সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ | ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫ কিলোমিটার যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ছুুটির দিনে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় টোল প্লাজায় টোল আদায়ে ধীরগতির কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে এমনই চিত্র চোখে পড়ে। নারায়ণগঞ্জ অংশের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানবাহনগুলো থেমে থেমে চলাচল করছে। আর সোনারগাঁয়ের চৈত্রী গার্মেন্ট থেকে মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। এ পথ পাড়ি দিতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যাচ্ছে।

এদিকে মহাসড়কের পাশের পাম্প স্টেশনগুলোতেও যানবাহনের প্রচুর চাপ দেখা গেছে। যানবাহনের চাপে টোল নিতে গিয়ে মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

শরীফুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, পারিবারিক কাজে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছি। শিমরাইল মোড় থেকে চৈত্রী পর্যন্ত ঠিকঠাকভাবে আসতে পারলেও টোলপ্লাজা পর্যন্ত যেতে সোয়া ১ ঘণ্টা লেগেছে। এর আগে এ পথ পাড়ি দিতে সর্বোচ্চ ১০-১৫ মিনিট সময় লাগতো।

ইসরাফিল হোসেন নামে আরেক যাত্রী বলে, বন্ধুরা মিলে চট্টগ্রামে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হয়েছি। হরতাল-অবরোধের কারণে সপ্তাহের অন্য দিন প্রাইভেটকার নিয়ে চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আজ বের হয়েছি। কিন্তু যানজটের কারণে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

আলমগীর হোসেন নামে ট্রাকের এক চালক বলেন, হরতাল-অবরোধে অনেক জায়গায় বাস-ট্রাক পুড়িয়ে দেয়। এ কারণে আমরা ভয়ে মহাসড়কে বের হই না। আজ যেহেতু হরতাল নেই তাই মালামাল পৌঁছে দিতে বের হয়েছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই মহাসড়কে যানবাহনের অত্যাধিক চাপ আছে। তবে মহাসড়কে কোথাও যানজট না থাকলেও টোলপ্লাজায় টোল নিতে দেরি হওয়ায় গাড়ির চাপ চৈত্রী গার্মেন্ট এলাকায় চলে এসেছে। আশা করছি দুপুরের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

Header Ad
Header Ad

বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা: কে কত বেতন পাবেন

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সোমবার কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকা অনুযায়ী, চলতি মার্চ মাস থেকে বিসিবি থেকে বেতন-ভাতা পাবেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।

কেন্দ্রীয় চুক্তির ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে শুধুমাত্র ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি মাসে বিসিবি থেকে দশ লাখ টাকা বেতন পাবেন।

‘এ’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে জাতীয় দলের তিন সিনিয়র ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাসকে। এই ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা প্রতি মাসে ৮ লাখ টাকা করে বেতন পাবেন।

অবসরজনিত কারণে পরিবর্তন এসেছে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ায় মুশফিকুর রহিমকে ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। এই ক্যাটাগরিতে মোট ৭ জন ক্রিকেটার আছেন। তারা হলেন- মুশফিকুর রহিম, মমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, তাওহীদ হৃদয়, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। এরা প্রত্যেকে মাসিক ৬ লাখ টাকা করে বেতন পাবেন।

কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ২২ জনের তালিকায় নাম থাকলেও ৩৯ বছর বয়সী অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বিসিবিকে অনুরোধ করেছেন তাকে কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত না করতে। ফলে মার্চ থেকে তিনি আর কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় থাকবেন না। ‘বি’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত হিসেবে তিনি ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেতন পাবেন।

‘সি’ ক্যাটাগরিতে মোট ৮ জন ক্রিকেটার অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। তারা হলেন- সাদমান ইসলাম, সৌম্য সরকার, জাকের আলী, তানজিদ তামিম, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তানজিম সাকিব ও শেখ মাহেদী। এই ক্যাটাগরিতে থাকা প্রত্যেকে মাসিক ৪ লাখ টাকা করে বেতন পাবেন।

সবচেয়ে কম বেতনের ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে আছেন দুইজন ক্রিকেটার- পেসার খালেদ আহমেদ ও স্পিনার নাসুম আহমেদ। তারা মাসে বিসিবি থেকে ২ লাখ টাকা বেতন পাবেন।

বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের বেতন কাঠামো আরও স্বচ্ছ ও পরিষ্কারভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এটি ক্রিকেটারদের আরও উৎসাহিত ও মনোবল বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

ভারতকে ব্যবহার করে শেখ হাসিনার প্রচারণা চালানো বিপজ্জনক: গার্ডিয়ানকে ড. ইউনূস

নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

স্বৈরাচারী শাসনের ১৫ বছর পর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। তার শাসনামলে ভেঙে পড়া গণতন্ত্র ও বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্য নিয়ে অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীরা শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার অনুরোধ জানান।

গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. ইউনূস। তার নেতৃত্বে নতুন যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার বিচার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের সাংবাদিক হান্না এলিস-পিটারসেনকে সাক্ষাৎকার দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ সোমবার প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল। তিনি মন্তব্য করেন, “তিনি (হাসিনা) যে ক্ষতি করেছেন তা ছিল ভয়াবহ। এটি ছিল আরেকটি গাজার মতো, পুরোপুরি বিধ্বস্ত একটি দেশ। তবে এখানে ভবন নয়, বরং ধ্বংস হয়েছে সব প্রতিষ্ঠান, নৈতিকতা, জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।”

ড. ইউনূস দেশের ভয়াবহ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, “হাসিনার শাসন কোনো সরকার ছিল না, ছিল দস্যু পরিবারের শাসন। বসের আদেশ পেলে কাজ হতো। কেউ সমস্যা করলে তাকে গুম করা হতো। নির্বাচন করতে চাইলে তাকে সব আসনে জয়ী হওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হতো। টাকা চাইলে ব্যাংক থেকে মিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়া হতো, যা কখনো ফেরত দিতে হতো না।”

তিনি আরো বলেন, “সরকারের সক্রিয় অংশগ্রহণে ব্যাংকগুলোকে জনগণের টাকা লুটের পূর্ণ লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। বন্দুকের ভয় দেখিয়ে কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সই করানো হতো।”

সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস আরও অভিযোগ করেন, ভারতে আশ্রয় নিয়ে শেখ হাসিনা নতুন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, যা দেশের অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। তিনি বলেন, “ভারত তাকে আশ্রয় দিচ্ছে, এটা মানা যায়। কিন্তু আমরা যা কিছু করছি, ভারতকে ব্যবহার করে তা নষ্ট করার প্রচারণা চালানোটা বিপজ্জনক। এটি দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।”

প্রতিবেদনে আরও বলা হয় যে, ভারত সরকারই ড. ইউনূসের একমাত্র সমস্যা নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরায় হোয়াইট হাউসে ফিরে আসাও তার জন্য সুসংবাদ নয়। তবে, ড. ইউনূস মনে করেন, বাংলাদেশকে ট্রাম্প 'বিনিয়োগের ভালো সুযোগ' এবং 'বাণিজ্যিক অংশীদার' হিসেবে দেখতে পারেন। তিনি বলেন, “ট্রাম্প একজন ডিলমেকার। তাই আমি তাকে বলছি, আমাদের সঙ্গে চুক্তিতে আসুন। যদি তা না করেন, তাহলে বাংলাদেশ কিছুটা কষ্ট পাবে। কিন্তু এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থামবে না।”

 

Header Ad
Header Ad

বাড়ি ফেরার পথে টাঙ্গাইলে গাড়ি চাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বাড়ি ফেরার পথে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে গাড়ি চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

সোমবার (১০ মার্চ) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের কামাক্ষার মোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার বাংগাছেও গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে মোটরসাইকেল চালক রাসেল রানা (২৫) ও সাইফুল ইসলামের ছেলে মোটরসাইকেল আরোহী বকুল সরকার (১৭)।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নিহতরা মোটরসাইকেলযোগে ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথিসধ্যে মহাসড়কের সল্লা কামাক্ষামোড় এলাকায় পৌঁছলে অজ্ঞাত একটি গাড়ি মোটরসাইকেলের পেছনে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যায়।

এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান জানান, খবর পেয়ে দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল ও মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা: কে কত বেতন পাবেন
ভারতকে ব্যবহার করে শেখ হাসিনার প্রচারণা চালানো বিপজ্জনক: গার্ডিয়ানকে ড. ইউনূস
বাড়ি ফেরার পথে টাঙ্গাইলে গাড়ি চাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা মানে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মাদের সহযোগিতা করা: টুকু
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহার রিয়াদের
আগামী ৮ বছর বিশ্বকে শাসন করতে প্রস্তুত ভারত: কোহলি
এনআইডিতে ডাকনাম-একাধিক স্ত্রীর নাম যুক্তের নীতিগত সিদ্ধান্ত
হাতের ইশারায় পলকের সালাম, বললেন মুখ খুললেই বাড়ে মামলা
দলীয় নেতাকে খুনের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির তিন নেতা বহিষ্কার
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী
কাফির বাড়িতে আগুনের ঘটনায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ কর্মী গ্রেপ্তার
এবার ঈদের আগে বাজারে আসছে না নতুন নোট
ছাত্র আন্দোলনে গুলি করা আওয়ামী লীগ নেতার ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
যে প্রক্রিয়ায় কোটি টাকা কেজিতে রপ্তানি হচ্ছে মাছ! (ভিডিও)
ওমরাহ পালন করে দলের ঐক্য দৃঢ় করল জাতীয় ফুটবল দল
হাসিনা ও পরিবারের ১২৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬৩৫ কোটি টাকার খোঁজ
জুলাই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া নিয়ে জাতিসংঘ থেকে বার্তা পায়নি সেনাবাহিনী: আইএসপিআর
আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রক্সি ভোট দিতে পারবেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা
“ধর্ষণের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রদল রাজপথে থাকবে”
ধনশ্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নতুন বান্ধবী নিয়ে দুবাইতে চাহাল! কে এই সুন্দরী?