নীলফামারীতে তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে
পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল ৬টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যরাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সবকটি জলকপাট (৪৪টি) খুলে রাখা হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, উজানের ঢলে বুধবার রাতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপরে উঠে। সকাল ৯টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকার পর বেলা ১২টায় ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এর আগে বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ওই পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ওই পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার নিচে ছিল। গত সোমবার বেলা তিনটায় সেখানে ২৩ সেন্টিমিটার নিচে ছিল।
তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, গয়াবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদী বেষ্টিত ১৫টি গ্রামের হাজারো পরিবারের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।
ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, বুধবার রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। পানি বৃদ্ধির ফলে ইউনিয়নের পূর্বছাতনাই এবং ঝাড়সিংহেশ্বে গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবারের বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, উজানের ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল ৬টায় ব্যরাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। বেলা ১২টায় ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যরাজের সবকটি জলকপাট (৪৪টি) খুলে রাখা হয়েছে। বাসস