সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫ | ২৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

রাজপথই সমাধান দেখছে বিএনপি

ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে যাই বলা হোক নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া আগামীতে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে বিএনপি। দাবি আদায়ে ফের আন্দোলনে যাওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত দলটির। আন্দোলনের সময় বা দিনক্ষণ, কৌশল চূড়ান্ত না হলেও অচিরেই ইস্যু ভিত্তিক কর্মসূচিতে রাজপথে নামার পরিকল্পনায় এগোচ্ছে বিএনপি। দল ও তার অঙ্গ সহযোগি সংগঠনগুলোকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ সমাপ্তির দিকে। তবে একটি বিষয়ই প্রাধান্য দেওয়া হবে তা হলো-নির্বাচনকালিন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায়। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে এবার আন্দোলনের ধরণ কৌশলের ছক আকছে বিএনপি। নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আদায়ে প্রয়োজনে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়তে জোটে থাকা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগের মতামতও উঠে এসেছে। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, সভা-সমাবেশ-বিবৃতিতে জাতীয় সরকার নিয়ে কথা বললেও বিএনপির মূল দাবি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়। বিএনপির হাইকমাণ্ড মনে করছে-খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক কর্মীদের মুক্তি, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, নিরপেক্ষ নির্বচন কমিশন গঠন, সকল দলের অংশগ্রহণ ব্যতীত বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য ইভিএম পদ্ধতিও গ্রহণযোগ্য হবে না।

ফলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের উদ্যোগ নিয়ে ক্ষমতাসীনদের বক্তব্যে কে ‘প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপির হাইকমাণ্ড। দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়-শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পদত্যাগ ব্যতিরেখে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। বরং অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। যারা নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে এবং সেই নির্বাচন কমিশন যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে সেখানে দিয়ে একটা জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার ও সংসদ গঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। সেটি হলো এই সরকারের বদলে কেয়ারটেকার আর ইভিএমের বদলে ব্যালট পেপার।

‘নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন নিয়ে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও বিএনপি এখনো ঐক্যবদ্ধ। নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগে যদি কোন তৃতীয় শক্তির উত্থান ঘটে তা নিয়েও চিন্তিত নয় বিএনপি। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া বিএনপির এই মুহূর্তে কোনো ভাবনা নাই।’

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল। নির্বাচন ও আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতির প্রয়োজন পড়ে না। নির্বাচন নিয়ে আপাতত তেমন কোনো ভাবনা নেই বিএনপির। তবে বসে নেই বিএনপি, সীমিত আকারে হলেও যতটুকু সময়-সুযোগ তার যথাযথ ব্যবহার করতে যা করণীয় তাই ভেবে এগোচ্ছে দল। অর্থাৎ রাজপথের আন্দোলন থেকে পিছপা হবে না, হওয়ার কোনো বিকল্প পথ খোঁলা নেই। অচিরেই নতুন শক্তি নিয়ে রাজপথে আসবে বিএনপি।’

সময় যত অতিবাহিত হচ্ছে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল (আওয়ামী লীগ-বিএনপি) মধ্যে ক্ষমতার লড়াই প্রধান হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ফলে গণতন্ত্র, নির্বাচন, সংলাপ ও সমঝোতায় সমাধানের পথ বন্ধ হলে ফের সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে চলে যেতে পারে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। বাস্তবতায় দেশ এখন ক্ষমতায় যাওয়া ও ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াইয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।

বিএনপিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন করব। জনগণের ইচ্ছায় ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। আমরা তাদের (বিএনপি) অনুরোধ করছি নিবাচনে আসুন। দর কষাকষি করে লাভ নেই, সরকার সংবিধান থেকে এক চুলও নড়বে না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, আমরাও সেভাবে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করব।’

অন্যদিকে বিএনপির দাবি-দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি, শেখ হাসিনার অধীনে তো প্রশ্নই উঠে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। ফলে দুই দলের মধ্যে সংলাপ-সমঝোতা না পৌঁছানো পর্যন্ত অনিশ্চিয়তা যেমন কাটছে না তেমনি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও শান্তিপূর্ণ তথা স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে ক্ষীণ।

বিএনপির সিনিয়র নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ঈদের পরে আন্দোলন কাকে বলে দেখিয়ে দিব!

