সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবে বেপরোয়া মজুতদার 

আইন থাকলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা। শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা হুঁশিয়ার করার পরও যতই দিন যাচ্ছে অতি মুনাফার লোভে অবৈধ মজুতে মরিয়া হয়ে উঠছে। স্বয়ং সরকার প্রধান শেখ হাসিনা পর্যন্ত বলছেন `অবৈধ মজুত করলে রক্ষা নেই।‘ তারপরও বাজার থেকে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে তেলসহ অন্যান্য পণ্য। বাজারে অভিযান করলেই ধরা পড়ছে অবৈধ মজুত। এর ফলে ভোক্তাদের বেশি দামে চাল, তেলসহ বিভিন্ন পণ্য বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, প্রতারিত হচ্ছেন।

শীর্ষ ব্যবসায়ীরা বলছেন,মজুতদার এক ভাগও হবে না। তারপরও অপবাদের কালিমা পড়ছে সব ব্যবসায়ীদের উপর। তারা বলছেন, সরকারের ব্যবস্থাপনার ত্রুটির কারণে বাজারে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। মজুত ও সরবরাহে সংকট হচ্ছে। সময় থাকতে যখন যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা করা হয় না। বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে। 

গত দুই মাস থেকে ভোজ্যতেল নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি হলে সরকার নড়েচড়ে বসে। বিভিন্ন পর্যায়ে শুল্ক কমিয়েছে।তারপরও এর সুফল পাচ্ছে না ভোক্তারা।মিলমালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে তেলের লিটারে ১৬০ থেকে এক লাফে বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা লিটার করা হয়েছে। তারপরও্র বাজার স্বাভাবিক তো দুরের কথা, এখনো অনেক বাজারে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু বাজারে অভিযান পরিচালনা করলেই ধরা পড়ছে মজুত করা তেল।

রবিবার (১৫ মে) চট্টগ্রামে ইপিজেড থানার মাইলের মাথা বাজারে মেসার্স বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজে এক অভিযানে তেলের দাম বাড়ানোর আগেই কেনা ছয় হাজার ১২০ লিটার সয়াবিন তেল মজুতের অভিযোগে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, রচট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. ফয়েজউল্লাহ।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১২মে) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডলের নেতৃত্বে বাজার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় রাজধানীর ওয়ারী থানার কাপ্তান বাজারে মেসার্স জনতা এন্টারপ্রাইজ থেকে অবৈধভাবে মজুদকৃত ৭ হাজার ৯৫৬ লিটার ভোজ্যতেল উদ্ধার করা হয়েছে। এভাবে সারা দেশে ভোক্তা অদিদপ্তরের বাজার অভিযানে ৩৬টি জেলায় ২ লাখ  ছয় হাজার ৬৬৩ লিটার তেল জব্দ করে আগের রেটে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই দিন ভোক্তা-স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন অপরাধ করায় ১১৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ লাখ  দুই হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

কিছুতেই তেলের সংকট কাটছে। তাই সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইতে মিলমালিক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা হয়।  তেলের ডিলাররা বাজার অভিযানের বিরুদ্ধে খেদোক্তি প্রকাশ করে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের নেতা গোলাম মাওলা বলেন,আইনে কি আছে মজুত করা (মাল রাখা) যাবে না? দোকানে মাল না রাখলে তাহলে কীভাবে বিক্রি হবে। ক্রেতা আসবে কীভাবে? অযথা অভিযানে ব্যবসায়ীদের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে ‘

তবে এফবিসিসিআইএর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মজুত না করলে কীভাবে লাখ লাখ লিটার তেল উদ্ধার হচ্ছে। দাম বাড়ার সুযোগ নিতে তেল লুকানো হচ্ছে। এভাবে ৯৯ শতাংশ প্রকৃত ব্যবসায়ীকে এক শতাংশ হেও করতে পারে না। চোর-বাটপারের নেতা হতে পারি না।’

মজুতের শাস্তি বিশেষ আইনে ‘মৃত্যুদণ্ড’

খাদ্যপণ্য মজুতের বিরুদ্ধে আইনে আছে কঠোর শান্তি বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মজুতদারি নিষিদ্ধ করে আইনে মজুতদারি বা কালোবাজারির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা আজীবন কারাদন্ডের মতো কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।অপরাধের মাত্রা ভেদে অন্যান্য মেয়াদের কারাদণ্ড ও জরিমানা করার কথা উল্লেখ রয়েছে।

আর খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের ২০১১সালের ৪মে ১৩ নং আইনে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে আমদানি কারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং চালকল মালিকরা কি পরিমাণ খাদ্যপণ্য মজুত করতে পারবেন। তাতে বলা হয়েছে-সরকারের লাইসেন্স ছাড়া কোনো ব্যবসায়ী এক টনের বেশি খাদ্য সামগ্রী মজুত রাখতে পারবে না। ভোজ্যতেলের মধ্যে পাইকারি পর্যায়ে সয়াবিন ও পামওয়েল ৩০ টন ৩০ দিন, খুচরা পর্যায়ে ৫ টন ২০ দিন ও আমদানি পর্যায়ে ২৫ ভাগ ৫০ দিন মজুত রাখার নিয়ম করা হয়েছে। তারপরও অনেক ব্যবসায়ী বলছেন, মজুত করার ব্যপারে আইনে কি আছে জানেন না তারা। 

এই আইন এখনো কার্যকর বলে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে। শুধু তেল নয়, ধান,চাল মজুতের ব্যপারেও আইনে বলা হয়েছে পাইকারি পর্যায়ে ধান ও চাল ৩০০ টন ৩০ দিন এবং খুচরা পর্যায়ে ১৫ টন মজুত রাখা যাবে ১৫ দিন। আর আমদানিকৃত হলে ৩০ দিন রাখা যাবে। একে ভিত্তি করেই বাজারে প্রতিনিয়ত মজুতদারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। 

সার্বিক ব্যাপারে জানতে জাতীয় জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও ফোন না ধরায় কোনো মন্তব্য জানান সম্ভব হয়নি। 

তবে প্রতিষ্টানটির পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ভোক্তা সংরক্ষণ-২০০৯ আইন অনুযায়ী ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা করতে কাজ করা হচ্ছে। সারা দেশে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কেউ আইনের ঊর্দ্ধে নয়। তাই প্রায় দিন  বিভিন্ন বাজারে  অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অনেকে সর্তক হলেও অনেকে অতি মুনাফার লোভ সামলাতে পারছে না। তাই সুযোগ পেলেই মজুত করছে বিভিন্ন পণ্য।’কখনো কি মজুতদারি বন্ধ হবে না? এমন প্রশ্নের জবাবে এই উপ-সচিব বলেন, ‘ভোক্তা আইন সংশোধন করা হচ্ছে। তখন হয়ত অনেকটা খাদ্যপণ্য মজুতের পরিমাণ কমে যেতে পারে।’

শুধু তেল নয়, দেশে আমন ধানের প্রচুর ফলন ও সরকারি পর্যায়ে খাদ্য মজুত দ্বিগুণ হলেও কমছে না চালের দাম। অবৈধভাবে মজুত করে পরে বেশি মুনাফা করতে বেশি দামে বিক্রি করছে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। বাধ্য হয়ে ৭ফেব্রুয়ারি খাদ্যমন্ত্রী  সাধন চন্দ্র মজুমদার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, ‘অবৈধ মজুতের তথ্য পেলে মজুতদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তারপরও লাগাম টানা যাচ্ছে না বিভিন্ন পণ্যের দামে। বাধ্য হয়ে  গত ২৪ এপ্রিল এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নিত্যপণ্যের বাজার বিভিন্ন সময় অসাধু সিন্ডিকেট এবংঅবৈধ মজুতদারদের কারণে বেড়ে যায়। এ সকল কর্মকাণ্ড প্রমাণ হলেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কে শুনে কার কথা। তাই তো আন্তর্জাতিক বাজারের অজুহাতে ঠেকানো যাচ্ছে না নিত্য পণ্যের দাম। আমদানি বন্ধ ঘোষণার পরই পেঁয়াজের দামও বেড়ে গেছে।২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজির পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। শ্যামবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নেতা মো. মাজেদ বলেন, ‘সময়ের কাজ সময়ে না করলে মালের দাম বাড়বেই।’ 

