সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সাক্ষাৎকার/চ্যালেঞ্জিং সময়ে বাস্তবসম্মত বাজেট চাই

নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা চলছে। দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। বলা হচ্ছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বিশ্বজুরে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও । এতে সাধারণ মানুষ আছে চরম অস্বস্থিতে। কিন্তু এথেকে উত্তরণ প্রয়োজন। সাধারণ মানুষকে স্বস্থি দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। আসন্ন বাজেটে সেজন্য থাকতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা। আগামী বাজেটে কিভাবে ভোক্তারা রক্ষা পাবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থেকে, একান্ত সাক্ষাৎকারে ঢাকাপ্রকাশকে বিস্তারিত জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী। 

ঢাকাপ্রকাশ: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মোকাবেলা করতে বাজেটে কোন খাতে বেশি সুবিধা দরকার।

মো. আমিন হেলালী: এফবিসিসিআই’র অন্তর্ভূক্ত ৪২০টি অ্যাসেসিয়েশন (সমিতি) রয়েছে। আরও বিভিন্ন খাতের ২০টি মতো সমিতি রয়েছে। একেকটা পণ্য নিয়ে একেকটা সমিতি। এরমধ্যে ১০০টির মতো জেলা ও ওমেন চেম্বার রয়েছে। সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারের বিভিন্ন চাহিদা লিখিত আকারে এনবিআর এর কাছে পাঠানো হয়েছে। যেন বাজেট প্রণয়নে ব্যবহার করা হয়। আগামীর বাজেট হবে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কারণ ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে আমাদের সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। এটা কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা বলা মুশকিল। তা মোকাবেলা করতেই বাস্তব সম্মত বাজেট চাই আমরা। বিশ্ব পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে এই দাবি করা হয়েছে। সরকারকে তা আমলে নিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

ঢাকাপ্রকাশ: পণ্যের দাম কমাতে আপনাদের দাবিগুলো কী?

মো. আমিন হেলালী: পুরো পৃথিবীর অর্থনীতি তথা তেল, গ্যাস, কৃষি পণ্য গম, ভুট্টা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমাদের রপ্তানি পণ্যের ৬২ শতাংশ পণ্য রম্যাটেরিয়াল (কাঁচামাল) হিসেবে আমদানি করা হয়ে থাকে। আর ৩৮ শতাংশ দেশি চাহিদা মেটায় কাঁচামাল আমদানি করে। এভাবে বর্তমানে আন্তর্জাতিক ও দেশি সব পণ্যের দাম বেড়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আগে ১০০ টাকার আটা আমদানি করলে ১০ টাকা রাজস্ব পেত। ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় একই পণ্য ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা হয়ে গেছে। এতে সরকার রাজস্ব বেশি পাচ্ছে। কিন্তু ভোক্তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এভাবে আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। এরফলে ভোক্তাদের সব পণ্য বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে। এটা যাতে না হয় অর্থাৎ ভোক্তাদের উপর যাতে না পড়ে সেদিকে সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য সরকার শুল্ক আহরণে শুল্ক সমন্বয় (ডিউটি স্ট্রাকচার) করতে হবে। এতে সরকারের রাজস্ব ঠিক থাকবে বাজারও ঠিক থাকবে। মূল্য খাতেই দাম বেড়েছে। ফ্রেইট ভাড়া ৬০০, ৭০০ ডলার থেকে ৩০০০ ডলার হয়ে গেছে। বিভিন্ন কারণে এই ভাড়া বেড়ে গেছে। বাংলাদেশে পোর্টে যে সক্ষমতা তার উপর ভাড়া নির্ধারণ হয়। বড় জাহাজ (ফিডার ভ্যাসেল) ভ্যাসেলে আসে বেশি পণ্য। তা মাদার ভ্যাসেলে (বড় জাহাজ ) আসতে পারে না। তাই খরচ বেশি হচ্ছে। তবে আশার কথা হচ্ছে ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে পৌঁছার জন্য জাহাজ চলে গেছে। বে-টার্মিনাল-১,২ ও ৩ চালু হতে যাচ্ছে। তখন বাণিজ্যিকভাবে ব্যয় কমবে। মাতারবাড়ি পোর্টও হতে যাচ্ছে। এগুলো চালু হলে দুইভাবে বাংলাদেশ লাভবান হবে। ভারত, নেপাল ও ভুটানও এসব পোর্ট ব্যবহার করবে।


ঢাকাপ্রকাশ: কীভাবে দ্রব্যমূল্য কমতে পারে?

মো. আমিন হেলালী: সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক অস্থিরতা চলছে। তবে আসলে বাংলাদেশে ভয়ের কিছু নেই। শঙ্কাও নেই। কারণ বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো না। ২০০৯ সালে তিন বিলিয়ন ডলারের কম রিজার্ভ ছিলো। তা থেকে বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলার। তা থেকে কমে এখনো ৪২ বিলিয়ন ডলার। তাহলে কিভাবে শঙ্কা মনে করব। আমরা কিন্তু কোনভাবেই শ্রীলঙ্কার মতো। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আমাদের অর্থনীতিও অনেক শক্তিশালী।

এ ছাড়া আমাদের প্রাইভেট সেক্টরও ভালো অবস্থানে রয়েছে। সরকারের উন্নয়নের মতো উন্নয়নের গতিতে বহবান। তবে সরকারকে কৃচ্ছতাসাধন করতে হবে। কারণ বর্তমানে গ্রামেও বিদেশি ফলে ভরে গেছে। যেহেতু মন্দা চলতে সারা বিশ্বে তাই এ মুহূর্তে সেই সব ফলের আমদানি বন্ধ করতে হবে। দেশি ফলের দিকেই থাকতে হবে। এছাড়া আরও যে সব বিলাসী পণ্য রয়েছে তা আমদানি বন্ধ করতে হবে। সিরিয়াসলি বিভিন্ন কায়দা কানুন করে আমদানি কমাতে সরকারকে নজর দিতে হবে। বিভিন্নভাবে শুল্ক আরোপ করতে হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: পণ্যমূল্য কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক কী পদক্ষেপ নিতে পারে?

মো. আমিন হেলালী: সরকার রেমিট্যান্স আনতে সম্প্রতি যে ঘোষণা দিয়েছে তাতে ডলারের পরিমান অনেক বেড়ে যাবে। দেশে যেভাবে হোক ডলার আসুক। দেশের ডলারের পরিমান বাড়বে। ক্ষতি নেই। পরে দরকার হলে তালা মেরে দিবে। বাংলাদেশ ব্যাংকও বিভিন্ন সার্কুলার জারি করেছে। তা ইতিবাচক। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত দামে ডলারের দাম বাজারে রাখতে হবে। বর্তমানে এই দর বাইরে চলে গেছে। কোনো কোনো ব্যাংকে অনেক বেশি দামে ডলার বিক্রি হচ্ছে। এটা অনৈতিক। এফবিসিসিআই শুধু পলিসি মেকিং সংগঠন। ব্যাংকের রেগুলেটরি বডি (নিয়ন্ত্রক বড়ি) না। ব্যাংকগুলো নিয়ম বা অনিয়মে ডলারের বেচাবিক্রি করছে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। বাইরে এ ব্যাপারে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংককে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে এটা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে এফবিসিসিআইএর কোনো কিছু করার নেই।

ঢাকাপ্রকাশ: ব্যবসায়ীরা কেন টাকা পাচার করে?

মো. আমিন হেলালী: টাকা কামানোর (আয়) মাধ্যম ব্যবসা। সবাই টাকা আয় করে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে। সরকারি কর্মকর্তারা তাদের সহায়তা করে থাকে। ব্যবসা করে ব্যবসায়ীরা লাভ করে। সেই অর্থ বিভিন্ন কাজে লাগায়। তা দেশে বা বিদেশে হতে পারে। কিন্তু কেউ যদি আমদানি-রপ্তারির মাধ্যমে অর্থ পাচার করে থাকে তা সরকারি লোকের সহায়তাই করে থাকে। তাদের জোগসাজসেই বিদেশে অর্থ পাচার হয়ে থাকে। এটা অপরাধ। এ কাজে তারাও জড়িত। ছোট কর্মকর্তারা ইচ্ছা করলেই কিছু করতে পারে না। উপরের জোগসাজসেই তারা করে থাকে। বইয়ের অর্ডার দিয়ে ইলেকট্রনিক্স পণ্য আনলে সেটা হবে অপরাধ (ক্রাইম)। এ ক্ষেত্রে সবার শান্তি হওয়া উটিৎ। উপর ঠিক হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। পরিদর্শককে ধরে লাভ হবে? তার বড়টা ঠিক না হলে। বস ঠিক না হলে পরিদর্শক ঠিক হয়ে লাভ হবে না।

ঢাকাপ্রকাশ: কীভাবে অর্থ পাচার রোধ করা যায়, দেশে আসতে পারে?

মো. আমিন হেলালী: অর্থ পাচার রোধ করতে হলে উপর থেকেই কঠোর হতে হবে। তারা ঠিক হলে দেশ থেকে অর্থ পাচার বন্ধ হয়ে যাবে। অনেকে যেভাবে বলছে যে লাখ লাখ কোটি টাকা অর্থ পাচার হয়েছে তাতে তো দেশ ফকির হয়ে যেত। সরকার বন্ধুত্বপূর্ণ হলে টাকা পাচার হবে না। কেউ আর কালো টাকা রাখবে না। মরলে কাফনের কাপড় পাব এই নিশ্চয়তা থাকলে কেউ বাইরে টাকা বা অর্থ রাখা বর্তমানে কঠিন হয়ে গেছে। তারা সব কিছু জেনেই তারপর অবস্থান করতে দেয়। এক সময়ে সিঙ্গাপুর ফ্রি অ্যাকাউন্ট করতে দিলেও বর্তমানে সেই সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। ঢুকলেই জবাব দিতে হয়। মানুষ সুযোগ পেলেই বাইরে যাবে। তবে দেখতে হবে সেটা বৈধ প্রক্রিয়ায় কি না। বৈধ হলে কোনো সমস্যা না। আর অবৈধ হলে যারা সহায়তা করে বা যাদের জোগসাজসে অর্থ পাচার হয় তাদের বিরুদ্ধে শান্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তবেই দেশের অর্থ বাইরে যাবে না।

অনেকে বলে কানাডায় বেগম পাড়ায় বাড়ি বানাচ্ছে, টাকা রাখছে। কেন? এক সময়ে বিদেশে গেলে তারা আমাদের খাওয়াতো। ভালো লাগত। কিন্তু পাল্টে গেছে সেই চিত্র। তাদের অবস্থা দেখলে কষ্ট লাগে। বর্তমানে আমরাই তাদের চেয়ে ভালো আছি। তাদের ভালোর চেয়ে আমরাই বেশি ভালো আছি। মান সম্মান ইজ্জত নিয়ে বেঁচে আছি। বুক ফুলিয়ে হাটতেছি।

ঢাকাপ্রকাশ: কালো টাকা বাড়ছেই, বাজেটে সাদা করার ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?

মো. আমিন হেলালী: কোনো কালো টাকা হওয়ার সুযোগ দেওয়া উচি নয় সরকারের। যেভাবেই হোক বৈধ পন্থায় টাকা খরচ করার সুযোগ দিতে হবে। আমি অর্থনীতি ভালো না বুঝলেও কোনো টাকাই কালো টাকা হওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত হবে না সরকারের। টাকা সাদা থাকবে। তা চলতে থাকবে। কোনটা বৈধ আর কোনটা অবৈধ তা নীতির মধ্যে ধরা হয়। ভয়ভীতি দেখিয়ে হবে না। সব কিছু কমপ্লায়েন্স থাকলে টাকা কালো হবে না। সরকার অনেক নীতি করতে পারে।

সরকার কালো টাকা সাদা করতে বিভিন্ন আইন ও নীতি করে থাকে। ব্যবসায়ীরা ট্যাক্স ভ্যাট দিয়ে ব্যবসা করেন। তাহলে টাকা কালো হবে কেন? ব্যবসায়ীরাও মানুষ। কাজেই আমি একজন মানুষ বা জনগণ হিসেবে বলব, বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকা ঠিক না। কোনো সুযোগই দেওয়া ঠিক না। যে কোনো উপায়ে হোক সাদার মধ্যেই থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ একটা ইট গাথলেও দেশের টাকা দেশে থাকবে। দেশেই অর্থ খরচ করার সুযোগ দিতে হবে। এর উপকার দেশের মানুষই পাবে। খরচ করা মাত্রই হিসাব করতে শুরু করলে অর্থাৎ ধরতে থাকলে চলবে না।

 

জেডএ/

 

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু