শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

৫ বছরে ব্যয় দেড় হাজার কোটি টাকা, শুরু হয়নি মূল কাজ

রাজধানীতে যাতায়াতে ৩০ জেলার যানজট কমাতে ২০১৭ সালে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। আগামী জুনে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পে অনুমোদনের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মূল কাজই শুরু হয়নি।

এ সময়ে শুধু ফ্যাসিলিটিজ ফর ইমপ্লয়ারের জন্য আট একর জমি কেনা হয়েছে। তাতে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। বুয়েট থেকে পাঁচ বছর ধরে প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়। কিন্তু এখনো বাস্তব অগ্রগতি শূন্য। তাই সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পটি সংশোধনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। তাতে এক লাফেই চার বছর সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সঙ্গে ব্যয়ও ২৫২ কোটি টাকা বাড়িয়ে ১৭ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তা যাচাই-বাচাই করতে সম্প্রতি প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় পরিকল্পনা কমিশন থেকে ফ্যাসিলিটিজ ফর ইমপ্লয়ারের জন্য রানাভোলা মোজায় আট একর (২৪ বিঘা) ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় হয়েছে। এর উত্তরে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- অধিগ্রহণ করা আট একর জমিতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অফিস সম্প্রসারণ কাজে বা ভবিষ্যৎ প্রকল্পের পুনর্বাসন সাইড হিসেবে ব্যবহার করা হবে। প্রথম সংশোধনের পরও বাস্তবায়ন হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি জানতে ওয়েবসাইট ঘেটে দেখা যায়, গত বছরের ৭ অক্টোবর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাধ্যমে ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। বর্তমানে চায়না এক্সিম ব্যাংকের সইয়ের অপেক্ষায় রয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর অনুমোদন দেয় সরকার। যা ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুনে বাস্তবায়নের কথা ছিল। সে সময় ব্যয় ধরা হয় ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। এরমধ্যে বিদেশি ঋণ বা প্রকল্প সাহায্য ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। বাকি অর্থ সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় ধরা হয়েছে।

বুয়েট থেকে ২০১৩ সালে প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই করে ২০১৬ সালের আগস্টে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়। এ সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী দৈর্ঘ্য ২৪ কিলোমিটার করা হয়। পরে এর সঙ্গে র‌্যাম প্রায় ১১ কিলোমিটার এবং ১৪ দশমিক ২৮ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও দীর্ঘ সময়ে প্রকল্পটির মূল কাজই শুরু হয়নি। গত অক্টোবর পর্যন্ত এক হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অপরদিকে মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী জুনে। তাই এটির প্রথম সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ সংশোধনীতে ব্যয়ও বেশি ধরা হয়েছে ২৬২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এরফলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১৭ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। এরমধ্যে প্রকল্প সাহায্য কমিয়ে ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। তবে ডলারের বিনিময়ের কারণে ব্যয় কিছু বাড়ছে। কারণ মূল ডিপিপিতে ৮০ দশমিক ৫৭ টাকা ধরা ছিল। বর্তমানে ৮৫ দশমিক ৮০ টাকা ধরা হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।

পরিকল্পনা কমিশন সংশ্লিষ্টরা জানান, সংশোধিত ডিপিপি আসার পর তা যাচাই-বাচাই করতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিছু ব্যাপারে অসঙ্গতি পাওয়ায় তা আবার সংশোধন করতে বলা হয়েছে। সব প্রক্রিয়া শেষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেতে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হবে।

একনেক সভা জানানো হয়, এশিয়ান হাইওয়ে অ্যালাইনমেন্টের মধ্যে প্রস্তাবিত ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকার সঙ্গে ৩০ জেলার সংযোগ স্থাপনকারী আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা-করিডোরে যানজট অনেকটাই কমে যাবে।

২০১৩ সালে বুয়েটের মাধ্যমে প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা অনুসারে প্রস্তাবিত অ্যালাইনমেন্টটি ছিল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে-আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল হয়ে নবীনগর মোড় এবং ইপজেড থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত। এ ২৪ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হলে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল হয়ে নবীনগর মোড় এবং ইপিজেড হয়ে চন্দ্রা পর্যন্ত সংযোগ স্থাপিত হবে।

প্রথম থেকে এ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে যুক্ত আছেন প্রকৌশলী মো. শাহাবুদ্দিন খান। সার্বিক ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ঠিকাদার মোবিলাইজেশনের (সচল) কাজ চলছে। এ মাসেই মূল কাজ (পাইলিং) শুরু হবে।’

দীর্ঘ সময়ে বাস্তব অগ্রগতি শূন্য কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কাজই তো শুরু হয়নি। তাহলে অগ্রগতি হবে কেমন করে। শূন্য হওয়ায় স্বাভাবিক।‘

তাহলে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণে এ টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রায় ১১৫ একর ( ৪৪৫ বিঘা) ভূমি লাগবে। সড়কের পাশে প্রায় অর্ধেক ভূমি অধিগ্রহণ হয়েছে। আমি ২০১৭ সাল থেকে এ প্রকল্পের দায়িত্বে আছি। ঋণ চুক্তি থেকে ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছে। চীনের একটা কোম্পানি এ কাজ পেয়েছে। তারা আগামী মাসে ইনশাআল্লাহ মূল কাজ শুরু হবে।’

প্রকল্পের ধীর গতির ব্যাপারে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ও সিপিডির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘দেখেন, জবাবদিহির জায়গা নেই বলেই নির্দিষ্ট সময়ে তো দূরের কথা কয়েকবার সংশোধন করেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্প শেষ হচ্ছে না। এরফলে একদিকে জনগণের করের টাকার অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ। সংশ্লিষ্ট এজেন্সির গাফেলতির কারণেই এভাবে অর্থের অপচয় হচ্ছে।’

আর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা সবাইকে বারবার বলছি, নির্ধারিত সময়ে যাতে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। কারণ সময় মতো কাজ করলে সবাই উপকৃত হয়। এতে অর্থেরও অপচয় হয় না। তবে ভূমি অধিগ্রহণ সমস্যাটাও বড় ব্যাপার হয়ে গেছে। এ জন্য অনেক প্রকল্প দেরি হচ্ছে।’

জেডএ/এসএন

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত