বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

'টিপ' নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যত কথা

 

শিক্ষিকাকে টিপ পরায় পুলিশের খারাপ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তারই কিছু খণ্ড চিত্র তুলে ধরা হলো-  

আনিসুল হক

আয় আয় চাঁদমামা টিপ দিয়ে যা,
চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা।

ড. আসিফ নজরুল

টিপ পরা স্বাধীনতা, হিজাব করাও স্বাধীনতা।
আবার টিপ না পরা বা হিজাব না করা এগুলোও ব্যক্তি স্বাধীনতা।
কারো উপর চাপিয়ে দেয়ার বিষয় না।

তসলিমা নাসরিন

তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার তাঁর গ্রীন রোডের বাড়ি থেকে তেজগাঁও কলেজের দিকে যাওয়ার পথে ঘটনাটি ঘটেছে। এক পরহেজগার পুলিশ তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। করেছেন কারণ প্রভাষক কপালে টিপ পরেছেন। পরহেজগার পুলিশ টিপ একেবারেই সহ্য করতে পারেন না। তিনি মনে করেন, টিপ জিনিসটা ইসলামবিরোধী। লোকটি এই দেশে ইসলামবিরোধী কিছুই ঘটতে দেবেন না বলে পণ করেছেন। লোকটির মুখে লম্বা দাড়ি। গোঁফ নেই, কিন্তু দাড়ি আছে। এ তো পুরো আইসিসের চেহারা। তাহলে দেশের পুলিশবাহিনীতে আইসিসপন্থী বেশ আছে!
--নিশ্চয়ই আছে।
--এরা বাংলাদেশকে কী বানাতে চায়?
--দ্য ল্যান্ড অব ইসলাম।
--তাহলে তো বাংলাদেশের পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত কিছুই আর থাকবে না?
--নাহ। উড়বে ইসলামের পতাকা, কালো কাপড়ে লাইলাহা লেখা পতাকা।
--জাতীয় সঙ্গীত?
--সঙ্গীত হারাম। কলেমা আওড়াতে হবে ক্বলব থেকে।
--পুলিশবাহিনী সে কাজে নেমে গেছে?
--পুলিশবাহিনী শুধু নয়। সকলে।
--তারপরও যদি মেয়েরা টিপ পরে?
--মুণ্ডু কেটে ফেলা হবে।
--তাহলে ঠিক আছে।
--কী ঠিক আছে?
--বাংলাদেশ সঠিক পথেই যাচ্ছে।

তসলিমা নাসরিন (২)

টিপ টিপ টিপ। মেয়েরা কত রকম ভাবে সাজতে পারে। বেচারা ছেলেদের সাজগোজের বেশি কিছু নেই। নানা রকম অলংকার, শাড়ি মিনিস্কার্ট হাইহিল, এমন কী টিপটাও পরতে পারে না। মুসলমান পুরুষেরা তো কল্পনার ঈশ্বরের উদ্দেশে কল্পনার বেহেস্তের লোভে মাথা ঠুকতে ঠুকতে কালো দাগ বানিয়ে ফেলেছে কপালে। ওটিই তাদের কালো টিপ।

লীনা পারভিন

লীনা মানেই বড় টিপ। এটা মোটামুটি আমাকে যারা চিনে তারা এভাবেই চিনে। আমার কপালে টিপ না থাকলে ইভেন অফিসের কলিগরাও জানতে চায় আমি ঠিক আছি কি না। আমাকে নাকি টিপ ছাড়া মানায় না। আমার সাজগোজের একমাত্র অস্ত্র এই টিপ। একদম কুট্টি থেকে এক্সট্রা লার্জ সব সাইজের শত শত টিপ আমার কালেকশনে। অথচ এই টিপ নিয়ে আমি কম কথা শুনি নাই। কেন বড়ই পরা লাগবে? আরেকটু ছোট পরলেওতো পারি। আমার প্রতিটা কলামের নিচে এই টিপ নিয়ে চলে গালিগালাজের বন্যা। মাগী, হিন্দুর দালাল এইগুলাতো নর্মাল ভাষা। অনলাইনে এই টিপ নিয়ে যে নিউজ আসছে তার নিচে যান, পড়ে আসেন সেখানে কী চলছে আলোচনা। সমস্যাটা অনেক গভীরে। এতো হালকায় সমাধান মনে করলে আমরা অন্ধকারেই রয়ে যাব। সংসদে সুবর্ণা মোস্তফা আলোচনা করেছেন। আমরা খুশী কিন্তু আর কেউ কী এই নিয়ে টু শব্দ করেছে বা তালি দিয়ে সূবর্ণাকে সমর্থন দিয়েছে? কেন আজকে বাংলাদেশে বাঙালি সংস্কৃতির উপর হামলা আসছে বা এই যে গত কয়দিন ধরে হিজাবী নারীরা সামনে আসছে বা কেন টিপের জন্য নারীকে হেনস্তা করা হবে এই নিয়ে কথা বলেছে? স্পিকার কী কোন মন্তব্য করেছেন? আমার জানা নাই। সুতরাং বগল বাজানোর কিছু নাই।

