বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৬ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বৃষ্টিতে তরমুজের পচন, লোকসান নিয়ে বাড়ি ফিরছেন চাষিরা

পটুয়াখালীর গলাচিপার তরমুজ চাষি জলিল আকন ট্রলারে করে সাড়ে ৭ হাজার তরমুজ নিয়ে এসেছেন বরিশাল পোর্ট রোডের বালুর ঘাটে (বর্তমানে তরমুজের আরত)। তবে মন খারপ করে বসে আছেন ট্রলারের এক পাশে। এ সময় কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ক্ষেতের সব তরমুজ বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। পটুয়াখালীর গলাচিপা দিয়া তরমুজ নিয়ে বরিশাল আইজ তিন-চার দিন হইছে আইসি। ক্ষেত দিয়া সব তরমুজ কাইট্টা নিয়া আইসি। দুই কানি জমিতে তরমুজ চাষ করছি। যাতে খরচ হয়েছে আড়াই লাখ টাকা। আর বরিশালে আসার পথেও অর্ধেক তরমুজ নষ্ট হইছে। যা বিক্রি করছি হেয়ার মধ্যে লেবারের টাকা, গাড়ির টাকা, ট্রলারের টাকা দিয়া ঘরে ১০টা টাকা নিয়াও উঠতে পারমু না। বাড়িতে এখন না খালি পকেটে যাওয়ার অবস্থা। এবার তরমুজ ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু মাঠেও টাকা নাই আর আমরা বেচতেও পারি না। সব ফেলায় দেওয়া লাগতেছে।’

বরিশালের তরমুজের পাইকারী আড়ত পোর্ট রোড বালুর ঘাটে সরেজমিনে দেখা যায়, বরিশালের বিভিন্ন স্থান থেকে তরমুজের শত শত ট্রলার ঘাটের চারপাশে খালের মধ্যে নোঙর করা আছে। সিরিয়াল অনুযায়ী এসব ট্রলারগুলো থেকে পণ্য নামাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঘাট শ্রমিক ও চাষিরা। অন্যদিকে আরতদার ও চাষিদের মধ্যে চলছে দাম-দর। কেউ কেউ হিসেব নিয়ে ব্যস্ত। তবে ঘাট ঘুরে ঘুরে দেখা যায়, খালের মধ্যে নোঙর করা ট্রলার থেকে হাজার-হাজার পঁচা তরমুজ খালের মধ্যে ফেলছেন চাষি ও শ্রমিকরা। এতে পুরো খাল ভরে গেছে পঁচা তরমুজে।

জানা গেছে, বরিশালের ভোলার চরফ্যাশন, চর কাজল, চর বিশ্বাস, লাহারাহাট, পটুয়াখালীর গলাচিপা, আমতলী, কালাইয়া, কালেসসরী, চন্দ্রদ্বীপ, বাঘমারা, বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থেকে তরমুজ আসে। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে ভরে পাঠানো হয়।

তরমুজ চাষী মোহাম্মদ কোবির খান বলেন, ‘ট্রলারে যত মাল নিয়ে আইছি হেয়ার মধ্যে তিন ভাগের দুই ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি এক ভাগ এখন কূলে উঠাইতেছি। তরমুজ সিজনের এখন এক মাস চলে। এর মধ্যে ২০ দিনই এই বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি। বাকি ১০ দিনে যা পাইছি,ক্ষেতে সব কাইটা ফেলছি।

গলাচিপার চর বিশ্বাস এলাকার তরমুজ চাষী রিপন বয়াতি বলেন, ‘বরিশাল ঘাটে আসছি আজ পাঁচ দিন। আমরা আড়াই কানি জমির মধ্যে তরমুজ চাষ করছি। বরিশালে ৫৫০ পিস তরমুজ নিয়া বরিশালে আসছি। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টিতে সব তলায় যাওয়ার কারণে এখন পথে অনাতে আনতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সাড়ে পাঁচশোর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৩০ পিস তরমুজ বিক্রি করতে পারছি। তাও কম দামে। এখন এই টলার ভাড়া এবং আড়তে টাকা দিয়ে বাড়িতে টাকা নিয়ে যাওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। পকেট খালি নিয়েই বাড়ি ফিরতে হবে। আমাগো এখন দুর্যোগ চলে। এত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না। ক্ষেতে ফলন ভালো হলে কি হবে বৃষ্টিতে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।’

অন্য এক চাষী মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘বৃষ্টি হইলে তরমুজ নষ্ট হয়। আর বৃষ্টি না হইলে তরমুজ মিষ্টি হয় না। মানুষ এখন বড় যন্ত্রণায় আছে। বর্তমানে ক্ষেতে যার তরমুজ আছে তারও অধিকাংশ পচা। রমজানের শুরু থেকেই বাজারে তরমুজ পঁচা আসতে আছে। তবে রমজানের আগে কিছুটা ভালো ছিল।’

এ বিষয়ে আড়তদার মো. হারুন বলেন, ‘একদিকে নদীর পানি। আরেকদিকে বৃষ্টি। যার কারণে এখন তরমুজ চাষীদের অকাল চলছে। বাজারে কি বিক্রি করবে, খরচ কেমনে উঠাবে? সেই চিন্তায় ব্যবসায়ীগো মাথা খারাপ। মাল (তরমুজ) টলারে এবং গাড়িতে তুলে বরিশাল ঘাটে আনতে আনতে তার অর্ধেকের বেশি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এগুলি অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং পানির কারণে হচ্ছে। এখন টলার ঘাটে তরমুজ বিক্রির জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে চাষিরা। যার কারণে তারা ইফতার করারও সময়টুকু পায় না। কারণ যত বেশি ঘাটে তরমুজ রাখবে তত বেশি তরমুজ নষ্ট হবে।’

পোর্ট রোড বালুরঘাটের তরমুজ ব্যবসায়ী আড়তদার শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘অধিকাংশ তরমুজ চাষীরা নদীর পাশে চরে চাষ করেন। ফলে জোয়ারের পানিটা ক্ষেতে ওঠে। এ ছাড়াও উপর থেকে বৃষ্টি পড়ে অন্যদিকে অতিরিক্ত গরম। যার কারণে এই তরমুজ নষ্ট হচ্ছে। এর বেশির ভাগ ক্ষতি হয় অমাবস্যা অথবা পূর্ণিমায় হঠাৎ করে ক্ষেতে পানি ওঠে তলিয়ে যায় যা থামানোর মতো কোনো উপায় থাকে না। এই তরমুজটা নষ্ট হওয়ার কারণে চাষিরা সঠিক দামটাও পায় না।’

অন্যদিকে ঘাটের দুর্ভোগের কথা জানিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘এই খালটির খনন কাজ না হওয়ার কারণে সব ট্রলারগুলো একত্রে ঘাটে ভিড়তে পারে না। এই কারণে সিরিয়াল নিয়ে ঘাটে ভিড়তে হয়। অনেক চাষীদের দুই থেকে তিন-চার দিনও ট্রলার দূরে ভিড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। এ জন্য রোদ আর অতিরিক্ত গরমের কারণে তরমুজ নষ্ট হচ্ছে। এই খালটি খননের দাবি জানাই। খনন হলে কিছুটা চাষীদের দুর্ভোগ কমবে। বরিশাল পোর্ট রোড এবং লঞ্চঘাটের আওতাভুক্ত যারা ভুক্তভোগী তাদের এই সমস্যাটা বেশি দেখা দিচ্ছে। যেখানে একটি তরমুজের ট্রলার খালি করতে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা কিন্তু সেখানে ট্রলার ঢুকতেই সময় লাগে তিন থেকে চার দিন। ফলে ওই তরমুজের সঠিক দামটাও চাষিরা পায় না। ওই তরমুজের বাজার দর যদি থাকে ১০ থেকে ৯ হাজার টাকা সেখানে তারা তিন-চার দিন পরে পায় তিন থেকে চার হাজার টাকা। তাহলে চাষিরা দাম পাবে কিভাবে?’

আড়তদার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খালে পানি নাই। ট্রলার ভিড়তে পারে না। ঠিকমতো প্লেস পায় না। যার জন্য এখন চাষিরা লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে। আমরা ঘাট কর্তৃপক্ষের কাছে বলেছি এখানে ব্যবসা করতে হলে খালটিকে দ্রুত খনন করতে হবে। তা না হলে ব্যবসা করা সম্ভব হবে না। কারণ কোনো ট্রলার এখন ভিড়তে পারছে না ঘাটে।’

বরকত ফল ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী বরকতুল্লাহ বলেন, ‘বৃষ্টির কারণ এবং পানির কারণে পঁচা তরমুজ বাজারে আসছে। তরমুজ এমনভাবে পচা শুরু করেছে, ভয়ে চাষিরা তাদের ক্ষেতে যা পেয়েছে তাই কেটে বাজারে নিয়ে আসছে। তাও পথে পথে অনেক তরমুজ পঁচে যাচ্ছে। যার কারণে এখন অর্ধেক তরমুজ ঘাটে এসে পৌঁছায় না। এমন অবস্থায় পৌঁছেছে। যেমন ৫০০ টাকার তরমুজে এখন কৃষক পাচ্ছে মাত্র ৫০ টাকা। এছাড়া আড়তদারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

