বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৬ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ফেনী মুক্ত দিবস আজ, দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন

আজ ৬ ডিসেম্বর, ফেনী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ফেনীর মাটিতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিল। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রামে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনীর নৃশংস বর্বরতায় ক্ষত-বিক্ষত ফেনী শহরে বিজয়ের নিশান উড়িয়ে উল্লাস করে স্বাধীনতাকামী বাঙালিরা।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী ফেনীর সর্বত্রে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ ও নিপিড়ন চালায়। জেলার বিভিন্ন স্থানে ৮টি বধ্যভূমিতে শহীদদের লাশ সনাক্ত বা তাদের কবর চিহ্নিত করে স্বজনহারারা।

১ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশের মতো ফেনীও ফুঁসে উঠে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চ ভাষণের পরপরই ফেনীতে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য খাজা আহাম্মদের (এমএলএ) নেতৃত্বে ফেনীর সংগ্রাম কমিটির সদস্য, ছাত্র, যুবক, সামরিক ও আধা সামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে মিত্র বাহিনী গঠন করা হয় এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের একিনপুর ও চোত্তাখোলায় প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অত্র অঞ্চল (ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা) কে ২ নম্বর সেক্টরের আওতায় এনে কমান্ডার হিসেবে বীর উত্তম খালেদ মোশাররফ ও সাব সেক্টর কমান্ডার হিসেবে বীর বিক্রম জাফর ইমাম দায়িত্ব পালন করেন। ফেনী অঞ্চলের মুক্তি বাহিনীর অধিনায়ক হিসেবে কর্মরত তৎকালীন ক্যাপ্টেন জাফর ইমাম ভারতের বিলোনীয়া ও তৎসংলগ্ন অঞ্চল থেকে যুদ্ধ করতে করতে এগুতে থাকে। একটা পর্যায়ে ফেনীর পাক হানাদার বাহিনীর একটি অংশ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি হয়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের রাস্তার অপর অংশ শুভপুর ব্রিজের উপর দিয়ে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়।

অপরদিকে যুদ্ধের তীব্রতা ও আক্রমণের দিক পরিবর্তন করে দাগনভূঞার কোরাইশমুন্সীতে অবস্থিত বিএলএফের অফিস পাঁছগাছিয়ায় স্থানান্তর করা হয়। বিএলএফ তথা মুজিব বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা দাগনভূঞা, রাজাপুর, সিন্দুরপুর হয়ে শহরের দিকে এগুতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পাক হানাদার বাহিনী ৫ ডিসেম্বর রাতে কুমিল্লার দিকে পালিয়ে যায়। সেই সময় ফেনীর মহাকুমার অবাঙালি প্রশাসক বেলাল এ খান পাক বাহিনীর সঙ্গে চলে যান। ফেনী হানাদারমুক্ত হওয়ার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে হানাদার বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে করে বাংলাদেশ স্বাধীনতার সূর্য উদিত হওয়ার বিষয়টি সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। মুক্তিযুদ্ধে ফেনীর অনেকগুলো রণাঙ্গনের মধ্যে মুন্সীর হাটের মুক্তারবাড়ী ও বন্ধুয়ার প্রতিরোধের যুদ্ধ ইতিহাস খ্যাত হয়ে আছে। এই রণাঙ্গনে সম্মুখ সমরের যুদ্ধ কৌশল বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানী মিলিটারী একাডেমিগুলোতে পাঠ্যসূচির অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা এই রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের অহংকার ও গর্বের বিষয়।

এ ছাড়াও সোনাগাজীর নবাবপুরে সম্মুখ যুদ্ধ উল্লেখযোগ্য। পাকিস্তানি সেনা সুবেদার মেজর জেনারেল গোল মোহাম্মদের নেতৃত্বে সোনাগাজীর বিভিন্ন এলাকায় লুটপাট, ত্রাস, ধর্ষণ ও হত্যার উৎসবে মেতে পড়ে। এর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে মুক্তিযোদ্ধারা প্রচণ্ড সম্মুখ আক্রমণ ও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। যুদ্ধে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন ও পাকিস্তানি ২০ জন সৈনিক নিহত হয়।

এরপর জুলাই-আগস্ট মাসের শেষ দিকে মুক্তিযোদ্ধারা প্রবল গেরিলা আক্রমণ শুরু করে। দাগনভূঞা, সিলোনীয়া, সিন্দুরপুর, মাতুভূঞা, দুধমুখা সেবারহাটের নুইয়ানীর পুল, বসুরহাট, সোনাগাজী, ধলিয়া বাজার, বক্তারমুন্সি, ছোট ফেনী নদীর পাড়, সাতবাড়িয়া, ভৈরব চৌধুরী, মনকাজী, বাঞ্ছারামপুর, মতিগঞ্জ, ফেনী সদর, বার্ণপাড়া, সিও অফিস, ছাগলনাইয়া, শুভপুর, চাঁদগাজী, জিনার হাট, ভূঞার হাট, কাশিপুর, পরশুরামের গুথুমা ক্যাম্পে, হাতিলুটা ফাজিলপুর, পশ্চিম লক্ষ্মীপুর, শিবপুর, কালিদহ, ছনুয়ায় ব্যাপক প্রতিরোধ ও গেরিলা হামলা জোরদার করা হয়।

৬ ডিসেম্বর ভোর থেকেই মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন জাফর ইমাম বীর বিক্রমের নেতৃত্বে ফেনীর পূর্বাঞ্চল দিয়ে দলে দলে ফেনী শহরে প্রবেশ করতে থাকে মুক্তিযোদ্ধারা। জড়ো হওয়া মুক্তি সংগ্রামীরা মিছিল থেকে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেয়। শ্লোগান শুনে প্রথমে শহরবাসী বিশ্বাস করতে পারেনি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে অনেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের মিছিলে দেখে উৎপুল্ল হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষ মিছিলে শরিক হতে শুরু করেন। স্বত:স্ফূর্ত প্রতিরোধের লক্ষণ দেখে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাক হানাদার বাহিনী আর তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস বাহিনী ফেনীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পালিয়ে এসে ফেনী শহর হয়ে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। এভাবেই দীর্ঘ নয় মাসের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মুক্তিকামীরা লাল-সবুজের এক টুকরো পতাকা ফেনীর মাঠে উড়ায়। এই রনাঙ্গনে ১০ নভেম্বর ২ জন পাকিস্তান সেনা অফিসারসহ ৭২ জন পাক সেনা আত্মসমথর্ন করেন।

মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য ফেনীর ৩১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় খেতাবে ভূষিত করা হয়। খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ৪ জন বীর উত্তম, ৭ জন বীর বিক্রম এবং ২০ জন বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা ফেনী সরকারি কলেজ, তৎকালীন সিও অফিসসহ কয়েকটি স্থানে স্বাধীনতাকামী নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছিল। সেই অমর শহীদের স্মৃতির ভাস্কর্য হিসেবে ফেনী কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ও জেল রোডের পাশে বীর শহীদের নামের তালিকাসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিলোনীয়ায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।

এদিকে ফেনী মুক্ত দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষ্যে ফেনী জেলা প্রশাসন দিনব্যাপী বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ থেকে ফেনী জেলা শিল্পকলা একাডেমী পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র‍্যালি। এরপরে সকাল ১১টায় ফেনী জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় ফেনী কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। সভাপতিত্ব করবেন ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান।

এ ছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, শহীদ মিনার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

অন্যদিকে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার এনায়েত নগর গ্রামের প্রতিষ্ঠিত তরুণ সংঘের উদ্যোগে ৪৫ কিলোমিটার পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তুলে ধরা ও ফেনী মুক্ত দিবসকে প্রতিষ্ঠিত করতে এই প্রয়াস। এই বছর পদযাত্রা শুরু হবে পরশুরাম থেকে নোয়াখালীর দাগনভূঞা পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার।

এ ব্যাপারে তরুণ সংঘের সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াকুব রকি জানান, ১৯৭১ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ ও প্রশিক্ষণের জন্য মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে চলাকে হৃদয়ের অনুভূতিতে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন তরুণ সংঘ। বিগত বছরের মতো এবারও ফেনী মুক্ত দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তারুণ্যের পদযাত্রার আয়োজন করেছে।

ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান বলেন, ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এদিন বীর মুক্তিযোদ্ধারা ফেনীকে পাক হানাদার মুক্ত করেছিল। দিনটিকে আমরা নানা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করে থাকি। এ বছরও দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে পুষ্পস্তবক অর্পণ, র‍্যালি, আলোচনা সভা ও পদযাত্রা। সেদিন ফেনীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে অসামান্য বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন সেটিকে আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করব।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

সাবেক মেয়র তাপসের সন্ধান দিলেন ডিবি হারুন

শেখ ফজলে নূর তাপস (বামে) এবং হারুন অর রশিদ। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীরা অনেকেই দেশ ছেড়েছেন। পরিস্থিতি আরো তীব্র হওয়ার আগেই পালিয়ে গিয়েছিলেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাদের মধ্যে ছিলেন শেখ পরিবারের সদস্য এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

তাপসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ রয়েছে, যা তাকে বিতর্কের মুখে ফেলেছে। বর্তমানে তিনি কোথায় অবস্থান করছেন, কী করছেন—এই বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল রয়েছে। তার অবস্থান নিয়ে সম্প্রতি নতুন তথ্য দিয়েছেন আরেক বিতর্কিত ও পালাতক সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ।

কানাডার নাগরিক টিভির বার্তা প্রধান নাজমুস সাকিব সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন সম্প্রচার করেন, যেখানে হারুন অর রশিদের একটি কল রেকর্ড প্রকাশ করা হয়। ওই কল রেকর্ডে জানা যায়, সাবেক মেয়র শেখ তাপস বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন এবং সেখানে তিনি ভিসা ছাড়াই রয়েছেন।

জানা গেছে, শেখ তাপস ৩ আগস্ট, ২০২৩-এ ঢাকা ছাড়েন। সেদিন বিমানবন্দরে তাকে আটক করা হলেও তিনি তার পরিবারকে যুক্তরাজ্যে পাঠিয়ে দেন এবং রাতের ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর চলে যান।

এদিকে, হারুন অর রশিদও বর্তমানে পালাতক অবস্থায় আছেন। তার অবস্থান পরিষ্কার নয়, তবে জানা গেছে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের লং আইল্যান্ডে অবস্থান করছেন। ৫ আগস্টের পর তিনি সেখানে পালিয়ে যান।

তাপসের মতো, হারুনও সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের মুখে ছিলেন, এবং তার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জনমনে বেশ আলোচিত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে ঘর ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধদের নামাজ আদায়

টাঙ্গাইলে ঘর ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে নামাজ আদায় করেছেন বিক্ষুব্ধরা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের মধুপুরে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে বনবিভাগের লোকজন সুমাইয়া নামে এক নওমুসলিম নারীর ঘর ভেঙে দেয়। এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর প্রতিবাদে বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টায় টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ আদায় করেন স্থানীয়রা।

এর পর প্রশাসনের আশ্বাসে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে অবরোধটি তুলে নেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এর আগে সকালে বন বিভাগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ওই নওমুসলিম নারীর বাড়ি-ঘর ভেঙে দেয়।

জানা যায়, উপজেলার গাছাবাড়ী এলাকায় এক খৃষ্টধর্মীয় গারো নারী কয়েক বছর আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে সুমাইয়া শেখ নামের ওই নারী পঁচিশ মাইল এলাকায় ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে বিনা ভাড়ায় বসবাস করে আসছেন।

স্থানীয়রা ওই নারীর প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়ে অর্থ দিয়ে পঁচিশ মাইল বাসস্ট্যান্ডের কাছে বসতিপূর্ণ এলাকায় ৩ শতাংশ জমির দখলস্বত্ব কিনে দিয়ে ঘর নির্মাণ করে দেন। সেই ঘরটির নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি।

এর মধ্যেই বুধবার সকালে বন বিভাগ সুমাইয়ার ঘরটি ভেঙে দেয়। পর স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হরে আছরের নামাজের পর থেকেই জলছত্র থেকে পঁচিশ মাইল এলাকায় ঘর ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে মাগরিবের নামাজ আদায় করে। পরে পঁচিশ মাইল বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা।

