শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আমি নগরপিতা না, নগর সেবক হব: আরফানুল হক

আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। তিনি বলেছেন, আমি বিজয়ী হলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন কখনই আওয়ামী লীগের কার্যালয় হবে না, হবে গণমানুষের অভিযোগ শোনার কার্যালয়। ঢাকাপ্রকাশকে দেওয়া টেলিফোন সাক্ষাতকারে এভাবেই নিজের প্রত্যাশার কথা জানান আরফানুল হক (রিফাত)

ঢাকাপ্রকাশ: আওয়ামী লীগ আপনাকে মনোনীত করল। আপনি কুমিল্লা সিটি নিয়ে কি পরিকল্পনা করছেন?

আরফানুল হক: আল্লাহ যদি কামিয়াব করে আমাকে, আমি যদি পাস করে আসতে পারি কুমিল্লার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ যারা আছেন, কুমিল্লার এমপি, কুমিল্লা উপজেলার চেয়ারম্যান, কুমিল্লা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সবাইকে নিয়ে বসব। বসে আমরা ঠিক করব উন্নয়নের জন্য প্রথম কোন কাজটা ধরতে পারি। এই মুহূর্তে দুটি কাজের কথা আমি বলতে পারি: (ক) জলাবদ্ধতা, (খ) যানজট। এই দুইটার ব্যাপারে আগে আমি হাতে দেব। যদি আল্লাহ আমাকে কামিয়াব করেন।

ঢাকাপ্রকাশ: নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম নির্বাচন। ইসি চাচ্ছেন অবাধ সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে সেক্ষেত্রে আপনার বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?

আরফানুল হক: নির্বাচন স্বচ্ছ হবে। বিজয়ের ব্যাপারে আমার ১০০% আত্মবিশ্বাস আছে।

ঢাকাপ্রকাশ: বিএনপি মাঠে থাকলে আপনার বিজয় হওয়ার সম্ভাবনা আছে?

আরফানুল হক: কুমিল্লাতে নৌকার ভোট বেশি। এতদিন প্রোপার প্রার্থী পাইনি, যেকারণে কুমিল্লায় আমরা মেয়র পদে কাউকে আনতে পারি নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে আপনি নিজেকে যোগ্য এবং প্রোপার প্রার্থী মনে করছেন?

আরফানুল হক: আমার ঢোল আমি পিটাতে পারব না। তবে এতটুক বলতে পারি কুমিল্লা মহানগরে ২৭টি ওয়ার্ডে ২৭টি কমিটি আছে। মহানগর যুবলীগের ২৭টি কমিটি আছে, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৭টি কমিটি আছে, যুব মহিলা লীগের, কৃষক লীগের কমিটি আছে কুমিল্লায়। আগের তুলনায় কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ এখন অনেক শক্তিশালী।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার বিরেুদ্ধে নির্বাচনী আচারণ ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে?

আরফানুল হক: অভিযোগ যা দিছে দেক। আমার বিরুদ্ধ লোক আছে না? ওরা তো অভিযোগ করতেই পারে। নির্বাচনী আচারণবিধিভ আমরা সেদিন ঢাকা থেকে নমিনেশন পাওয়ার পরে কুমিল্লা এসে আমাদের সীমানার মধ্যে আমরা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে পরিচিত সভার মতো করেছি। এটাই বিভিন্নভাবে অভিযোগ করছে এজন্য আমি যদি ধরেও নিই আচারণবিধি লঙ্ঘন করেছি, এজন্য আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন থেকে আমাকে ডাকছিল, গেছি। আমি সরি বলে আসছি। আর এধরণের কাজ হবে না।

ঢাকাপ্রকাশ: একজন প্রার্থী হিসেবে আপনি কেমন নির্বাচন চান?

আরফানুল হক: আমি ১০০% স্বচ্ছ নির্বাচন চাই। একদম ফেয়ার নির্বাচন চাই। ফেয়ার নির্বাচন হলে নৌকা জিতবে ইনশাল্লাহ।

ঢাকাপ্রকাশ: কুমিল্লা সিটি নিয়ে আপনার নতুন কোনো পরিকল্পনা আছে? ঢাকা সিটি করপোরেশন বা অন্য কোনো সিটি করপোরেশনের মতো করতে চান?

