি সেন্টারে পুরুষ-মহিলা ডাক্তার ও টেকনিশিয়ান থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু কোন মেডিকেল সেন্টারেই মহিলা ডাক্তার ও টেকনিশিয়ান পাওয়া যায়নি।

আল ফালাহ মেডি-কম ক্লিনিক। রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত এই সেন্টারটির বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ। এখানে অতিরিক্ত টাকা ছাড়া মেলে না ফিটনেস কার্ড।
সেবা প্রার্থীদের এমন অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মহিলাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন পুরুষ চিকিৎসক। তবে মানুষের অভিযোগ ও নিয়ম নীতির বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কর্মরত ডাক্তার ও মালিক।

রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত এস. কে. এন. হেলথ সার্ভিস। এই সেন্টারটির বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ। নেই নারী ডাক্তার ও টেকনিশিয়ান। এছাড়া, নির্ধারিত সময়ে ফিটনেস কার্ড না দেওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় অনেককে। রাজধানীর ফকিরাপুল, পল্টন, আরামবাগসহ আশপাশে রয়েছে অসংখ্য মেডিকেল সেন্টার নামধারী অর্থ উপার্জনের প্রতিষ্ঠান। কোন ডাক্তার বা টেকনিশিয়ান ছাড়াই এখান থেকে দেওয়া হয় রিপোর্ট।

ইউরো-বাংলা ডায়াগনেস্টিক সেন্টার। বাহারী নাম হলেও কাজ পুরোই উল্টো। ল্যাব ছাড়াই দেওয়া হয় রিপোর্ট। একটি এক্স-রে মেশিন থাকলেও, কবে এটি শেষ কবে চালু হয়েছিলো সেটি হয়ত জানা নেই কারোরই। রিসিপশনিস্ট শারমিন আক্তারই সব। তার হাতেই তৈরি হয় রিপোর্ট। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ফকিরাপুলের অধিকাংশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তারদের সীল ব্যবহার করে ইচ্ছামত মেডিকেল রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। ফকিরাপুলে অর্ধশত মেডিকেল সেন্টার এমন প্রতারণার ব্যবসায় জড়িত। কোন ধরণের পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট দিচ্ছে তারা।

টাকা না দিলে সুস্থদেরও আনফিট করে দিচ্ছে মেডিকেল চেকআপ সেন্টারগুলো। টাকা দিলে অসুস্থ ব্যক্তি ফিট, না দিলে সুস্থরাও আনফিট। মধ্যপ্রাচ্যগামী বেশিরভাগ কর্মীর সঙ্গে এমন প্রতারণা করছে বেশিরভাগ মেডিকেল চেক আপ সেন্টার। শুধু তাই নয়, জন্ডিস, যক্ষাসহ কঠিন রোগে আক্রান্ত অনেকে টাকার বিনিময়ে ফিট কার্ড নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে বিদেশে। এ বিষয়ে নেই সরকারি নজরদারি। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিদেশ যাত্রার স্বপ্ন ভাঙার যন্ত্রনায় অশ্রুশিক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের আহসান হাবীব। সচ্ছলতার আশায় জীবনের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে, যেতে চান সৌদি আরবে। ভাটারা মোহায়মিদ মেডিকেল সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করান। কিন্তু তাকে আনফিট করা হয়। পরে ২৩ হাজার টাকায় ফিট হন আহসান। অপরদিকে টাকা দিতে না পারায় কুড়িলের ট্রান্সওয়ার্ল্ড মেডিকেল সেন্টারের বিরুদ্ধে আনফিট করার অভিযোগ তোলেন বিদেশগামী ফরহাদ।

প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় দেশের অর্থনৈতিক ভিত শক্ত হচ্ছে, পারিবারিক জীবনে ফিরছে স্বচ্ছলতা। অথচ ঠুনকো সমস্যা বা ঘুষ না দিতে পারায় প্রতিদিন শত শত বিদেশগামীর স্বপ্ন ভাঙছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বরাবরের মত বক্তব্য দিয়েই দায় সারছেন। তারা বলছেন, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা এ ধরনের বেআইনি কাজে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবে অধিদপ্তর। মুখে মুখে এমন কথা বলা হলেও কাজে তার বিন্দুমাত্র বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়না বলে অভিযোগ ভুক্তোভোগীদের।

কেএম/এএস

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু