রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বৃষ্টিতে তরমুজের পচন, লোকসান নিয়ে বাড়ি ফিরছেন চাষিরা

পটুয়াখালীর গলাচিপার তরমুজ চাষি জলিল আকন ট্রলারে করে সাড়ে ৭ হাজার তরমুজ নিয়ে এসেছেন বরিশাল পোর্ট রোডের বালুর ঘাটে (বর্তমানে তরমুজের আরত)। তবে মন খারপ করে বসে আছেন ট্রলারের এক পাশে। এ সময় কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ক্ষেতের সব তরমুজ বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। পটুয়াখালীর গলাচিপা দিয়া তরমুজ নিয়ে বরিশাল আইজ তিন-চার দিন হইছে আইসি। ক্ষেত দিয়া সব তরমুজ কাইট্টা নিয়া আইসি। দুই কানি জমিতে তরমুজ চাষ করছি। যাতে খরচ হয়েছে আড়াই লাখ টাকা। আর বরিশালে আসার পথেও অর্ধেক তরমুজ নষ্ট হইছে। যা বিক্রি করছি হেয়ার মধ্যে লেবারের টাকা, গাড়ির টাকা, ট্রলারের টাকা দিয়া ঘরে ১০টা টাকা নিয়াও উঠতে পারমু না। বাড়িতে এখন না খালি পকেটে যাওয়ার অবস্থা। এবার তরমুজ ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু মাঠেও টাকা নাই আর আমরা বেচতেও পারি না। সব ফেলায় দেওয়া লাগতেছে।’

বরিশালের তরমুজের পাইকারী আড়ত পোর্ট রোড বালুর ঘাটে সরেজমিনে দেখা যায়, বরিশালের বিভিন্ন স্থান থেকে তরমুজের শত শত ট্রলার ঘাটের চারপাশে খালের মধ্যে নোঙর করা আছে। সিরিয়াল অনুযায়ী এসব ট্রলারগুলো থেকে পণ্য নামাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঘাট শ্রমিক ও চাষিরা। অন্যদিকে আরতদার ও চাষিদের মধ্যে চলছে দাম-দর। কেউ কেউ হিসেব নিয়ে ব্যস্ত। তবে ঘাট ঘুরে ঘুরে দেখা যায়, খালের মধ্যে নোঙর করা ট্রলার থেকে হাজার-হাজার পঁচা তরমুজ খালের মধ্যে ফেলছেন চাষি ও শ্রমিকরা। এতে পুরো খাল ভরে গেছে পঁচা তরমুজে।

জানা গেছে, বরিশালের ভোলার চরফ্যাশন, চর কাজল, চর বিশ্বাস, লাহারাহাট, পটুয়াখালীর গলাচিপা, আমতলী, কালাইয়া, কালেসসরী, চন্দ্রদ্বীপ, বাঘমারা, বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থেকে তরমুজ আসে। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে ভরে পাঠানো হয়।

তরমুজ চাষী মোহাম্মদ কোবির খান বলেন, ‘ট্রলারে যত মাল নিয়ে আইছি হেয়ার মধ্যে তিন ভাগের দুই ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি এক ভাগ এখন কূলে উঠাইতেছি। তরমুজ সিজনের এখন এক মাস চলে। এর মধ্যে ২০ দিনই এই বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি। বাকি ১০ দিনে যা পাইছি,ক্ষেতে সব কাইটা ফেলছি।

গলাচিপার চর বিশ্বাস এলাকার তরমুজ চাষী রিপন বয়াতি বলেন, ‘বরিশাল ঘাটে আসছি আজ পাঁচ দিন। আমরা আড়াই কানি জমির মধ্যে তরমুজ চাষ করছি। বরিশালে ৫৫০ পিস তরমুজ নিয়া বরিশালে আসছি। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টিতে সব তলায় যাওয়ার কারণে এখন পথে অনাতে আনতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সাড়ে পাঁচশোর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৩০ পিস তরমুজ বিক্রি করতে পারছি। তাও কম দামে। এখন এই টলার ভাড়া এবং আড়তে টাকা দিয়ে বাড়িতে টাকা নিয়ে যাওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। পকেট খালি নিয়েই বাড়ি ফিরতে হবে। আমাগো এখন দুর্যোগ চলে। এত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না। ক্ষেতে ফলন ভালো হলে কি হবে বৃষ্টিতে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।’