দূর করতে হবে বাজার ব্যবস্থাপনার ত্রুটি

সার্বিক ব্যাপারে জানতে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকাপ্রেকাশ-কে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা আঞ্জুমান মফিদুল নয়। তারা লাভের আশায় মজুত করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সরকারের দেখার বিষয় সংকট কেন হচ্ছে। তা হবার আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে সব পণ্যের দাম বাড়ছে। তাহলে তো সরকারকে দেখতে হবে কোন কোন পণ্যের কত চাহিদা, সরবরাহ কতটা আছে। তাহলে বিপণনে সমস্যা হবার কথা না। কেউ বেশি লাভের আশায় মজুত করে রাখবে না। মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে হুট করে পণ্য আমদানি কোনো সমাধানের পথ নয়। ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে আমদানি-বিপণনে। কারণ চাহিদার তুলনায় আমদানি বেশি হলে দাম কমে যায়। আবার আমদানি কম হলে বেড়ে যায় দাম। শুরু হয় সংকট। ধরা হয় ব্যবসায়ীদের। এটা হতে পারে না। আগেই সর্তক হলে এ রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘একেবারে আমদানি বন্ধ না করে শুল্ক (ডিউটি) কাঠামো কমিয়ে-বাড়িয়ে বাজার স্বাভাবিক রাখা যায়। সরকারের ভালো ব্যবস্থাপনা থাকলে ব্যবসায়ীরা অসাধু পথে যেতে পারে না। সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের অভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে বাজারে। বলির পাঠা হচ্ছে ভোক্তরা। অনেক সময় ব্যবসায়ীকেও শান্তি পেতে হচ্ছে। 

মজুত নয়, স্বাভাবিক বাজারের পথ কোথায়? এমন প্রশ্নের জবাবে দোকানমালিক সমিতির এই নেতা বলেন, ‘ব্যবসায়ীকে ব্যবসার পরিবেশ দিতে হবে। জনগণের আয় বাড়াতে হবে। তবেই বাজার স্থির হবে। ভোক্তারা প্রতারিত হবেন না।’

জেডএ/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে দেশে কিছু লোডশেডিং চালু রাখার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, কিছু লোডশেডিং না দিলে ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে যাবে। তবে লোডশেডিং যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সে চেষ্টা করা হবে। তিনি জানান, শহর ও গ্রামে সমানভাবে লোডশেডিং কার্যকর করা হবে।

সচিবালয়ে গ্রিড বিপর্যয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে দেশে সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গরমের কারণে আগামী দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তখন চাহিদা মেটাতে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে। তিনি আরও বলেন, যে হারে এসি স্থাপন করা হচ্ছে, সে হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়নি। অনেকে অকারণে লাইট, ফ্যান ও এসি চালু রাখায় বিদ্যুৎচাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল ও খুলনায় ২৬ এপ্রিল যে গ্রিড বিপর্যয় ঘটে, তার তদন্তে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে বুয়েটের উপ-উপাচার্য আবদুল হাসিব চৌধুরীকে। কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ, দায়ী ব্যক্তিদের ভূমিকা ও ভবিষ্যতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সুপারিশ করবে।

মেট্রোরেল এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকার কারণও তদন্তে নেওয়া হয়েছে। বুয়েটের অধ্যাপক শামসুল হককে প্রধান করে একটি আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেল বন্ধ থাকার মূল কারণ ছিল বিদ্যুৎ সংকট।

এ সময় মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, দেশে গ্যাসের উৎপাদন কমে যাচ্ছে এবং এলএনজি আমদানির আর্থিক সামর্থ্যও কমে গেছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

পিজিসিবি ও পিডিবি জানায়, আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ সার্কিট লাইনের ৪০০ কিলোভোল্টের দুটি তার কাছাকাছি আসায় শর্ট সার্কিট হয় এবং সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর ফলে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৫টি জেলা—খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী—প্রায় ১৫ মিনিট থেকে ৯৬ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। তবে সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে এবং রাত সাড়ে আটটার পর পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।

Header Ad
Header Ad

গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের পূবাইলের হায়দরাবাদ এলাকায় একাধিক শিশু-কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মসজিদের ইমাম গণপিটুনির শিকার হয়ে পরে কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত ইমামের নাম রহিজ উদ্দিন (৩৫), তিনি চাঁদপুর জেলার মতলব থানার বাদশা মিয়ার ছেলে এবং হায়দরাবাদ আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় এক কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগ ওঠে রহিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এতে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে, এমনকি তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং নির্যাতিত এক কিশোরের বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।

পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। একই রাতের (২৭ এপ্রিল) দিবাগত ৩টার দিকে রহিজ উদ্দিন কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা কারাগারের জেল সুপার রফিকুল কাদের জানান, মৃত ইমামের শরীরে গণপিটুনির চিহ্ন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হওয়ার ফলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মৃত্যুবরণ করেন।

পূবাইল থানার ওসি এসএম আমিরুল ইসলাম বলেন, রহিজ উদ্দিন স্থানীয় স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেদের নিজের থাকার কক্ষে এনে কম্পিউটার গেমস ও মোবাইল গেম খেলার সুযোগ দিতেন এবং কোমল পানীয় খাওয়াতেন। ওই পানীয় সেবনের পর অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাদের বলৎকার করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক কলেজছাত্রের কাছ থেকে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে তাকে গণধোলাই দেয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি