টানা ২ দিনের বর্ষণে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বাগেরহাটে ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রবিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে টানা দুই দিনের বর্ষণে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
জেলা সদরসহ উপকূলীয় উপজেলাগুলোর রাস্তাঘাট, পুকুর, মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। বাগেরহাট শহরের পুরাতন বাজার, রাহাতের মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জলবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। মোংলা বন্দরে পণ্য উঠানামা বন্ধ করে ৩ নম্বর অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি ফকির মুহিতুর রহমান সুমন জানান, দুই দিনের বৃষ্টিতে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কিছু মাছের ঘের ও পুকুর ইতোমধ্যে ডুবে গেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে অনেক ক্ষতি হবে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, সোমবার দুপুরের দিকে বাগেরহাটে নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাতের জোয়ারে এটা আরও বাড়বে। এ ছাড়া টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বেড়িবাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, দুই দিনের টানা বর্ষণে জেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট, পুকুর তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে রামপাল ও মোংলা উপজেলার মাছের ঘেরগুলো তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে। আর কিছু সময় বৃষ্টি হলে এসব ঘের তলিয়ে যাবে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, দুই দিনের টানা বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আমাদের ৩৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হচ্ছে। ২৯৮ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এসজি