অন্য এক চাষী মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘বৃষ্টি হইলে তরমুজ নষ্ট হয়। আর বৃষ্টি না হইলে তরমুজ মিষ্টি হয় না। মানুষ এখন বড় যন্ত্রণায় আছে। বর্তমানে ক্ষেতে যার তরমুজ আছে তারও অধিকাংশ পচা। রমজানের শুরু থেকেই বাজারে তরমুজ পঁচা আসতে আছে। তবে রমজানের আগে কিছুটা ভালো ছিল।’

এ বিষয়ে আড়তদার মো. হারুন বলেন, ‘একদিকে নদীর পানি। আরেকদিকে বৃষ্টি। যার কারণে এখন তরমুজ চাষীদের অকাল চলছে। বাজারে কি বিক্রি করবে, খরচ কেমনে উঠাবে? সেই চিন্তায় ব্যবসায়ীগো মাথা খারাপ। মাল (তরমুজ) টলারে এবং গাড়িতে তুলে বরিশাল ঘাটে আনতে আনতে তার অর্ধেকের বেশি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এগুলি অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং পানির কারণে হচ্ছে। এখন টলার ঘাটে তরমুজ বিক্রির জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে চাষিরা। যার কারণে তারা ইফতার করারও সময়টুকু পায় না। কারণ যত বেশি ঘাটে তরমুজ রাখবে তত বেশি তরমুজ নষ্ট হবে।’

পোর্ট রোড বালুরঘাটের তরমুজ ব্যবসায়ী আড়তদার শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘অধিকাংশ তরমুজ চাষীরা নদীর পাশে চরে চাষ করেন। ফলে জোয়ারের পানিটা ক্ষেতে ওঠে। এ ছাড়াও উপর থেকে বৃষ্টি পড়ে অন্যদিকে অতিরিক্ত গরম। যার কারণে এই তরমুজ নষ্ট হচ্ছে। এর বেশির ভাগ ক্ষতি হয় অমাবস্যা অথবা পূর্ণিমায় হঠাৎ করে ক্ষেতে পানি ওঠে তলিয়ে যায় যা থামানোর মতো কোনো উপায় থাকে না। এই তরমুজটা নষ্ট হওয়ার কারণে চাষিরা সঠিক দামটাও পায় না।’

অন্যদিকে ঘাটের দুর্ভোগের কথা জানিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘এই খালটির খনন কাজ না হওয়ার কারণে সব ট্রলারগুলো একত্রে ঘাটে ভিড়তে পারে না। এই কারণে সিরিয়াল নিয়ে ঘাটে ভিড়তে হয়। অনেক চাষীদের দুই থেকে তিন-চার দিনও ট্রলার দূরে ভিড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। এ জন্য রোদ আর অতিরিক্ত গরমের কারণে তরমুজ নষ্ট হচ্ছে। এই খালটি খননের দাবি জানাই। খনন হলে কিছুটা চাষীদের দুর্ভোগ কমবে। বরিশাল পোর্ট রোড এবং লঞ্চঘাটের আওতাভুক্ত যারা ভুক্তভোগী তাদের এই সমস্যাটা বেশি দেখা দিচ্ছে। যেখানে একটি তরমুজের ট্রলার খালি করতে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা কিন্তু সেখানে ট্রলার ঢুকতেই সময় লাগে তিন থেকে চার দিন। ফলে ওই তরমুজের সঠিক দামটাও চাষিরা পায় না। ওই তরমুজের বাজার দর যদি থাকে ১০ থেকে ৯ হাজার টাকা সেখানে তারা তিন-চার দিন পরে পায় তিন থেকে চার হাজার টাকা। তাহলে চাষিরা দাম পাবে কিভাবে?’

