বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

'টিপ' নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যত কথা

 

শিক্ষিকাকে টিপ পরায় পুলিশের খারাপ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তারই কিছু খণ্ড চিত্র তুলে ধরা হলো-  

আনিসুল হক

আয় আয় চাঁদমামা টিপ দিয়ে যা,
চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা।

ড. আসিফ নজরুল

টিপ পরা স্বাধীনতা, হিজাব করাও স্বাধীনতা।
আবার টিপ না পরা বা হিজাব না করা এগুলোও ব্যক্তি স্বাধীনতা।
কারো উপর চাপিয়ে দেয়ার বিষয় না।

তসলিমা নাসরিন

তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার তাঁর গ্রীন রোডের বাড়ি থেকে তেজগাঁও কলেজের দিকে যাওয়ার পথে ঘটনাটি ঘটেছে। এক পরহেজগার পুলিশ তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। করেছেন কারণ প্রভাষক কপালে টিপ পরেছেন। পরহেজগার পুলিশ টিপ একেবারেই সহ্য করতে পারেন না। তিনি মনে করেন, টিপ জিনিসটা ইসলামবিরোধী। লোকটি এই দেশে ইসলামবিরোধী কিছুই ঘটতে দেবেন না বলে পণ করেছেন। লোকটির মুখে লম্বা দাড়ি। গোঁফ নেই, কিন্তু দাড়ি আছে। এ তো পুরো আইসিসের চেহারা। তাহলে দেশের পুলিশবাহিনীতে আইসিসপন্থী বেশ আছে!
--নিশ্চয়ই আছে।
--এরা বাংলাদেশকে কী বানাতে চায়?
--দ্য ল্যান্ড অব ইসলাম।
--তাহলে তো বাংলাদেশের পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত কিছুই আর থাকবে না?
--নাহ। উড়বে ইসলামের পতাকা, কালো কাপড়ে লাইলাহা লেখা পতাকা।
--জাতীয় সঙ্গীত?
--সঙ্গীত হারাম। কলেমা আওড়াতে হবে ক্বলব থেকে।
--পুলিশবাহিনী সে কাজে নেমে গেছে?
--পুলিশবাহিনী শুধু নয়। সকলে।
--তারপরও যদি মেয়েরা টিপ পরে?
--মুণ্ডু কেটে ফেলা হবে।
--তাহলে ঠিক আছে।
--কী ঠিক আছে?
--বাংলাদেশ সঠিক পথেই যাচ্ছে।

তসলিমা নাসরিন (২)

টিপ টিপ টিপ। মেয়েরা কত রকম ভাবে সাজতে পারে। বেচারা ছেলেদের সাজগোজের বেশি কিছু নেই। নানা রকম অলংকার, শাড়ি মিনিস্কার্ট হাইহিল, এমন কী টিপটাও পরতে পারে না। মুসলমান পুরুষেরা তো কল্পনার ঈশ্বরের উদ্দেশে কল্পনার বেহেস্তের লোভে মাথা ঠুকতে ঠুকতে কালো দাগ বানিয়ে ফেলেছে কপালে। ওটিই তাদের কালো টিপ।

লীনা পারভিন

লীনা মানেই বড় টিপ। এটা মোটামুটি আমাকে যারা চিনে তারা এভাবেই চিনে। আমার কপালে টিপ না থাকলে ইভেন অফিসের কলিগরাও জানতে চায় আমি ঠিক আছি কি না। আমাকে নাকি টিপ ছাড়া মানায় না। আমার সাজগোজের একমাত্র অস্ত্র এই টিপ। একদম কুট্টি থেকে এক্সট্রা লার্জ সব সাইজের শত শত টিপ আমার কালেকশনে। অথচ এই টিপ নিয়ে আমি কম কথা শুনি নাই। কেন বড়ই পরা লাগবে? আরেকটু ছোট পরলেওতো পারি। আমার প্রতিটা কলামের নিচে এই টিপ নিয়ে চলে গালিগালাজের বন্যা। মাগী, হিন্দুর দালাল এইগুলাতো নর্মাল ভাষা। অনলাইনে এই টিপ নিয়ে যে নিউজ আসছে তার নিচে যান, পড়ে আসেন সেখানে কী চলছে আলোচনা। সমস্যাটা অনেক গভীরে। এতো হালকায় সমাধান মনে করলে আমরা অন্ধকারেই রয়ে যাব। সংসদে সুবর্ণা মোস্তফা আলোচনা করেছেন। আমরা খুশী কিন্তু আর কেউ কী এই নিয়ে টু শব্দ করেছে বা তালি দিয়ে সূবর্ণাকে সমর্থন দিয়েছে? কেন আজকে বাংলাদেশে বাঙালি সংস্কৃতির উপর হামলা আসছে বা এই যে গত কয়দিন ধরে হিজাবী নারীরা সামনে আসছে বা কেন টিপের জন্য নারীকে হেনস্তা করা হবে এই নিয়ে কথা বলেছে? স্পিকার কী কোন মন্তব্য করেছেন? আমার জানা নাই। সুতরাং বগল বাজানোর কিছু নাই।

বিভু রঞ্জন সরকার

টিপ ও একজন সনজীদা খাতুন
সেদিন একজন কলেজ শিক্ষক টিপ পরার কারণে পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তির দ্বারা লাঞ্ছিত হওয়ার খবর শুনে প্রথমেই আমার সনজীদা আপার কথা মনে হয়েছিল।
প্রশ্ন জেগেছিল, আচ্ছা, ওই নালায়েক পুলিশ সনজীদা আপার কপালে টিপ দেখলেও কি খিস্তিখেউর করতো? বলা যায় না, এদের যেভাবে আস্কারা দেওয়া হচ্ছে, এরা যেকোনো অঘটন ঘটাতেই পারে!
আমি সনজীদা আপাকে টিপ ছাড়া ভাবতেও পারি না। কপালের একটি টিপ যেন আপার ভেতরের জ্ঞানের উজ্জ্বলতাকেই বাইরে উজ্জ্বলভাবে প্রকাশ করে।
আজ ৪ এপ্রিল সনজীদা আপা, অধ্যাপক সনজীদা খাতুনের জন্মদিন। সনজিদা খাতুনের নামের আগে বিশেষণ বসিয়ে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
তিনি পরিচিত তাঁর আলোছড়ানো সব কাজের জন্য। রবীন্দ্রনাথকে তিনি আঁকড়ে আছেন জীবন-সাধনার অংশ হিসেবে।
আপা আমর সরাসরি শিক্ষক।
নব্বই ছুঁয়েও সক্রিয় আছেন অন্ধকার দূর করার কাজে।
আরো আরো দীর্ঘদিন সুস্থ ও সক্রিয় থেকে তিনি আলোর ঝরনাধারা ছড়িয়ে যান আমাদের মাঝে - তাঁর জন্মদিনে এটাই প্রত্যাশা।
জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাই আপাকে।

ড. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ

এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিপের ছবিতে সয়লাব। এ এক অভিনব প্রতিবাদ। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ প্রতিবাদ সমর্থন করি। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের শাস্তি দাবী করি।
টিপ পরায় তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক লতা সমাদ্দার নামের এক নারীকে ইউনিফর্ম পরিহিত এক পুলিশ সদস্য কটুক্তি করায় তার প্রতিবাদে অনেক নারী ফেসবুকে নিজের টিপ পরা ছবি দিচ্ছেন। বিষয়টি মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। এমন কী জাতীয় সংসদেও তোলা হয়েছে।
কয়েক বছর আগে নারায়ণগঞ্জের এক ঘটনায়ও ফেসবুক ছাড়িয়ে রাস্তায় সারাদেশে এক অভিনব প্রতিবাদ দেখা গিয়েছিল।
নারায়ণগঞ্জে এক প্রভাবশালী নেতা একজন শিক্ষককে প্রকাশ্যে কান ধরিয়ে উঠবস করালেন। দেখা গেল, অনেক মানুষ রাস্তায় লাইন দিয়ে নিজেরা নিজেদের কান ধরে উঠবস করা শুরু করলেন। অভিনব প্রতিবাদ বটে। কিন্ত সেই নেতার কি কোন শাস্তি হয়েছিল? হয়নি।
মাঝখানে কতো রকম নারী অবমাননার ঘটনা ঘটল। থানায় আইনি আশ্রয় চাইতে গিয়ে পুলিশের দ্বারাই ধর্ষণের শিকার পর্যন্ত হলেন নারী।
নববিবাহীতা স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের নেতাদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হলেন।
পার্কে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ছাত্রীদের কান ধরিয়ে উঠবস করালেন প্রশাসনের কর্তারা।
আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ খুনোখুনির মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাত্র কিছুদিন আগেই মারা গেলেন কলেজ ছাত্রী দরিদ্র ঘরের মেয়ে প্রীতি। সেও তো নারীই ছিল!
এমনি বহু অঘটন ঘটেই চলেছে। কয়টার ক্ষেত্রে আমরা এমন প্রতিবাদ দেখেছি? ভেবে দেখুন, প্রীতি যদি কোন প্রভাবশালীর মেয়ে হতো তবে প্রতিবাদ কেমন হতে পারতো? খুনি যদি বিএনপি বা জামায়াতের কেউ হত তবে?
শ্রেণী, ধর্ম, রাজনৈতিক পরিচয় যখন প্রতিবাদের জন্য বিবেচ্য হয় সে প্রতিবাদও সার্বজনীন হতে পারে না। ফলে অপরাধী পার পেয়ে যায়।
অসংখ্য অঘটনের কয়টার ক্ষেত্রে নারী সাংসদ (সংরক্ষিত আসনের) সুবর্ণা মুস্তাফা জাতীয় সংসদে প্রতিবাদ করেছেন জানি না। কয়টার বিচার হয়েছে তাও জানি না। এই পুলিশ সদস্যের শাস্তি হবে কী না তাও জানি না। তবে যারা বেছে বেছে বিশেষ অঘটনের প্রতিবাদ করেন, আবার কখনো চুপ থাকেন তাদের উদ্দেশ্য সৎ নয় বরং ভণ্ডামি, এটা বুঝি।
নারীর সাজ পোশাক তার অধিকার। নিরাপত্তা পাওয়া তার অধিকার। এমনি নারী পুরুষ নির্বিশেষে "মানুষ "-এর কিছু অধিকার আছে। তাকে আমরা বলি "মানবাধিকার "। এই দেশে সেই সব অধিকারের ভয়াবহ লংঘন ঘটে চলেছে। এমন কী যে সংসদে সুবর্ণা মুস্তাফা আজ এই প্রতিবাদ তুলে ধরেছেন সেই সংসদটিও গঠিত হয়েছে অসংখ্য মানুষের অধিকার হরণের মাধ্যমে। সুবর্ণাও তা জানেন। কিন্ত সেই সংসদে একটি সংরক্ষিত আসন নিতে তার বাধেনি।
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের অধিকারের প্রতি সম্মান জানাই। শুধু নারী বলে কাউকে হেনস্থা করে যে, সে মানুষের পর্যায়েই পড়ে না। মানুষ হলে মাথায় রাখত, সে একজন নারীর গর্ভেই জন্মেছে।
তবে যারা সামগ্রিকভাবে নারীর অবমাননার ও মানবাধিকার হরণের প্রতিবাদ না করে তার ধান্দা বুঝে চুজ এন্ড পিক পদ্ধতিতে করেন তাদের উদ্দেশ্য যে সৎ নয় এটা নিশ্চিত বলতে পারি।

এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান

সুবর্ণা মোস্তফা সংসদে জিজ্ঞেস করেছেন, ‘বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে একজন নারী টিপ পরতে পারবে না।' ওনার বক্তব্য সমর্থনযোগ্য। কেউ টিপ পরুক বা হিজাব পরুক, সরকারের সেইটা নিয়ে মাথাব্যথার কোন কারণ নাই।
এই প্রসঙ্গে আমি আরও কিছু প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি যেগুলো সুবর্ণা মোস্তফা সংসদে দাঁড়িয়ে করতে পারেন-
০১) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে মাত্র তিন বছরে এক হাজার মানুষকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুন করবে?
০২) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে ছয়শোর বেশি নাগরিককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুম করবে?
০৩) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে দেশ থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন ছয় লক্ষ কোটি টাকা পাচার করবে?
০৪) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে দেশের মানুষকে বেশি দামে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল-ডালসহ সকল খাবার বেশি দামে কিনতে সরকার বাধ্য করবে?
০৫) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে একজন কিশোরকে আওয়ামী লীগের নাম বিকৃত করায় দশ বছরের জেল দেয়া যাবে?
০৬) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে দিনের ভোট রাতে করা যাবে?
০৭) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে সরকারি কর্মকর্তা সরকারের কোন সমালোচনামূলক পোস্ট শেয়ার করলে তাকে চাকরিচ্যূত করা যাবে?
০৮) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর নিঃসঙ্গ অবস্থায় কারাবন্দী রাখা যাবে?
০৯) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে জয়ের প্রজেক্টের নামে দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা যাবে?
১০) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে দেশের মানুষ যখন খেতে না পেয়ে রাস্তায় ঘুরছে তখন কোটি কোটি খরচ করে এআর রহমানের কনসার্ট আয়োজন করতে হবে?
১১) সবচেয়ে বড় কথা, কোন সংবিধানের কোন আইন অনুযায়ী আপনারা নাইটকুইন এমপি হয়েছেন?
এগুলো চিন্তা করে দেখতে পারেন কিন্তু সুবর্ণা মোস্তফা।

মিলি সুলতানা

একজন শিক্ষিকাকে অপমান করা মানে গোটা জাতিকে অপমান করা। টিপ নিয়ে তোদের চুলকানি কেন? হোক প্রতিবাদ শত সহস্র প্রতিবাদ। আইনের পোশাক পরা জানোয়ারটার মুন্ডুপাত হোক। সামাজিক প্রাণী সেজে থাকা জন্তুদের বিরুদ্ধে চলুক প্রতিবাদ। টিপ পরা হিজাব পরা যার যার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। কে টিপ পরবে আর হিজাব পরবে এগুলো চাপিয়ে দেয়ার বিষয় নয়। আমরা একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে বাস করছি, আফগানিস্তানে নয়।

