মাহিকে জুতাপেটার হুমকি, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন নৌকার সমর্থক
মাহিয়া মাহি ও মাহাবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে হুমকি দিয়ে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করেন নৌকার প্রার্থীর এক সমর্থক। মাহাবুর রহমান মাহাম নামে এই যুবককে তলব করা হয় আদালতে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) আদালতে হাজির হয়ে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
এ সময় আদালতের বিচারক নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান আবু সাঈদ তাকে নিজ কামরায় ডেকে নেন। আপত্তিকর মন্তব্যের ভিডিওর বিষয়ে মাহাবুর রহমান মাহাম আদালতের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। আদালত পরবর্তীতে এমন কোনো কর্মকাণ্ড না ঘটানোর শর্তে তাকে ওই অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন।
পরে আদালতের বাইরে রাজশাহী-১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাডভোকেট এজাজুর রহমান মানু জানান, ভুলবশত এমন একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করায় অভিযুক্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তাকে আদালত শর্ত সাপেক্ষে ক্ষমা করেছে।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের কালনা পূর্বপাড়া গ্রামের ছদের আলীর ছেলে মাহাবুর রহমান মাহাম। তিনি তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের গাড়ি ভাঙচুর মামলার আসামি। বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের রাজশাহী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন।
অভিযুক্ত মাহাম জানান, ২৮ বছর বয়সে তিনি এমপি ওমর ফারুক ছাড়া কারো রাজনৈতিক আদর্শ দেখেননি। তাই তাকে নিয়ে প্রতিপক্ষ কটাক্ষ করায় তিনি থেমে থাকতে পারেননি। আবেগের বশে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে ফেলেন। অবশ্য এ নিয়ে তিনি বেশ অনুতপ্ত। বলেছেন মাহিয়া মাহি আমার বোনের মতো, আমার ভুল হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফেসবুকে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে উদ্দেশ্য করে মাহাম এক ভিডিও প্রকাশ করেন। তাতে জুতা দেখিয়ে তিনি বলছেন, ‘আপনার মতো মাহিয়া মাহিকে, এই যে দেখছেন এই জুতা? এই জুতা দিয়ে, একদম জুতা দিয়ে পেটানো উচিত।’ আপত্তিকর এই মন্তব্যের অভিযোগে সৈনিক লীগের ওই নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
এ ঘটনায় মাহিয়া মাহির পক্ষে তানোর থানায় একটি অভিযোগ করেন তার ফুপাতো ভাই মো. জাহেদুল ইসলাম। থানায় দেয়া অভিযোগে মাহাবুর রহমানের ফেসবুকে প্রকাশিত ভিডিওর কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ভিডিও প্রকাশের পর মাহি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
অবশ্য ওই ঘটনায় নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী বলছেন, তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটালে, বাজে কথা বললে তার ভক্ত অনুসারীরা এমন কাণ্ড ঘটাতেই পারে। মাহিকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, ফারুক চৌধুরী সম্পর্কে বাজে কথা বললে সমর্থকরা যে কোনো সময়, যে কোনো কিছু ঘটাতে পারে, তাই সাবধানে কথা বলতে হবে।