বিভু রঞ্জন সরকার

টিপ ও একজন সনজীদা খাতুন
সেদিন একজন কলেজ শিক্ষক টিপ পরার কারণে পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তির দ্বারা লাঞ্ছিত হওয়ার খবর শুনে প্রথমেই আমার সনজীদা আপার কথা মনে হয়েছিল।
প্রশ্ন জেগেছিল, আচ্ছা, ওই নালায়েক পুলিশ সনজীদা আপার কপালে টিপ দেখলেও কি খিস্তিখেউর করতো? বলা যায় না, এদের যেভাবে আস্কারা দেওয়া হচ্ছে, এরা যেকোনো অঘটন ঘটাতেই পারে!
আমি সনজীদা আপাকে টিপ ছাড়া ভাবতেও পারি না। কপালের একটি টিপ যেন আপার ভেতরের জ্ঞানের উজ্জ্বলতাকেই বাইরে উজ্জ্বলভাবে প্রকাশ করে।
আজ ৪ এপ্রিল সনজীদা আপা, অধ্যাপক সনজীদা খাতুনের জন্মদিন। সনজিদা খাতুনের নামের আগে বিশেষণ বসিয়ে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
তিনি পরিচিত তাঁর আলোছড়ানো সব কাজের জন্য। রবীন্দ্রনাথকে তিনি আঁকড়ে আছেন জীবন-সাধনার অংশ হিসেবে।
আপা আমর সরাসরি শিক্ষক।
নব্বই ছুঁয়েও সক্রিয় আছেন অন্ধকার দূর করার কাজে।
আরো আরো দীর্ঘদিন সুস্থ ও সক্রিয় থেকে তিনি আলোর ঝরনাধারা ছড়িয়ে যান আমাদের মাঝে - তাঁর জন্মদিনে এটাই প্রত্যাশা।
জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাই আপাকে।

ড. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ

এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিপের ছবিতে সয়লাব। এ এক অভিনব প্রতিবাদ। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ প্রতিবাদ সমর্থন করি। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের শাস্তি দাবী করি।
টিপ পরায় তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক লতা সমাদ্দার নামের এক নারীকে ইউনিফর্ম পরিহিত এক পুলিশ সদস্য কটুক্তি করায় তার প্রতিবাদে অনেক নারী ফেসবুকে নিজের টিপ পরা ছবি দিচ্ছেন। বিষয়টি মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। এমন কী জাতীয় সংসদেও তোলা হয়েছে।
কয়েক বছর আগে নারায়ণগঞ্জের এক ঘটনায়ও ফেসবুক ছাড়িয়ে রাস্তায় সারাদেশে এক অভিনব প্রতিবাদ দেখা গিয়েছিল।
নারায়ণগঞ্জে এক প্রভাবশালী নেতা একজন শিক্ষককে প্রকাশ্যে কান ধরিয়ে উঠবস করালেন। দেখা গেল, অনেক মানুষ রাস্তায় লাইন দিয়ে নিজেরা নিজেদের কান ধরে উঠবস করা শুরু করলেন। অভিনব প্রতিবাদ বটে। কিন্ত সেই নেতার কি কোন শাস্তি হয়েছিল? হয়নি।
মাঝখানে কতো রকম নারী অবমাননার ঘটনা ঘটল। থানায় আইনি আশ্রয় চাইতে গিয়ে পুলিশের দ্বারাই ধর্ষণের শিকার পর্যন্ত হলেন নারী।
নববিবাহীতা স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের নেতাদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হলেন।
পার্কে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ছাত্রীদের কান ধরিয়ে উঠবস করালেন প্রশাসনের কর্তারা।
আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ খুনোখুনির মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাত্র কিছুদিন আগেই মারা গেলেন কলেজ ছাত্রী দরিদ্র ঘরের মেয়ে প্রীতি। সেও তো নারীই ছিল!
এমনি বহু অঘটন ঘটেই চলেছে। কয়টার ক্ষেত্রে আমরা এমন প্রতিবাদ দেখেছি? ভেবে দেখুন, প্রীতি যদি কোন প্রভাবশালীর মেয়ে হতো তবে প্রতিবাদ কেমন হতে পারতো? খুনি যদি বিএনপি বা জামায়াতের কেউ হত তবে?
শ্রেণী, ধর্ম, রাজনৈতিক পরিচয় যখন প্রতিবাদের জন্য বিবেচ্য হয় সে প্রতিবাদও সার্বজনীন হতে পারে না। ফলে অপরাধী পার পেয়ে যায়।
অসংখ্য অঘটনের কয়টার ক্ষেত্রে নারী সাংসদ (সংরক্ষিত আসনের) সুবর্ণা মুস্তাফা জাতীয় সংসদে প্রতিবাদ করেছেন জানি না। কয়টার বিচার হয়েছে তাও জানি না। এই পুলিশ সদস্যের শাস্তি হবে কী না তাও জানি না। তবে যারা বেছে বেছে বিশেষ অঘটনের প্রতিবাদ করেন, আবার কখনো চুপ থাকেন তাদের উদ্দেশ্য সৎ নয় বরং ভণ্ডামি, এটা বুঝি।
নারীর সাজ পোশাক তার অধিকার। নিরাপত্তা পাওয়া তার অধিকার। এমনি নারী পুরুষ নির্বিশেষে "মানুষ "-এর কিছু অধিকার আছে। তাকে আমরা বলি "মানবাধিকার "। এই দেশে সেই সব অধিকারের ভয়াবহ লংঘন ঘটে চলেছে। এমন কী যে সংসদে সুবর্ণা মুস্তাফা আজ এই প্রতিবাদ তুলে ধরেছেন সেই সংসদটিও গঠিত হয়েছে অসংখ্য মানুষের অধিকার হরণের মাধ্যমে। সুবর্ণাও তা জানেন। কিন্ত সেই সংসদে একটি সংরক্ষিত আসন নিতে তার বাধেনি।
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের অধিকারের প্রতি সম্মান জানাই। শুধু নারী বলে কাউকে হেনস্থা করে যে, সে মানুষের পর্যায়েই পড়ে না। মানুষ হলে মাথায় রাখত, সে একজন নারীর গর্ভেই জন্মেছে।
তবে যারা সামগ্রিকভাবে নারীর অবমাননার ও মানবাধিকার হরণের প্রতিবাদ না করে তার ধান্দা বুঝে চুজ এন্ড পিক পদ্ধতিতে করেন তাদের উদ্দেশ্য যে সৎ নয় এটা নিশ্চিত বলতে পারি।

এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান

সুবর্ণা মোস্তফা সংসদে জিজ্ঞেস করেছেন, ‘বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে একজন নারী টিপ পরতে পারবে না।' ওনার বক্তব্য সমর্থনযোগ্য। কেউ টিপ পরুক বা হিজাব পরুক, সরকারের সেইটা নিয়ে মাথাব্যথার কোন কারণ নাই।
এই প্রসঙ্গে আমি আরও কিছু প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি যেগুলো সুবর্ণা মোস্তফা সংসদে দাঁড়িয়ে করতে পারেন-
০১) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে মাত্র তিন বছরে এক হাজার মানুষকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুন করবে?
০২) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে ছয়শোর বেশি নাগরিককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুম করবে?
০৩) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে দেশ থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন ছয় লক্ষ কোটি টাকা পাচার করবে?
০৪) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে দেশের মানুষকে বেশি দামে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল-ডালসহ সকল খাবার বেশি দামে কিনতে সরকার বাধ্য করবে?
০৫) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে একজন কিশোরকে আওয়ামী লীগের নাম বিকৃত করায় দশ বছরের জেল দেয়া যাবে?
০৬) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে দিনের ভোট রাতে করা যাবে?
০৭) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে সরকারি কর্মকর্তা সরকারের কোন সমালোচনামূলক পোস্ট শেয়ার করলে তাকে চাকরিচ্যূত করা যাবে?
০৮) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর নিঃসঙ্গ অবস্থায় কারাবন্দী রাখা যাবে?
০৯) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে জয়ের প্রজেক্টের নামে দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা যাবে?
১০) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে দেশের মানুষ যখন খেতে না পেয়ে রাস্তায় ঘুরছে তখন কোটি কোটি খরচ করে এআর রহমানের কনসার্ট আয়োজন করতে হবে?
১১) সবচেয়ে বড় কথা, কোন সংবিধানের কোন আইন অনুযায়ী আপনারা নাইটকুইন এমপি হয়েছেন?
এগুলো চিন্তা করে দেখতে পারেন কিন্তু সুবর্ণা মোস্তফা।

মিলি সুলতানা

একজন শিক্ষিকাকে অপমান করা মানে গোটা জাতিকে অপমান করা। টিপ নিয়ে তোদের চুলকানি কেন? হোক প্রতিবাদ শত সহস্র প্রতিবাদ। আইনের পোশাক পরা জানোয়ারটার মুন্ডুপাত হোক। সামাজিক প্রাণী সেজে থাকা জন্তুদের বিরুদ্ধে চলুক প্রতিবাদ। টিপ পরা হিজাব পরা যার যার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। কে টিপ পরবে আর হিজাব পরবে এগুলো চাপিয়ে দেয়ার বিষয় নয়। আমরা একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে বাস করছি, আফগানিস্তানে নয়।

