দেখা মিলেছে সূর্যের, স্বস্তি ফিরেছে সাতক্ষীরা উপকূলে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কেটেছে সাতক্ষীরাবাসীর। জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন উপকূলীয় এলাকার অধিকাংশ মানুষ। এদিন জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
তবে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোর থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষেরা নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের উদ্বেগ-আতঙ্ক কাঁটিয়ে স্বস্তি ফিরেছে সাতক্ষীরার উপকূলে। এদিন দেখা মিলেছে সূর্যের। সকাল থেকে সেখানে আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে সোমবার (২৪ অক্টোবর) ভোররাত থেকে টানা বৃষ্টি ও দমকা হওয়ার পাশাপাশি নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পায়। অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় ৫-৮ জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা থাকাই জরাজীর্ণ ৩৫টি পয়েন্টের ২০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন উপকূলের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বাড়তে থাকলেও সন্ধ্যার পর বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া আর হয়নি।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব কেটে গেছে।
আরএ/