লীনা দিলরুবা

এক. নারীদের টিপ পরা নিয়ে অনেকের পোস্ট দেখছি। টিপ নিয়ে আমার অনেক বাজে অভিজ্ঞতা আছে। আমি টিপ পরি। আগে রোজ পরতাম, এখন কালেভদ্রে। একবার টিপ পরেছি, এক ক্লায়েন্ট, নারী তিনি, আমাকে বললেন, ‘নাম তো দেখি মুসলমানের, হিন্দুর মতো টিপ পরেন কেন?’ এই মৌলবাদী দেশে মেয়েগুলোকে জন্মের পর গলা টিপে মেরে ফেললেই ভাল ছিল। নারী হয়ে কত গ্লানি সয়েছি; কত কত কত, বলে শেষ করা যাবে না।
দুই. আজকে রমজানের প্রথমদিন। ভাস্তে গালিবকে বলেছিলাম আমাদের সঙ্গে ইফতার করতে। গালিব সাত-সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে, বনানী থেকে এল। একসঙ্গে খেলাম।
তিন. ইফতারের ঘণ্টাখানেক পর ওকে বললাম, চল হেঁটে আসি। দুজনে হাঁটছি, হঠাৎ দেখি উলটোদিক থেকে আমার ভাগ্নী নিশির জামাই আসছে। ইফতারের পর সেও হাঁটতে বেরিয়েছে। ওকে হাই-ফাইভ দিলাম আমি আর গালিব। ফয়সাল চলে গেল। এক চক্কর দিয়ে ফের ওকে পেলাম। আবারও কলকল করে কথা বলা। হাসি বিনিময়।
তিন. গালিবকে ঘরে পাঠিয়ে আমি আবার বের হলাম। এবার সাইকেল নিয়ে। লোকজন নাই। শুনশান রাস্তা।
তুমি একটু কেবল বসতে দিয়ো কাছে
আমায় শুধু ক্ষণেক তরে।
আজি হাতে আমার যা কিছু কাজ আছে
আমি সাঙ্গ করব পরে…
জীবনকে মনে করবেন স্বাভাবিক দুঃখের নদী। মনে করবেন এই স্বাভাবিক দুঃখ নদী মোকাবেলা করতে করতে জীবন চলবে। জীবনে দুঃখ থাকবে, কষ্ট থাকবে, তবু পাখি ডাকে। তবু ফুল গন্ধ ছড়ায়।
কেউ গলা টিপে মেরে ফেলবে এটা হতে দেয়া যাবে না। টিপ পরবোই। তালেবানী মৌলবাদী চিন্তা পরিহার করে বাঁচার মতো বাঁচতে হবে।

শেখ রাসেল

টিপ পরা ইস্যু নিয়ে আলোচনা চলছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।
সাধারণ মানুষ কি বলছে এই ব্যাপারে!
বিবিসি বাংলার "টিপ ইস্যু" সংবাদের কয়েকটি পাঠক মন্তব্য তুলে ধরছি।
মামুন হাসান লিখেছেন;
"টিপ পরা নিয়ে যেভাবে সংসদের ভিতরে বাহিরে সরকারদলীয় এমপি মন্ত্রীরা আলোচনা-সমালোচনা করতেছেন এভাবে যদি দেশের দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আলোচনা করতেন!!! তাহলে দেশের মানুষ দু'মুঠো খাবার খেতে পারতো"
ইসলাম হোসাইন সোহাগ লিখেছেন;
"শাহজাহানপুরে নিজেদের অভ্যন্তরীন কোন্দলে নিরাপরাধ মেয়েটাকে গুলি খেয়ে মরতে হলো সুবর্ণা মুস্তফা একটা বাক্য উচ্চারণ করলেন না অথচ সামান্য এক টিপ নিয়া ঘটনায় সংসদে কাউল লাগায়া দিলেন...!
আহাহ! বাংলাদেশ "
মোঃ করিম হাসির ইমোজি ইউজ করে লিখেছেন;
"আজ প্রথম জানলাম সুবর্ণা মোস্তফা একজন এমপি "
ছবিটি এড করে দিলাম ইতিহাসের স্বাক্ষী করে রাখতে। আগামী প্রজন্ম একদিন জানবে, দেশ যখন রসাতলে যাচ্ছিলো, তখন ভণ্ডামিতে ব্যস্ত ছিলো এই দেশের সুশীল সমাজ।।

টিটি/

Header Ad
Header Ad

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুক হামলা, নিহত ২৬

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা পেহেলগামে সেনাবাহিনীর ছদ্মবেশে চালানো সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৬ জন পর্যটক। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুই বিদেশিও। হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে বাইসারান উপত্যকার উপরের চারণভূমিতে এই নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যন্ত এই এলাকায় ঘোড়া কিংবা পায়ে হেঁটে যেতে হয়। পুলিশ ধারণা করছে, এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে সংবাদমাধ্যম পিটিআই জানায়, খুব কাছ থেকে গুলি চালানো হয় পর্যটকদের ওপর। মুহূর্তেই সৃষ্টি হয় আতঙ্ক। হতাহতদের চিৎকারে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। হৃদয়বিদারক দৃশ্যগুলোতে দেখা যায়—স্থানীয়রা ছুটে এসে আহতদের সেবা করছেন, অনেক নারী যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।

নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন কর্নাটকের শিভামোগ্গার এক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। ভয়াবহ সেই হামলার সময় স্ত্রী ও সন্তানের সামনেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

এই হামলা এমন এক সময় ঘটল যখন কাশ্মীরজুড়ে পর্যটন মৌসুম তুঙ্গে। পাশাপাশি ‘আমারনাথ যাত্রা’ উপলক্ষে চলছে পূর্ণ প্রস্তুতি। উল্লেখ্য, এই তীর্থযাত্রার একটি রুটই পেহেলগাম হয়ে ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ।

হামলার পরপরই এক্স-এ (সাবেক টুইটার) ক্ষোভ প্রকাশ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই আরও কঠোর ও নির্ভীক হবে।”

তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ঘটনাস্থলে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং দ্রুত নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য একটি জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানান।

অন্যদিকে দিল্লিতে নিজের বাসভবনে অমিত শাহ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন গোয়েন্দা ব্যুরোর প্রধান তপন ডেকা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহান।

Header Ad
Header Ad

পালিয়ে গিয়েও থেমে নেই আড্ডা, কলকাতায় দেখা মিলল সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের

পালিয়ে গিয়েও থেমে নেই আড্ডা, কলকাতায় দেখা মিলল সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ঢেউয়ে ভেঙে পড়ে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর তিনি ভারতের আশ্রয় নেন। তার দেখাদেখি অনেক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীও আত্মগোপনে চলে যান, কেউ কেউ আশ্রয় নেন পাশের দেশ ভারতে।

এই পালিয়ে যাওয়া নেতাদের অনেকেই বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করছেন। শুধু অবস্থানই নয়—রাজনৈতিক শূন্যতার ভেতরেও তারা উপভোগ করছেন বিলাসী জীবনযাপন। সম্প্রতি কলকাতার এক ঘরোয়া আড্ডায় দেখা গেছে গাজীপুরের বহুল আলোচিত সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে।

সূত্র জানায়, কলকাতার রাজারহাট নিউটাউন, সল্টলেক কিংবা গড়িয়াহাটের মতো অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছেন পলাতক আওয়ামী নেতারা। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যিনি নিউটাউনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে আছেন বলে জানা গেছে।

একই এলাকায় থাকছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও। শুধু কেন্দ্রীয় নেতারাই নন, ছাত্রলীগের সাবেক শীর্ষ নেতারাও কলকাতায় বসবাস করছেন। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান নিউটাউনের অভিজাত এলাকায় ভাড়া করা ফ্ল্যাটে অবস্থান করছেন বলে খবর রয়েছে।

বাংলাদেশে তাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ ও মামলার তদন্ত চলমান। কিন্তু কলকাতায় যেন সেই সব অভিযোগের ছোঁয়া নেই—চায়ের কাপে রাজনীতি নয়, বরং আড্ডা, বিলাসিতা আর আত্মগোপনের ‘নতুন জীবন’ নিয়েই ব্যস্ত তারা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক শুদ্ধি অভিযান শুরু হওয়ার পর অনেক সাবেক ক্ষমতাধর নেতাই আইনের হাত থেকে বাঁচতে বিদেশে পাড়ি জমান, এবং ভারতের কলকাতা হয়ে উঠেছে তাদের অঘোষিত ‘নিরাপদ আবাসস্থল’।

Header Ad
Header Ad

বাবা হতে যাচ্ছেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি

ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি প্রথমবারের মতো বাবা হতে যাচ্ছেন। তবে এ সুখবরটি সামনে এসেছে তার বিবাহবার্ষিকীতে বিশেষ একটি পোস্টের মাধ্যমে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) অমি তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে স্পষ্ট দেখা যায় তার স্ত্রীর বেবিবাম্প।