মেসার্স বিসমিল্লাহ ফ্রটসের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘বর্তমানে তরমুজের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। কারণ বর্ষার জন্য তরমুজ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। গাছ মরে যাচ্ছে। এজন্য চাষিদের পাশাপাশি আড়তদারেও ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে দাধন দিয়েছি। যেখানে ৫ লাখ টাকার মাল আসার কথা সেখানে মাল নামতেছে ৫০ হাজার টাকার। তাতে চাষীও শেষ এবং দাদন দেওয়া আড়তদারাও শেষ। দিন শেষে আমরাই খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।’

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘এই বছর বৃষ্টির কারণে পটুয়াখালী অঞ্চলে ১২০০ হেক্টর জমির তরমুজ চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এই বৃষ্টি চলতি মাসের শেষ বা মাঝামাঝি সময়ে হলে চাষিরা বেশি ক্ষতি হতো না।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্যান বিশেষজ্ঞ জিএমএম কবীর খান জানান, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তরমুজ ক্ষেতে পানি জমে গেছে। এ ছাড়াও কোথাও কোথাও শিলা বৃষ্টির কারণে তরমুজে পচন ধরে। তবে বরিশাল বিভাগে তরমুজে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাদের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। পানি নেমে যাওয়ার পর ওইসব ক্ষেতে ওষুধ ছেটানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামার বাড়ির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে বরিশাল জেলায় তরমুজ চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭০০ হেক্টর জমিতে। তবে আবাদ হয়েছে ১০৪৬ হেক্টর জমিতে।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

সাবেক মেয়র তাপসের সন্ধান দিলেন ডিবি হারুন

শেখ ফজলে নূর তাপস (বামে) এবং হারুন অর রশিদ। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীরা অনেকেই দেশ ছেড়েছেন। পরিস্থিতি আরো তীব্র হওয়ার আগেই পালিয়ে গিয়েছিলেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাদের মধ্যে ছিলেন শেখ পরিবারের সদস্য এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

তাপসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ রয়েছে, যা তাকে বিতর্কের মুখে ফেলেছে। বর্তমানে তিনি কোথায় অবস্থান করছেন, কী করছেন—এই বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল রয়েছে। তার অবস্থান নিয়ে সম্প্রতি নতুন তথ্য দিয়েছেন আরেক বিতর্কিত ও পালাতক সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ।

কানাডার নাগরিক টিভির বার্তা প্রধান নাজমুস সাকিব সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন সম্প্রচার করেন, যেখানে হারুন অর রশিদের একটি কল রেকর্ড প্রকাশ করা হয়। ওই কল রেকর্ডে জানা যায়, সাবেক মেয়র শেখ তাপস বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন এবং সেখানে তিনি ভিসা ছাড়াই রয়েছেন।

জানা গেছে, শেখ তাপস ৩ আগস্ট, ২০২৩-এ ঢাকা ছাড়েন। সেদিন বিমানবন্দরে তাকে আটক করা হলেও তিনি তার পরিবারকে যুক্তরাজ্যে পাঠিয়ে দেন এবং রাতের ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর চলে যান।

এদিকে, হারুন অর রশিদও বর্তমানে পালাতক অবস্থায় আছেন। তার অবস্থান পরিষ্কার নয়, তবে জানা গেছে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের লং আইল্যান্ডে অবস্থান করছেন। ৫ আগস্টের পর তিনি সেখানে পালিয়ে যান।

তাপসের মতো, হারুনও সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের মুখে ছিলেন, এবং তার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জনমনে বেশ আলোচিত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে ঘর ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধদের নামাজ আদায়

টাঙ্গাইলে ঘর ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে নামাজ আদায় করেছেন বিক্ষুব্ধরা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের মধুপুরে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে বনবিভাগের লোকজন সুমাইয়া নামে এক নওমুসলিম নারীর ঘর ভেঙে দেয়। এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর প্রতিবাদে বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টায় টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ আদায় করেন স্থানীয়রা।

এর পর প্রশাসনের আশ্বাসে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে অবরোধটি তুলে নেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এর আগে সকালে বন বিভাগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ওই নওমুসলিম নারীর বাড়ি-ঘর ভেঙে দেয়।

জানা যায়, উপজেলার গাছাবাড়ী এলাকায় এক খৃষ্টধর্মীয় গারো নারী কয়েক বছর আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে সুমাইয়া শেখ নামের ওই নারী পঁচিশ মাইল এলাকায় ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে বিনা ভাড়ায় বসবাস করে আসছেন।