আড়তদার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খালে পানি নাই। ট্রলার ভিড়তে পারে না। ঠিকমতো প্লেস পায় না। যার জন্য এখন চাষিরা লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে। আমরা ঘাট কর্তৃপক্ষের কাছে বলেছি এখানে ব্যবসা করতে হলে খালটিকে দ্রুত খনন করতে হবে। তা না হলে ব্যবসা করা সম্ভব হবে না। কারণ কোনো ট্রলার এখন ভিড়তে পারছে না ঘাটে।’

বরকত ফল ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী বরকতুল্লাহ বলেন, ‘বৃষ্টির কারণ এবং পানির কারণে পঁচা তরমুজ বাজারে আসছে। তরমুজ এমনভাবে পচা শুরু করেছে, ভয়ে চাষিরা তাদের ক্ষেতে যা পেয়েছে তাই কেটে বাজারে নিয়ে আসছে। তাও পথে পথে অনেক তরমুজ পঁচে যাচ্ছে। যার কারণে এখন অর্ধেক তরমুজ ঘাটে এসে পৌঁছায় না। এমন অবস্থায় পৌঁছেছে। যেমন ৫০০ টাকার তরমুজে এখন কৃষক পাচ্ছে মাত্র ৫০ টাকা। এছাড়া আড়তদারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

মেসার্স বিসমিল্লাহ ফ্রটসের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘বর্তমানে তরমুজের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। কারণ বর্ষার জন্য তরমুজ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। গাছ মরে যাচ্ছে। এজন্য চাষিদের পাশাপাশি আড়তদারেও ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে দাধন দিয়েছি। যেখানে ৫ লাখ টাকার মাল আসার কথা সেখানে মাল নামতেছে ৫০ হাজার টাকার। তাতে চাষীও শেষ এবং দাদন দেওয়া আড়তদারাও শেষ। দিন শেষে আমরাই খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।’

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘এই বছর বৃষ্টির কারণে পটুয়াখালী অঞ্চলে ১২০০ হেক্টর জমির তরমুজ চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এই বৃষ্টি চলতি মাসের শেষ বা মাঝামাঝি সময়ে হলে চাষিরা বেশি ক্ষতি হতো না।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্যান বিশেষজ্ঞ জিএমএম কবীর খান জানান, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তরমুজ ক্ষেতে পানি জমে গেছে। এ ছাড়াও কোথাও কোথাও শিলা বৃষ্টির কারণে তরমুজে পচন ধরে। তবে বরিশাল বিভাগে তরমুজে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাদের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। পানি নেমে যাওয়ার পর ওইসব ক্ষেতে ওষুধ ছেটানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামার বাড়ির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে বরিশাল জেলায় তরমুজ চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭০০ হেক্টর জমিতে। তবে আবাদ হয়েছে ১০৪৬ হেক্টর জমিতে।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

জিন্স পরে খেলায় নিষেধাজ্ঞা, টুর্নামেন্ট থেকেই বাদ ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেন

ছবি: সংগৃহীত

ড্রেসকোড ভাঙার কারণে দাবার ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ম্যাগনাস কার্লসেনকে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড র‍্যাপিড চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ৫ বারের র‍্যাপিড এবং ৭ বারের ব্লিটৎজ চ্যাম্পিয়ন এই দাবাড়ু জিন্স পরে খেলায় অংশ নিয়ে ফিদে’র নিয়ম লঙ্ঘন করেন।

র‍্যাপিড চ্যাম্পিয়নশিপে সপ্তম রাউন্ডের পর কার্লসেনকে জিন্স পরার জন্য ২০০ ডলার জরিমানা করা হয়। অষ্টম রাউন্ডে জয়ী হওয়ার পর নবম রাউন্ডে তাকে পোশাক পরিবর্তনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কার্লসেন নির্দেশ অমান্য করেন। এর ফলে তাকে নবম রাউন্ড থেকে বাদ দেওয়া হয় এবং পুরো টুর্নামেন্টের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

