মাঘের শুরুতে শীতের দাপট পঞ্চগড়ে
প্রবাদে আছে ‘মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে’। প্রবাদটি যেন বাস্তবে রূপ পেয়েছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় হাঁড় কাঁপাতে শুরু করেছে তীব্র শীত। মাঘের শুরুতেই ৯ ডিগ্রির নিচে নামলো তাপমাত্রা।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়। এর আগে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গত শুক্রবার ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। আগে কয়েকদিন তাপমাত্রা বাড়ার পর হঠাৎ করে আবার তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। ফলে শীতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দেশের এই সীমান্তঘেষা উপজেলার প্রান্তিক জনপদের মানুষ।
বেড়েছে শীতজনিত নানা ব্যাধি। হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোতে জ্বর-সর্দি, কাশি, অ্যাজমা, সাইনুসাইটিসসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগীর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শীতে করোনার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা থাকায় চিকিৎসকরা রোগীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দিচ্ছেন।
৬০ বছর বয়সী নজরুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন বিরতির পর গতকাল থেকে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ছে।
করতোয়া নদীর পাথর শ্রমিক শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘নদীর পানি এমনিতেই ঠান্ডা। তার মধ্যে শীত বাড়লো। যে কারণে পাথর তুলতে কষ্ট হচ্ছে। কাল থেকে ঘরে বসে আছি।’
প্রচণ্ড শীতের কারণে চা বাগানের গাছের পরিচর্যা করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চা শ্রমিকদের। তারা বলেন, ‘ঠান্ডা পড়ছে যেন বরফের মতো। বাগানে গাছের ছাটাই করতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। তাই দুদিন ধরে কাজে যেতে পারছি না।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, 'হঠাৎ করে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০ এর নিচে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শুক্রবারও ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। রেকর্ড হয়েছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সপ্তাহের মধ্যে আরও নিচে তাপমাত্রা নামতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
/এএন