সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫ | ২৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

দক্ষিণাঞ্চলের সব থেকে বড় ফুল ও ফল চারার বাজার

বরিশালের সন্ধ্যা নদীর তীর ঘেঁষে দক্ষিণাঞ্চলের সব থেকে বড় ফুল ও ফলের চারার বাজার গড়ে উঠেছে। এটি পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার অলংকারকাঠী গ্রামে অবস্থিত। এই শীতের মৌসুমে ফুলের চাদরে ঢাকা পড়েছে গ্রামটি। যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই ফুল ও ছোট ছোট ফুল চারার সমারোহ।

উপজেলার আকলম, কুনিয়ারী, সুলতানপুর, পানাউল্লাপুর, সংগীতকাঠি ও আরামকাঠিসহ ১০ থেকে ১২ টি গ্রামে বানিজ্যিকভাবে নানা প্রজাতির ফুলের চাষ হয়। অন্য ফসলের চেয়ে অধিক লাভের আশায় প্রতিদিন বাড়ছে ফুলের কৃষি, বাড়ছে ফুলচাষী, গ্রামের পর গ্রাম ছড়িয়ে পড়ছে ফুলের আবাদ। তবে এই অলংকারকাঠীর নার্সারিগুলো টিকিয়ে রাখতে হলে আশেপাশের ইটের ভাটাগুলো সরিয়ে অন্যত্র নিতে হবে। না হলে পরিবেশ নষ্টের কারণে নার্সারির অনেক বড় ক্ষতি হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা।  বরিশাল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে বরিশাল-বানারীপাড়া-স্বরূপকাঠি সড়কের পাশেই সন্ধ্যা নদীর তীর জুড়ে অলংকারকাঠি গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে চোখ ধাঁধানো এই ফুলের নার্সারিগুলো।

এই অঞ্চল জুড়ে প্রায় ৩০০টির মত নার্সারি গড়ে উঠেছে। এসব নার্সারিগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ফুল এবং ফল গাছের চারা পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছের চারার কলম উৎপাদন করে আসছেন নার্সারি ব্যবসায়ীরা। প্রায় দুই হাজারের মতো নারী-পুরুষ জীবিকার পথ খুঁজে পেয়েছেন এখানে। পুরুষের প্রতিদিন পারিশ্রমিক ৫০০ টাকা এবং নারীদের ৩০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এছাড়া নার্সারিগুলোতে মাসব্যাপীও কাজ করেন অনেক কর্মচারী।

সরেজমিনে দেখা যায়, অলংকারকাঠী ব্রিজ থেকে উত্তর শর্ষিনা পর্যন্ত সড়কের দুইধারে সন্ধ্যা নদীর কোল ঘেঁষে কোহিনুর নার্সারি, বৈশাখী নার্সারি, আশা নার্সারি, নিরব নার্সারি, রুবেল নার্সারি, নেছারাবাদ নার্সারি, আদর্শ নার্সারি, ফারিয়া নার্সারিসহ বিভিন্ন নামের নার্সারি রয়েছে। জমে ওঠেছে ফুলের চারা বেচা-কেনা। এ অঞ্চলের তিনটি গ্রাম নিয়ে এ ফুলের বানিজ্য গড়ে উঠলেও অলংকারকাঠী নামেই বেশি পরিচিতি লাভ করেছে। এখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফুল ও প্রকৃতিপ্রেমীদেরও উপচেপড়া ভীড় দেখা যায়। সামনে ভালোবাসা দিবস এবং বসন্ত উৎসবকে ঘিরে নার্সারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে উচ্ছ¦াস লক্ষ্য করা গেছে। তারা আগাম ফুল সংরক্ষণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

নার্সারি ম্যানেজার মো. জসিম জানান, এ সকল নার্সারি থেকে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ টাকার ফুলের চারা ও নানা প্রজাতির গাছ-গাছালির চারা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়। এ অঞ্চলের শত শত মানুষ তার নিজের বা সরকারি ঠিকাদারী কাজে সরবরাহের জন্য চারা কলম কিনে নেন এখন থেকে। তবে শীত মৌসুমে শুধুই ফুলের চারা কলম এবং ফুল বেচা-কেনা চলে। মুরাদ নার্সারির মালিক মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলের সব স্থানে আমাদের এখান থেকে ফুল, ফুলের চারা এবং ফলের চারা বিক্রি কারা হয়। তার মধ্যে যশোর, খুলনা, বরগুনা, পটুয়াখালী, কুয়াকাটা এবং বরিশাল নগরী সহ বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা আমাদের কাছ থেকে বেশি কেনাকাটা করে।’

