সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দক্ষিণাঞ্চলের সব থেকে বড় ফুল ও ফল চারার বাজার

বরিশালের সন্ধ্যা নদীর তীর ঘেঁষে দক্ষিণাঞ্চলের সব থেকে বড় ফুল ও ফলের চারার বাজার গড়ে উঠেছে। এটি পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার অলংকারকাঠী গ্রামে অবস্থিত। এই শীতের মৌসুমে ফুলের চাদরে ঢাকা পড়েছে গ্রামটি। যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই ফুল ও ছোট ছোট ফুল চারার সমারোহ।

উপজেলার আকলম, কুনিয়ারী, সুলতানপুর, পানাউল্লাপুর, সংগীতকাঠি ও আরামকাঠিসহ ১০ থেকে ১২ টি গ্রামে বানিজ্যিকভাবে নানা প্রজাতির ফুলের চাষ হয়। অন্য ফসলের চেয়ে অধিক লাভের আশায় প্রতিদিন বাড়ছে ফুলের কৃষি, বাড়ছে ফুলচাষী, গ্রামের পর গ্রাম ছড়িয়ে পড়ছে ফুলের আবাদ। তবে এই অলংকারকাঠীর নার্সারিগুলো টিকিয়ে রাখতে হলে আশেপাশের ইটের ভাটাগুলো সরিয়ে অন্যত্র নিতে হবে। না হলে পরিবেশ নষ্টের কারণে নার্সারির অনেক বড় ক্ষতি হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা।  বরিশাল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে বরিশাল-বানারীপাড়া-স্বরূপকাঠি সড়কের পাশেই সন্ধ্যা নদীর তীর জুড়ে অলংকারকাঠি গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে চোখ ধাঁধানো এই ফুলের নার্সারিগুলো।

এই অঞ্চল জুড়ে প্রায় ৩০০টির মত নার্সারি গড়ে উঠেছে। এসব নার্সারিগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ফুল এবং ফল গাছের চারা পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছের চারার কলম উৎপাদন করে আসছেন নার্সারি ব্যবসায়ীরা। প্রায় দুই হাজারের মতো নারী-পুরুষ জীবিকার পথ খুঁজে পেয়েছেন এখানে। পুরুষের প্রতিদিন পারিশ্রমিক ৫০০ টাকা এবং নারীদের ৩০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এছাড়া নার্সারিগুলোতে মাসব্যাপীও কাজ করেন অনেক কর্মচারী।

সরেজমিনে দেখা যায়, অলংকারকাঠী ব্রিজ থেকে উত্তর শর্ষিনা পর্যন্ত সড়কের দুইধারে সন্ধ্যা নদীর কোল ঘেঁষে কোহিনুর নার্সারি, বৈশাখী নার্সারি, আশা নার্সারি, নিরব নার্সারি, রুবেল নার্সারি, নেছারাবাদ নার্সারি, আদর্শ নার্সারি, ফারিয়া নার্সারিসহ বিভিন্ন নামের নার্সারি রয়েছে। জমে ওঠেছে ফুলের চারা বেচা-কেনা। এ অঞ্চলের তিনটি গ্রাম নিয়ে এ ফুলের বানিজ্য গড়ে উঠলেও অলংকারকাঠী নামেই বেশি পরিচিতি লাভ করেছে। এখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফুল ও প্রকৃতিপ্রেমীদেরও উপচেপড়া ভীড় দেখা যায়। সামনে ভালোবাসা দিবস এবং বসন্ত উৎসবকে ঘিরে নার্সারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে উচ্ছ¦াস লক্ষ্য করা গেছে। তারা আগাম ফুল সংরক্ষণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

নার্সারি ম্যানেজার মো. জসিম জানান, এ সকল নার্সারি থেকে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ টাকার ফুলের চারা ও নানা প্রজাতির গাছ-গাছালির চারা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়। এ অঞ্চলের শত শত মানুষ তার নিজের বা সরকারি ঠিকাদারী কাজে সরবরাহের জন্য চারা কলম কিনে নেন এখন থেকে। তবে শীত মৌসুমে শুধুই ফুলের চারা কলম এবং ফুল বেচা-কেনা চলে। মুরাদ নার্সারির মালিক মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলের সব স্থানে আমাদের এখান থেকে ফুল, ফুলের চারা এবং ফলের চারা বিক্রি কারা হয়। তার মধ্যে যশোর, খুলনা, বরগুনা, পটুয়াখালী, কুয়াকাটা এবং বরিশাল নগরী সহ বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা আমাদের কাছ থেকে বেশি কেনাকাটা করে।’

তিনি আরো বলেন, আমার নার্সারিতে শীতের সিজনের যত ফুলআছে সবগুলো পাওয়া যায়। এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে বিদেশি নানান রকমের ফুলআমার নার্সারিতে রয়েছে। তার মধ্যে- অপারাজিতা, অলকানন্দা, আশোক, এডেনিয়াম, কদম, করবী, কাঠগোলাপ, কৃষ্ণচূড়া, ক্যাক্ট্যস, গাঁদা, গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা, টিউলিপ, চামেলি, নয়নতারা, জারুল, চেরি, ডালিয়া, বেলী, অকিড, ক্যামিলিয়া সহ নানান ফুল ও ফুলের চারা পাওয়া যায়। ফলের চারার মধ্যে- জাম্বুরা, পেয়ারা, লেবু, লিচু, আঙ্গুর, জলপাই, কমলা, নাশপাতি, স্ট্রবেরি, পিচ, পেঁপে, বরই, কামরাঙা, ডালিম সহ দেশি বিদেশি বিবিন্ন ফল গাছের চারা পাওয়া যায়।

বৈশাখী নার্সারি কর্মচারী আহমদ শফী বলেন, এখানে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ফুলের ভরা মৌসুম চলে। এই মৌসুমী আমাদের এখানে বেচাকেনা অনেক ভালো হয়। স্থানীয় গরিব-দুঃখী মানুষের একটি কর্মসংস্থানের জায়গা হয়েছে, যাদের এখন ভাত না খেয়ে মরতে হয় না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে বিভিন্ন বীজ এর পাইকাররা আসেন, যারা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ফুল এবং ফল গাছের বীজ সংগ্রহ করেন। তাদের কাছ থেকে আমরা এই বীজগুলো কিনে বপন করি। আশ্বিন মাসে বীজতলা করে বীজ বপন করতে হয়। ১৫ থেকে ২০ দিন পর চারা গজালে পলিথিন প্যাকেটে স্থাপন করে পানি ও ঔষধ দিতে হয়। ওইসব গাছে অগ্রহায়ণ মাসে ফুল আসতে শুরু করে।

নার্সারি মালিকরা জানান, বর্তমানে নার্সারি টিকিয়ে রাখা অনেক কষ্টের হয়ে যাচ্ছে। এখানে বড় বড় ইটের ভাটা তৈরি হয়েছে যার কারণে চারপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া নার্সারির মধ্য থেকে বিশাল এক খাল বয়ে গেছে যেই খালের মধ্য থেকে নৌকায় আমাদের মালামাল পার করতে হয় যেটা আমাদের জন্য অনেক দুর্ভোগের কারণ। এখানে যে সকল কর্মচারীরা প্রতিদিন কাজ করে তাদের জন্য টিউবওয়েল প্রয়োজন, এখানে খাবার পানির সংকটে রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, স্থানটি অনেক বড় একটি পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে। যা দেশের জন্য গৌরবের। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার হাত বাড়িয়ে দিলে এটি একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হবে।

কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, এ শিল্পকে আরও বিকশিত করার জন্য কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগীতা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে নার্সারি মালিকরা যাতে স্বল্প সুদে ঋণ পায় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কেএফ/

 

Header Ad

বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন

বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে চতুর্থ দিনের মত দূরপাল্লার সব পরিবহন বাস বন্ধ রয়েছে। বাস মালিক সমিতি পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী সোমবার (২৫ নভেম্বর) সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাগামী সকল দূরপাল্লার বাস বন্ধ রেখেছে।

এতদিন বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও ভারত ফেরত অনেক পাসপোর্ট যাত্রী ১২ কিলোমিটার দূরে নাভারন সাতক্ষীরা মোড় থেকে সাতক্ষীরা রুটের গাড়ি ধরে বাড়ি ফিরছিলেন।সোমবার থেকে সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি।

এতে প্রতিদিন ভারত ফেরত হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। যাত্রীদের চেকপোস্টে না নিতে দিয়ে গভীর রাতে পৌর বাস টার্মিনালে নামাতে বাধ্য করার অভিযোগে শুক্রবার রাত থেকে বেনাপোলের দূরপাল্লার সব বাস বন্ধ রেখেছে মালিক সমিতি।

বেনাপোল পরিবহন ম্যানেজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন,"আমাদের দাবি-দাওয়া না মানায় পরিবহন মালিকরা তাদের গাড়ি এই রুটে চালাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ সোমবার থেকে সাতক্ষীরা রুটও বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি।"

সাতক্ষীরা কে লাইন পরিবহনের জামতলা কাউন্টার প্রধান আনোয়ার হোসেন বিদ্যুৎ বলেন,বেনাপোলের সমস্যার সমাধান না হওয়ায় সাতক্ষীরা থেকে দূরপাল্লার পরিবহণের সকল বাস বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি।পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কোন টিকিট বিক্রি করছি না।

এদিকে হঠাৎ করে বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আটকা পড়েছেন ভারত থেকে আসা হাজার হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী। গন্তব্যে যেতে তারা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস,ট্রেন ব্যবহার করছেন। এতে ভোগান্তি,সময় অপচয়ের পাশাপাশি খরচও বেশি হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।

বেনাপোল চেকপোস্টে কথা হয় ভারত ফেরত যাত্রী নেত্রকোনার জিতেন সাহা, নারায়নগঞ্জের সাদ্দাম হোসেন টিপু, ঢাকার ফজলুর রহমান শেখ, লাল্টু হোসেন ও বিনয় পালের সাথে।

নেত্রকোনার জিতেন সাহা বলেন, তিন জন মিলে একটি প্রাইভেট নিয়ে যশোর যাচ্ছি।সেখান থেকে বাস ধরে বাড়ি যাবো।ভারত থেকে দেশে ফিরে এখন দেখছি 'দূর্ভোগের শেষ নেই'।

যশোর জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু জানান, বেনাপোল চেকপোস্টে বন্দর ভেহিক্যাল টার্মিনাল চালু হওয়ায় কমে গেছে গাড়ির জট। বাস চলাচলে কোন যানজট হয়না। ভারত বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাকের কারনে সৃষ্টি হত যানজটের। দূরপাল্লার যাত্রীদের নিরাপত্তা ও দুর্ভোগের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের বিশেষ বিবেচনার দাবী জানান মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু।

বেনাপোলে যানজট নিরসনে পৌর বাস টার্মিনাল ব্যবহারে নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন। পরিবহন কর্তৃপক্ষ পৌর বাস টার্মিনাল ব্যবহারে সহমত পোষন করে দিনের বাসগুলো ছাড়ছিল সেখান থেকেই। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুবিধায় রাতের বাস চেকপোস্ট টার্মিনালে এসে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে বাস যাচ্ছিল পৌর টার্মিনালে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে ২২ নভেম্বর গভীর রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসের যাত্রী পৌর বাস টার্মিাালে নামিয়ে নেওয়া হয়। বাস প্রবেশে দেওয়া হয বাধা। এরই প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ রাখে মালিক সমিতি। টানা চার দিন দুর পাল্লার পরিবহন চলাচল বন্ধে ভারত বাংলাদেশ যাতায়াতকারী যাত্রীরা পড়ছেন সীমাহীন ভোগান্তিতে। এর সুরাহা চান ভুক্তভোগী যাত্রীরা।