লীনা দিলরুবা

এক. নারীদের টিপ পরা নিয়ে অনেকের পোস্ট দেখছি। টিপ নিয়ে আমার অনেক বাজে অভিজ্ঞতা আছে। আমি টিপ পরি। আগে রোজ পরতাম, এখন কালেভদ্রে। একবার টিপ পরেছি, এক ক্লায়েন্ট, নারী তিনি, আমাকে বললেন, ‘নাম তো দেখি মুসলমানের, হিন্দুর মতো টিপ পরেন কেন?’ এই মৌলবাদী দেশে মেয়েগুলোকে জন্মের পর গলা টিপে মেরে ফেললেই ভাল ছিল। নারী হয়ে কত গ্লানি সয়েছি; কত কত কত, বলে শেষ করা যাবে না।
দুই. আজকে রমজানের প্রথমদিন। ভাস্তে গালিবকে বলেছিলাম আমাদের সঙ্গে ইফতার করতে। গালিব সাত-সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে, বনানী থেকে এল। একসঙ্গে খেলাম।
তিন. ইফতারের ঘণ্টাখানেক পর ওকে বললাম, চল হেঁটে আসি। দুজনে হাঁটছি, হঠাৎ দেখি উলটোদিক থেকে আমার ভাগ্নী নিশির জামাই আসছে। ইফতারের পর সেও হাঁটতে বেরিয়েছে। ওকে হাই-ফাইভ দিলাম আমি আর গালিব। ফয়সাল চলে গেল। এক চক্কর দিয়ে ফের ওকে পেলাম। আবারও কলকল করে কথা বলা। হাসি বিনিময়।
তিন. গালিবকে ঘরে পাঠিয়ে আমি আবার বের হলাম। এবার সাইকেল নিয়ে। লোকজন নাই। শুনশান রাস্তা।
তুমি একটু কেবল বসতে দিয়ো কাছে
আমায় শুধু ক্ষণেক তরে।
আজি হাতে আমার যা কিছু কাজ আছে
আমি সাঙ্গ করব পরে…
জীবনকে মনে করবেন স্বাভাবিক দুঃখের নদী। মনে করবেন এই স্বাভাবিক দুঃখ নদী মোকাবেলা করতে করতে জীবন চলবে। জীবনে দুঃখ থাকবে, কষ্ট থাকবে, তবু পাখি ডাকে। তবু ফুল গন্ধ ছড়ায়।
কেউ গলা টিপে মেরে ফেলবে এটা হতে দেয়া যাবে না। টিপ পরবোই। তালেবানী মৌলবাদী চিন্তা পরিহার করে বাঁচার মতো বাঁচতে হবে।

শেখ রাসেল

টিপ পরা ইস্যু নিয়ে আলোচনা চলছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।
সাধারণ মানুষ কি বলছে এই ব্যাপারে!
বিবিসি বাংলার "টিপ ইস্যু" সংবাদের কয়েকটি পাঠক মন্তব্য তুলে ধরছি।
মামুন হাসান লিখেছেন;
"টিপ পরা নিয়ে যেভাবে সংসদের ভিতরে বাহিরে সরকারদলীয় এমপি মন্ত্রীরা আলোচনা-সমালোচনা করতেছেন এভাবে যদি দেশের দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আলোচনা করতেন!!! তাহলে দেশের মানুষ দু'মুঠো খাবার খেতে পারতো"
ইসলাম হোসাইন সোহাগ লিখেছেন;
"শাহজাহানপুরে নিজেদের অভ্যন্তরীন কোন্দলে নিরাপরাধ মেয়েটাকে গুলি খেয়ে মরতে হলো সুবর্ণা মুস্তফা একটা বাক্য উচ্চারণ করলেন না অথচ সামান্য এক টিপ নিয়া ঘটনায় সংসদে কাউল লাগায়া দিলেন...!
আহাহ! বাংলাদেশ "
মোঃ করিম হাসির ইমোজি ইউজ করে লিখেছেন;
"আজ প্রথম জানলাম সুবর্ণা মোস্তফা একজন এমপি "
ছবিটি এড করে দিলাম ইতিহাসের স্বাক্ষী করে রাখতে। আগামী প্রজন্ম একদিন জানবে, দেশ যখন রসাতলে যাচ্ছিলো, তখন ভণ্ডামিতে ব্যস্ত ছিলো এই দেশের সুশীল সমাজ।।

টিটি/

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া