শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

'টিপ' নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যত কথা

 

শিক্ষিকাকে টিপ পরায় পুলিশের খারাপ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তারই কিছু খণ্ড চিত্র তুলে ধরা হলো-  

আনিসুল হক

আয় আয় চাঁদমামা টিপ দিয়ে যা,
চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা।

ড. আসিফ নজরুল

টিপ পরা স্বাধীনতা, হিজাব করাও স্বাধীনতা।
আবার টিপ না পরা বা হিজাব না করা এগুলোও ব্যক্তি স্বাধীনতা।
কারো উপর চাপিয়ে দেয়ার বিষয় না।

তসলিমা নাসরিন

তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার তাঁর গ্রীন রোডের বাড়ি থেকে তেজগাঁও কলেজের দিকে যাওয়ার পথে ঘটনাটি ঘটেছে। এক পরহেজগার পুলিশ তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। করেছেন কারণ প্রভাষক কপালে টিপ পরেছেন। পরহেজগার পুলিশ টিপ একেবারেই সহ্য করতে পারেন না। তিনি মনে করেন, টিপ জিনিসটা ইসলামবিরোধী। লোকটি এই দেশে ইসলামবিরোধী কিছুই ঘটতে দেবেন না বলে পণ করেছেন। লোকটির মুখে লম্বা দাড়ি। গোঁফ নেই, কিন্তু দাড়ি আছে। এ তো পুরো আইসিসের চেহারা। তাহলে দেশের পুলিশবাহিনীতে আইসিসপন্থী বেশ আছে!
--নিশ্চয়ই আছে।
--এরা বাংলাদেশকে কী বানাতে চায়?
--দ্য ল্যান্ড অব ইসলাম।
--তাহলে তো বাংলাদেশের পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত কিছুই আর থাকবে না?
--নাহ। উড়বে ইসলামের পতাকা, কালো কাপড়ে লাইলাহা লেখা পতাকা।
--জাতীয় সঙ্গীত?
--সঙ্গীত হারাম। কলেমা আওড়াতে হবে ক্বলব থেকে।
--পুলিশবাহিনী সে কাজে নেমে গেছে?
--পুলিশবাহিনী শুধু নয়। সকলে।
--তারপরও যদি মেয়েরা টিপ পরে?
--মুণ্ডু কেটে ফেলা হবে।
--তাহলে ঠিক আছে।
--কী ঠিক আছে?
--বাংলাদেশ সঠিক পথেই যাচ্ছে।

তসলিমা নাসরিন (২)

টিপ টিপ টিপ। মেয়েরা কত রকম ভাবে সাজতে পারে। বেচারা ছেলেদের সাজগোজের বেশি কিছু নেই। নানা রকম অলংকার, শাড়ি মিনিস্কার্ট হাইহিল, এমন কী টিপটাও পরতে পারে না। মুসলমান পুরুষেরা তো কল্পনার ঈশ্বরের উদ্দেশে কল্পনার বেহেস্তের লোভে মাথা ঠুকতে ঠুকতে কালো দাগ বানিয়ে ফেলেছে কপালে। ওটিই তাদের কালো টিপ।

লীনা পারভিন

লীনা মানেই বড় টিপ। এটা মোটামুটি আমাকে যারা চিনে তারা এভাবেই চিনে। আমার কপালে টিপ না থাকলে ইভেন অফিসের কলিগরাও জানতে চায় আমি ঠিক আছি কি না। আমাকে নাকি টিপ ছাড়া মানায় না। আমার সাজগোজের একমাত্র অস্ত্র এই টিপ। একদম কুট্টি থেকে এক্সট্রা লার্জ সব সাইজের শত শত টিপ আমার কালেকশনে। অথচ এই টিপ নিয়ে আমি কম কথা শুনি নাই। কেন বড়ই পরা লাগবে? আরেকটু ছোট পরলেওতো পারি। আমার প্রতিটা কলামের নিচে এই টিপ নিয়ে চলে গালিগালাজের বন্যা। মাগী, হিন্দুর দালাল এইগুলাতো নর্মাল ভাষা। অনলাইনে এই টিপ নিয়ে যে নিউজ আসছে তার নিচে যান, পড়ে আসেন সেখানে কী চলছে আলোচনা। সমস্যাটা অনেক গভীরে। এতো হালকায় সমাধান মনে করলে আমরা অন্ধকারেই রয়ে যাব। সংসদে সুবর্ণা মোস্তফা আলোচনা করেছেন। আমরা খুশী কিন্তু আর কেউ কী এই নিয়ে টু শব্দ করেছে বা তালি দিয়ে সূবর্ণাকে সমর্থন দিয়েছে? কেন আজকে বাংলাদেশে বাঙালি সংস্কৃতির উপর হামলা আসছে বা এই যে গত কয়দিন ধরে হিজাবী নারীরা সামনে আসছে বা কেন টিপের জন্য নারীকে হেনস্তা করা হবে এই নিয়ে কথা বলেছে? স্পিকার কী কোন মন্তব্য করেছেন? আমার জানা নাই। সুতরাং বগল বাজানোর কিছু নাই।

