'মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলা ক্যানসারের মতো'
আমি সেপ্টেম্বর মাসে ভিজিট করে যা দেখে গিয়েছিলাম তার তুলনায় এখন ডাবল হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন যত্রতত্র ও মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলানোর বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নিলে আমরা তাদেরকে (যেসব প্রতিষ্ঠান ময়লা ফেলছে) মন্ত্রনালয়ে ডাকবো তারা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করতেছে।
ওইসব কর্মকর্তাদেরকে জেলা পর্যায়ের গনশুনানীতে ডাকা হলেও তারা উপস্থিত হচ্ছে না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন তারপরও যদি তারা দায়িত্ব পালন না করে তাহলে তাদেরকে দায়িত্বে না রাখার জন্য আমার সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে রিকমান্ড করবো। এটা আমরা মেনে নিতে পারি না।
আমরা যা বলে গেছি বরং আমাদেরকে উপেক্ষা করে এবং এ বিষয়টি প্রায়ই বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসতেছে। এটা একটা ক্যানসারের মতো। যতো লোক এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে তারা এটা দেখে। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দসহ আমরা নিজেরাও চলাচল করি।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকাল সোয়া ৯টায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী এলাকায় মহাসড়কের পাশে ময়লার ভাগাড় ও স্থানীয় লবহনদ নদী পরিদর্শনে এসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
স্থানীয় ব্যাক্তিরা অভিযোগ করেন কিছু প্রভাবশালী শিল্প কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন কিনা এ প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা ইম্প্লিমেন্টিং এজেন্সি না। এটা করবে পরিবশে অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন, উপজেলা নদী রক্ষা কমিটি। এই দূষনের জন্য মূলত দায়ী স্থানীয় পৌরসভা এবং মেয়র দায়ী। আইন অনুাসারে এখানে প্রাইমারী দায়িত্ব মেয়রের। এটাকে ক্লীন রাখারা দায়িত্ব প্রথমে হলো পৌরসভার।
স্থানীয় প্রশাসন (ইউএনও এবং পুলিশ) তারা এটাকে নিয়ন্ত্রনে রাখার মূল দায়িত্বে না। এখানে ক্লীন রাখার জন্য যদি কোনো বাধা আসে বা কেউ বাধা দেয় তখন তারা উনার সহযোগীতা নিতে পারে। মেয়র যদি এখানে একটিভ হয় তাহলে এ স্থানে কেউ ময়লা ফেলতে পারবে না। এখানে গ্রীণ রাখার দায়িত্ব পৌরসভার। আমরা মূলত পৌরসভাকে প্রাথমিকভাবে দায়ী করেই এবং একই সময়ে পরিবশে অধিদপ্তরকেও বলবো তারা ইচ্ছা করলে এটাকে মুক্ত রাখতে পারে।
নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের সাথে স্থানীয় প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল আকষ্মিক পরিদর্শনে গিয়ে ইটিপির বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুরের উপ-পরিচালক নয়ন মিয়া বলেন, দৃশ্যতা উনারা ট্রিটমেন্ট করলো পানি আউটলেটে যাচ্ছে সেটা কালোই দেখা যাচ্ছে। দৃশ্যমান পরিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছি না। যদিও উনারা পানি পরিশোধনের জন্য বিভিন্ন বিএস, ডিও, টিডিএস এবং সিওডি ব্যবহার করছেন তাতে পানির কালার পরিবর্তন হচ্ছে না। পানি দেখা যাচ্ছে খারাপ। নদী রক্ষা কমিশন বলছে আমার কারখানা থেকে ভালো পানি চাই।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের উপ-পরিচালক মো: আখতারুজ্জামান তালুকদার, খ. ম. কবিরুল ইসলাম, সহকারী প্রধান সাকিব মাহমুদ, তৌহিদুল আজিজ, সহকারী পরিচালক তৌহিদুর রহমান ও আশরাফুল হক, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা পরিবশে অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নয়ন মিয়া, শ্রীপুর উপজেলা জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য খোরশেদ আলমসহ প্রশাসন এবং নদী ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এএজেড