ফিদে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে “ম্যাগনাস কার্লসেন ড্রেসকোড লঙ্ঘন করেছেন। তাকে পোশাক পরিবর্তনের নির্দেশ এবং জরিমানা করা হয়েছিল। তবে তিনি তা মানেননি। এই সিদ্ধান্ত পক্ষপাতহীন এবং সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।”

নরওয়েজিয়ান মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কার্লসেন ফিদে’র এই সিদ্ধান্তের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “ফিদে’র এই নিয়ম খুবই হাস্যকর। আমি নিয়মটি মানতে পারতাম, কিন্তু তারা আমার কথা শুনতে চায়নি। আমি সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।”

ফিদে’র ড্রেসকোড নীতিতে জিন্স নিষিদ্ধ। রাশিয়ার গ্র্যান্ডমাস্টার ইয়ান নেপোমনিয়াচ্চি একবার এই নিয়ম ভেঙেছিলেন, তবে তিনি পোশাক পরিবর্তন করে খেলায় ফিরে আসেন। কিন্তু কার্লসেন পোশাক পরিবর্তনে অনাগ্রহ দেখান।

কার্লসেনের মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের এই ঘটনায় দাবার জগতে শোরগোল উঠেছে। তার ভক্ত এবং সমালোচকরা বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়েছেন। অনেকেই ফিদে’র ড্রেসকোডের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, আবার কেউ কেউ নিয়ম মানার গুরুত্বের ওপর জোর দিচ্ছেন।

দাবার মতো ঐতিহ্যবাহী খেলায় ড্রেসকোডের প্রতি সম্মান রাখা জরুরি হলেও, এমন সিদ্ধান্তে খেলোয়াড়দের মতামত এবং স্বাধীনতার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা উচিত। ম্যাগনাস কার্লসেনের এই ঘটনা ক্রীড়া নীতিমালার প্রতি নতুন করে আলোচনার দ্বার খুলে দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

অর্থপাচার কমে গেছে, বাংলাদেশে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের ওপরে: গভর্নর

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে রিজার্ভ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, বাংলাদেশে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের উপরে রয়েছে। গত ৫ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ বিলিয়ন। প্রথম দিকে বলেছিলাম ১০টি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে। কিন্তু সেগুলো এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রেক্ষাপট এখন পরিবর্তন হচ্ছে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা অডিটরিয়ামে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ৪০০ তম শাখা হিসেবে ঘাটাইল শাখার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি রিজার্ভ ব্যাপারে এ বিষয়টি জানান।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকিং খাতের ধস নিয়ে অনেকেই চিন্তিত ছিলেন। সেখান থেকে এখন ব্যাংকগুলো যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেটাই বড় বিষয়। এখন আর এগুলো পড়ে যাবে না। একটিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে আগাতে পারবে না। রাষ্ট্রের অর্থনীতি পূর্ণ গঠন করতে হলে এই ব্যাংকিং খাতকে পূর্ণ গঠন করতে হবে। সব মিলিয়ে ইসলামী ব্যাংক এখন শীর্ষেই অবস্থান করছে এবং আন্তর্জাতিক মানে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। ইসলামী ব্যাংকিং খাতকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে কতগুলো সংকট ছিল। বৈশ্বিক বাণিজ্য আমাদের বিশাল ঘাটতি ছিল। রিজার্ভের পতন হচ্ছিল। এই জায়গা থেকে আমরা অনেকটুকু বের হয়ে এসেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ আর কমছে না। গত আগস্ট মাসের পরে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন ডলার বিক্রি করেনি। কাজেই আমাদের রিজার্ভ কমবে না, বাড়বেই। রেমিট্যান্সের বিরাট প্রবাহ পরিবর্তন হয়েছে। গত পাঁচ মাসে আমাদের ৩ বিলিয়ন অতিরিক্ত রেমিট্যান্স এসেছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় অর্থের পাচার কমে গেছে।

এ সময় ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, ইনডিপেন্ডেন্ট ডাইরেক্টর মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্ট মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশে গাড়ির যন্ত্রাংশ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা ভারতের ব্যবসায়ীদের

ছবি: সংগৃহীত

দিল্লির কাশ্মীর গেটের অটো যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশের ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা’ এবং মন্দিরে ‘আক্রমণের’ অভিযোগের প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস।

অটোমোটিভ পার্টস মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিনয় নারাং বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) জানিয়েছেন, আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য সব ধরনের রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশের এসব অভিযোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা এবং প্রতিবাদ জানানো তাদের লক্ষ্য।

বিনয় নারাং বলেন, “বাংলাদেশে যা ঘটেছে, আমাদের মন্দির ধ্বংস করা হয়েছে এবং আমাদের হিন্দু ভাইদের হত্যা করা হয়েছে। এটি খুবই অন্যায়। তাই আমরা ব্যবসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। গাড়ির যন্ত্রাংশ না পেলে তাদের পরিবহন ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়বে। আমরা চাই, তারা তাদের ভুল বুঝতে পারুক।”

কাশ্মীর গেটের বাজারে প্রায় ২,০০০ দোকান রয়েছে, যা মারুতি, হুন্ডাই, টাটা-সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ির যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে। বাংলাদেশ এই বাজার থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ যন্ত্রাংশ আমদানি করে থাকে। তবে রপ্তানি স্থগিতের ফলে অর্থপ্রদানে বিলম্ব ঘটছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, “জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বাংলাদেশের বর্তমান চ্যালেঞ্জ এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি এই কঠিন সময়ে দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।”

দিল্লির ব্যবসায়ীদের এই সিদ্ধান্ত এবং আন্তর্জাতিক মহলের মানবাধিকার আলোচনা বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক অবস্থানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই পদক্ষেপ দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করেছে।

যন্ত্রাংশ রপ্তানি বন্ধের এই ঘোষণা শুধুমাত্র ব্যবসায়িক নয়, বরং রাজনৈতিক ও সামাজিক বার্তাও বহন করে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উভয় দেশের কর্তৃপক্ষের দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জিন্স পরে খেলায় নিষেধাজ্ঞা, টুর্নামেন্ট থেকেই বাদ ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেন
অর্থপাচার কমে গেছে, বাংলাদেশে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের ওপরে: গভর্নর
বাংলাদেশে গাড়ির যন্ত্রাংশ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা ভারতের ব্যবসায়ীদের
অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে সন্তানদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারালেন বাংলাদেশি দম্পতি
নগর ভবনে স্থানীয় সরকারের দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু কাল থেকে
বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়েসহ ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু
২০২৫ সালে ১০ লাখেরও বেশি ভারতীয়কে ভিসা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
সংস্কার না হলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: ১৯ পাক সেনা নিহত, উত্তেজনা তুঙ্গে
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথের ঐক্য ধরে রাখতে হবে: মাওলানা মামুনুল হক
ভূঞাপুর থানা ভবন যেনো মরণ ফাঁদ, খসে পড়ছে ভবনের প্লাস্টার
নীতিশের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ে ফিরলো ভারত  
আগামী নির্বাচনে জনগণ দিনের আলোতে প্রার্থী নির্বাচিত করতে পারবে
মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুন
সিলেট সীমান্তে ভারতীয়র গুলিতে দুদিনে ২ বাংলাদেশি নিহত
১৭ বছর নয়, ১৮ বছরই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য: মির্জা ফখরুল  
৭০ বছর পর বদলে যাচ্ছে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর নাম
সব ইসলামী দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না: জামায়াত আমির
টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনে ধাক্কা, সেই বাসচালক গ্রেপ্তার  
বিপিএলে রাজশাহীর সহকারী কোচ হলেন পাকিস্তানের ইফতিখার