বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি, কৃষকের মুখে হাসি
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌর বাজারসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের হাটবাজারে আগাম জাতের বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছে। তবে দাম চড়া হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হলেও আগাম জাতের এসব সবজির স্বাদ নিতে পারছেন না নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষজন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পৌর এলাকাসহ ৭ ইউনিয়নে ৪৯০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার আগাম জাতের শীতকালীন সবজি চাষাবাদ করা হয়েছে।
এর মধ্যে চলতি মৌসুমে ৫৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষাবাদ করা হয়েছে। উপজেলার মধ্যে পৌর এলাকার সুজাপুর, কৃষ্ণপুর, লালপুর, দৌলতপুর, পলিপাড়া, হড়হড়িয়া, আলাদিপুর, ভিমলপুর, পাঠকপাড়া, লক্ষণপুর, কোয়ারপুর, শিবনগর, পলিশিবনগরসহ প্রায় প্রত্যেকটি ইউনিয়নেই আগাম জাতের সবজি চাষাবাদ হচ্ছে। এতে কৃষকরা আশানুরূপ লাভবান হচ্ছে।
বর্তমানে হাটবাজারে ফুলকপি প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, মুলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, বরবটি ৪২ থেকে ৪৫ টাকা, সিম ১৬ থেকে ১৭০ টাকা, শসা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিচ ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ফুলবাড়ী খুচরা সবজি বাজারে বাজার করতে আসা রিকশাচালক আফজাল হোসেন বলেন, ইচ্ছা ছিল বাজার থেকে কিছু আগাম জাতের শীতকালীন সবজি কিনব। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় সেটি কেনা হয়নি। যখন দাম কমলে তখনই কিনব।
পাইকারি ও খুচরা সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে বাজারে যে পরিমাণ আগাম জাতের সবজি উঠছে, তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই কম হওয়ায় দাম বেশি। তবে কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে এসব সবজির আমদানি বেড়ে গেলে দাম কমে আসবে। তখন সব শ্রেণির ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের মধ্যেই থাকবে এসব সবজি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহানুর আলম বলেন, উপজেলায় ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সবজি চাষাবাদ হয়েছে। বেশি লাভের আশায় কৃষকরা আগাম জাতের শীতকালীন সবজি চাষাবাদ করেন।
টিআর/এসজি