তিনি আরো বলেন, আমার নার্সারিতে শীতের সিজনের যত ফুলআছে সবগুলো পাওয়া যায়। এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে বিদেশি নানান রকমের ফুলআমার নার্সারিতে রয়েছে। তার মধ্যে- অপারাজিতা, অলকানন্দা, আশোক, এডেনিয়াম, কদম, করবী, কাঠগোলাপ, কৃষ্ণচূড়া, ক্যাক্ট্যস, গাঁদা, গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা, টিউলিপ, চামেলি, নয়নতারা, জারুল, চেরি, ডালিয়া, বেলী, অকিড, ক্যামিলিয়া সহ নানান ফুল ও ফুলের চারা পাওয়া যায়। ফলের চারার মধ্যে- জাম্বুরা, পেয়ারা, লেবু, লিচু, আঙ্গুর, জলপাই, কমলা, নাশপাতি, স্ট্রবেরি, পিচ, পেঁপে, বরই, কামরাঙা, ডালিম সহ দেশি বিদেশি বিবিন্ন ফল গাছের চারা পাওয়া যায়।

বৈশাখী নার্সারি কর্মচারী আহমদ শফী বলেন, এখানে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ফুলের ভরা মৌসুম চলে। এই মৌসুমী আমাদের এখানে বেচাকেনা অনেক ভালো হয়। স্থানীয় গরিব-দুঃখী মানুষের একটি কর্মসংস্থানের জায়গা হয়েছে, যাদের এখন ভাত না খেয়ে মরতে হয় না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে বিভিন্ন বীজ এর পাইকাররা আসেন, যারা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ফুল এবং ফল গাছের বীজ সংগ্রহ করেন। তাদের কাছ থেকে আমরা এই বীজগুলো কিনে বপন করি। আশ্বিন মাসে বীজতলা করে বীজ বপন করতে হয়। ১৫ থেকে ২০ দিন পর চারা গজালে পলিথিন প্যাকেটে স্থাপন করে পানি ও ঔষধ দিতে হয়। ওইসব গাছে অগ্রহায়ণ মাসে ফুল আসতে শুরু করে।

নার্সারি মালিকরা জানান, বর্তমানে নার্সারি টিকিয়ে রাখা অনেক কষ্টের হয়ে যাচ্ছে। এখানে বড় বড় ইটের ভাটা তৈরি হয়েছে যার কারণে চারপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া নার্সারির মধ্য থেকে বিশাল এক খাল বয়ে গেছে যেই খালের মধ্য থেকে নৌকায় আমাদের মালামাল পার করতে হয় যেটা আমাদের জন্য অনেক দুর্ভোগের কারণ। এখানে যে সকল কর্মচারীরা প্রতিদিন কাজ করে তাদের জন্য টিউবওয়েল প্রয়োজন, এখানে খাবার পানির সংকটে রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, স্থানটি অনেক বড় একটি পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে। যা দেশের জন্য গৌরবের। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার হাত বাড়িয়ে দিলে এটি একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হবে।

কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, এ শিল্পকে আরও বিকশিত করার জন্য কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগীতা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে নার্সারি মালিকরা যাতে স্বল্প সুদে ঋণ পায় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কেএফ/

 

Header Ad
Header Ad

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার আইসিসিতে পাঠানোর কথা ভাবছে সরকার: প্রেস সচিব

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে নির্বিচারে গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাতে প্রাণ যায় শত শত মানুষের। আহত হন অনেকে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তদন্তে নেমে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ পায় জাতিসংঘ।

প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, হত্যায় জড়িত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।

আন্দোলন দমানোর নামে হত্যার নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো মোবাইলসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে। ১০ জুলাইয়ের পর এসব আলামত নষ্টের অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহার।

তিনি বলেন, শুধু ডিলিট না, কথাও যেন কোন ডেটা না থাকে সেজন্যে স্থায়ীভাবে ডিলিট করার নির্দেশনাও আমরা তদন্তে পেয়েছি। সেসমস্ত জিনিস আমরা পুনরুদ্ধার করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে আদালতে প্রেরণযোগ্যের ব্যবস্থা করেছি।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের বিচারের বিষয়টি নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানোর সুযোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, এটি পাঠাতে পারলে সুবিধা হচ্ছে সারা বিশ্বের মানুষ দেখতে পারবে কি নৃশংসভাবে বাংলাদেশে গণহত্যা চালান হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, রোম আইনের বলে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই আদালত। ১২৫টি রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশও এর সদস্য। জেনোসাইড, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার হয় আইসিসিতে।

Header Ad
Header Ad

ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সারাদেশে চলছে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি

বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এ নোটিশ দিয়ে সংহতি জানিয়েছে গাজার পক্ষে। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সারাদেশে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি চলছে। গত রাতেই ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এ নোটিশ দিয়ে সংহতি জানিয়েছে গাজার পক্ষে।

রাজধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে জড়ো হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় আর কলেজগুলোর সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়াও গাজায় হামলা বন্ধের দাবিতে একই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ছাত্র শিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।

রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একই ঘটনায় রাজধানীর বিজয় নগর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা, ফিলিস্তিনের নাগরিকদের উপর চালানো গণহত্যার প্রতিবাদ ও স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবি উঠে আসে তাদের স্লোগানে। এসময় সোমবার জেনারেল স্ট্রাইকে দেশবাসীকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।

গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিশ্বব্যাপী ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আজকের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই গণহত্যার প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও।

Header Ad
Header Ad

যুদ্ধের মাঝে ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটলেন নেতানিয়াহু

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নিরলস হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। বর্বর ও নির্বিচার এই হামলার মধ্যেও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ভূখণ্ডটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গত কয়েক মাসের মধ্যে গাজা থেকে ইসরায়েলে সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে তারা।

একইসঙ্গে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে দেওয়া হয়েছে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক। এমন অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটে গেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

সোমবার (৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফের সাথে দেখা করার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রোববার হাঙ্গেরি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটে গেছেন বলে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথের মতে, নেতানিয়াহু সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সাথে আলোচনা করবেন। এতে বলা হয়েছে, “গাজায় চলমান যুদ্ধ এবং হামাসের পক্ষ থেকে ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহার এবং যুদ্ধের অবসানের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উইটকফের উপস্থিতি ‘ইসরায়েলি বন্দি মুক্তির ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে’।”

সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এছাড়া ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকের সাথেও দেখা করবেন। বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড মূলত ট্রাম্পের শুল্ক নীতির তত্ত্বাবধান করেন। গত বুধবার উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য ঘাটতির কারণে অন্যান্য দেশের সাথে ইসরায়েলের ওপর ১৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বসতে চলেছেন নেতানিয়াহু।

পৃথক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, রোববার রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আগামী দুই দিন ধরে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে তাড়াহুড়ো করে নির্ধারিত বৈঠক করবেন।

বৈঠকগুলোতে মূলত গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ এবং জিম্মিদের বিষয়ে আলোচনা করা হবে, যাদের মধ্যে ৫৯ জন এখনও গাজায় বন্দি রয়েছেন। সেইসাথে ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতি নিয়েও আলোচনার কথা রয়েছে। সফরের কথা ঘোষণা করার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে নেতানিয়াহু রোববার বুদাপেস্ট থেকে ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

এদিকে নেতানিয়াহুর এই সফর মঙ্গলবার পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ার কথা থাকলেও ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, এই সফরের সময়সীমা বাড়ানো যেতে পারে। গত সপ্তাহে নেতানিয়াহু, ট্রাম্প এবং হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় কথোপকথনের পর এই সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, স্ত্রী সারাকে নিয়ে ওয়াশিংটনে পৌঁছানোর পরেইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বিমানবন্দর থেকে কাফেলা নিয়ে ব্লেয়ার হাউসের দিকে যান। সেখানে বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকের সাথে তার দেখা করার কথা ছিল।

আনাতোলু বলছে, ইসরায়েলের প্রধান মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহুর সফর এমন এক সময় এলো যখন তেল আবিব গাজা উপত্যকায় মারাত্মক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৩ সালের অক্টোবর থেকে নির্বিচার হামলায় অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় প্রায় ৫০ হাজার ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছেন।

গত সপ্তাহান্তে নেতানিয়াহু গাজায় আক্রমণ আরও বাড়ানোর ঘোষণা দেন। ফিলিস্তিনি এই ছিটমহল থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের বিষয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টাও চলছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার আইসিসিতে পাঠানোর কথা ভাবছে সরকার: প্রেস সচিব
ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সারাদেশে চলছে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি
যুদ্ধের মাঝে ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটলেন নেতানিয়াহু
রাজশাহীতে ট্রাক-বাসের সংঘর্ষে নিহত তিন, আহত অর্ধশত
পুরান ঢাকায় নাজিমউদ্দিন রোডে আগুন, নিহত ১
ইসরাইলি বসতিতে হামাসের মুহুর্মুহু রকেট হামলা (ভিডিও)
আমরা গাজায় আরও তীব্র হামলা চালাব: ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
নওগাঁয় আকাশ থেকে পড়ল বিরল আকৃতির শীলা, আতঙ্কিত এলাকাবাসী
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির ডাক
বিয়ের গেটে পার্টি স্প্রে দেওয়া নিয়ে মারামারি, ভাঙল বিয়ে
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় ছাত্রদলের নিন্দা ও কর্মসূচি ঘোষণা
দপ্তর হারালেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব নিজাম উদ্দিন
বাংলাদেশে ব্যবসা করার অনুমোদন পেল স্টারলিংক
শুল্ক নিয়ে ট্রাম্প ও মার্কিন প্রশাসনকে চিঠি দেবে বাংলাদেশ: প্রেস সচিব
দর্শনায় পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর বাস্তবায়নে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের পরিদর্শন
ফেসবুকে নির্বাচনের কথা লিখলে সংঘবদ্ধ গালি শুরু হয়ে যাচ্ছে: ইশরাক
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের প্রভাব সামাল দেওয়া কঠিন হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
বিদেশি শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বুধবার
এসএসএফের সাবেক ডিজি ও তার স্ত্রীর ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, ৩৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