বিভু রঞ্জন সরকার

টিপ ও একজন সনজীদা খাতুন
সেদিন একজন কলেজ শিক্ষক টিপ পরার কারণে পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তির দ্বারা লাঞ্ছিত হওয়ার খবর শুনে প্রথমেই আমার সনজীদা আপার কথা মনে হয়েছিল।
প্রশ্ন জেগেছিল, আচ্ছা, ওই নালায়েক পুলিশ সনজীদা আপার কপালে টিপ দেখলেও কি খিস্তিখেউর করতো? বলা যায় না, এদের যেভাবে আস্কারা দেওয়া হচ্ছে, এরা যেকোনো অঘটন ঘটাতেই পারে!
আমি সনজীদা আপাকে টিপ ছাড়া ভাবতেও পারি না। কপালের একটি টিপ যেন আপার ভেতরের জ্ঞানের উজ্জ্বলতাকেই বাইরে উজ্জ্বলভাবে প্রকাশ করে।
আজ ৪ এপ্রিল সনজীদা আপা, অধ্যাপক সনজীদা খাতুনের জন্মদিন। সনজিদা খাতুনের নামের আগে বিশেষণ বসিয়ে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
তিনি পরিচিত তাঁর আলোছড়ানো সব কাজের জন্য। রবীন্দ্রনাথকে তিনি আঁকড়ে আছেন জীবন-সাধনার অংশ হিসেবে।
আপা আমর সরাসরি শিক্ষক।
নব্বই ছুঁয়েও সক্রিয় আছেন অন্ধকার দূর করার কাজে।
আরো আরো দীর্ঘদিন সুস্থ ও সক্রিয় থেকে তিনি আলোর ঝরনাধারা ছড়িয়ে যান আমাদের মাঝে - তাঁর জন্মদিনে এটাই প্রত্যাশা।
জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাই আপাকে।