সমাবেশে বক্তব্য দেন- বিএডিসি মসজিদের ইমাম ইব্রাহীম তকী, মুফতি আরিফ আদনান, পঁচিশ মাইল জামে মসজিদের খতিব আব্দুল বাছেদ, মুফতি মাসুম বিল্লাহ, ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ, আব্দুস সামাদ খান, আবু হানিফ, হাফেজ সোহাইল আহমেদ প্রমুখ।

ভুক্তভোগী নওমুসলিম সুমাইয়া শেখ জানান, ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় আমি এখন অসহায়। বর্তমানে এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছি। স্থানীয়রা অনুদান ও যাকাতের টাকা দিয়ে সহযোগিতা করায় ঘর নির্মাণ করতেছি, এখনো কাজ শেষ হয়নি।

তিনি আরও বলেন- ঘরটি সরিয়ে নিতে আমাকে কোন প্রকার নোটিশ দেওয়া হয়নি। হঠাৎ করেই আমার ঘর ভেঙে দিয়েছে বনবিভাগ। অথচ চারদিকে শতশত বাড়ি ঘর, সেগুলো ভেঙে ফেলেনি। ঘরটি ভেঙে ফেলায় থাকার জায়গা আর রইল না।

উপজেলার গাছাবাড়ী বিটের বন কর্মকর্তা আব্দুল কদ্দুছ জানান, রেঞ্জ অফিস থেকে আমাকে বলেছে তাই আমি উচ্ছেদ অভিযানে গিয়েছি। আমি নতুন এসেছি, তাই বেশি কিছুই জানি না।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে রয়েছি, বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন এবং স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পেলেন ড. খলিলুর রহমান

ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানকে একই সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে খলিলুর রহমানকে এই নতুন দায়িত্ব দেয়ার কথা জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এই প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) জাহেদা পারভীন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এখন থেকে খলিলুর রহমানের পদবি হবে ‘জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং রোহিঙ্গা সমস্যাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ’। এর পাশাপাশি তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনেও সাহায্য করবেন।

গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলিসংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে নিয়োগ পান খলিলুর রহমান। খলিলুর রহমান উপদেষ্টার মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে সেদিন এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছিল। আজ তার নতুন পদায়নের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সেই প্রজ্ঞাপনের অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাবেক মেয়র তাপসের সন্ধান দিলেন ডিবি হারুন
টাঙ্গাইলে ঘর ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধদের নামাজ আদায়
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পেলেন ড. খলিলুর রহমান
ভারতে ৫ বছর সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৬ নারী
বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করল ভারত
২১ এপ্রিল কাতার সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
১৬২ জনকে নিয়োগ দেবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর
বিমানে সহযাত্রীর শরীরে মূত্রত্যাগ করলেন ভারতীয় মাতাল যাত্রী!
এ বছর ৩৬ টাকায় ধান ও ৪৯ টাকায় চাল কিনবে সরকার
আওয়ামী লীগের বিচার এবং নিবন্ধন বাতিলে একমত হেফাজত ও এনসিপি
দুর্বল শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করা হবে: গভর্নর
গুলশানের এক কিলোমিটার রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করল ডিএনসিসি
যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশের জবাবে ৮৪ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করল চীন
মুজিববর্ষে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়, শেখ হাসিনা-রেহানার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
১৫ কোটি বাজেটের ‘বরবাদ’-এ শাকিবের পারিশ্রমিক ১ কোটি ২০ লাখ টাকা
‘অতি গোপনীয় অভিযোগ’ নিয়ে দুদকে হাসনাত-সারজিস
ডিসেম্বরের আগে সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চাওয়া হবে: সালাহ উদ্দিন
ঈদযাত্রায় সড়কে ৩১৫ দুর্ঘটনায় ৩২২ জন নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
উদ্ধার করা সওজের জমি দখলে নিল সমন্বয়করা!
নবাব শেখের ভাইরাল সেই ‘চলমান-খাট’ নিয়ে গেছে পুলিশ