শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

একান্ত সাক্ষাৎকারে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক

মামলাজট কমিয়ে খেলাপি ঋণ কমানো হবে

করোনায় অনেক কিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। অনেকে ঋণ নিয়ে ঠিক মতো কিস্তি দেননি। হচ্ছে মামলা। তারপর কমছে না খেলাপি ঋণ। তাই মামলার জট কমিয়ে খেলাপি ঋণ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহম্মদ শাম্স-উল ইসলাম। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব উদ্যোগের কথা বলেছেন তিনি। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ-এর সিনিয়র রিপোর্টার জাহাঙ্গীর আলম। ঢাকাপ্রকাশের সঙ্গে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহম্মদ শাম্স-উল ইসলামের আলাপ:

ঢাকাপ্রকাশ: তৃণমূলে ব্যাংকের সেবা পৌঁছে দিতে কী উদ্যোগ নিয়েছেন?

মোহম্মদ শাম্স-উল ইসলাম: অগ্রণী ব্যাংকের অগ্রযাত্রায় আমি বর্তমানে সফটওয়ারে গুরুত্ব দিচ্ছি। তা আপগ্রেডেশন করা হবে। আগের খুবই পুরোনো থেকে লেটেস্ট ভার্সনে আনা হবে। তাই এটাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বোর্ড অনুমোদন দিয়েছে। লেটেস্ট ভার্সন, ২০২১ এ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে সব কিছু অটো জেনারেট হবে। শুধু সফটওয়ার নয়, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সমস্যা তা সমাধান করা হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: নতুন কী প্রডাক্ট আনার উদ্যোগ নিয়েছেন?

মোহম্মদ শাম্স-উল ইসলাম: আমরা কথার চেয়ে কাজে বিশ্বাসী। তাই মামলা জট থেকে সরে এসে বা মামলা না করে বিকল্প পন্থার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিকল্প পথ হিসেবে ঋণ রিকভরি করার জন্য মামলা জট কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ব্যাংক অগ্রণী ভূমিকায় থাকে। সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। রোবাস্ট বা ভাইব্রেন্ট ব্যাংক হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছি।

ঢাকাপ্রকাশ: প্রবাসীদের জন্য কি কোনো বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?

মোহম্মদ শাম্স-উল ইসলাম: যারা প্রবাস থেকে দেশে ফিরে এসেছে, তাদের জন্য ‘ঘরে ফেরা ঋণ’ কর্মসূচি চালু করেছি। সাত শতাংশ সুদে তিন বছরের জন্য এ ঋণ দেওয়া হচ্ছে। প্রায় এক কোটি লোক বিদেশে আছে। তারা ৪২ বিলিয়ন (চার হাজার ২০০ কোটি) ডলার রিজার্ভে সাহায্য করছে। রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে। তারাও মালিক ব্যাংকের। তাই তাদের জন্য আমরা নিজেরা আড়াই থেকে দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে তিন শতাংশ প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছি। যেহেতু তারা ফরেন কারেন্সি মানি বিদেশ থেকে আনছে। তারা যেহেতু এ দেশের জনগণ। তাই পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হয়েছে। কারণ ব্যাংকের মালিক জনগণ। সবুজ অর্থায়নেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভর্তুকি অত্যন্ত জোরালো হচ্ছে। রপ্তানিকারকদেরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকাপ্রকাশ: খেলাপি ঋণ কমাতে কি কোনো বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন?

মোহম্মদ শাম্স-উল ইসলাম: ঋণ আদায় করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। গুরুতর মামলা জট থেকে বিকল্প পথে আসা হচ্ছে। এজন্য খেলাপী ঋণ আদায়ে সবাইকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। যারা ভালো করছে তাদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে। যারা খারাপ করছে তাদের কাছে ব্যাখ্যা তলব করে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। অটো এনপিএল, নন পাফফর্মিং লোন (অলস ঋণ) এক অংকে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঋণ গ্রহিতার সঙ্গে জামিনদার থেকেও সিআইবি রিপোর্ট নেওয়া হচ্ছে। এটা নেওয়া খারাপ না, ভালো। ঋণীকে ভালো রাখতে জামিনদারের সিআইবি রিপোর্ট নেওয়া ভালো।

ঢাকাপ্রকাশ: গ্রাহক সেবা সহজ করতে কী উদ্যোগ নিয়েছেন?

মোহম্মদ শাম্স-উল ইসলাম: সরকারের নীতি মেনে গ্রাহক সেবা দেওয়া হচ্ছে। গ্রাহক সেবা সহজ করতে ইন্টারনেট ব্যাংকিং তাড়াতাড়ি চালু করা হবে। সব প্রস্তুত। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এর উদ্বোধন করা হবে। তখন ঘরে বসেই ই-অগ্রণীর মাধ্যমে সেবা পাওয়া যাবে।

ঢাকাপ্রকাশ: বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে কি কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?

মোহম্মদ শাম্স-উল ইসলাম: হ্যাঁ, অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মানসম্পন্ন ব্যবসার দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। সম্প্রতি রপ্তানি, আমদানি ঘাটতি বাড়ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে রেমিট্যান্স বাড়াতে হবে। রপ্তানিও বাড়াতে হবে। তাই রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করতে চা চক্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তা ছাড়া রেমিট্যান্সে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রবাসীদেরও উৎসাহিত করা হচ্ছে।

ঢাকাপ্রকাশ: সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে কীভাবে ভূমিকা পালন করছেন?

মোহম্মদ শাম্স-উল ইসলাম: বিভিন্নভাবে সরকার ব্যয় সংকোচ ও প্রণোদনার যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করা হচ্ছে। করোনা মোকাবেলায় সিএসএমইতে প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার দিয়ে যে ডাক দিয়েছেন তাতে সাড়া দেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগে আমরা ভালো করছি। এরফলে প্রণোদনা, কৃষি ঋণেও পুরস্কার পেয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স পুরস্কারও পেয়েছে। এসব ক্ষেত্রে ভালো করা হচ্ছে। শতভাগ লক্ষ্য অর্জনে চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই মোতাবেক প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতেও (এপিএ) ২০১৯-২০ বছরে প্রথম হয়েছি। এবারও চেষ্টা করা হচ্ছে।

ঢাকাপ্রকাশ: এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে কোন পর্যায়ে আসা সম্ভব হয়েছে?

মোহম্মদ শাম্স-উল ইসলাম: সরকার সারাদেশে ব্যাংক সেবা পৌঁছে দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছে অগ্রণী ব্যাংকও তাতে অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করছে। অগ্রণী ব্যাংকের শাখা নেই, এসব ইউনিয়নে অগ্রণী দুয়ার ব্যাংকিং নামে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

সাব-এজেন্ট নিয়োগ করে হিসাব খোলা, টাকা জমা ও উত্তোলন, ক্লিয়ারিং চেক গ্রহণ, ঋণের আবেদন গ্রহণ, বিতরণ ও কিস্তি সংগ্রহ, রেমিট্যান্স বিতরণ, বিদ্যুৎ বিল জমা, ভাতা বিতরণসহ যেকোনো ব্যাংকের হিসাবে টাকা পাঠানো যাচ্ছে। চারটি এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে। আরও ২০০টি শাখার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শুধু এক দুয়ারে সীমাবব্ধ থাকব না। যে কেউ চাইলে আসতে পারে। সবার জন্য দুয়ার খোলা। কেউ যাতে মনোপলি করতে না পারে।

জেডএ/এসএন 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত