টাঙ্গাইলে চার দফা দাবির বাস্তবায়ন চেয়ে যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএমএ), ডিপ্লোমা মেডিকেল প্রাইভেট প্র্যাকটিশনার অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএমপিপিএ) ও ম্যাটস শিক্ষার্থী পরিষদ।
রোববার (৯ মার্চ) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন টাঙ্গাইল ডিপ্লোমা অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ডা. আব্দুল বাতেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শিক্ষা পরিসংখ্যান ২০২২ ও বিএমডিসির সর্বশেষ তথ্যমতে দেশে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার এবং বিএমডিসি নিবন্ধিত ডিএমএফ চিকিৎসক ৩০ হাজার। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে ৫৫ হাজার ডিপ্লোমা চিকিৎসক (ডিএমএফ) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত।
ডা. আব্দুল বাতেন বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও ম্যাটস শিক্ষার্থীরা নানা বৈষম্যের শিকার। দীর্ঘ একযুগ ধরে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের দুই হাজারের বেশি শূন্যপদ থাকলেও নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। এতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং ম্যাটস পাস করা শিক্ষার্থীরা বেকার হয়ে পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, এসএসসি পাস করার পর চার বছর মেয়াদি মেডিকেল ডিপ্লোমা কোর্স (ম্যাটস) করা শিক্ষার্থীদের পুনরায় স্কুল নামের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হয়, যা অসংগতিপূর্ণ। সাধারণত স্কুলের পর কলেজে ভর্তি হওয়ার নিয়ম থাকলেও দেশের ১৬টি সরকারি ও ২০০টি বেসরকারি ম্যাটসের শিক্ষার্থীদের স্কুল পাসের পর আবার স্কুলে ভর্তি হতে বাধ্য করা হচ্ছে।
ম্যাটস শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি
১. শূন্যপদে নিয়োগ প্রদান এবং কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নতুন পদ সৃষ্টি।
২. প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে কারিকুলাম সংশোধন ও ইন্টার্নশিপ লগবুক প্রণয়ন।
৩. বিএম অ্যান্ড ডিস স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান।
৪. অ্যালাইড হেলথ প্রফেশনাল বোর্ডের পরিবর্তে 'মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড' নামকরণ ও সংশোধনী বাস্তবায়ন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিএম’র টাঙ্গাইল শাখার উপদেষ্টা ডা. দেলোয়ার হোসেন, প্রাক্তন সভাপতি ডা. সিআর দাস, বিডিএম’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. আশরাফুজ্জামান, ডা. মোতালেব হোসেন, ডা. শিপলু, ডা. সোহেল রানা এবং ছাত্র প্রতিনিধি সৈকত জাহান আকাশ। এছাড়া বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
ম্যাটস শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য অধিকার ও কর্মসংস্থানের দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।