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'আমাদের সবকিছুই আন্দোলনের অংশ, আমরা যা কিছু করছি তাই আন্দোলন। আন্দোলন বলতে আপনারা কী বুঝেন, তা জানি না। আমরা যারা আন্দোলন করি তারা বুঝি- আন্দোলন মানেই জনগণকে সম্পৃক্ত করা। এই তো আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিয়েছি এটাও আন্দোলনের কর্মসূচি, জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে যে কর্মসূচি দিয়েছি সেটাও আন্দোলনের কর্মসূচি। অস্থির হবেন না, আপনারা যেটা দেখতে চান সেটা খুব শিগগিরই দেখতে পাবেন।'

আন্দোলনে অনড় খালেদা

দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে আন্দোলন উপযোগী করতে দৃঢপ্রতিজ্ঞ দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রাজনৈতিক সমঝোতার পথকে ক্ষীণ বিবেচনায় নিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখার বিষয়ে অনড় রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ধারাবাহিকতায় তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলা সফরে গিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি গুলো দ্রুততার সহিত শেষ করারও তাগিদ দিয়েছেন তিনি। গত ৯ মে খালেদা জিয়ার সঙ্গে স্থায়ী কমিটির সাক্ষাতে এই বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। আলোচনায় উপস্থিত নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থায়ী কমিটি একজন সদস্য ঢাকাপ্রকাশকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, খাতা কলমে না হলেও রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। কিছু অভ্যন্তরীণ ভুল বুঝাবুঝি ও সাংগঠনিক দুর্বল থাকায় ব্যর্থতাই ছিল কয়েকদফা আন্দোলনের শেষ পরিণতি। ফলে ব্যর্থতার তকমা থেকে বের হতে এবার সাংগঠনিকভাবে শক্তি বৃদ্ধিতে কিছুটা সময় নিয়ে ভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছে বিএনপি। প্রস্তুতি একটি সেটা হচ্ছে- সরকার পতন আন্দোলন। বিএনপির কাছে আন্দোলনেই মুখ্য বিষয়। তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মতামত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাদের

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি আন্দোলন চলমান। অতীতে আন্দোলন করে দেশে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত করা হয়ে ছিল। এবারও রাজপথ আন্দোলনে তা পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা হবে। এখন শুধু বিএনপি নয়, সরকারবিরোধী দেশের রাজনৈতিক দলগুলো বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে যাবে না।

 

এমএইচ/

Header Ad
Header Ad

ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সারাদেশে চলছে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি

বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এ নোটিশ দিয়ে সংহতি জানিয়েছে গাজার পক্ষে। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সারাদেশে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি চলছে। গত রাতেই ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এ নোটিশ দিয়ে সংহতি জানিয়েছে গাজার পক্ষে।

রাজধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে জড়ো হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় আর কলেজগুলোর সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়াও গাজায় হামলা বন্ধের দাবিতে একই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ছাত্র শিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।

রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একই ঘটনায় রাজধানীর বিজয় নগর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা, ফিলিস্তিনের নাগরিকদের উপর চালানো গণহত্যার প্রতিবাদ ও স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবি উঠে আসে তাদের স্লোগানে। এসময় সোমবার জেনারেল স্ট্রাইকে দেশবাসীকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।

গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিশ্বব্যাপী ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আজকের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই গণহত্যার প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও।

Header Ad
Header Ad

যুদ্ধের মাঝে ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটলেন নেতানিয়াহু

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নিরলস হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। বর্বর ও নির্বিচার এই হামলার মধ্যেও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ভূখণ্ডটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গত কয়েক মাসের মধ্যে গাজা থেকে ইসরায়েলে সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে তারা।

একইসঙ্গে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে দেওয়া হয়েছে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক। এমন অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটে গেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

সোমবার (৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফের সাথে দেখা করার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রোববার হাঙ্গেরি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটে গেছেন বলে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথের মতে, নেতানিয়াহু সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সাথে আলোচনা করবেন। এতে বলা হয়েছে, “গাজায় চলমান যুদ্ধ এবং হামাসের পক্ষ থেকে ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহার এবং যুদ্ধের অবসানের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উইটকফের উপস্থিতি ‘ইসরায়েলি বন্দি মুক্তির ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে’।”

সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এছাড়া ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকের সাথেও দেখা করবেন। বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড মূলত ট্রাম্পের শুল্ক নীতির তত্ত্বাবধান করেন। গত বুধবার উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য ঘাটতির কারণে অন্যান্য দেশের সাথে ইসরায়েলের ওপর ১৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বসতে চলেছেন নেতানিয়াহু।

পৃথক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, রোববার রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আগামী দুই দিন ধরে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে তাড়াহুড়ো করে নির্ধারিত বৈঠক করবেন।

বৈঠকগুলোতে মূলত গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ এবং জিম্মিদের বিষয়ে আলোচনা করা হবে, যাদের মধ্যে ৫৯ জন এখনও গাজায় বন্দি রয়েছেন। সেইসাথে ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতি নিয়েও আলোচনার কথা রয়েছে। সফরের কথা ঘোষণা করার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে নেতানিয়াহু রোববার বুদাপেস্ট থেকে ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

এদিকে নেতানিয়াহুর এই সফর মঙ্গলবার পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ার কথা থাকলেও ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, এই সফরের সময়সীমা বাড়ানো যেতে পারে। গত সপ্তাহে নেতানিয়াহু, ট্রাম্প এবং হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় কথোপকথনের পর এই সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, স্ত্রী সারাকে নিয়ে ওয়াশিংটনে পৌঁছানোর পরেইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বিমানবন্দর থেকে কাফেলা নিয়ে ব্লেয়ার হাউসের দিকে যান। সেখানে বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকের সাথে তার দেখা করার কথা ছিল।

আনাতোলু বলছে, ইসরায়েলের প্রধান মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহুর সফর এমন এক সময় এলো যখন তেল আবিব গাজা উপত্যকায় মারাত্মক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৩ সালের অক্টোবর থেকে নির্বিচার হামলায় অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় প্রায় ৫০ হাজার ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছেন।

গত সপ্তাহান্তে নেতানিয়াহু গাজায় আক্রমণ আরও বাড়ানোর ঘোষণা দেন। ফিলিস্তিনি এই ছিটমহল থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের বিষয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টাও চলছে।

Header Ad
Header Ad

রাজশাহীতে ট্রাক-বাসের সংঘর্ষে নিহত তিন, আহত অর্ধশত

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর খড়খড়িতে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি ট্রাকের সঙ্গে দুটি বাসের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। রোববার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অর্ধশত বাস যাত্রী আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- নাসিম মিজান ও জুয়েল।

জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাণীহাটি ইউনিয়ন শাখা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা দুটি বাস নিয়ে প্রয়াত জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর কবর জিয়ারত করতে পিরোজপুর যাচ্ছিলেন। রাজশাহীর খড়খড়ি এলাকায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি বাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এ সময় আরেকটি বাস এসে ধাক্কা দেয়। একটি বাস রাস্তার পাশে খাদে পড়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ২ জন মারা যান।

স্থানীয় লোকজন ও দমকল বিভাগের কর্মীরা গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার জানান, নিহত তিনজনের মধ্যে ২ ঘটনাস্থলে এবং একজন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সারাদেশে চলছে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি
যুদ্ধের মাঝে ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটলেন নেতানিয়াহু
রাজশাহীতে ট্রাক-বাসের সংঘর্ষে নিহত তিন, আহত অর্ধশত
পুরান ঢাকায় নাজিমউদ্দিন রোডে আগুন, নিহত ১
ইসরাইলি বসতিতে হামাসের মুহুর্মুহু রকেট হামলা (ভিডিও)
আমরা গাজায় আরও তীব্র হামলা চালাব: ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
নওগাঁয় আকাশ থেকে পড়ল বিরল আকৃতির শীলা, আতঙ্কিত এলাকাবাসী
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির ডাক
বিয়ের গেটে পার্টি স্প্রে দেওয়া নিয়ে মারামারি, ভাঙল বিয়ে
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় ছাত্রদলের নিন্দা ও কর্মসূচি ঘোষণা
দপ্তর হারালেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব নিজাম উদ্দিন
বাংলাদেশে ব্যবসা করার অনুমোদন পেল স্টারলিংক
শুল্ক নিয়ে ট্রাম্প ও মার্কিন প্রশাসনকে চিঠি দেবে বাংলাদেশ: প্রেস সচিব
দর্শনায় পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর বাস্তবায়নে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের পরিদর্শন
ফেসবুকে নির্বাচনের কথা লিখলে সংঘবদ্ধ গালি শুরু হয়ে যাচ্ছে: ইশরাক
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের প্রভাব সামাল দেওয়া কঠিন হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
বিদেশি শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বুধবার
এসএসএফের সাবেক ডিজি ও তার স্ত্রীর ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, ৩৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
আওয়ামীপন্থি ৮৪ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ, ৯ জনের জামিন