ছবির ক্যাপশনে অমি লেখেন, “৯ বছর একসাথে”—এই ছোট্ট বাক্যেই যেন লুকিয়ে আছে তাদের দীর্ঘ পথচলার গল্প এবং নতুন জীবনের সূচনা। ছবিটি ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ এতে রিঅ্যাক্ট করেছেন এবং মন্তব্যে জানাচ্ছেন শুভ কামনা, অভিনন্দন ও দোয়া।

অমি বলেন, "আলহামদুলিল্লাহ, আমরা একসঙ্গে ৯ বছর কাটিয়ে ফেলেছি। আমাদের প্রথম সন্তান আসছে। এখনো জানি না ছেলে হবে না মেয়ে—ইচ্ছেও করিনি জানতে। শুধু চাই, আমার সন্তান সুস্থভাবে জন্মাক, আর আমার ওয়াইফ সুস্থ থাকুক। দোয়া করবেন সবাই।”

প্রথমবার বাবা হতে যাওয়ার অনুভূতি নিয়ে তিনি বলেন, "এই ফিলিংসটা একেবারেই নতুন। এখনো পুরোপুরি বুঝতে পারছি না। ওয়াইফকে এমন অবস্থায় আগে কখনো দেখিনি। তার প্রতি আমার মায়া যেন আরও বেড়ে গেছে।”

এদিকে পেশাগত দিক থেকেও ভক্তদের জন্য সুখবর দিয়েছেন অমি। জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ফিরছে নতুন সিজন নিয়ে। দুই বছর বিরতির পর নাটকটির পঞ্চম সিজনের কাজ শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা নিজেই।

সম্প্রতি অমি পরিচালিত ওয়েব ফিল্ম ‘হাউ সুইট’ ঈদুল ফিতরে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পেয়েছে। এতে জিয়াউল হক অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিণ ও সাইদুর রহমান পাভেলসহ আরও অনেকেই অভিনয় করেছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুক হামলা, নিহত ২৬
পালিয়ে গিয়েও থেমে নেই আড্ডা, কলকাতায় দেখা মিলল সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের
বাবা হতে যাচ্ছেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি
পারভেজ হত্যা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা গ্রেফতার
সংস্কারের নামে নাটক না করে দ্রুত নির্বাচন দিন: রুমিন ফারহানা
সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করলেন উত্তর সিটির প্রশাসকের উপদেষ্টা ড. আমিনুল
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে কিনা জানালেন আইন উপদেষ্টা
গোবিন্দগঞ্জে ১১ বছর পর আ.লীগের সাবেক এমপিসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে জামায়াতের মামলা
শেখ হাসিনাকে দেয়া ডিগ্রি বাতিলের কথা ভাবছে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়
বিএনপি সবসময় মানবতার পক্ষে কাজ করে: আমিনুল হক
জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পর্যবেক্ষণে রাখার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
ঢাকায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে সেনাবাহিনী
শেখ হাসিনা ও টিউলিপকে দেশে ফেরাতে দুদকের কার্যক্রম শুরু
সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের 'রেড নোটিশ' জারি
সংঘর্ষের জেরে সিটি কলেজ দুইদিন বন্ধ ঘোষণা
রাষ্ট্রের বিষয়ে তাড়াহুড়ো নয়, ধীরে সুস্থে আলোচনা করতে চায় বিএনপি
বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ সেনা নেবে কাতার
উড্ডয়নের আগে বিমানে আগুন, রক্ষা পেলেন ৩০০ যাত্রী
সায়েন্সল্যাব মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, বন্ধ যান চলাচল
রাজধানী থেকে ওবায়দুল কাদেরের ‘ভাগনে’ গ্রেপ্তার