আরফানুল হক: ঢাকা সিটির মতো করতে পারব এমন কথা কখনও বলব না। আমি কুমিল্লাকে বিগত দিনের মেয়র যারা ছিলেন বা যিনি ছিলেন। তিনি যতটুকু করেছেন ততটুকু যদি কুমিল্লার মানুষের অস্বস্থির মধ্যে রাখে, সেই অস্বস্থি থেকে কুমিল্লা মানুষকে মুক্ত দেওয়ার জন্য চেষ্টা করব।

ঢাকাপ্রকাশ: সাবেক মেয়র কোন কাজটি করতে পারেননি বলে আপনার কাছে মনে হয়েছে?

আরফানুল হক: জলাবদ্ধতা, যানজট নিরসন করতে পারেননি। ট্যাক্স বাড়াইছে অনেক। অনেক ট্যাক্স বাড়াইছে।

ঢাকাপ্রকাশ: আগের মেয়র যেটি পারেননি সেই সমস্যাগুলো আপনি সমাধান করতে পারবেন? কুমিল্লার মানুষ সেবাগুলো পাবেন?

আরফানুল হক: আমি নগরপিতা না, নগর সেবক হবো। আমি জনতার মেয়র হবো। আমি যদি সিটি করপোরেশনের মেয়র হতে পারি, আমার অফিসটা হবে কুমিল্লার গণমানুষের জন্য। আওয়ামী লীগের কার্যালয় হবে না। আওয়ামী লীগের কার্যালয় হবে না সিটি করপোরেশন এটা আমি বলে দিয়েছি। ওটা (কুমিল্লা সিটি করপোরেশন) গণমানুষের কার্যালয় হবে, মানুষের অভাব অভিযোগ শোনার কার্যালয় হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় আপনার বিরুদ্ধে কিছু নেতিবাচক রিপোর্ট এসেছে। মাদক চোরাকারবারীর অভিযোগ নিয়েও রিপোর্ট হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি?

আরফানুল হক: আমি কিছুই জানি না। আমি কিছুই জানতাম না। গত পরশুদিন ভোরের কাগজে আসার পর আমার চোখে পড়ল। এর আগে গত চার বছরে আমি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রায় সাড়ে ৩ বছর। নেত্রী কুমিল্লার কমিটি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। বাহার ভাই প্রেসিডেন্ট আমি সেক্রেটারি। এমপি প্রেসিডেন্ট, আমি সেক্রেটারি। এই চার বছর সময় গেল।

ঢাকাপ্রকাশ: নির্বাচনের আগে এই ধরণের রিপোর্ট আপনার নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে কি-না?

আরফানুল হক: নির্বাচনে আগে আমার সম্পর্কে এনএসআই, ডিজিএফই রিপোর্ট দিয়েছে? সব সম্পর্কেই তো রিপোর্ট দিয়েছে। এতবড় মেজর একটা ব্যাপার, এটা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে না? আমার নমিনেশন পাওয়ার ঠিক পরদিন কেন পত্রিকায় আসল? এটা তো দুই দিন আগেও আসতে পারত তাই না? এটা তো বোঝাই যায়। আমাকে হেয় করার জন্য করছে।

ঢাকাপ্রকাশ: কারা আপনাকে হেয় করতে চায়?

আরফানুল হক: আমি কারো নাম উল্লেখ করতে চাই না। কারো নাম উল্লেখ করতে চাই না। যারাই করছে..।

ঢাকাপ্রকাশ: জাতীয় পত্রিকাগুলোতে যে রিপোর্ট আসছে তাতে আপনার বক্তব্য কি? 

আরফানুল হক: অবশ্যই মিথ্যা, অবশ্যই মিথ্যা, অবশ্যাই মিথ্যা। প্রয়োজনে আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হোক। আর কিছু বলব না।  

ঢাকাপ্রকাশ: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আরফানুল হক: আপনার মাধ্যমে ঢাকাপ্রকাশকেও ধন্যবাদ।

 

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কবে কখন কি:

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয় ২৫ এপ্রিল। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৭ মে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৯ মে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ শে মে, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ মে এবং ভোট গ্রহণ ১৫ জুন।

 

এসএম/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত