শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবে বেপরোয়া মজুতদার 

আইন থাকলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা। শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা হুঁশিয়ার করার পরও যতই দিন যাচ্ছে অতি মুনাফার লোভে অবৈধ মজুতে মরিয়া হয়ে উঠছে। স্বয়ং সরকার প্রধান শেখ হাসিনা পর্যন্ত বলছেন `অবৈধ মজুত করলে রক্ষা নেই।‘ তারপরও বাজার থেকে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে তেলসহ অন্যান্য পণ্য। বাজারে অভিযান করলেই ধরা পড়ছে অবৈধ মজুত। এর ফলে ভোক্তাদের বেশি দামে চাল, তেলসহ বিভিন্ন পণ্য বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, প্রতারিত হচ্ছেন।

শীর্ষ ব্যবসায়ীরা বলছেন,মজুতদার এক ভাগও হবে না। তারপরও অপবাদের কালিমা পড়ছে সব ব্যবসায়ীদের উপর। তারা বলছেন, সরকারের ব্যবস্থাপনার ত্রুটির কারণে বাজারে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। মজুত ও সরবরাহে সংকট হচ্ছে। সময় থাকতে যখন যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা করা হয় না। বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে। 

গত দুই মাস থেকে ভোজ্যতেল নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি হলে সরকার নড়েচড়ে বসে। বিভিন্ন পর্যায়ে শুল্ক কমিয়েছে।তারপরও এর সুফল পাচ্ছে না ভোক্তারা।মিলমালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে তেলের লিটারে ১৬০ থেকে এক লাফে বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা লিটার করা হয়েছে। তারপরও্র বাজার স্বাভাবিক তো দুরের কথা, এখনো অনেক বাজারে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু বাজারে অভিযান পরিচালনা করলেই ধরা পড়ছে মজুত করা তেল।

রবিবার (১৫ মে) চট্টগ্রামে ইপিজেড থানার মাইলের মাথা বাজারে মেসার্স বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজে এক অভিযানে তেলের দাম বাড়ানোর আগেই কেনা ছয় হাজার ১২০ লিটার সয়াবিন তেল মজুতের অভিযোগে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, রচট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. ফয়েজউল্লাহ।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১২মে) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডলের নেতৃত্বে বাজার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় রাজধানীর ওয়ারী থানার কাপ্তান বাজারে মেসার্স জনতা এন্টারপ্রাইজ থেকে অবৈধভাবে মজুদকৃত ৭ হাজার ৯৫৬ লিটার ভোজ্যতেল উদ্ধার করা হয়েছে। এভাবে সারা দেশে ভোক্তা অদিদপ্তরের বাজার অভিযানে ৩৬টি জেলায় ২ লাখ  ছয় হাজার ৬৬৩ লিটার তেল জব্দ করে আগের রেটে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই দিন ভোক্তা-স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন অপরাধ করায় ১১৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ লাখ  দুই হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

কিছুতেই তেলের সংকট কাটছে। তাই সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইতে মিলমালিক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা হয়।  তেলের ডিলাররা বাজার অভিযানের বিরুদ্ধে খেদোক্তি প্রকাশ করে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের নেতা গোলাম মাওলা বলেন,আইনে কি আছে মজুত করা (মাল রাখা) যাবে না? দোকানে মাল না রাখলে তাহলে কীভাবে বিক্রি হবে। ক্রেতা আসবে কীভাবে? অযথা অভিযানে ব্যবসায়ীদের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে ‘

তবে এফবিসিসিআইএর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মজুত না করলে কীভাবে লাখ লাখ লিটার তেল উদ্ধার হচ্ছে। দাম বাড়ার সুযোগ নিতে তেল লুকানো হচ্ছে। এভাবে ৯৯ শতাংশ প্রকৃত ব্যবসায়ীকে এক শতাংশ হেও করতে পারে না। চোর-বাটপারের নেতা হতে পারি না।’

মজুতের শাস্তি বিশেষ আইনে ‘মৃত্যুদণ্ড’

খাদ্যপণ্য মজুতের বিরুদ্ধে আইনে আছে কঠোর শান্তি বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মজুতদারি নিষিদ্ধ করে আইনে মজুতদারি বা কালোবাজারির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা আজীবন কারাদন্ডের মতো কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।অপরাধের মাত্রা ভেদে অন্যান্য মেয়াদের কারাদণ্ড ও জরিমানা করার কথা উল্লেখ রয়েছে।

আর খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের ২০১১সালের ৪মে ১৩ নং আইনে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে আমদানি কারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং চালকল মালিকরা কি পরিমাণ খাদ্যপণ্য মজুত করতে পারবেন। তাতে বলা হয়েছে-সরকারের লাইসেন্স ছাড়া কোনো ব্যবসায়ী এক টনের বেশি খাদ্য সামগ্রী মজুত রাখতে পারবে না। ভোজ্যতেলের মধ্যে পাইকারি পর্যায়ে সয়াবিন ও পামওয়েল ৩০ টন ৩০ দিন, খুচরা পর্যায়ে ৫ টন ২০ দিন ও আমদানি পর্যায়ে ২৫ ভাগ ৫০ দিন মজুত রাখার নিয়ম করা হয়েছে। তারপরও অনেক ব্যবসায়ী বলছেন, মজুত করার ব্যপারে আইনে কি আছে জানেন না তারা। 

এই আইন এখনো কার্যকর বলে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে। শুধু তেল নয়, ধান,চাল মজুতের ব্যপারেও আইনে বলা হয়েছে পাইকারি পর্যায়ে ধান ও চাল ৩০০ টন ৩০ দিন এবং খুচরা পর্যায়ে ১৫ টন মজুত রাখা যাবে ১৫ দিন। আর আমদানিকৃত হলে ৩০ দিন রাখা যাবে। একে ভিত্তি করেই বাজারে প্রতিনিয়ত মজুতদারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। 

সার্বিক ব্যাপারে জানতে জাতীয় জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও ফোন না ধরায় কোনো মন্তব্য জানান সম্ভব হয়নি। 

তবে প্রতিষ্টানটির পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ভোক্তা সংরক্ষণ-২০০৯ আইন অনুযায়ী ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা করতে কাজ করা হচ্ছে। সারা দেশে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কেউ আইনের ঊর্দ্ধে নয়। তাই প্রায় দিন  বিভিন্ন বাজারে  অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অনেকে সর্তক হলেও অনেকে অতি মুনাফার লোভ সামলাতে পারছে না। তাই সুযোগ পেলেই মজুত করছে বিভিন্ন পণ্য।’কখনো কি মজুতদারি বন্ধ হবে না? এমন প্রশ্নের জবাবে এই উপ-সচিব বলেন, ‘ভোক্তা আইন সংশোধন করা হচ্ছে। তখন হয়ত অনেকটা খাদ্যপণ্য মজুতের পরিমাণ কমে যেতে পারে।’

শুধু তেল নয়, দেশে আমন ধানের প্রচুর ফলন ও সরকারি পর্যায়ে খাদ্য মজুত দ্বিগুণ হলেও কমছে না চালের দাম। অবৈধভাবে মজুত করে পরে বেশি মুনাফা করতে বেশি দামে বিক্রি করছে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। বাধ্য হয়ে ৭ফেব্রুয়ারি খাদ্যমন্ত্রী  সাধন চন্দ্র মজুমদার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, ‘অবৈধ মজুতের তথ্য পেলে মজুতদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তারপরও লাগাম টানা যাচ্ছে না বিভিন্ন পণ্যের দামে। বাধ্য হয়ে  গত ২৪ এপ্রিল এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নিত্যপণ্যের বাজার বিভিন্ন সময় অসাধু সিন্ডিকেট এবংঅবৈধ মজুতদারদের কারণে বেড়ে যায়। এ সকল কর্মকাণ্ড প্রমাণ হলেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কে শুনে কার কথা। তাই তো আন্তর্জাতিক বাজারের অজুহাতে ঠেকানো যাচ্ছে না নিত্য পণ্যের দাম। আমদানি বন্ধ ঘোষণার পরই পেঁয়াজের দামও বেড়ে গেছে।২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজির পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। শ্যামবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নেতা মো. মাজেদ বলেন, ‘সময়ের কাজ সময়ে না করলে মালের দাম বাড়বেই।’ 

দূর করতে হবে বাজার ব্যবস্থাপনার ত্রুটি

সার্বিক ব্যাপারে জানতে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকাপ্রেকাশ-কে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা আঞ্জুমান মফিদুল নয়। তারা লাভের আশায় মজুত করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সরকারের দেখার বিষয় সংকট কেন হচ্ছে। তা হবার আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে সব পণ্যের দাম বাড়ছে। তাহলে তো সরকারকে দেখতে হবে কোন কোন পণ্যের কত চাহিদা, সরবরাহ কতটা আছে। তাহলে বিপণনে সমস্যা হবার কথা না। কেউ বেশি লাভের আশায় মজুত করে রাখবে না। মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে হুট করে পণ্য আমদানি কোনো সমাধানের পথ নয়। ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে আমদানি-বিপণনে। কারণ চাহিদার তুলনায় আমদানি বেশি হলে দাম কমে যায়। আবার আমদানি কম হলে বেড়ে যায় দাম। শুরু হয় সংকট। ধরা হয় ব্যবসায়ীদের। এটা হতে পারে না। আগেই সর্তক হলে এ রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘একেবারে আমদানি বন্ধ না করে শুল্ক (ডিউটি) কাঠামো কমিয়ে-বাড়িয়ে বাজার স্বাভাবিক রাখা যায়। সরকারের ভালো ব্যবস্থাপনা থাকলে ব্যবসায়ীরা অসাধু পথে যেতে পারে না। সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের অভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে বাজারে। বলির পাঠা হচ্ছে ভোক্তরা। অনেক সময় ব্যবসায়ীকেও শান্তি পেতে হচ্ছে। 

মজুত নয়, স্বাভাবিক বাজারের পথ কোথায়? এমন প্রশ্নের জবাবে দোকানমালিক সমিতির এই নেতা বলেন, ‘ব্যবসায়ীকে ব্যবসার পরিবেশ দিতে হবে। জনগণের আয় বাড়াতে হবে। তবেই বাজার স্থির হবে। ভোক্তারা প্রতারিত হবেন না।’

জেডএ/এমএমএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত