টাঙ্গাইল-৭ আসনে উপনির্বাচন কাল
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপ-নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। এভার ভোট প্রয়োগের পালা। আগামীকাল রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ (নৌকা), জাতীয় পার্টির জহিরুল হক জহির (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির গোলাম নওজব চৌধুরী (হাতুড়ি), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির রুপা রায় চৌধুরী (ডাব) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু (মোটর গাড়ি)।
ভোটাররা বলেন, এ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। এরপরের অবস্থানে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। মূলত লড়াই হবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মধ্যে। যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী খান আহমেদ শুভ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকার এই মির্জাপুরে অনেক উন্নয়ন করেছে। আমাদের প্রয়াত সংসদ সদস্য এই আসনকে সাজাতে অনেক কাজ হাতে নিয়েছিলেন। যার অনেকগুলো এখনও অসমাপ্ত। সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মির্জাপুরবাসী আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী করবে।’
জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, ‘প্রচারণার সময় মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। বিএনপি নির্বাচনে আসেনি তাদের ভোটও আমি পাবো বলে আশা করছি। আমার একটা ক্লিন ইমেজ রয়েছে। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করছি।’
বাংলাদেশ কংগ্রেসের রুপা রায় বলেন, ‘যেখানে গেছি সেখানেই মানুষের সমর্থন পেয়েছি। আশা করি অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ আসনে মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৫০১ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৭৮ জন। এ ছাড়াও পাঁচজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১২১টি। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ৫৭টি, সাধারণ কেন্দ্র ৬৪টি। নির্বাচনে ভোটকক্ষ রয়েছে ৭৫৬টি। নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ এবং আনসার সদস্য মিলে ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে র্যাব এবং ডিবির টিম কাজ করবে।
এ ছাড়াও প্রতিটি ইউনিয়নে পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স ও একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এদিকে নির্বাচনের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শুক্রবার থেকে মাঠে কাজ করছে চার প্লাটুন বিজিবি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ করতে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে এ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ ভোটররা যাতে সহজে ইভিএমে ভোট দিতে পারে সে লক্ষ্যে শুক্রবার সারাদিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে মক ভোট কার্যক্রম করা হয়েছে।’
গত ১৬ নভেম্বর স্থানীয় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেনের মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়।
/এএন