Header Ad

৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের ৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরির অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সূত্রাপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখারুম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গতকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক এ কে এম হাসান মাহমুদুল কবীর বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত তা গ্রহণ করেন। আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গতকাল ২৪ নভেম্বর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের সাত-আট হাজার শিক্ষার্থী বেআইনি জনতাবদ্ধে মারাত্মক অস্ত্র-শস্ত্রসহ দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে। সরকারি অস্ত্রের (পিস্তল) গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরি, সরকারি ডিউটিতে ব্যবহৃত এপিসি গাড়ি ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে।

কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করা, জীবননাশের হুমকি দেওয়া এবং ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করে। এছাড়া পুলিশের এপিসি কার ও ডিউটিরত পুলিশের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে পেনাল কোড ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারার অপরাধ আনা হয়েছে।

Header Ad

ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক

মোস্তফা আমীন। ছবি: সংগৃহীত

‘বিনা সুদে এক লাখ টাকা ঋণের প্রলোভন দেওয়া অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদশের আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তাফা আমীনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়।

‘বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে জনপ্রতি এক লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে, এজন্য শাহবাগে বিশাল সমাবেশে জড়ো হতে হবে।’ এমন কথা বলে রাজধানীর শাহবাগে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশের চেষ্টা করে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অভিযোগ উঠেছে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদশ নামের একটি সংগঠনের বিরুদ্ধে।

এই অভিযোগে সংগঠনটির আহ্বায়ক মোস্তফা আমীনকে আটক করে পুলিশ।

এসব অসহায় মানুষদের বলা হয়েছিল সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর শাহবাগে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা হবে, যেখানে ঋণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মূলত ঢাকায় একটি সমাবেশ করার উদ্দেশ্যেই এরকম প্রলোভন দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

সভায় আসা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোস্তাফা আমিন নামে এক ব্যক্তির মিটিং আছে সকাল ১০টায়। এ কথা বলে তাদের ফরম পূরণ করিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসেন। মোস্তাফা ফরওয়ার্ড পার্টির আহ্বায়ক বলে জানা গেছে।

আরও জানা গেছে, এনজিও সংস্থার পরিচয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু ব্যক্তি মানুষকে বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার আশ্বাস দেন। যারা বলেছেন, ঢাকায় গেলে বিনা সুদে ১ থেকে ১০ লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে। অনেকের কাছ থেকে এ জন্য ১ হাজার টাকা করেও নিয়েছে। এ আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তারা গাড়িতে করে ঢাকায় এসেছেন।

জানা গেছে, ঢাকার বিভিন্ন বস্তি ও আশপাশের এলাকা থেকে সমাবেশে লোক জড়ো করার উদ্দেশে কয়েকদিন ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ সংগঠনের নেতারা। এ ছাড়াও শুক্রবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি। সেখানে সোমবার সমাবেশের কথা জানানো হয়।

ঢাকায় আসা মানুষের কাছে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ সংগঠনের ব্যানার, ফেস্টুন ও লিফলেট পাওয়া যায়। তাদের হাতে ফেস্টুনে লেখা ছিল, ‘লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধার করব, বিনা সুদে পুঁজি নেব’।

জানা গেছে, বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার নামে ঢাকায় সমাবেশে লোকজন জড়ো করার নেপথ্যে কাজ করেছেন ফরওয়ার্ড পার্টির আহ্বায়ক ও অহিংস আন্দোলন বাংলাদেশের প্রধান সংগঠক আ ব ম মোস্তাফা আমীন ও সদস্য সচিব মো. মাহবুবুল আলম চৌধুরী।

সংগঠনের নেতারা কয়েকদিন আগে থেকেই ঢাকায় মানুষ জমায়েতের পরিকল্পনা করছিলেন। মোস্তাফা আমীন গত ১৫ নভেম্বর তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দেন, ‘স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে ২৫ নভেম্বর ২০২৪ শাহবাগ মোড়ে, সকাল ১০টায়। ইতিহাসে নাম লিখান।’

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি
আইপিএলে দল পেলেন না মুস্তাফিজুর রহমান
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার
চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের
বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২
মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ
শাকিব খানের সঙ্গে আইটেম গানে নুসরাত
রাজধানীর মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের দখলে সড়ক
ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক