ধর্ষণ মামলায় জামিনে বেরিয়ে আবার ধর্ষণ! অতঃপর...

কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় কারাভোগের পর জামিনে মুক্তির পাঁচ মাস না যেতেই আবারও ধর্ষণ করতে গিয়ে আটকের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এরপর ৬ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় তাকে। বুধবার (৫ জানায়ারী) দিবাগত রাত ২টার দিকে এমন ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের বারা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম সোহান (৩০) উত্যক্ত করতো পাশের গ্রামের কলেজ পড়ুয়া ওই ছাত্রীকে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় দেন-দরবার হলেও কোনো কাজ হয়নি। এ অবস্থায় গত বছরের ৫ জুন রাত ১০টার দিকে মেয়েটির বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সোহান তার ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় সে।
এ ঘটনা নিয়ে সালিশ-দরবার হয়। সেখানে ধর্ষণের শিকার কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে সোহানের বিয়ে করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এ নিয়ে দিন-তারিখ ধার্যও ছিল। কিন্তু এক মাসেও বিয়ে না করায় কলেজ ছাত্রীর পরিবার থানায় গিয়ে গত বছরের ৫ জুলাই ধর্ষণের অভিযোগে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এরপর পুলিশ ধর্ষক সোহানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
জানা যায়, এক মাস কারাভোগের পর সোহান জামিনে এসে আবার মেয়েটিকে উত্যক্ত করা শুরু করে। এতে কলেজ ছাত্রীর বাইরে বের হওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে সোহান সুযোগ বুঝে ওই কলেজছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তার শয়নকক্ষে প্রবেশ করে ফের ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
ঘটনা সর্ম্পকে কলেজ ছাত্রী জানান, মামলার পর জামিনে এসে সোহান তাকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আসছিল। লোকলজ্জার ভয়ে এবার আর কাউকে জানানো হয়নি। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার সোহান তার কক্ষে এলে ভালো ব্যবহার করে বসিয়ে রেখে পরিবারকে কৌশলে জানায় মেয়েটি। পরে গভীর রাতে তাকে আটকে বেঁধে রাখা হয়।
এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রীর চাচা জানান, মামলার পর অল্প দিনের মধ্যে সে জামিনে এসে ফের অত্যাচার শুরু করে। কোনো ভয়-লজ্জার তোয়াক্কা করেনি। এ অবস্থায় আটকের পর তার পরিবারকে জানানো হলে উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের কার্য সম্পন্ন হয়।
একে/এএন