স্থানীয়রা ওই নারীর প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়ে অর্থ দিয়ে পঁচিশ মাইল বাসস্ট্যান্ডের কাছে বসতিপূর্ণ এলাকায় ৩ শতাংশ জমির দখলস্বত্ব কিনে দিয়ে ঘর নির্মাণ করে দেন। সেই ঘরটির নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি।

এর মধ্যেই বুধবার সকালে বন বিভাগ সুমাইয়ার ঘরটি ভেঙে দেয়। পর স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হরে আছরের নামাজের পর থেকেই জলছত্র থেকে পঁচিশ মাইল এলাকায় ঘর ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে মাগরিবের নামাজ আদায় করে। পরে পঁচিশ মাইল বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা।

সমাবেশে বক্তব্য দেন- বিএডিসি মসজিদের ইমাম ইব্রাহীম তকী, মুফতি আরিফ আদনান, পঁচিশ মাইল জামে মসজিদের খতিব আব্দুল বাছেদ, মুফতি মাসুম বিল্লাহ, ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ, আব্দুস সামাদ খান, আবু হানিফ, হাফেজ সোহাইল আহমেদ প্রমুখ।

ভুক্তভোগী নওমুসলিম সুমাইয়া শেখ জানান, ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় আমি এখন অসহায়। বর্তমানে এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছি। স্থানীয়রা অনুদান ও যাকাতের টাকা দিয়ে সহযোগিতা করায় ঘর নির্মাণ করতেছি, এখনো কাজ শেষ হয়নি।

তিনি আরও বলেন- ঘরটি সরিয়ে নিতে আমাকে কোন প্রকার নোটিশ দেওয়া হয়নি। হঠাৎ করেই আমার ঘর ভেঙে দিয়েছে বনবিভাগ। অথচ চারদিকে শতশত বাড়ি ঘর, সেগুলো ভেঙে ফেলেনি। ঘরটি ভেঙে ফেলায় থাকার জায়গা আর রইল না।

উপজেলার গাছাবাড়ী বিটের বন কর্মকর্তা আব্দুল কদ্দুছ জানান, রেঞ্জ অফিস থেকে আমাকে বলেছে তাই আমি উচ্ছেদ অভিযানে গিয়েছি। আমি নতুন এসেছি, তাই বেশি কিছুই জানি না।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে রয়েছি, বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন এবং স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পেলেন ড. খলিলুর রহমান

ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানকে একই সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে খলিলুর রহমানকে এই নতুন দায়িত্ব দেয়ার কথা জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এই প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) জাহেদা পারভীন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এখন থেকে খলিলুর রহমানের পদবি হবে ‘জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং রোহিঙ্গা সমস্যাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ’। এর পাশাপাশি তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনেও সাহায্য করবেন।

গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলিসংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে নিয়োগ পান খলিলুর রহমান। খলিলুর রহমান উপদেষ্টার মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে সেদিন এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছিল। আজ তার নতুন পদায়নের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সেই প্রজ্ঞাপনের অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাবেক মেয়র তাপসের সন্ধান দিলেন ডিবি হারুন
টাঙ্গাইলে ঘর ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধদের নামাজ আদায়
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পেলেন ড. খলিলুর রহমান
ভারতে ৫ বছর সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৬ নারী
বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করল ভারত
২১ এপ্রিল কাতার সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
১৬২ জনকে নিয়োগ দেবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর
বিমানে সহযাত্রীর শরীরে মূত্রত্যাগ করলেন ভারতীয় মাতাল যাত্রী!
এ বছর ৩৬ টাকায় ধান ও ৪৯ টাকায় চাল কিনবে সরকার
আওয়ামী লীগের বিচার এবং নিবন্ধন বাতিলে একমত হেফাজত ও এনসিপি
দুর্বল শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করা হবে: গভর্নর
গুলশানের এক কিলোমিটার রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করল ডিএনসিসি
যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশের জবাবে ৮৪ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করল চীন
মুজিববর্ষে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়, শেখ হাসিনা-রেহানার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
১৫ কোটি বাজেটের ‘বরবাদ’-এ শাকিবের পারিশ্রমিক ১ কোটি ২০ লাখ টাকা
‘অতি গোপনীয় অভিযোগ’ নিয়ে দুদকে হাসনাত-সারজিস
ডিসেম্বরের আগে সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চাওয়া হবে: সালাহ উদ্দিন
ঈদযাত্রায় সড়কে ৩১৫ দুর্ঘটনায় ৩২২ জন নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
উদ্ধার করা সওজের জমি দখলে নিল সমন্বয়করা!
নবাব শেখের ভাইরাল সেই ‘চলমান-খাট’ নিয়ে গেছে পুলিশ