কলা গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!
কেটে ফেলা কলাগাছ। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পারিবারিক শত্রুতার জেরে মোতালেব হোসন নামে এক ঔষধ ব্যবসায়ীর প্রায় অর্ধশত কলার ছড়িসহ কলা গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি মো. কামরুজ্জামান ভুঁইয়া ওরফে শাপলা নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে ভুক্তভোগী মোতালেব হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন। অভিযুক্ত শাপলা ভূঁইয়া শহর যুবলীগের নেতা।
এরআগে গত শুক্রবার ১৫ মার্চ ভূঞাপুর পৌর শহরের পুকুরিয়া শিয়াকোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এনিয়ে শনিবার গ্রাম্য সালিশে শাপলা ভূঁইয়া উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ঘটনার দুইদিন পর গত রবিবার ১৭ মার্চ সকালে ভূঞাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী মোতালেব হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মোতালেব হোসেন তার স্ত্রীর নামে সাব কওলাকৃত ২০ শতাংশ জমিতে কয়েক বছর আগে বিভিন্ন প্রজাতের কলা গাছ রোপণ করেছিলেন। সেগুলোতে কলা আসতে শুরু করেছে। গত শুক্রবার ১৫ মার্চ বিকালে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবেশি শাপলা ভূঁইয়া তার দলবল নিয়ে কলা গাছ কেটে ফেলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করে সে।
ভুক্তভোগী মোতালেব হোসেন জানান, গত শুক্রবার ১৫ মার্চ বিকালে পূর্ব শক্রতার জেরে শাপলা ভূঁইয়া আমার কলা বাগানের কলা গাছ কেটে ফেলে। পরে বিচার চেয়ে গ্রামের মাতাব্বরদের নিয়ে মিমাংসার জন্য গ্রাম সালিশির ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্ত সেই সালিশে উপস্থিত না হয়ে নানা রকম হুমকি দিচ্ছিল। তাই আমার নিরাপত্তার জন্য ভূঞাপুর থানায় একটি অভিযোগ করেছি।
গ্রাম্য মাতাব্বর জুয়েল তালুকদার ও ইয়াকুব তালুকদার বলেন, মোতালেব তার বাগানের কলা গাছ কাটার বিচার চাইলে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হয়। কিন্ত অভিযুক্ত প্রতিবেশি শাপলা ভূঁইয়া সালিশে উপস্থিত না থাকায় সালিশ করা যায়নি। পরে ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
এদিকে, কলা গাছ কেটে ফেলার বিষয়টি অস্বীকার করে মো. কামরুজ্জামান ভুঁইয়া (শাপলা) বলেন, সে নিজেই তার কলা বাগান কেটে আমাকে ফাঁসানো ও হয়রানি করার জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, কলাসহ গাছ কেটে ফেলার বিষয়ে মোতালেব হোসেন নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ী থানায় অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত চলছে।