কয়রায় ২০০ মিটার বাঁধ ধসে জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্ক
খুলনার কয়রা উপজেলার হরিণখোলা এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধের প্রায় ২০০ মিটার ধসে গেছে। ফলে জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে ভাটার টানে ওই বাঁধ ধসে যায়।
আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে স্থানীয় নদীগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। প্লাবিত হতে পারে উপকূলীয় এলাকা।
হরিণখোলা এলাকার বাসিন্দা মেহেদী হাসান বলেন, বাঁধের এ অংশ ভাঙলে উপজেলা পরিষদসহ আশপাশের ১০ থেকে ১২টি গ্রাম প্লাবিত হবে। বাঁধের যে অংশ ধসে গেছে, সেখানে কয়েক মাস আগে সংস্কারকাজ হয়েছে। কিন্তু আগেই চরের মাটি ধসে যাওয়ায় এ মুহূর্তে মূল বাঁধে ধস নেমেছে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকুনুজ্জামান জানান, উপজেলায় ১১৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে আশ্রয় নেওয়া মানুষের জন্য শুকনো খাবার ও খাবার পানি মজুত রাখা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৗশলী মো. শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়ার এবং চাপে অনেক স্থানের দুর্বল বাঁধ ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। যেকোনো দুর্ঘটনা মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।
এসএন