সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫ | ২৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

৫ বছরে ব্যয় দেড় হাজার কোটি টাকা, শুরু হয়নি মূল কাজ

রাজধানীতে যাতায়াতে ৩০ জেলার যানজট কমাতে ২০১৭ সালে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। আগামী জুনে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পে অনুমোদনের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মূল কাজই শুরু হয়নি।

এ সময়ে শুধু ফ্যাসিলিটিজ ফর ইমপ্লয়ারের জন্য আট একর জমি কেনা হয়েছে। তাতে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। বুয়েট থেকে পাঁচ বছর ধরে প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়। কিন্তু এখনো বাস্তব অগ্রগতি শূন্য। তাই সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পটি সংশোধনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। তাতে এক লাফেই চার বছর সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সঙ্গে ব্যয়ও ২৫২ কোটি টাকা বাড়িয়ে ১৭ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তা যাচাই-বাচাই করতে সম্প্রতি প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় পরিকল্পনা কমিশন থেকে ফ্যাসিলিটিজ ফর ইমপ্লয়ারের জন্য রানাভোলা মোজায় আট একর (২৪ বিঘা) ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় হয়েছে। এর উত্তরে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- অধিগ্রহণ করা আট একর জমিতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অফিস সম্প্রসারণ কাজে বা ভবিষ্যৎ প্রকল্পের পুনর্বাসন সাইড হিসেবে ব্যবহার করা হবে। প্রথম সংশোধনের পরও বাস্তবায়ন হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি জানতে ওয়েবসাইট ঘেটে দেখা যায়, গত বছরের ৭ অক্টোবর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাধ্যমে ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। বর্তমানে চায়না এক্সিম ব্যাংকের সইয়ের অপেক্ষায় রয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর অনুমোদন দেয় সরকার। যা ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুনে বাস্তবায়নের কথা ছিল। সে সময় ব্যয় ধরা হয় ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। এরমধ্যে বিদেশি ঋণ বা প্রকল্প সাহায্য ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। বাকি অর্থ সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় ধরা হয়েছে।

বুয়েট থেকে ২০১৩ সালে প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই করে ২০১৬ সালের আগস্টে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়। এ সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী দৈর্ঘ্য ২৪ কিলোমিটার করা হয়। পরে এর সঙ্গে র‌্যাম প্রায় ১১ কিলোমিটার এবং ১৪ দশমিক ২৮ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও দীর্ঘ সময়ে প্রকল্পটির মূল কাজই শুরু হয়নি। গত অক্টোবর পর্যন্ত এক হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অপরদিকে মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী জুনে। তাই এটির প্রথম সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ সংশোধনীতে ব্যয়ও বেশি ধরা হয়েছে ২৬২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এরফলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১৭ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। এরমধ্যে প্রকল্প সাহায্য কমিয়ে ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। তবে ডলারের বিনিময়ের কারণে ব্যয় কিছু বাড়ছে। কারণ মূল ডিপিপিতে ৮০ দশমিক ৫৭ টাকা ধরা ছিল। বর্তমানে ৮৫ দশমিক ৮০ টাকা ধরা হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।

পরিকল্পনা কমিশন সংশ্লিষ্টরা জানান, সংশোধিত ডিপিপি আসার পর তা যাচাই-বাচাই করতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিছু ব্যাপারে অসঙ্গতি পাওয়ায় তা আবার সংশোধন করতে বলা হয়েছে। সব প্রক্রিয়া শেষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেতে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হবে।

একনেক সভা জানানো হয়, এশিয়ান হাইওয়ে অ্যালাইনমেন্টের মধ্যে প্রস্তাবিত ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকার সঙ্গে ৩০ জেলার সংযোগ স্থাপনকারী আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা-করিডোরে যানজট অনেকটাই কমে যাবে।

২০১৩ সালে বুয়েটের মাধ্যমে প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা অনুসারে প্রস্তাবিত অ্যালাইনমেন্টটি ছিল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে-আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল হয়ে নবীনগর মোড় এবং ইপজেড থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত। এ ২৪ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হলে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল হয়ে নবীনগর মোড় এবং ইপিজেড হয়ে চন্দ্রা পর্যন্ত সংযোগ স্থাপিত হবে।

প্রথম থেকে এ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে যুক্ত আছেন প্রকৌশলী মো. শাহাবুদ্দিন খান। সার্বিক ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ঠিকাদার মোবিলাইজেশনের (সচল) কাজ চলছে। এ মাসেই মূল কাজ (পাইলিং) শুরু হবে।’

দীর্ঘ সময়ে বাস্তব অগ্রগতি শূন্য কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কাজই তো শুরু হয়নি। তাহলে অগ্রগতি হবে কেমন করে। শূন্য হওয়ায় স্বাভাবিক।‘

তাহলে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণে এ টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রায় ১১৫ একর ( ৪৪৫ বিঘা) ভূমি লাগবে। সড়কের পাশে প্রায় অর্ধেক ভূমি অধিগ্রহণ হয়েছে। আমি ২০১৭ সাল থেকে এ প্রকল্পের দায়িত্বে আছি। ঋণ চুক্তি থেকে ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছে। চীনের একটা কোম্পানি এ কাজ পেয়েছে। তারা আগামী মাসে ইনশাআল্লাহ মূল কাজ শুরু হবে।’

প্রকল্পের ধীর গতির ব্যাপারে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ও সিপিডির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘দেখেন, জবাবদিহির জায়গা নেই বলেই নির্দিষ্ট সময়ে তো দূরের কথা কয়েকবার সংশোধন করেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্প শেষ হচ্ছে না। এরফলে একদিকে জনগণের করের টাকার অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ। সংশ্লিষ্ট এজেন্সির গাফেলতির কারণেই এভাবে অর্থের অপচয় হচ্ছে।’

আর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা সবাইকে বারবার বলছি, নির্ধারিত সময়ে যাতে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। কারণ সময় মতো কাজ করলে সবাই উপকৃত হয়। এতে অর্থেরও অপচয় হয় না। তবে ভূমি অধিগ্রহণ সমস্যাটাও বড় ব্যাপার হয়ে গেছে। এ জন্য অনেক প্রকল্প দেরি হচ্ছে।’

জেডএ/এসএন

 

Header Ad
Header Ad

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার আইসিসিতে পাঠানোর কথা ভাবছে সরকার: প্রেস সচিব

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে নির্বিচারে গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাতে প্রাণ যায় শত শত মানুষের। আহত হন অনেকে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তদন্তে নেমে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ পায় জাতিসংঘ।

প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, হত্যায় জড়িত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।

আন্দোলন দমানোর নামে হত্যার নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো মোবাইলসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে। ১০ জুলাইয়ের পর এসব আলামত নষ্টের অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহার।

তিনি বলেন, শুধু ডিলিট না, কথাও যেন কোন ডেটা না থাকে সেজন্যে স্থায়ীভাবে ডিলিট করার নির্দেশনাও আমরা তদন্তে পেয়েছি। সেসমস্ত জিনিস আমরা পুনরুদ্ধার করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে আদালতে প্রেরণযোগ্যের ব্যবস্থা করেছি।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের বিচারের বিষয়টি নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানোর সুযোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, এটি পাঠাতে পারলে সুবিধা হচ্ছে সারা বিশ্বের মানুষ দেখতে পারবে কি নৃশংসভাবে বাংলাদেশে গণহত্যা চালান হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, রোম আইনের বলে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই আদালত। ১২৫টি রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশও এর সদস্য। জেনোসাইড, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার হয় আইসিসিতে।

Header Ad
Header Ad

ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সারাদেশে চলছে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি

বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এ নোটিশ দিয়ে সংহতি জানিয়েছে গাজার পক্ষে। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সারাদেশে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি চলছে। গত রাতেই ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এ নোটিশ দিয়ে সংহতি জানিয়েছে গাজার পক্ষে।

রাজধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে জড়ো হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় আর কলেজগুলোর সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়াও গাজায় হামলা বন্ধের দাবিতে একই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ছাত্র শিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।

রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একই ঘটনায় রাজধানীর বিজয় নগর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা, ফিলিস্তিনের নাগরিকদের উপর চালানো গণহত্যার প্রতিবাদ ও স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবি উঠে আসে তাদের স্লোগানে। এসময় সোমবার জেনারেল স্ট্রাইকে দেশবাসীকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।

গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিশ্বব্যাপী ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আজকের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই গণহত্যার প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও।

Header Ad
Header Ad

যুদ্ধের মাঝে ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটলেন নেতানিয়াহু

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নিরলস হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। বর্বর ও নির্বিচার এই হামলার মধ্যেও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ভূখণ্ডটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গত কয়েক মাসের মধ্যে গাজা থেকে ইসরায়েলে সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে তারা।

একইসঙ্গে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে দেওয়া হয়েছে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক। এমন অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটে গেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

সোমবার (৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফের সাথে দেখা করার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রোববার হাঙ্গেরি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটে গেছেন বলে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথের মতে, নেতানিয়াহু সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সাথে আলোচনা করবেন। এতে বলা হয়েছে, “গাজায় চলমান যুদ্ধ এবং হামাসের পক্ষ থেকে ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহার এবং যুদ্ধের অবসানের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উইটকফের উপস্থিতি ‘ইসরায়েলি বন্দি মুক্তির ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে’।”

সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এছাড়া ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকের সাথেও দেখা করবেন। বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড মূলত ট্রাম্পের শুল্ক নীতির তত্ত্বাবধান করেন। গত বুধবার উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য ঘাটতির কারণে অন্যান্য দেশের সাথে ইসরায়েলের ওপর ১৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বসতে চলেছেন নেতানিয়াহু।

পৃথক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, রোববার রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আগামী দুই দিন ধরে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে তাড়াহুড়ো করে নির্ধারিত বৈঠক করবেন।

বৈঠকগুলোতে মূলত গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ এবং জিম্মিদের বিষয়ে আলোচনা করা হবে, যাদের মধ্যে ৫৯ জন এখনও গাজায় বন্দি রয়েছেন। সেইসাথে ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতি নিয়েও আলোচনার কথা রয়েছে। সফরের কথা ঘোষণা করার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে নেতানিয়াহু রোববার বুদাপেস্ট থেকে ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

এদিকে নেতানিয়াহুর এই সফর মঙ্গলবার পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ার কথা থাকলেও ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, এই সফরের সময়সীমা বাড়ানো যেতে পারে। গত সপ্তাহে নেতানিয়াহু, ট্রাম্প এবং হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় কথোপকথনের পর এই সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, স্ত্রী সারাকে নিয়ে ওয়াশিংটনে পৌঁছানোর পরেইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বিমানবন্দর থেকে কাফেলা নিয়ে ব্লেয়ার হাউসের দিকে যান। সেখানে বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকের সাথে তার দেখা করার কথা ছিল।

আনাতোলু বলছে, ইসরায়েলের প্রধান মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহুর সফর এমন এক সময় এলো যখন তেল আবিব গাজা উপত্যকায় মারাত্মক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৩ সালের অক্টোবর থেকে নির্বিচার হামলায় অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় প্রায় ৫০ হাজার ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছেন।

গত সপ্তাহান্তে নেতানিয়াহু গাজায় আক্রমণ আরও বাড়ানোর ঘোষণা দেন। ফিলিস্তিনি এই ছিটমহল থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের বিষয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টাও চলছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার আইসিসিতে পাঠানোর কথা ভাবছে সরকার: প্রেস সচিব
ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সারাদেশে চলছে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি
যুদ্ধের মাঝে ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটলেন নেতানিয়াহু
রাজশাহীতে ট্রাক-বাসের সংঘর্ষে নিহত তিন, আহত অর্ধশত
পুরান ঢাকায় নাজিমউদ্দিন রোডে আগুন, নিহত ১
ইসরাইলি বসতিতে হামাসের মুহুর্মুহু রকেট হামলা (ভিডিও)
আমরা গাজায় আরও তীব্র হামলা চালাব: ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
নওগাঁয় আকাশ থেকে পড়ল বিরল আকৃতির শীলা, আতঙ্কিত এলাকাবাসী
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির ডাক
বিয়ের গেটে পার্টি স্প্রে দেওয়া নিয়ে মারামারি, ভাঙল বিয়ে
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় ছাত্রদলের নিন্দা ও কর্মসূচি ঘোষণা
দপ্তর হারালেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব নিজাম উদ্দিন
বাংলাদেশে ব্যবসা করার অনুমোদন পেল স্টারলিংক
শুল্ক নিয়ে ট্রাম্প ও মার্কিন প্রশাসনকে চিঠি দেবে বাংলাদেশ: প্রেস সচিব
দর্শনায় পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর বাস্তবায়নে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের পরিদর্শন
ফেসবুকে নির্বাচনের কথা লিখলে সংঘবদ্ধ গালি শুরু হয়ে যাচ্ছে: ইশরাক
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের প্রভাব সামাল দেওয়া কঠিন হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
বিদেশি শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বুধবার
এসএসএফের সাবেক ডিজি ও তার স্ত্রীর ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, ৩৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