ড. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ

এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিপের ছবিতে সয়লাব। এ এক অভিনব প্রতিবাদ। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ প্রতিবাদ সমর্থন করি। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের শাস্তি দাবী করি।
টিপ পরায় তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক লতা সমাদ্দার নামের এক নারীকে ইউনিফর্ম পরিহিত এক পুলিশ সদস্য কটুক্তি করায় তার প্রতিবাদে অনেক নারী ফেসবুকে নিজের টিপ পরা ছবি দিচ্ছেন। বিষয়টি মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। এমন কী জাতীয় সংসদেও তোলা হয়েছে।
কয়েক বছর আগে নারায়ণগঞ্জের এক ঘটনায়ও ফেসবুক ছাড়িয়ে রাস্তায় সারাদেশে এক অভিনব প্রতিবাদ দেখা গিয়েছিল।
নারায়ণগঞ্জে এক প্রভাবশালী নেতা একজন শিক্ষককে প্রকাশ্যে কান ধরিয়ে উঠবস করালেন। দেখা গেল, অনেক মানুষ রাস্তায় লাইন দিয়ে নিজেরা নিজেদের কান ধরে উঠবস করা শুরু করলেন। অভিনব প্রতিবাদ বটে। কিন্ত সেই নেতার কি কোন শাস্তি হয়েছিল? হয়নি।
মাঝখানে কতো রকম নারী অবমাননার ঘটনা ঘটল। থানায় আইনি আশ্রয় চাইতে গিয়ে পুলিশের দ্বারাই ধর্ষণের শিকার পর্যন্ত হলেন নারী।
নববিবাহীতা স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের নেতাদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হলেন।
পার্কে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ছাত্রীদের কান ধরিয়ে উঠবস করালেন প্রশাসনের কর্তারা।
আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ খুনোখুনির মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাত্র কিছুদিন আগেই মারা গেলেন কলেজ ছাত্রী দরিদ্র ঘরের মেয়ে প্রীতি। সেও তো নারীই ছিল!
এমনি বহু অঘটন ঘটেই চলেছে। কয়টার ক্ষেত্রে আমরা এমন প্রতিবাদ দেখেছি? ভেবে দেখুন, প্রীতি যদি কোন প্রভাবশালীর মেয়ে হতো তবে প্রতিবাদ কেমন হতে পারতো? খুনি যদি বিএনপি বা জামায়াতের কেউ হত তবে?
শ্রেণী, ধর্ম, রাজনৈতিক পরিচয় যখন প্রতিবাদের জন্য বিবেচ্য হয় সে প্রতিবাদও সার্বজনীন হতে পারে না। ফলে অপরাধী পার পেয়ে যায়।
অসংখ্য অঘটনের কয়টার ক্ষেত্রে নারী সাংসদ (সংরক্ষিত আসনের) সুবর্ণা মুস্তাফা জাতীয় সংসদে প্রতিবাদ করেছেন জানি না। কয়টার বিচার হয়েছে তাও জানি না। এই পুলিশ সদস্যের শাস্তি হবে কী না তাও জানি না। তবে যারা বেছে বেছে বিশেষ অঘটনের প্রতিবাদ করেন, আবার কখনো চুপ থাকেন তাদের উদ্দেশ্য সৎ নয় বরং ভণ্ডামি, এটা বুঝি।
নারীর সাজ পোশাক তার অধিকার। নিরাপত্তা পাওয়া তার অধিকার। এমনি নারী পুরুষ নির্বিশেষে "মানুষ "-এর কিছু অধিকার আছে। তাকে আমরা বলি "মানবাধিকার "। এই দেশে সেই সব অধিকারের ভয়াবহ লংঘন ঘটে চলেছে। এমন কী যে সংসদে সুবর্ণা মুস্তাফা আজ এই প্রতিবাদ তুলে ধরেছেন সেই সংসদটিও গঠিত হয়েছে অসংখ্য মানুষের অধিকার হরণের মাধ্যমে। সুবর্ণাও তা জানেন। কিন্ত সেই সংসদে একটি সংরক্ষিত আসন নিতে তার বাধেনি।
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের অধিকারের প্রতি সম্মান জানাই। শুধু নারী বলে কাউকে হেনস্থা করে যে, সে মানুষের পর্যায়েই পড়ে না। মানুষ হলে মাথায় রাখত, সে একজন নারীর গর্ভেই জন্মেছে।
তবে যারা সামগ্রিকভাবে নারীর অবমাননার ও মানবাধিকার হরণের প্রতিবাদ না করে তার ধান্দা বুঝে চুজ এন্ড পিক পদ্ধতিতে করেন তাদের উদ্দেশ্য যে সৎ নয় এটা নিশ্চিত বলতে পারি।

এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান

সুবর্ণা মোস্তফা সংসদে জিজ্ঞেস করেছেন, ‘বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে একজন নারী টিপ পরতে পারবে না।' ওনার বক্তব্য সমর্থনযোগ্য। কেউ টিপ পরুক বা হিজাব পরুক, সরকারের সেইটা নিয়ে মাথাব্যথার কোন কারণ নাই।
এই প্রসঙ্গে আমি আরও কিছু প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি যেগুলো সুবর্ণা মোস্তফা সংসদে দাঁড়িয়ে করতে পারেন-
০১) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে মাত্র তিন বছরে এক হাজার মানুষকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুন করবে?
০২) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে ছয়শোর বেশি নাগরিককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুম করবে?
০৩) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে দেশ থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন ছয় লক্ষ কোটি টাকা পাচার করবে?
০৪) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে দেশের মানুষকে বেশি দামে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল-ডালসহ সকল খাবার বেশি দামে কিনতে সরকার বাধ্য করবে?
০৫) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে একজন কিশোরকে আওয়ামী লীগের নাম বিকৃত করায় দশ বছরের জেল দেয়া যাবে?
০৬) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে দিনের ভোট রাতে করা যাবে?
০৭) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে সরকারি কর্মকর্তা সরকারের কোন সমালোচনামূলক পোস্ট শেয়ার করলে তাকে চাকরিচ্যূত করা যাবে?
০৮) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর নিঃসঙ্গ অবস্থায় কারাবন্দী রাখা যাবে?
০৯) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে জয়ের প্রজেক্টের নামে দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা যাবে?
১০) বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে দেশের মানুষ যখন খেতে না পেয়ে রাস্তায় ঘুরছে তখন কোটি কোটি খরচ করে এআর রহমানের কনসার্ট আয়োজন করতে হবে?
১১) সবচেয়ে বড় কথা, কোন সংবিধানের কোন আইন অনুযায়ী আপনারা নাইটকুইন এমপি হয়েছেন?
এগুলো চিন্তা করে দেখতে পারেন কিন্তু সুবর্ণা মোস্তফা।

মিলি সুলতানা

একজন শিক্ষিকাকে অপমান করা মানে গোটা জাতিকে অপমান করা। টিপ নিয়ে তোদের চুলকানি কেন? হোক প্রতিবাদ শত সহস্র প্রতিবাদ। আইনের পোশাক পরা জানোয়ারটার মুন্ডুপাত হোক। সামাজিক প্রাণী সেজে থাকা জন্তুদের বিরুদ্ধে চলুক প্রতিবাদ। টিপ পরা হিজাব পরা যার যার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। কে টিপ পরবে আর হিজাব পরবে এগুলো চাপিয়ে দেয়ার বিষয় নয়। আমরা একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে বাস করছি, আফগানিস্তানে নয়।

লীনা দিলরুবা

এক. নারীদের টিপ পরা নিয়ে অনেকের পোস্ট দেখছি। টিপ নিয়ে আমার অনেক বাজে অভিজ্ঞতা আছে। আমি টিপ পরি। আগে রোজ পরতাম, এখন কালেভদ্রে। একবার টিপ পরেছি, এক ক্লায়েন্ট, নারী তিনি, আমাকে বললেন, ‘নাম তো দেখি মুসলমানের, হিন্দুর মতো টিপ পরেন কেন?’ এই মৌলবাদী দেশে মেয়েগুলোকে জন্মের পর গলা টিপে মেরে ফেললেই ভাল ছিল। নারী হয়ে কত গ্লানি সয়েছি; কত কত কত, বলে শেষ করা যাবে না।
দুই. আজকে রমজানের প্রথমদিন। ভাস্তে গালিবকে বলেছিলাম আমাদের সঙ্গে ইফতার করতে। গালিব সাত-সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে, বনানী থেকে এল। একসঙ্গে খেলাম।
তিন. ইফতারের ঘণ্টাখানেক পর ওকে বললাম, চল হেঁটে আসি। দুজনে হাঁটছি, হঠাৎ দেখি উলটোদিক থেকে আমার ভাগ্নী নিশির জামাই আসছে। ইফতারের পর সেও হাঁটতে বেরিয়েছে। ওকে হাই-ফাইভ দিলাম আমি আর গালিব। ফয়সাল চলে গেল। এক চক্কর দিয়ে ফের ওকে পেলাম। আবারও কলকল করে কথা বলা। হাসি বিনিময়।
তিন. গালিবকে ঘরে পাঠিয়ে আমি আবার বের হলাম। এবার সাইকেল নিয়ে। লোকজন নাই। শুনশান রাস্তা।
তুমি একটু কেবল বসতে দিয়ো কাছে
আমায় শুধু ক্ষণেক তরে।
আজি হাতে আমার যা কিছু কাজ আছে
আমি সাঙ্গ করব পরে…
জীবনকে মনে করবেন স্বাভাবিক দুঃখের নদী। মনে করবেন এই স্বাভাবিক দুঃখ নদী মোকাবেলা করতে করতে জীবন চলবে। জীবনে দুঃখ থাকবে, কষ্ট থাকবে, তবু পাখি ডাকে। তবু ফুল গন্ধ ছড়ায়।
কেউ গলা টিপে মেরে ফেলবে এটা হতে দেয়া যাবে না। টিপ পরবোই। তালেবানী মৌলবাদী চিন্তা পরিহার করে বাঁচার মতো বাঁচতে হবে।

শেখ রাসেল

টিপ পরা ইস্যু নিয়ে আলোচনা চলছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।
সাধারণ মানুষ কি বলছে এই ব্যাপারে!
বিবিসি বাংলার "টিপ ইস্যু" সংবাদের কয়েকটি পাঠক মন্তব্য তুলে ধরছি।
মামুন হাসান লিখেছেন;
"টিপ পরা নিয়ে যেভাবে সংসদের ভিতরে বাহিরে সরকারদলীয় এমপি মন্ত্রীরা আলোচনা-সমালোচনা করতেছেন এভাবে যদি দেশের দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আলোচনা করতেন!!! তাহলে দেশের মানুষ দু'মুঠো খাবার খেতে পারতো"
ইসলাম হোসাইন সোহাগ লিখেছেন;
"শাহজাহানপুরে নিজেদের অভ্যন্তরীন কোন্দলে নিরাপরাধ মেয়েটাকে গুলি খেয়ে মরতে হলো সুবর্ণা মুস্তফা একটা বাক্য উচ্চারণ করলেন না অথচ সামান্য এক টিপ নিয়া ঘটনায় সংসদে কাউল লাগায়া দিলেন...!
আহাহ! বাংলাদেশ "
মোঃ করিম হাসির ইমোজি ইউজ করে লিখেছেন;
"আজ প্রথম জানলাম সুবর্ণা মোস্তফা একজন এমপি "
ছবিটি এড করে দিলাম ইতিহাসের স্বাক্ষী করে রাখতে। আগামী প্রজন্ম একদিন জানবে, দেশ যখন রসাতলে যাচ্ছিলো, তখন ভণ্ডামিতে ব্যস্ত ছিলো এই দেশের সুশীল সমাজ।।

টিটি/

Header Ad
Header Ad

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত

ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যকার উক্ত বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি বলেন, মাস্কাটে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ ও তার কী ধরনের কর্মকাণ্ড সার্ককে কোণঠাসা করে রেখেছে। তৌহিদ হোসেনকে জয়শঙ্কর এ কথাও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের স্বাভাবিকীকরণ করাটা বাংলাদেশের উচিত নয়।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো উপদেষ্টার কিছু কিছু মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও ভারতের গোচরে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠক সদ্য শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পালাবদলের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত, মিডিয়ার সৃষ্টি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে সবাই অবগত। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী

ছবিঃ সংগৃহীত

যানজটে আটকে থাকা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের গাড়ি বহরকে সাইড করে দিতে গিয়ে বাস চাপায় নিহত হয়েছেন জসিম উদ্দিন (৫৩) নামে জামায়াতের একজন কর্মী।

নিহত জসিম উদ্দিন উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত আলী আশ্রাফ মোল্লার ছেলে। তার স্ত্রী ও শিশুসহ তিন ছেলে সন্তান রয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমাই উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার ওয়ালটন শো-রুমের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা মারুপ সিরাজী বলেন, লক্ষীপুর যাওয়ার পথে জামায়াত আমিরের বহরের ৪টি গাড়ি বাগমারা উত্তরবাজারে যানজটে আটকা পড়লে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। হঠাৎ তিশা পরিবহনের ঢাকামুখী একটি দ্রুতগতির বাস ধাক্কা দিলে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দীনের মাথা থেতলে যায়। রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম মুন্না বলেন, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হলেও বাগমারা বাজার অংশে অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে দুই লেন করা হয়েছে।সে কারণে ২৪ ঘণ্টাই সড়কের এই অংশে যানজট লেগে থাকে। যানজট নিরসনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করলে আজ হয়তো এমন মৃত্যু হতো না।

লালমাই উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইমাম হোসেন বলেন, আমিরে জামায়াত লক্ষীপুর যাওয়ার পথে বাগমারা উত্তর বাজার বালুর মাঠে পথসভা করেন। পথসভাস্থলে পৌঁছার কিছুক্ষণ আগে তাঁর গাড়ি বহর যানজটে আটকা পড়ে।

তখন আমিসহ সংগঠনের ১৫/২০ জন কর্মী ট্রাফিকের দায়িত্ব শুরু করি। আমরা আমিরে জামায়াতকে নিয়ে পথসভায় চলে যাওয়ার পর জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দিন বাস চাপায় মারা যান।

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, বাগমারা উত্তরবাজারে বাস চাপায় জসিম উদ্দিন নামের একজন মারা গেছেন। মরদেহ নিহতের বাড়িতে রয়েছে। খবর পেয়েই নিহতের বাড়িতে গিয়েছি।

 

Header Ad
Header Ad

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  

ছবিঃ সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর বাজারে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। পুলিশের আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং দলীয় অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল রায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মজনু এবং যুবদল নেতা শহিদ মিয়ার লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি ও যুবদলের অস্থায়ী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে মধ্যনগর বাজার এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার আশঙ্কা এবং সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগে পর্যন্ত বাজার এবং আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করা হয়।

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজীব রহমান বলেন, ‘মধ্যনগর যুবদল নেতা শহিদ মিয়া ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাঈযুম মজনুর লোকজনের মধ্যে পুলিশের আসামি ধরা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন বিএনপি ও যুবদলের অফিস ভাঙচুর করে। এতে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ী ও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাজার ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। বিশৃঙ্খল অবস্থা এড়াতে বাজারে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাজার ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