সিলেটের আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযান মামলার রায় আজ
ঘটনাটি ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ। স্থান সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির আতিয়া মহল। ওইদিন দিবাগত রাত থেকেই বাড়িটিকে ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কারণ ওই বাড়িটিতেই অবস্থান করছিল জঙ্গি বাহিনী। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে চালানো হয় অভিযান। সেই অভিযানে অংশগ্রহণ করে র্যাব, পুলিশ, পুলিশের বিশেষ ক্রাইম রেসপন্স টিম (সিআরটি), সেনাবাহিনীর কমান্ডো দল। পরে সেনাবাহিনীর পরিচালিত ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ শেষে ভবনের ভেতর থেকে এক নারীসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে অপারেশন শেষ হওয়ার আগে অভিযান চলাকালে আতিয়া মহল থেকে কিছু দূরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের তৎকালীন প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, দুই পুলিশ সদস্যসহ সাতজন নিহত হন।
বুধবার (৫ এপ্রিল) বহুল আলোচিত সেই আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমীন বিপ্লবের আদালতে এ রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। এর আগে গত ১৪ মার্চ আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক নূরুল আমীন বিপ্লব।
সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি মুমিনুর রহমান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সাফাই সাক্ষ্যের সময় শেষ হয়। পরে ১৪ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক। মামলায় ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
জানা গেছে, মামলায় অভিযুক্ত তিন জেএমবি সদস্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানার বাইশারীর জহুরুল হক ওরফে জসিম (২৯), তার স্ত্রী আর্জিনা ওরফে রাজিয়া সুলতানা (২১) ও মো. হাসান (২৮) বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শেষে তিনটি মামলা হয়ছিল। মামলার প্রথম দিকে পুলিশ তদন্ত করলেও পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তভার নেয়। ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পিবিআই। অভিযোগপত্রে তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে ওই বছরই চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পৃথক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে জহুরুল ও তার স্ত্রী আর্জিনা এবং কুমিল্লার চান্দিনা থেকে মো. হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তাদেরকে আতিয়া মহলের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অন্যদিকে বোমা বিস্ফোরণ ও হত্যার ঘটনায় হওয়া দুটি মামলায় ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। প্রতিবেদনে মামলা নিষ্পত্তির আবেদন করা হয়েছিল।
এসআইএইচ