হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ইজিবাইক চালক সুজন সিকদার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাকিবুল ইসলাম আসাদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১২ সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি এলাকার ইজিবাইক চালক সুজন সিকদার (২৮) ভাড়ায় যাত্রী বহনের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পরের দিন ২৯ মার্চ সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার সাতবাড়িয়া এলাকার একটি লিচু বাগান থেকে সুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ইজিবাইক ছিনতাই করতেই চালক সুজন সিকদারকে হত্যা করা হয়।
কোম্পানি কমান্ডার বলেন, এ হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে একই দিন ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ৩ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে এ মামলার বিচারকার্যক্রম শেষে গত ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর কুষ্টিয়ার আদালত রাকিবুল ইসলাম আসাদকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে অপর দুই আসামি শরিফুল ইসলাম শরিফ এবং রাজু মৃধাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার রায় দেন আদালত।
তিনি বলেন, রায় ঘোষণার পর থেকেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাকিবুল ইসলাম আসাদকে গ্রেপ্তার করতে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ায় র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প, র্যাব-১২ এর অভিযানে ২২ অক্টোবর রাতে ঢাকার সাভার উপজেলার বিরুলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান আরও বলেন, আসামি রাকিবুল ইসলাম আসাদ হত্যা মামলায় আটকের পর প্রায় দেড় বছর কারাগারে ছিল। এরপর জামিনে মুক্তি পেয়ে সাভার উপজেলার বিরুলিয়া এলাকায় আত্মগোপনে চলে যায় আসাদ। সেখানে রাজমিস্ত্রির সহকারী, বালু ঘাটের পাহাড়াদার এবং সর্বশেষ কোমল পানীয় কোম্পানির ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করত সে। সেখানে থাকা অবস্থায় সে দুটি বিয়ে করে। সেখানে দ্বিতীয় স্ত্রীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় সে প্রায় ১৩ মাস কারাগারে ছিল।
এ ছাড়া রাকিবুল ইসলাম আসাদের বিরুদ্ধে ১টি হত্যা মামলা, ১টি অস্ত্র মামলা এবং ২টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এসজি