আজ শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) একই সময় পাল্টা পাল্টি কর্মসূচী ডাকায় ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আজ দুপুরে জেলা সদরের রুহিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে রুহিয়া থানা এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এতে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনসারুল ইসলামসহ কয়েকজন আহত হয়। ভাংচুর করা হয় ৫টি মোটরসাইকেল ও দোকানপাট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৩ রাউন্ড টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে না আসায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা সদরে।
রুহিয়া থানার ওসি সোহেল রানা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। টিআর
এ আর রহমান ও তার প্রাক্তন স্ত্রী সায়রা। ছবি: সংগৃহীত
এ আর রহমান বিচ্ছেদের ঘোষণা করার পর থেকে তাকে নিয়ে নানা খবর ছড়িয়েছে। একদিকে যেমন রহমান ও তার প্রাক্তন স্ত্রী সায়রার সম্পর্ক নিয়ে নানা আলোচনা। অন্যদিকে সুরকারের সহশিল্পী মোহিনীর সঙ্গে পরকীয়া নিয়ে গুঞ্জন রটেছে। তবে এই নিয়ে মোহিনী বা রহমানের তরফ থেকে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ঠিক এরই মাঝে নতুন পোস্ট করে এ আর রহমান ভক্তদের দিলেন সুখবর।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রহমান তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট দিয়েছেন রহমান। এতে তিনি জানান, দক্ষিণী সিনেমা ‘দ্য গোট লাইফ’র আবহসংগীতের জন্য হলিউড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এ সিনেমার পুরো টিমকে এ ভিডিওর মাধ্যমে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এ সংগীতজ্ঞ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এ আর রহমানের বিচ্ছেদ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই তার সহশিল্পী মোহিনীও স্বামী ম্যাকের সঙ্গে ডিভোর্সের ঘোষণা দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ দুই ঘটনার মধ্য়েই মিল খুঁজে পেয়েছেন নেটিজেনরা। এমনকী মোহিনীর সঙ্গে পরকীয়ার কারণেই রহমান এ ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- এমনটাও বলছেন কেউ কেউ।
এ আর রহমান ও মোহিনীকে জড়িয়ে বিতর্ক শুরু হতেই মুখ খুলেছে রহমানের সবেক স্ত্রী সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ। তিনি গণমাধ্যমকে জানালেন, ‘এসব বিতর্কের কোনো অর্থ নেই। মোহিনীর ডিভোর্সের সঙ্গে রহমানে ও সায়রার ডিভোর্সের কোনো সূত্র নেই। এটা তাদের একেবারে নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তাই অযথা বিতর্ক না করাই ভালো’।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্য়েকটি দীর্ঘ বিবাহিত জীবনই ভালো-মন্দের মধ্য়ে দিয়ে এগিয়ে যায়। আমি খুবই খুশি তারা খুব সচেতনভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিচ্ছেদ একেবারেই খারাপ বৈবাহিক জীবনের ফল নয়। সায়রা ও রহমান দুজনেই দুজনকে সম্মান করেন’।
১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। তাদের ঘরে তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে।
কেলি এম ফে রজরিগেজ (বামে) এবং থিয়া লি। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে টেকসই অর্থনীতি, স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থবহ ও মানসম্পন্ন চাকরির ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষে ৪ দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম ফে রজরিগেজ এবং শ্রম বিভাগের পক্ষে ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে ঢাকায় পৌঁছে শ্রমিকের কাজের পরিবেশ এবং বিস্তারিত নিয়ে শ্রমিক সংগঠন সলিডারিটি সেন্টারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা। এদিন দুপুরে বৈঠক করবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর সঙ্গে। এছাড়াও সরকারি প্রতিটি পক্ষের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
জানা গেছে, প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকর্তা, বেসরকারি খাতের গার্মেন্টস উৎপাদক এবং শ্রমিক ইউনিয়ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে দেখা করবে। প্রতিনিধি দলটি তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগ করা আমেরিকান কোম্পানির প্রতিনিধি এবং বৈশ্বিক শ্রম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র এবং শ্রমিকদের সর্বোত্তমভাবে কীভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করবে।
এই সফর অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রমের মান, সেইসঙ্গে টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং ব্যাপকভাবে ভাগ করা সমৃদ্ধির উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ বিষয়ে নিজেরে অবস্থান জানিয়েছেন তিনি।
ফেসবুকে পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘বিচার নিশ্চিতের পূর্বে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া মানে চব্বিশের অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করা।’
এর আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগ যেসব হত্যাকাণ্ড এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে, সেগুলোর বিচার শেষে দলটিকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের যারা হত্যা ও ক্ষমতার অপব্যহারের সঙ্গে জড়িত, যখন তাদের বিচার সম্পন্ন হবে, তখনই দলটিকে নির্বাচনে স্বাগত জানানো হবে। অন্যরা নির্বাচনে অংশ নিতে যতটা স্বাধীন তারাও ততটাই স্বাধীন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অঙ্গনে লড়াই করব।