সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সংখ্যা নয়, ঐক্যমতে হবে জাতীয় ঐক্য

নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে চূড়ান্ত পথে টেনে নিতে রূপরেখা তৈরি করতে যাচ্ছে বিএনপি। সেই লক্ষে নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ শুরু করেছে দলটি।

এখনই জোটবদ্ধ নয়, বরং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিজেদের চিন্তাভাবনা ও দাবির বিষয়ে প্রাথমিকভাবে একটি খসড়া তৈরিতে মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এ সংলাপের যাত্রা শুরু করে বিএনপি।

ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে জোটবদ্ধ এমন রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়া এই মুহূর্তে সরকারবিরোধী প্রায় সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি হাইকমান্ড। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে যুক্ত থাকা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনার দরজা খোলা রাখার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব বিএনপির। দলটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

সরকারবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক প্রাথমিক আলোচনায় বিএনপির মূল যে দাবিগুলো আছে, প্রথম: দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সমস্ত রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি, দুই: বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকা্রকে পদত্যাগ করতে হবে, পদত্যাগ করে তাদের নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, তিন: সংসদ বাতিল করতে হবে এবং তারপরে পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংসদ গঠন হবে, সরকার গঠন হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘রাজনীতিতে শেষ বলে কোনো কিছু নেই। আমাদের দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হবে। সবে মাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার দ্বার উন্মুখ হয়েছে। তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা কিন্তু সব সময়ই হচ্ছে। দাবি আদায়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে যে সব রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যেমতে পৌঁছাবে তাদের নিয়ে এক পথে এক সঙ্গে হাটঁতে শুরু করা হবে। যদিও চলার পথে অনেক ষড়যন্ত্র হবে, কেউ কেউ লোভে পড়ে যাত্রা বিরতিতে যাবে, কেউ আবার ঐক্যে ভাঙার দালালিতে জড়িয়ে পড়বে। কাজেই জাতীয় ঐক্যে গঠনে সংখ্যা বিষয় নয়, দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত কারা থাকবে। তখন আমরা যারা একসঙ্গে থাকব তারাদের সবাইকে নিয়ে সরকার গঠন করা হবে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে জাতীয় সরকারের কথা বলেছেন- সেই সরকার গঠন করা হবে। অবশ্য সেই পর্যন্ত সবাইকে ঐক্যে ধরে রাখতে হবে।’

এদিকে, নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপি ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে এবং নির্বাচন প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল। পরবর্তীতে ড.কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফন্ট্রের ব্যানারে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় দলটি। সেই নির্বাচনে ভরাডুবির পরাজয় বরণ করার পরও নির্দলীয় সরকারের দাবি থেকে সরে আসেনি বিএনপির অবস্থান। বরং সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে আন্দোলন সংগ্রামে পাশে রাখতে দলগুলোর দেওয়া প্রস্তাব জাতীয় সরকার গঠন সেই বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বিএনপির হাইকমান্ডের। যদিও বিএনপির ঘোষিত জাতীয় সরকার ব্যবস্থা ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে ঘোষিত জাতীয় সরকার ব্যবস্থার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয় হয়ে উঠেছে। বিএনপি চাচ্ছে এই সরকারের পতন নিশ্চিত করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন। পরবর্তীতে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। কিন্তু অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে কোনো দল চাচ্ছে এক সঙ্গে আন্দোলনে যাওয়ার পূর্বেই জাতীয় সরকার গঠন ব্যবস্থার ধরণ নির্ধারণ করা। অবশ্য জাতীয় সরকার গঠনে ভিন্নমতকে মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একে অপরের আস্থাহীনতা-অবিশ্বাস থেকে সৃষ্টি বলেই ধরে নিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। সেই ধারাবাহিকতায় জাতীয় সরকার গঠনের চেয়ে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে সরকার পতনে সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে উঠে আসা ঐক্যমতের ভিত্তিতে আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত।

বিএনপির নীতিনির্ধারণী নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে—দলীয় সরকারের অধীন বিশেষ করে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। পক্ষান্তরে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে—সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলব। সেই প্রেক্ষিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের যে রূপরেখা, সেই রূপরেখা তৈরি করা হবে। সেক্ষেত্রে জোটে থাকা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও কথা বলতে হবে। তাদের সঙ্গে কথা না বললে কেমন হবে। সবার সঙ্গেই হবে, অল দ্য পলিটিক্যাল পার্টিস।

তিনি বলেন, আলোচনার মূল্য উদ্দেশ্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং এই ফ্যাসিবাদী সরকার যারা মানুষের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছে, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং আজকে অর্থনীতি, দেশের সমস্ত যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেগুলোকে ধবংস করে ফেলেছে সেই সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা, জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা—এটাই হচ্ছে আমাদের মূল্য লক্ষ্যে। এজন্য আন্দোলন তৈরি করতে হবে। এই আন্দোলন তৈরি করতে ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে এই আলোচনার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি।

বিএনপির দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বাইরে থাকা সরকারবিরোধী প্রায় সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার নীতিগত সিদ্ধান্ত বিএনপির। সেক্ষেত্রে আলোচনার প্রাথমিক তালিকায় রয়েছে নাগরিক ঐক্যে, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), গণ অধিকার পরিষদ, গণফোরাম (ড. কামাল), গণফোরাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), ভাসানী অনুসারী পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বিবেচনায় রাখা হচ্ছে—বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, সমাজতান্ত্রিক দল (ইনু), জাতীয় পার্টিকে (এরশাদ), গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টির প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তবে এখানেই চূড়ান্ত নয়। পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় সংলাপ আলোচনায় ব্যক্তি ও দলের পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানা গেছে।

নামপ্রকাশে অনিইচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য ঢাকাপ্রকাশ কে বলেন, জাতীয় ঐক্যে গড়ে তোলা এতো সহজ বিষয় নয়। এটি গড়ে তুলতে অনেক প্রতিবন্ধকতা বিবেচনায় ধীরে চলা নীতি অবলম্বন করা হলে অপেক্ষাকৃত ভালো ফলাফল আসবে। এখানে তড়িঘড়ির কিছু নেই। এটাই হবে সরকারবিরোধী সবশেষ পদক্ষেপ।

তিনি বলেন, মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাকে মূল্যায়ন জানাতে গিয়ে জাতীয় ঐক্যে গঠনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু করা হয়েছে। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রায়ই বলা হয়ে থাকে যে, বিএনপি জাতীয় ঐক্যের কথা সভা-সমাবেশ-সেমিনারে বলছেন অথচ কোনো রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তেমনভাবে আসেন না। তাদের সেই কথা বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনা শুরু করা হয়েছে। সময় যত যাবে আলোচনায় ঐক্যেমতে হওয়া তত সম্ভবপর হয়ে উঠবে।

এমএইচ/আরএ/

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু