শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রতারক চক্রের হাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ডিভাইস

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে থাকা ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর চেয়েও ক্ষমতা সম্পন্ন ডিভাইস এখন প্রতারক চক্রের হাতে। আমদানি নিষিদ্ধ হলেও একটি চক্র অন্য পণ্যের আড়ালে এগুলো দেশে এনে তুলে দিচ্ছে এই চক্রের হাতে। ডিভাইসগুলো নিয়ে চক্রটি নানা ধরনের প্রতারণা ও অসৎ উদ্দেশে ব্যবহার করছে। অতি সম্প্রতি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) জ্যামার, বুস্টার, হিডেন স্পাই ওয়ারলেস কিট ও ওয়াকিটকি জব্দ করছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এগুলো সাধারণ মানুষের হাতে থাকা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলোর অপব্যবহারের যথেষ্ট ঝুঁকি থাকে। অনেকেই আবার এগুলো অপরাধমূলক কাজেও ব্যবহার করছেন।

গত ১৪ মে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জ্যামার, রিপিটার ও নেটওয়ার্ক বুস্টারসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আবু নোমান ও সোহেল রানা। তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যামার, ২৪টি জ্যামার এন্টিনা, চারটি এসি এডাপ্টার, তিনটি পাওয়ার ক্যাবল, তিনটি মোবাইল নেটওয়ার্ক বুস্টার, নয়টি বুস্টারের আউটডোর এন্টিনা, ২৬টি ইনডোর এন্টিনা, ৩৭টি বুস্টারের ক্যাবল, একটি ল্যাপটপ জব্দ করে। বিষয়টি নিয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনও করে।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, অবৈধ জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার বিক্রয়কারী চক্রের কিছু সদস্য দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় বিনা অনুমতিতে অবৈধ জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার বিক্রয় করে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাবের একটি দল বিটিআরসির প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গত শনিবার রাত পৌনে ১টায় মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার বিক্রয়কারী ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা র‌্যাবকে জানিয়েছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার বিক্রি করে আসছেন। গ্রেপ্তার নোমানের ‘আইটি স্টল.কম.বিডি’ নামে ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ রয়েছে। সোহেল রানার ‘সোআইএমবিডি’ নামে ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ রয়েছে।

র‌্যাব জানিয়েছে, ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে গ্রেপ্তাররা আইপি ক্যামেরা, ডিজিটাল ক্যামেরা ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশের পাশাপাশি উচ্চমূল্যে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টারসহ এর যন্ত্রাংশ লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে বিক্রি করে থাকে।

র‌্যাব অধিনায়ক জানান, জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার টুজি, থ্রিজি এবং ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্কের কার্যক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে সক্ষম। তাদের ক্রেতা বিভিন্ন বহুতল ভবনের বাসিন্দা, মসজিদ কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও বিভিন্ন অপরাধীরা অপরাধ করার উদ্দেশে উচ্চমূল্যে এসব অবৈধ ডিভাইস কিনে থাকে।

বিক্রি ও আমদানি নিষিদ্ধ এসব পণ্য কিভাবে দেশে আসছে জানতে চাইলে র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, বৈধ আমদানিকারকদের মাধ্যমে অধিক পরিবহন মূল্য পরিশোধ করে বৈধ মালামালের আড়ালে তারা এসব অবৈধ যন্ত্রাংশ আমদানি করছে। এরপর চাহিদা মোতাবেক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে আসছিল।

তাদের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তর পায়নি র‌্যাব। যেহেতু উত্তর পায়নি, সে কারণে র‌্যাব ধারণা করছে, অবশ্যই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনা ছিল, সঙ্গে নাশকতার ষড়যন্ত্রও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। দেশের স্থিতিশীল পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য এসব অবৈধ জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার বিক্রি করা হচ্ছিল বলেও জানান লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন।

তিনি বলেন, এর পাশাপাশি অধিক মুনাফা লাভের আশায় তারা এসব বিক্রি করে আসছিল। এছাড়াও আরও জিজ্ঞাসাবাদেও সময় পেলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।

কারা কিনতেন জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার, কাদের কাছে এসব অবৈধ ডিভাইস বিক্রি করা হয়েছে জানতে চাইলে লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দুই বছরে দুই শতাধিক জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার বিক্রি করা হয়েছে। আমরা বিস্তারিত তালিকা পাইনি। তবে বেশ ক’জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম আমরা জেনেছি। তথ্য প্রমাণ নিশ্চিত হওয়ার পর খুব শিগগির অভিযান চালানো হবে।

এর একদিনই পরেই হিডেন স্পাই ওয়্যারলেস কিট জব্দ করে র‌্যাব। এটি ব্যবহার করে সরকারি/বেসরকারি বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণের নিশ্চয়তা দিয়ে চাকুরী প্রার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে শর্তসাপেক্ষে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানায় র‌্যাব।

এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় ইকবাল হোসেন (৪২), রমিজ মৃধা (৩০), নজরুল ইসলাম (৫০) এবং মো. মোদাচ্ছের হোসেন (৬২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা বর্ণিত প্রতারণা সম্পর্কে নিজেদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য দেন।

গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞসাবাদের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, প্রথমে তারা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি নিয়োগ পরীক্ষা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে ওই নিয়োগ পরীক্ষার পরীক্ষা নেওয়ার স্থান ও পরীক্ষার গার্ড সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে। এসময় চক্রের অন্যান্য সদস্যরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সরকারি/বেসরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের খুঁজে বের করে ১০-১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে পরীক্ষায় পাশ ও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নিশ্চয়তার মাধ্যমে তাদের প্রলোভন দেখাত। পরবর্তীতে আগ্রহী পরীক্ষার্থীদের কাছে উদ্ধারকৃত ডিজিটাল ডিভাইসগুলো প্রদান করে এর ব্যবহার বিধি প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রাথমিকভাবে ১/২ দুই লাখ টাকা জামানত হিসেবে গ্রহণ করত। অবশিষ্ট টাকা চাকরি পাওয়ার পরে পরিশোধ করবে মর্মে চুক্তি করত। এভাবে তারা বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।

গ্রেপ্তাররা জিজ্ঞাসাবাদে তাদের প্রতারণার কৌশল হিসেবে আরও জানান যে, বিদেশ থেকে আনা এই ডিজিটাল ডিভাইসগুলো মূলত দুইটি অংশে বিভক্ত। ডিভাইসটির একটি অংশ ইয়ার পিছ তারা পরীক্ষার্থীদের কানের ভেতর এবং অটোমেটিক কল রিসিভ হওয়া সীম লাগানো অপর অংশটি শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে তাদের পরীক্ষার হলে প্রবেশ করাত। পরবর্তীতে পরীক্ষার্থীরা নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের নিকট পাঠাত। প্রতারক চক্রটি প্রশ্নপত্রের উত্তর দেওয়ার জন্য পূর্ব থেকেই মেধাবী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি টিম প্রস্তুত রাখত। অতঃপর এই চক্রের সদস্যরা পরীক্ষার হল থেকে পাঠানো প্রশ্নপত্রের উত্তরগুলো মেধাবী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত টিম এর মাধ্যমে খুঁজে বের করে চুক্তিবদ্ধ পরীক্ষার্থীদের বলে দিত।

এদিকে গতকাল সোমবার বিপুল পরিমান ওয়াকিটকি জব্দের তথ্য জানায় র‌্যাব। এ ওয়াকিটকিগুলো আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে থাকা ওয়াটকির চেয়েও তিন চারগুন ক্ষমতাসম্পন্ন।

জানা যায়, কয়েক বছর আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টম হাউজের প্রিভেনটিভ দল ১৭টি চালানে প্রায় এক হাজার ওয়াকিটকি জব্দ করেছে। জব্দকৃত এ সব ওয়াটকির এখন পর্যন্ত কেউ মালিকানা দাবি করেনি। তবে যে ঠিকানা ব্যবহার করে সেটগুলো শাহজালালে আসে সেই নাম ঠিকানাও ভুয়া।

আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয় দিয়ে অপরাধ ও বাহিনীর সেট টিউনিং করে কথোপকথন শোনে অবস্থান শনাক্তের জন্যই এই সেটগুলো আমদানি করছে একটি চক্র বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্র মতে, রাজধানীসহ সারাদেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে নানা ধরনের অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। পুলিশ ও র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তারও হচ্ছে এ সব অপরাধীরা। এসময় তাদের কাছ থেকে পুলিশ বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবহৃত ওয়াকিটকি সেটও উদ্ধার হচ্ছে।

জানা যায়, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে বিশেষ করে ছিনতাইয়ের সময় অপরাধীদের হাতে ওয়াটকি সেট দেখা যায়। ওয়াটকি হাতে থাকেল সহজেই সেই ব্যক্তিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বলে ধারনা করেন সাধারণ মানুষ। বাইরে সাধারণ ওয়াকিটকি কিনতে পাওয়া গেলেও জব্দ করা ওয়াটকি সেট উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন। এর রেঞ্জ ক্ষমতাও অনেক।

বিমানবন্দরে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক এক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা বলেন, জব্দ হওয়া ওয়াকিটকি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন। দেশের কয়েক গোয়েন্দা সদস্যরা যে ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার করেন তার ক্ষমতা ঢাকা, নারায়নগঞ্জ এবং গাজিপুর। ঠিক এই সেটগুলোর ক্ষমতাও একই।

এদিকে শুধু ওয়াকিটকিই নয় ঝুঁকিপূর্ণ এসকল সাধারণ ব্যক্তিদের জন্য আমাদানি নিষিদ্ধ এ সকল ঝুঁকিপূর্ণ ডিভাইসগুলো শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আনা হচ্ছে। বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে ডিভাইসগুলো আমদানি করা হয়ে থাকে।

কাস্টম প্রিভেনটিভের উপ-কমিশনার সানোয়ারুল কবির বলেন, আমদানি নিষিদ্ধ পণ্যের ব্যাপারে আমরা বরাবর সতর্ক থাকি। এর মধ্যেও অন্য পণ্যের আড়ালে কেউ আমদানি করতে পারে। বিষয়টি নিয়ে আমরা সচেষ্ট থাকব।

কেএম/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত