কুড়িগ্রামে পুকুরে মিলল সংকটাপন্ন প্রজাতির কাছিম
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের এক খামারির মাছ চাষের পুকুর থেকে একটি কাছিম শিকার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুর ১২টার দিকে ওই ইউনিয়নের চর বড়লই হাজিটারি গ্রামের খামারি আবুল হোসেনের পুকুর থেকে কাছিমটি শিকার করা হয়। এদিকে শিকার করা কাছিমটি সংকটাপন্ন প্রজাতির কাছিম বলে জানিয়েছে ফুলবাড়ী বন বিভাগ।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে খামারি আবুল হোসেন জানান, তার প্রায় ৩ বিঘা আয়তনের একটি পুকুরে তিনি মাছ চাষ করেন। গত কয়েকদিন থেকে পুকুরে জাল ফেললে কাছিমটি জাল কামড়ে ধরত। গতকালও (বুধবার) একই ঘটনা ঘটেছে। জালে বড় কিছু আটকাচ্ছে এটা বুঝুতে পেরে জেলেরা কাছিমটি ধরার পরিকল্পনা করে। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে বড়ভিটা বাজারের পাশের কয়েকজন জেলে জাল নিয়ে এসে পুকুর থেকে কাছিমটি ধরে নিয়ে যায়। কাছিমটি প্রায় ১২ কেজি ওজনের ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা তো কাছিম খাই না। জেলেরা হিন্দু সম্প্রদায়ের। তারা বললেন এটা মাছ জাতীয়। এটা তারা খাবেন। পরে স্বপন নামের জেলেসহ কয়েকজন মিলে কাছিমটি নিয়ে যান। আমি তাদের কাছে কোনও টাকা পয়সাও নেই নাই।’
কাছিমটি কীভবে পুকুরে প্রবেশ করল- এই খামারি বলেন, ‘সম্ভবত’ ১৭ সালের বন্যায় পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। তখন ধরলার পানি প্লাবিত হয়ে কাছিমটি পুকুরে ঢুকে থাকতে পারে। এত দিন ছোট থাকায় হয়তো আমরা বুঝতে পারি নাই। গত বছর এলাকার ছেলেরা পুকুরে কাছিম থাকার কথা বলেছিল কিন্তু আমি বিশ্বাস করি নাই। কিন্তু এ বছর পুকুরের মাছ খাওয়ায় এবং জালে সমস্যা করার কারণে জেলেরা বিষয়টা ধরতে পারছে।’
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী বন বিভাগের কর্মকর্তা নবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে সন্ধ্যায় খামারি আবুল হোসেনের বাড়ি গেলে কাছিমটি পাওয়া যায়নি। পরে তাকে সঙ্গে নিয়ে জেলে পাড়ার এক বাড়ি থেকে কাছিমটি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, কাছিমটি প্রায় ১২ কেজির জনের হলেও এটি একটি সংকটাপন্ন প্রাণী। পরিবেশের বাস্তুতন্ত্রে এর গুরুত্ব অনেক বেশি। পরে সংকটাপন্ন কাছিমটি রাত সাড়ে ৭ টার দিকে খামারি আবুল হোসেনসহ ওই এলাকার শতশত মানুষের উপস্থিতিতে পাশের ধরলা নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
এসআইএইচ