সিন্ডিকেটের শেষ কোথায়!
বেশ বড় ফলের দোকান। দূর থেকেই দেখলেন, দোকানে কোনো কাস্টমার নেই। দোকানদার বসে আছেন। অনেক সময় কাপড় দিয়ে বিভিন্ন ফল পরিষ্কার করছেন। যেহেতু দোকানে কোনো কাস্টমার নাই, আপনি হয়তো ভাবলেন, এই দোকান থেকেই নিরিবিলি ফল কিনবেন। সেই চিন্তা থেকেই দোকানের কাছে গেলেন এবং প্রয়োজনীয় ফলের দাম জিজ্ঞেস করলেন।
মজার বিষয়টা ঘটে ঠিক সেই মুহূর্তে। আপনি যখনই দামাদামি শুরু করবেন, তখনই দেখবেন দুই-তিন লোক হঠাৎ করেই উদয় হবে। তারাও ফলের দাম জিজ্ঞেস করছে এবং কেনার জন্য খুবই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
কিংবা আপনি মাংস কিনবেন। মাংসের দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন। ক্রেতা নেই। মাংস বিক্রেতা মাছি তাড়াতে ব্যস্ত। আপনি যেইমাত্র মাংসের দাম জিজ্ঞেস করবেন, ঠিক সেই মুহূর্তে দেখলেন, আশপাশ থেকে তিন-চারজন মানুষ এসে মাংসের দাম জিজ্ঞেস করা শুরু করে দিয়েছে। পারলে তারা পুরো দোকানের মাংস কিনে নিয়ে যায়!
আপনি গজ কাপড় কিনতে যান, মাছ কিনতে যান কিংবা সবজি কিনতে যান, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একই অবস্থা। তারা আপনাকে ব্যস্ত করে দরদাম করার সুযোগ দেবে না। কৃত্রিম জটলা তৈরি করে খারাপ পণ্য দিয়ে দেবে, মাপে কম দেবে ইত্যাদি কত ভাবে যে লোক ঠকানো হতে পারে, সেটা হয়ত আমরা চিন্তাতেই আনতে পারব না।
এরকম পরিস্থিতিতে দোকানদারকে বলবেন, আগে উনাদের কাছে বিক্রি করেন। দেখবেন, তাদের সকলের কথা পরিবর্তন হয়ে গেছে। কিংবা আপনি কিছু না কিনে দোকান থেকে বের হয়ে যান, দেখবেন হঠাৎ আগন্তুকরাও চলে গেছে। মূলত কেউই ক্রেতা না। আপনাকে ব্যতিব্যস্ত রাখতেই এসব মানুষের এত আয়োজন।
এই ধরনের সিন্ডিকেট থেকে সাবধান হোন।
লেখক: রিয়াজুল হক
যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক
এসএ/