শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

টাকা না দিলে ফিটরাও আনফিট

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবার আতাউর রহমানের ছেলে ফরহাদ হোসেন ফাহিম। সৌদি আরবের ভিসা পেয়ে যান মেডিকেল পরীক্ষা করার জন্য নির্ধারিত এলাইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। মেডিকেল পরীক্ষার পর তাকে সেখান থেকে দেওয়া হয় এইচআইভি পজিটিভ রেজাল্ট। এই রেজাল্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সৌদি দূতাবাসে। বাতিল হয়ে যায় ফাহিমের ভিসা। রেজাল্ট দেখে বিস্মিত হয়ে যান ফাহিম। লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে পারেন না। এলাকায় সামাজিক ভাবেও নিগৃহীত হতে থাকেন। এরপর তার মাকে নিয়ে আবারও আসেন ঢাকায়। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকল বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইসিডিডিআরবিতে আবারও পরীক্ষা করেন। সেখানে পরীক্ষায় এইচআইভি নেগেটিভ দেখানো হয়। এই রিপোর্ট নিয়ে পরবর্তীতে এলাইডে গেলে শুরু হয় নানা ধরনের টালবাহনা। এক পর্যায়ে টাকা দাবি করে বসে তারা।

শুধু ফাহিম নয়, এ রকম ভাবে বিদেশগামীদের কাছ থেকে মেডিকেল টেস্টের নামে বাণিজ্য করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। যারা টাকা দিতে পারেননা তাদের আনফিট দেখানো হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিটেন্সে দেশের অর্থনীতির চাকা অনেকটা সচল থাকলেও, পদে পদে হয়রানি, প্রতারণা, দালালদের দৌরাত্মে নানা ভোগান্তির শিকার হন বিদেশগামীরা।

শ্রমিকদের বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে মেডিক্যাল চেক-আপ বাধ্যতামূলক। দেশে সরকারি-বেসরকারি, নামী-দামী বা বিশ্বমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা বিভিন্ন মেডিকেল সেন্টার থাকলেও, হাতে গোনা কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করানো হয় বিদেশ গমনেচ্ছুদের মেডিকেল টেস্ট। এসব মেডিকেল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার একটি সিন্ডিকেটের হাতে থাকায় ভোগান্তির অন্ত নেই সেবা প্রার্থীদের। গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল অ্যাপ্রুভড মেডিকেল সেন্টার অ্যাসোসিয়েশন-গামকা ও অন্যান্য মেডিকেল সেন্টরাগুলোতে দুর্দশা এবং শ্রমিক ভোগান্তির কোনো শেষ নেই।

নিয়মানুসারে মেডিকেল টেস্টে এইচআইভি (এইডস), খুব বেশি চর্মরোগ, জন্ডিস, হার্টের সমস্যা এবং শ্বাসকষ্ট এসব রোগের লক্ষণ থাকলে বিদেশ গমনেচ্ছুদের আনফিট দেখানো হয়। কিন্তু ভুক্তভোগীদের অভিযোগ শরীরে এসব রোগ না থাকলেও ইচ্ছা করে ভুল রিপোর্ট দিয়ে সেবা প্রত্যাশীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে মেডিকেল সেন্টার গুলো।

সূত্র মতে, মধ্যপ্রাচ্যে গমনেচ্ছুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারগুলোর সমন্বয়কারি সংস্থা হল গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল অ্যাপ্রুভড মেডিকেল সেন্টার অ্যাসোসিয়েশন-গামকা। তবে প্রবাসীরা এর নাম দিয়েছেন গরীব মারার কারখানা। গামকা সিন্ডিকেট ও দালালদের দৌরাত্ম নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও, অবস্থার উন্নতি হয়নি।

দরিদ্র গ্রামীণ সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে গামকা। গামকার ভেতরে বাইরে রয়েছে শত শত দালাল। ছবি তোলার নামে ইচ্ছামত টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ডাক্তার, নার্স বা টেকনিশিয়ান ছাড়াই বিদেশ গমনেচ্ছুদের মেডিকেল টেস্টের নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মেডিকেল সেন্টার নামধারী একশ্রেণির প্রতিষ্ঠান।

মেডিকেল ফিটনেস কার্ড সংগ্রহের প্রতিটি ধাপে ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হতে হয় বিদেশগামীদের। সাধারণ মেডিকেল পরীক্ষায় এক হাজার টাকা খরচ হলেও গামকায় নেওয়া হয় প্রায় ছয় হাজার টাকা।

দেশে মানসম্মত সরকারি- বেসরকারি অনেক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থাকলেও বিদেশ গমনেচ্ছুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বাছাই করা হয়েছে মাত্র ৪৬টিকে। প্রতিজনের কাছ থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে আদায় করা হয় ৫ হাজার ৮৫০ টাকা করে।

রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, এক্স-রে সহ কয়েকটি পরীক্ষার জন্য এই টাকা আদায় করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরীক্ষাগুলো বাইরের কোন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে করালে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা লাগার কথা। টাকা না দিলে অনফিট করে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ি প্রতিটি সেন্টারে পুরুষ-মহিলা ডাক্তার ও টেকনিশিয়ান থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু কোন মেডিকেল সেন্টারেই মহিলা ডাক্তার ও টেকনিশিয়ান পাওয়া যায়নি।

আল ফালাহ মেডি-কম ক্লিনিক। রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত এই সেন্টারটির বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ। এখানে অতিরিক্ত টাকা ছাড়া মেলে না ফিটনেস কার্ড।
সেবা প্রার্থীদের এমন অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মহিলাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন পুরুষ চিকিৎসক। তবে মানুষের অভিযোগ ও নিয়ম নীতির বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কর্মরত ডাক্তার ও মালিক।

রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত এস. কে. এন. হেলথ সার্ভিস। এই সেন্টারটির বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ। নেই নারী ডাক্তার ও টেকনিশিয়ান। এছাড়া, নির্ধারিত সময়ে ফিটনেস কার্ড না দেওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় অনেককে। রাজধানীর ফকিরাপুল, পল্টন, আরামবাগসহ আশপাশে রয়েছে অসংখ্য মেডিকেল সেন্টার নামধারী অর্থ উপার্জনের প্রতিষ্ঠান। কোন ডাক্তার বা টেকনিশিয়ান ছাড়াই এখান থেকে দেওয়া হয় রিপোর্ট।

ইউরো-বাংলা ডায়াগনেস্টিক সেন্টার। বাহারী নাম হলেও কাজ পুরোই উল্টো। ল্যাব ছাড়াই দেওয়া হয় রিপোর্ট। একটি এক্স-রে মেশিন থাকলেও, কবে এটি শেষ কবে চালু হয়েছিলো সেটি হয়ত জানা নেই কারোরই। রিসিপশনিস্ট শারমিন আক্তারই সব। তার হাতেই তৈরি হয় রিপোর্ট। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ফকিরাপুলের অধিকাংশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তারদের সীল ব্যবহার করে ইচ্ছামত মেডিকেল রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। ফকিরাপুলে অর্ধশত মেডিকেল সেন্টার এমন প্রতারণার ব্যবসায় জড়িত। কোন ধরণের পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট দিচ্ছে তারা।

টাকা না দিলে সুস্থদেরও আনফিট করে দিচ্ছে মেডিকেল চেকআপ সেন্টারগুলো। টাকা দিলে অসুস্থ ব্যক্তি ফিট, না দিলে সুস্থরাও আনফিট। মধ্যপ্রাচ্যগামী বেশিরভাগ কর্মীর সঙ্গে এমন প্রতারণা করছে বেশিরভাগ মেডিকেল চেক আপ সেন্টার। শুধু তাই নয়, জন্ডিস, যক্ষাসহ কঠিন রোগে আক্রান্ত অনেকে টাকার বিনিময়ে ফিট কার্ড নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে বিদেশে। এ বিষয়ে নেই সরকারি নজরদারি। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিদেশ যাত্রার স্বপ্ন ভাঙার যন্ত্রনায় অশ্রুশিক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের আহসান হাবীব। সচ্ছলতার আশায় জীবনের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে, যেতে চান সৌদি আরবে। ভাটারা মোহায়মিদ মেডিকেল সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করান। কিন্তু তাকে আনফিট করা হয়। পরে ২৩ হাজার টাকায় ফিট হন আহসান। অপরদিকে টাকা দিতে না পারায় কুড়িলের ট্রান্সওয়ার্ল্ড মেডিকেল সেন্টারের বিরুদ্ধে আনফিট করার অভিযোগ তোলেন বিদেশগামী ফরহাদ।

প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় দেশের অর্থনৈতিক ভিত শক্ত হচ্ছে, পারিবারিক জীবনে ফিরছে স্বচ্ছলতা। অথচ ঠুনকো সমস্যা বা ঘুষ না দিতে পারায় প্রতিদিন শত শত বিদেশগামীর স্বপ্ন ভাঙছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বরাবরের মত বক্তব্য দিয়েই দায় সারছেন। তারা বলছেন, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা এ ধরনের বেআইনি কাজে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবে অধিদপ্তর। মুখে মুখে এমন কথা বলা হলেও কাজে তার বিন্দুমাত্র বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়না বলে অভিযোগ ভুক্তোভোগীদের।

কেএম/এএস

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত