ছাত্র আন্দোলনে গুলি করা আওয়ামী লীগ নেতার ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন (ইনসটে সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান)। ছবি: সংগৃহীত
পাবনা সদর উপজেলায় এএমবিডি ব্রিকস নামে একটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। ইটভাটাটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পাবনায় দুই শিক্ষার্থীকে সরাসরি গুলি করে হত্যাকারী পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাঁড়ারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানের মালিকানাধীন।
সোমবার (১০ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার দোগাছী এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেন অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই ইটভাটাটির কার্যক্রম চলছিল। এজন্য সকালে অভিযান চালিয়ে ইটভাটাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। উপজেলার মধ্যে কোনো অবৈধ ইটভাটা চলতে দেওয়া হবে না। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানের সময় পরিবেশ অধিদপ্তর পাবনার ইন্সপেক্টর আব্দুল মোমিনসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট সকল অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর পাবনার সহকারী পরিচালক আব্দুল গফুর বলেন, “পাবনা সদর উপজেলায় ৬২টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি বৈধ আর ৫১টিই অবৈধভাবে চলছিল। ইতোমধ্যে আমরা আজকেরটাসহ মোট ৫টি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছি। বাকিগুলোতেও অভিযান চলবে।”
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট পাবনা শহরের ট্রাফিক মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ শিক্ষার্থীদের ওপর সরাসরি গুলিবর্ষণ করেন আবু সাঈদ খান। এতে ঘটনাস্থলেই মাহবুব হাসান নিলয় (১৪) ও জাহিদুল ইসলাম (১৯) নামের দুই শিক্ষার্থী নিহত এবং অনেক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। এঘটনায় দুটি মামলার প্রধান আসামি আবু সাঈদ খান। ঘটনার পর থেকেই সাঈদ পলাতক রয়েছে।
