বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৫ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সুফল মেলেনি মাছ-ব্যাঙ-হাঁস দিয়ে মশা নিধন

মশা নিধনে গাপ্পি মাছ, ব্যাঙ ও হাঁস ব্যবহার করেছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। কিন্তু এ সব পদ্ধতি তেমন কার্যকর হয়নি। এখন পুরনো পদ্ধতিতেই চলছে মশা নিধনের কাজ। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জেল-জরিমানা।

মশার লার্ভা ও প্রজননস্থল ধ্বংস করতে ডিএসসিসি লেক-খাল-জলাশয়ে মাছ অবমুক্ত থেকে শুরু করে হাঁস বা ব্যাঙেরও প্রয়োগ করেছিল। কিন্তু এ সব পদক্ষেপে সুফল পাওয়া যায়নি বলেই অভিযোগ নগরবাসীর।

গাপ্পি মাছ: কিউলেক্স মশা নিধনে ডিএসসিসি নগরীর বিভিন্ন ড্রেনে গাপ্পি মাছ অবমুক্ত করেছিল ২০১৮ সালে। কিন্তু ঢাকার ড্রেনের পানি এতটাই দূষিত যে কয়েকদিনের মধ্যেই গাপ্পি মাছ মরে ভেসে উঠে। তখন অনেক সমালোচনা হয় বিষয়টি নিয়ে।

গাপ্পি মাছের পর হাঁস: গাপ্পি মাছ দিয়ে মশা নিধন ব্যর্থ হওয়ার পর ২০২০ সালে মশা নিধনে কয়েক হাজার হাঁস রাজধানীর বিভিন্ন খাল, ঝিল ও জলাশয়ে ছেড়েছিল ডিএসসিসি। যদিও একবছর পর সেসব হাঁসের প্রায় ৯০ ভাগই গায়েব যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। তদারকির অভাবে হাঁসগুলো চুরি হয়ে যায়।

এরপর নামানো হলো ব্যাঙ: গাপ্পি মাছ ও হাঁস দিয়ে মশা নিধনের প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ না হওয়ায় ২০২১ সালের মার্চে রাজধানীর খাল, ঝিল, লেক, পুকুর ও জলাশয়ে নামানো হলো বিশেষ প্রজাতির ব্যাঙ। এটিও ডিএসসিসির একটি উদ্যোগ।

কিন্তু এই উদ্যোগও ফলপ্রসূ হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকার খাল, লেক ও জলাশয়ের পানি এতটাই দূষিত যে ব্যাঙও টিকে থাকতে পারেনি।

জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, মশার লার্ভা নিধনে ফলপ্রসূ ছিল গাপ্পি মাছ। উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের ড্রেনে গাপ্পি মাছ দেখতে পাওয়া যাবে। সেখানে মশার কোনো লার্ভা নেই। এ সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিও দেখান অধ্যাপক কবিরুল বাশার।

তবে ব্যাঙ বা হাঁস দিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংসের বিষয়টি বিশ্বের কোথাও নেই দাবি করে অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলছেন, এটি ডিএসসিসি কেন করেছে জানি না।

ঢাকার পানির দূষণের কারণে গাপ্পি মাছ মারা যাওয়া প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, গাপ্পি মাছ পলিউটেড ওয়াটার ফিশ। তবে কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি হলে তারা বাঁচতে পারবে না।

গাপ্পি মাছ দিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংসের বিষয়টি বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই প্রচলিত এবং কার্যকর পদ্ধতি। কিন্তু আমাদের দেশে এ পদ্ধতি কাজ না করায় পুরোনো পদ্ধতিতেই চলছে মশা নিধন।

মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করার পাশাপাশি নিয়মিত ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। পুকুর-খাল-ঝিলের পানা পরিষ্কার করা হচ্ছে নিয়মত। চলছে ফগিং কার্যক্রম।

এর সঙ্গে নতুন যুক্ত হয়েছে জেল-জরিমানা। আগে মশা নিধনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হতো না। গত দুইবছর ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায়। মশার লার্ভা পেলে নানা অংকের জরিমানাও করা হচ্ছে।

আরইউ/আরএ/

Header Ad
Header Ad

লস অ্যাঞ্জেলেসে বিধ্বংসী দাবানলে হলিউড তারকাদের বাড়ি পুড়ে ছাই

লস অ্যাঞ্জেলেসে বিধ্বংসী দাবানলে হলিউড তারকাদের বাড়ি পুড়ে ছাই। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

হঠাৎ করেই দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকায়, যার তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্থানীয় বহু মানুষ, এমনকি নামকরা তারকারাও। কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে, আবার কেউ ছোট পর্দা থেকে জানতে পারছেন যে, তাদের বিলাসবহুল বাড়ি পুড়ে গিয়েছে আগুনের লেলিহান শিখায়।

প্যাসিফিক প্যালিসেডস, যা লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি অত্যন্ত অভিজাত এলাকা, এখানেই বসবাস করেন ম্যান্ডি মুর, প্যারিস হিলটন, অ্যান্থনি হপকিনস, ক্যারি এলওয়েসসহ অনেক তারকা। তাদের মধ্যে অনেকেই হারিয়েছেন তাদের প্রিয় বাড়ি। আগুনের উৎস এখনও স্পষ্ট নয়, তবে ক্ষতির পরিমাণ অত্যন্ত ভয়াবহ।

হলিউড তারকা প্যারিস হিলটন। ছবি: সংগৃহীত

প্যারিস হিলটন, যিনি মালিবুতে থাকেন, তার বাড়ি সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে জানার পর তিনি বলেন, "এই অভিজ্ঞতা যেন আর কারও না হয়।" তিনি আরও জানান, তার বাড়িতে অনেক স্মৃতি ছিল, যা আগুনের তাপে হারিয়ে গেছে। তবে তার পরিবার এবং পোষ্যরা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, 'দ্য প্রিন্সেস ব্রাইড' ছবির অভিনেতা ক্যারি এলওয়েসের বাড়িও দাবানলে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। কোনো রকমে তার পরিবারকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসতে পেরেছেন তিনি। জেমি লি কার্টিসও জানিয়েছেন যে, তার পরিবার নিরাপদে রয়েছে, তবে তাদের বাড়ি রক্ষা পায়নি।

গায়িকা ও অভিনেত্রী ম্যান্ডি মুর। ছবি: সংগৃহীত

গায়িকা ও অভিনেত্রী ম্যান্ডি মুরও জানিয়ে দিয়েছেন যে, তার বাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে, তবে তিনি পরিবারের সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। এই ভয়াবহ আগুনের তাণ্ডবের শিকার আরও অনেকেই। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, লস অ্যাঞ্জেলেসের আশপাশে কমপক্ষে চারটি জায়গায় দাবানল ছড়িয়ে পড়েছিল এবং এর ফলে আরও অনেক তারকার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন বিলি ক্রিস্টাল, আনা ফারিস, রিকি লেকসহ আরও অনেকে।

Header Ad
Header Ad

শরীয়তপুরের জাজিরা থানা থেকে ওসির মরদেহ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরের জাজিরা থানা কমপ্লেক্সের ভেতর থেকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “আমরা খবর পেয়ে থানা ভবনের একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে ঘটনার আসল কারণ জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের পরে বাকিটা নিশ্চিত হওয়া যাবে।”

 

Header Ad
Header Ad

১ জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়ছে

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই নতুন মুনাফার হার অনুমোদন দিয়েছেন। সঞ্চয়পত্রের ধরন অনুযায়ী মুনাফার হার অন্তত ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে সর্বনিম্ন ১২.২৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১২.৫৫ শতাংশ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার কম বিনিয়োগকারীরা বেশি মুনাফা পাবেন।

পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে মুনাফার হার হবে ১২.৪০ শতাংশ, যা আগে ছিল ১১.২৮ শতাংশ। তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যাবে ১২.৩০ শতাংশ, যা পূর্বে ছিল ১১.০৪ শতাংশ।

পেনশনার সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বেড়ে হয়েছে ১২.৫৫ শতাংশ, যা আগে ছিল ১১.৭৬ শতাংশ। একইভাবে, পরিবার সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার ১২.৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা পূর্বে ছিল ১১.৫২ শতাংশ।

ডাকঘরের তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয় স্কিমেও মুনাফার হার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১২.৩০ শতাংশ। এই পরিবর্তন জাতীয় সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও লাভজনক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

লস অ্যাঞ্জেলেসে বিধ্বংসী দাবানলে হলিউড তারকাদের বাড়ি পুড়ে ছাই
শরীয়তপুরের জাজিরা থানা থেকে ওসির মরদেহ উদ্ধার
১ জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়ছে
পিটার হাসের উত্তরসূরি হিসেবে ঢাকায় আসছেন ট্রেসি জ্যাকবসন
ইলিয়াসকে উপদেষ্টা বানানোর দাবি সারজিসের? যা জানা গেল
নওগাঁ সীমান্তে উত্তেজনা, বিজিবি-বিএসএফের বৈঠক শুক্রবার
ফের এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন সাকিব
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে এসে বিজিবির বাধায় পিছু হটল বিএসএফ
সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে, বিয়ে করলেই সংসার হয় না: জয়া
বিডিআর বিদ্রোহে সব কারাবন্দির মুক্তি দাবি স্বজনদের  
ড. ইউনূস বিশ্ব বরেণ্য নোবেল বিজয়ী, তাকে বিতর্কিত করবেন না: আযম খান
নতুন পাঠ্যবই থেকে বাদ সাকিব-সালাউদ্দিনের নাম  
এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই: আইইডিসিআর
২ হাজার ২৭৬ নেতাকর্মী গুম-খুনের অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করল বিএনপি
মালয়েশিয়ায় ৬৪ বাংলাদেশিসহ আটক ১৫৩ অভিবাসী
বিডিআর বিদ্রোহ মামলার শুনানি: পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে আদালতের এজলাস কক্ষ
টুইটারের পর এবার লিভারপুল কিনছেন ইলন মাস্ক!
এবার শপিং কমপ্লেক্সের স্ক্রিনে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’
স্বামীর ফোন তল্লাশি শাস্তিযোগ্য অপরাধ, হতে পারে কারাদণ্ড