স্টেশনের বুকিং সহকারীর হাতে মহিলা যাত্রী লাঞ্চিত

দালালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কেটে সৈয়দপুর রেলওয়ে ষ্টেশনে এসে কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করে, বুকিং সহকারীকে অতিরিক্ত দামে টিকিট কেনার অভিযোগ করলে এক নারী যাত্রীকে লাঞ্চিত করেন বুকিং সহকারী সহ কয়েক জন। এসময় সংবাদ পেয়ে নিউজ সংগ্রহ করতে গেলে উক্ত বুকিং সহকারী ক্ষিপ্ত হয়ে সময় টিভির রিপোর্টার বাদলকে আক্রমন করতে এগিয়ে আসেন। এ ব্যপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, লাঞ্চিত মহিলার লিখিত অভিযোগ আমরা গ্রহন করেছি।
নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের একটি কক্ষে আটকে রাখা রাবেয়া আকতার মুন নামে এক নারী যাত্রীকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ মিলেছে। স্টেশনের বুকিং সহকারীসহ চার জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাত আটটার দিকে সৈয়দপুর স্টেশনের প্লাটফরমে এ ঘটনা ঘটে। লাঞ্চিতের শিকার মুন সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা মহল্লার নাসিম হোসেনের মেয়ে। তিনি ঢাকাস্থ রেলওয়ের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
অভিযোগে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় রাবেয়া আকতার মুন ১ অক্টোবরের ঢাকাগামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের জন্য স্টেশনে যান। কিন্তু কাউন্টারের বুকিং সহকারী সাফ কথা জানিয়ে দেন উক্ত তারিখের কোন টিকিট নেই। তবে তিনি ওই মহিলা ট্রেনযাত্রীকে কালোবাজারে টিকিট পেতে সৈয়দপুর প্লাজার ২য় তলায় গ্লোবাল কম্পিউটার এন্ড ট্রেনিং সেন্টারে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে ৪টি টিকিটের মূল্য হিসেবে গ্লোবাল কম্পিউটারের মালিক মনোয়ার হোসেন ওই মহিলা ট্রেনযাত্রীর কাছে ১৫০০ টাকার স্থনে ৩২০০ টাকা গ্রহণ করে একটি স্লিপ দিয়ে পূণরায় স্টেশনের বুকিং সহকারীর কাছে পাঠান।
ভুক্তভোগি রাবেয়া আকতার মুন জানান, বুকিং সহকারী জাহেদুল ইসলাম রনিকে ওই স্লিপ দেয়ার পর তাকে আক্কেলপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৪টি টিকিট (আসন ছ কোচের ৮৬, ৯০, ৯১, ৯২) এবং পার্বতীপুর থেকে জয়পুরহাট পর্যন্ত ২টি টিকিট (আসন ছ কোচের ৫২ ,৫৬) টিকিট প্রদান করেন। যাত্রী অতিরিক্ত দাম নেওয়ার প্রতিবাদ করলে দুই জন রেল কর্মচারী মিলে মহিলা যাত্রীকে টেনে-হেঁচড়ে বুকিং সহকারীর কক্ষে আটকে মহিলা রেল কর্মচারীসহ চারজন মিলে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করেন তাকে।
দেয়ালের সাথে মাথা চেপে ধরে চর-থাপ্পর মারতে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে টিকিট ও তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। জানতে চাইলে, সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী মাহবুব হোসেন ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তথ্য নিয়ে বাহিরে আসার সময় উক্ত বুকিং সহকারী ক্ষিপ্ত হয়ে সময় টিভির সাংবাদিকের প্রতি মার মুখি হন।
এ ব্যপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেন, লাঞ্চিত মহিলার লিখিত অভিযোগ আমরা গ্রহন করেছি। কিছুদিন আগে সময় টিভিতে কালোবাজারীতে টিকিট বিক্রী নিয়ে সংবাদ প্রচার হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা সময় টিভির রিপোর্টারের উপর হামলা চালায়।
এএজেড
